Tag: Unsc

Unsc

  • India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের তৃতীয় সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া (India At UN)। কথাগুলি ভারতের কোনও কর্তা ব্যক্তি বলেননি। বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান (Ex UNSC Chief) তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কিশোর মাহবুবানি। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিকও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রয়েছে তার একটি ব্রিটেন। তাদের উচিত ভারতের জন্য সরে দাঁড়ানো।”

    কী বললেন মাহবুবানি? (Ex UNSC Chief)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাহবুবানি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর ভারত আজ নিঃসন্দেহে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ (India At UN)। গ্রেট ব্রিটেন আর গ্রেট নয়।” তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।” ২০০১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০০২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন মাহবুবানি। তিনি জানান, প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ব্রিটেন দশকের পর দশক ধরে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এর পরেই তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।”

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত রয়েছে (Ex UNSC Chief) পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ব্রিটেনকে হঠিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত (India At UN)। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে এক ধাপ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। ভারত সাধারণ সভার সদস্য হয়েছে ৮ বার। যেহেতু ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ওপরের দিকে উঠছে ভারত, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    ভারত (India At UN) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক, চায় আমেরিকাও। রাশিয়াও চায়। তবে চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে এখনও অবধি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি ভারত। পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা না বাড়লে ভারতের ঢোকার জায়গাও নেই। সেই কারণেই ব্রিটেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান। ভারত জি৪-এর সদস্য। এর আরও তিন সদস্য রাষ্ট্র হল ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান। এরা প্রত্যেকেই একে অন্যের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন করে (Ex UNSC Chief)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ে পায়ে পেরিয়ে এসেছি পঞ্চাশ বছর। ১৯৭৪ সালের ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত (Indias Nuclear Test)। অপারেশনের নাম ছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। পারমাণবিক এই অস্ত্র পরীক্ষার আগে পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাকপক্ষীতেও টের পায়নি। পরীক্ষার পরে পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘটনাটিকে “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিস্ফোরণ” বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত ‘নিউক্লিয়ার ক্যাপাবিলিটির লিগ অফ নেশনসে’র তালিকায় ঢুকে পড়েছিল।

    পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার খবর (Indias Nuclear Test)

    পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার (Indias Nuclear Test) ঠিক পরের দিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে ফলাও করে বেরিয়েছিল ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সেই খবর। খবরে এও বলা হয়েছিল, মাটির নীচে এই পরীক্ষা হয়েছে। প্লুটোনিয়ামের এই ডিভাইসের রেঞ্জ ১০-১৫ কিলোটন। খবরে এও বলা হয়েছিল, ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান ড: এইচএন শেটনা এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ড: আর রামান্না যাঁরা পরীক্ষার তদারকি করেছিলেন, বিস্ফোরণের পরেই দ্রুত উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে।

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’ অপারেশনের পর ভারতই প্রথম দেশ যারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সঙ্গে এক সারিতে বসার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। সমালোচকদের বক্তব্য ছিল, ১৯৭০ সালে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষা ভারতের। যদিও অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “এই পরীক্ষার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক চাল নেই। যা রয়েছে, তা হল আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।”

    আর পড়ুন: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার রূপায়িত হলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ”, বললেন মোদি

    ১৯৪৫ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে নিহত হন লক্ষাধিক মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরেই অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ওই মানুষদের। ১৯৬৮ সালে ন্যূনতম শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশে স্বাক্ষরিত হয় ‘পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ চুক্তি’ (এনপিটি)। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল পারমাণবিক অস্ত্রধারী বিভিন্ন দেশ। এর ঠিক ছ’বছর পরেই পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। এই পরীক্ষার পরে দীর্ঘদিন কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল ভারত। ১৯৯৮ সালে ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে নয়াদিল্লি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। এই অপারেশনের নাম ছিল ‘শক্তি’ (Indias Nuclear Test)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে। দিন কয়েক আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এমনই দাবি করেছিলেন (India US Relation)। এবার তাঁর সুরে সুর মেলাল আমেরিকাও। যদিও মাস্কের ঢের আগেই এই একই দাবি জানিয়েছিল জো বাইডেনের দেশ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ৫। এই দেশগুলির প্রত্যেকেরই ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের দাবি (India US Relation)

    বাকি চার দেশ ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও, চিনের ভেটোর জেরে প্রতিবারই ছিটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির তরফে যে ইস্তাহার (সঙ্কল্পপত্র) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বলা হয়েছে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যে পরিণত করতে জোরদার চেষ্টা চালানো হবে। এহেন (India US Relation) আবহেই মাস্ক দাবি করলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত ভারতের। একই দাবি আবারও করল আমেরিকা।

    কী বললেন বেদান্ত প্যাটেল?

    বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে বাড়তি সমর্থন মিলেছে।” মাস্কের দাবির প্রেক্ষিতে বেদান্ত বলেন, “প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) এ ব্যাপারে আগেও বলেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রায় সব সাধারণ সভায়। সেক্রেটারি সে বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা চাই নিরাপত্তা পরিষদ-সহ রাষ্ট্রসংঘের সব ক্ষেত্রে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা বাস করছি একবিংশ শতাব্দীতে। রাষ্ট্রসংঘে সংস্কারের যে প্রয়োজন রয়েছে, তা আমরা স্বীকার করি।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

    জানুয়ারি মাসেই টেসলার সিইও মাস্ক বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ নেই, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে মাস্ক লিখেছিলেন, “কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের কাঠামোয় সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হল, যে সব দেশের হাতে প্রভূত ক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ছাড়তে রাজি নয়। ভারতের মতো জনবহুল একটি দেশের নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই না হওয়াটা আশ্চর্যের বিষয়। সামগ্রিকভাবে আফ্রিকারও স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (India US Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত (India)। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের তালিকায় নেই তারা। তাহলে তো রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে!ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য মোদির।

    রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    ফ্রান্স (France) সফরের আগে সেদেশের প্রথম অর্থনৈতিক সংবাদপত্র ‘লেজেকো’-কে সাক্ষাৎকার দিলেন মোদি (Narendra Modi)। ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে যুদ্ধ নয়, যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  সন্ত্রাস মুক্ত বিশ্বই ভারতের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান। দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। অথচ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নেই। এখানেই প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের দাবি, গোটা বিশ্বের হয়েই তারা কথা বলে। কিন্তু সেখানে যদি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই না থাকে, তাহলে কি এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলা যায়? শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা নয়, আরও বড় প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রসংঘের এহেন আচরণে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যভুক্ত দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য একমাত্র চিন ছাড়া বাকি দেশগুলি সম্মতি দিয়েছে। স্থায়ী সদস্যগুলির মধ্যে যে কোনও একজনের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা থাকায়, চিনের আপত্তিতে স্থায়ী সদস্যপদ পাইনি ভারত। তবে, ফ্রান্স সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) স্থায়ী সদস্যপদের সওয়াল, যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে পেরেছি আমরা। বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য বজায় রাখা যায়, সেটাই দেখাতে পারে ভারত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগ্য স্থান দিতে হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে।”

    আরও পড়ুন: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    সাক্ষাৎকারে ‘পশ্চিমী মূল্যবোধের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন মোদি (Narendra Modi)। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি কোণায় দর্শন ও সংস্কৃতির কথা বিবেচনা করতে হবে। পুরনো ধারণা ত্যাগ না করলে পৃথিবী কখনই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারবে না। পৃথিবী একটাই। কিন্তু এখানে অনেক দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি আছে।’ পাশাপাশি যোগ ও আয়ুর্বেদের পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, যোগ আজ একটি পারিবারিক শব্দ। তিনি বলেন, প্রাচীন কাল থেকে ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়েছে আসছে। বিশ্ব জুড়ে যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

    মহাসচিবের বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে জইশ জঙ্গিনেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ভারতকে বাধা চিনের

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে জইশ জঙ্গিনেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ভারতকে বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পথে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা আব্দুল রউফ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছিল ভারত। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে চিন। 

    জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই রউফের জন্ম পাকিস্তানে ১৯৭৪ সালে। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণ কাণ্ড সহ ভারতে একাধিক নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে রউফ জড়িত। কোথাও হামলার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা তো কোথাও জঙ্গি হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া। ২০০১ সালে পার্লামেন্টে হামলা ও ২০১৬ সালে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার সময়ও রউফ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তদন্তে উঠে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    জানা গিয়েছে, পরিষদের (UNSC) ১২৬৭ আইএসআইএল এবং আল কায়দা নিষেধাজ্ঞা তালিকায় আব্দুল রউফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে আপত্তি তোলে বেজিং। ২০১০ সালে রউফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে, গত বছরের অগাস্ট মাসে রউফকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করার যৌথ প্রস্তাব রেখেছিল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাব কার্যকর হলে বিশ্বব্যাপী রউফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হত। তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ হত। কিন্তু, তখনও সেই প্রস্তাবেও ‘ভেটো’ দিয়েছিল পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য চিন। 

    পাকিস্তানের ‘সব-ঋতুর বন্ধু’ বলে পরিচিত চিন। গত বছর একইভাবে নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) তোলা হাফিজ সঈদ, লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি শাহিদ মাহমুদ এবং সাজিদ মিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও আটকে দিয়েছিল বেজিং। একইভাবে, গত বছরই লস্করের ডেপুটি প্রধান আব্দুল রেহমান মাক্কিকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছিল চিন। যদিও, গত জানুয়ারি মাসে হাফিজের ভাই মাক্কির ওপর থেকে চিন আপত্তি তুলে নেওয়ায় তাকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করা হয়।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত! ‘জবাবেরও অযোগ্য’, নস্যাৎ নয়াদিল্লির

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত! ‘জবাবেরও অযোগ্য’, নস্যাৎ নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি (Jammu & Kashmir) নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা করল পাকিস্তান (Pakistan)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক বিতর্কে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি উপত্যকার শান্তিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলতে চেষ্টা করেন। যদিও তাঁর অভিযোগ নস্যাৎ করে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ‘‘পাক বিদেশমন্ত্রীর ঘৃণ্য, ভিত্তিহীন মন্তব্য জবাব দেওয়ারই যোগ্য নয়।’’

    পাকিস্তানের দাবি খারিজ ভারতের

    রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিতর্কে’ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে বিলাবল অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র কাশ্মীরের মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে! তারই জবাবে রুচিরা বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মাফিক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে পাকিস্তান।’’ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন বিলাবল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন তিনি।  ফেব্রুয়ারিতে পাক সরকার আয়োজিত ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ কর্মসূচিতে ভারতকে আক্রমণ করে বিলাবল বলেন, “কাশ্মীরিদের নিজভূমেই একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় পরিকল্পনামাফিক অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে কাশ্মীরের ভূমিপুত্রদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর মন্তব্যের  তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের  প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ পাক মন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কটাক্ষ করেন। পাক মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ জম্মু কাশ্মীর নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তা ভারতের তরফে খারিজ করা হচ্ছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন রুচিরা। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যে মিথ্যাচার করছে, তার জবাব দেওয়ার অযোগ্য বলে ভারত মনে করে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে এমনই জানান ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পরেই এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানাল ব্রিটেন। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলেকজান্ডার এলিস বলেন, “আমরা অবশ্যই ভারতকে ইউএনএসসি-এর সদস্য হওয়ার দাবিতে সমর্থন করি। ইউএনএসি-র সংস্কারগুলি প্রাতিষ্ঠানিক, বাস্তবতা কম।”  

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে। ইউএন (United Nations) এবং ইউএনএসসি- তে কিছু দেশ এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। পরে কিছু দেশ আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো। আমরা চাইব ভারত একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক।”

    তিনি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক (United Nations) কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন- এর উদাহরণও দেন। বলেন, দেশগুলি আজকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতও অর্থ ঋণ দিয়েছে।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, যে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

    ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে এর আগে ভারতকে সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার গলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হতে পারে চিন। কারণ বেজিংয়ের কাছেও রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। যা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারেন তাঁরা। গত দু’বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

    সমর্থন ফ্রান্সেরও 

    গত কয়েক বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের অমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা (United Nations) রয়েছে বলে সওয়াল করে আসছে ভারত। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মঞ্চেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের নেতৃত্বে ‘Maintenance of International Peace and Security: New Orientation for Reformed Multilateralism’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘের ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভেরে। ভারত ছাড়াও জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় ঠিক কি বলেছেন (United Nations) ফরাসি রাষ্ট্রদূত? তাঁর কথায়, “ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করি আমরা। বিশ্বের নতুন শক্তিগুলির উত্থান মেনে নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বেনজির-পুত্র, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নামছে বিজেপি। আজ, শনিবার দেশজুড়ে জানানো হবে প্রতিবাদ। পোড়ানো হবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কুশপুতুলও। প্রসঙ্গত, বিলাওয়াল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে।

    বিজেপির কর্মসূচি…

    এদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির তরফে জারি করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লি সহ দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, বিজেপির কার্যকর্তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করবেন। এভাবেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। শুক্রবার দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। সেখানেই তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবস। এমন একটি দিনে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিলাওয়ালের ওই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে হয় সমালোচনা। এদিনই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বিলাওয়ালের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাকিস্তানে ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাক সেনা।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য তাদের দেশের মানের তুলনায় বেশ নিচু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের ‘এপিসেন্টার’ এখনও সক্রিয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ফের একবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) বেআব্রু করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের দ্বিচারিতা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়ে বুধবার তিনি বলেছিলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই তাদের। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জয়শঙ্কর বলেন, এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখ, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে মনে করে।

    ইসলামাবাদকে নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান ও একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না। সন্ত্রাসবাদের বিপদ যে দিন দিন বাড়ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share