Tag: Unsc

Unsc

  • United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পরেই এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানাল ব্রিটেন। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলেকজান্ডার এলিস বলেন, “আমরা অবশ্যই ভারতকে ইউএনএসসি-এর সদস্য হওয়ার দাবিতে সমর্থন করি। ইউএনএসি-র সংস্কারগুলি প্রাতিষ্ঠানিক, বাস্তবতা কম।”  

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে। ইউএন (United Nations) এবং ইউএনএসসি- তে কিছু দেশ এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। পরে কিছু দেশ আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো। আমরা চাইব ভারত একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক।”

    তিনি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক (United Nations) কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন- এর উদাহরণও দেন। বলেন, দেশগুলি আজকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতও অর্থ ঋণ দিয়েছে।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, যে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

    ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে এর আগে ভারতকে সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার গলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হতে পারে চিন। কারণ বেজিংয়ের কাছেও রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। যা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারেন তাঁরা। গত দু’বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

    সমর্থন ফ্রান্সেরও 

    গত কয়েক বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের অমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা (United Nations) রয়েছে বলে সওয়াল করে আসছে ভারত। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মঞ্চেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের নেতৃত্বে ‘Maintenance of International Peace and Security: New Orientation for Reformed Multilateralism’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘের ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভেরে। ভারত ছাড়াও জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় ঠিক কি বলেছেন (United Nations) ফরাসি রাষ্ট্রদূত? তাঁর কথায়, “ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করি আমরা। বিশ্বের নতুন শক্তিগুলির উত্থান মেনে নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বেনজির-পুত্র, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নামছে বিজেপি। আজ, শনিবার দেশজুড়ে জানানো হবে প্রতিবাদ। পোড়ানো হবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কুশপুতুলও। প্রসঙ্গত, বিলাওয়াল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে।

    বিজেপির কর্মসূচি…

    এদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির তরফে জারি করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লি সহ দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, বিজেপির কার্যকর্তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করবেন। এভাবেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। শুক্রবার দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। সেখানেই তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবস। এমন একটি দিনে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিলাওয়ালের ওই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে হয় সমালোচনা। এদিনই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বিলাওয়ালের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাকিস্তানে ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাক সেনা।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য তাদের দেশের মানের তুলনায় বেশ নিচু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের ‘এপিসেন্টার’ এখনও সক্রিয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ফের একবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) বেআব্রু করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের দ্বিচারিতা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়ে বুধবার তিনি বলেছিলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই তাদের। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জয়শঙ্কর বলেন, এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখ, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে মনে করে।

    ইসলামাবাদকে নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান ও একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না। সন্ত্রাসবাদের বিপদ যে দিন দিন বাড়ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) মুখের মতো জবাব দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিল শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধলেন পাকিস্তানকে।

    কাশ্মীর ইস্যু…

    দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলে পাকিস্তান। তার পরেই প্রতিবেশী দেশটিকে একহাত নেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। লাদেন এবং সংসদ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে সমসাময়িক প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকরভাবে মোাকাবিলার ওপর। তা অতিমারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা সন্ত্রাস হতে পারে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাজানো তথ্য এবং গুরুত্বহীন অভিযোগ নতুন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, বিশ্ব যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না, তাকে জাস্টিফাই করার প্রশ্নও ওঠে না। জয়শঙ্কর বলেন, এটা অবশ্যই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এর পরেই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংসদের হামলার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন জয়শঙ্করের (S Jaishankar) আগে বলতে ওঠেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তার পরেই তাঁকে কার্যত বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজ থেকে আঠারো বছর আগে ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কয়েকজন সদস্য হামলা চালায় পার্লামেন্টে। প্রকাশ্যে গুলিও চালায় তারা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ন’ জনের। পাকিস্তানের মদতেই সংসদে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি মাসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে ভারত। মঙ্গলবার তাই রাষ্ট্রসংঘে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইভেন্টে বক্তৃতা দেন। সেখানেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতের (India) স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) দেখা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে। মঙ্গলবার রুচিরা দেখা করেন গুতেরাসের সঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি আলোচনা করেন কীভাবে সফল করা যাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ডিসেম্বরের সভা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবে ভারত। অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, আজ, রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি। তাঁর সঙ্গে প্রোগ্রাম এবং কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে হবে বৈঠক। তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।

    ভারতের অবস্থান…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেবার আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রসংঘে শান্তি রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা। গত বছর অগাস্টের পর এবার ডিসেম্বরে ফের সভাপতিত্ব করার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। যে পনেরটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তারা প্রত্যেকই সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ আসে অ্যালফাবেটিক্যালি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে রুচিরা কম্বোজের (Ruchira Kamboj) বৈঠকে জি-২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণে বৈশ্বিক নানা বিষয় তুলে ধরার একটা সুযোগ মিলবে এই জি-২০তে। প্রসঙ্গত, এই জি-২০ শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতবারই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ঘানার হাত থেকে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতিত্বের রাশ এল ভারতের (India) হাতে। আর শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) জানিয়ে দিলেন ভারত রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে। জোর দেওয়া হবে বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে।

    ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি…

    এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সিতে সেই একই স্পিরিট নিয়ে আসব। আমরা দুটি প্রধান বিষয়ে আলোকপাত করব। একটি হল, উন্নীত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং অন্যটি হল বিশ্ব সন্ত্রাস দমন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কম্বোজ জানান, অক্টোবরে ভারতে এই কমিটির বিশেষ বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দিল্লি ঘোষণার সঙ্গে এক মত হয়ে সন্ত্রাস দমন কমিটিও স্বীকার করেছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে জঙ্গিরা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    সন্ত্রাসবাদই যে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের শিরঃপীড়ার কারণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদের রক্তচক্ষু গভীর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এর শিকড়। প্রকৃতিগতভাবে এটি ট্রানজিশনাল। এই সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অন্তত এটা এই সময়ের দাবি। রুচিরা কম্বোজ বলেন, ভারত এই কমিটির চেয়ারে রয়েছে। গোটা বিশ্ব যাতে এক যোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার চেষ্টা করবে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, গত ২২ বছর ধরে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ((UNSC)) সংস্কার সাধনের কথা বলে আসছেন। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চিও নড়িনি। তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ দমন শীর্ষক এক বিতর্ক সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে পাঁচটি। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভারত অস্থায়ী সদস্য। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বারংবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নানা সময় ভারত নিয়েছে নির্ণায়কের ভূমিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    UNSC: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হোক ভারত (India)। এবার সওয়াল করল ফ্রান্সও। কেবল ভারত নয়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে আসুক জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানও। অন্ততঃ এমনই চাইছে ইমানুয়েল মাক্রঁর দেশ। নিরাপত্তা পরিষদকে শক্তিশালী করতে এই দেশগুলিকেও স্থায়ী সদস্য করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ নাথালি ব্রডহার্স বলেন, ফ্রান্সের অবস্থান স্পষ্ট। এবং সবাই জানে। আমরা চাই, নিরাপত্তা পরিষদ আজকের বিশ্বের উপযোগী হোক। এজন্য প্রয়োজন আরও প্রতিনিধির। এর কর্তৃত্ব এবং ফল যাতে ভাল হয়, সেই কারণেই নিরাপত্তা পরিষদে প্রয়োজন আরও প্রতিনিধি।

    নিরাপত্তা পরিষদ…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এবার ভারত সহ চার দেশের স্থায়ী সদস্য করার দাবি তুলল ফ্রান্সও।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    নিরাপত্তা পরিষদের জেনারেল অ্যাসেম্বলি প্লেনারি মিটিংয়ে নাথালি ব্রডহার্স বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপান স্থায়ী সদস্য হোক চায় ফ্রান্স। আমরা চাই আফ্রিকান দেশগুলির শক্তিশালী উপস্থিতি থাকুক। তাদেরও কোনও একটি দেশকে স্থায়ী সদস্য করা হোক। বাকি যে পদগুলি খালি থাকবে, সেখানে ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে প্রতিনিধিত্ব রাখা হোক। তিনি বলেন, ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতাটি সংবেদনশীল। নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সবাই জানে। ব্রিটেনও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল ঢের আগেই। কেবল স্থায়ী সদস্য নয়, অস্থায়ী সদস্য বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছিল ব্রিটেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukrain war) যুদ্ধে মধ্যপন্থা অবস্থানের কারণে পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে (India)। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কারণ, ভারতের বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র মেনেই তিনি রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে সব বিষয়ে ভারত যে পুতিনকে সমর্থন করবে না, তা কিন্তু হাবেভাবে ফের বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি গণভোটের নাম করে ইউক্রেনের চারটি এলাকা নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যা একেবারেই না পসন্দ ভারতের। সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ভীষণই বিচলিত। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই বার্তা মস্কোকে বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’

    আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধ নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনের কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হয়। নিরাপত্ত পরিষদের দশটি সদস্য আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে চিন, গ্যাবন ব্রাজিল এবং ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবেই পরিচিত ভারত, চিন। কিন্তু অবৈধ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এলাকা দখলের রুশ প্রয়াসকে ভারত একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ভোটদানে বিরত থাকা মানে রাশিয়াকে সমর্থন নয়। একটি দেশও রাশিয়াকে ভোট দেয়নি।’

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে এখনও লড়াই চলছে। সেখানকার মানুষ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছে।’ তবে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হওয়া খুব সহজ নয়। তবে ভারতের (India) মতো শক্তিকে চিরকাল উপেক্ষা করাও যাবে না। বুধবার সাফ জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব রকম যোগ্যতাও ভারতের রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের জন্য ভারত যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই।এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এদিন জয়শঙ্কর বলেন, আমরা কখনওই ভাবি না যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়া সহজ। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এর সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের চিরকাল ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার প্রয়োজন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল আমেরিকাও। কেবল রাষ্ট্রসংঘ নয়, তার নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সাধনও প্রয়োজন। ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এটা কোনও একটি দেশের দায়িত্ব নয়, সে দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আমি মনে করি, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা সফল করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যদের। সংস্কার সাধনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথা থেকে বাধা আসছে, তা আপনারা জানেন।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্থান হবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেই কারণেই ভারতকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন জয়শঙ্কর।

     

     

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share