Tag: us

us

  • India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির (India US Trade Deal) আবহে কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না ভারত, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই দৃঢ় অবস্থানের জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে কৃষক সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। আন্তর্জাতিক চাপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমেরিকা। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় মূলত কৃষি এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে দুই দেশের একমত হতে না-পারা।

    জিএম বীজ ব্যবহারের বিরোধিতা

    আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যারা প্রধানত জিএম (জেনেটিকালি মডিফায়েড) বীজ, যান্ত্রিক চাষ এবং বিশাল জমির উপর নির্ভর করে কৃষিকাজ করে সেই দেশগুলিই এই দাবি জানিয়েছে। এই দেশগুলির দাবি, ভারত যেন তাদের গম, ভুট্টা, চাল ও সয়াবিনের রফতানি সহজ করে। কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ওদের কাছে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ হেক্টর জমি থাকে, ওরা জিএম বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদন খরচ অনেক কম। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক ১ থেকে ৩ একর জমির মালিক, অনেকের আবার আধা একরও নেই। এ প্রতিযোগিতা কি ন্যায়সঙ্গত?”

    কৃষকের স্বার্থে আপস নয়

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী চৌহান জানান, ভারতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন খরচ বিদেশি রফতানিমুখী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশি কৃষিপণ্য বাজারে ঢুকলে আমাদের কৃষিপণ্যের দাম ধসে পড়বে এবং কৃষকদের জীবিকা চরম সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সুরেই চৌহান বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই কৃষকের স্বার্থে আপস করা হবে না।” আগেই কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মোদি আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনও কৃষক, গোপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি জানি, ব্যক্তিগত ভাবে এর জন্য আমাকে চড়া মূল্য চোকাতে হবে। কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থরক্ষায় ভারত প্রস্তুত।”

    প্রধানমন্ত্রীর পাশে কৃষকরা

    প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান দেশের কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলি একে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে এবং “কৃষক-প্রথম নীতি”-র প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। পাঞ্জাবের এক কৃষক নেতা বলেন, “এটা শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, এটা জাতীয় স্বার্থের বিষয়। বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলো সস্তায় বিদেশি শস্য আমদানি করে আমাদের দেশীয় কৃষিকে ধ্বংস করতে চায়।” মহারাষ্ট্রের চাষিরা মোদির পদক্ষেপকে “কৃষিগত স্বাধিকার”-এর ঘোষণা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত করেছিল, যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    স্বদেশী হোক মন্ত্র

    এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবসের আগে কৃষিমন্ত্রী ‘স্বদেশী আন্দোলন’ পুনরায় জোরদার করার আহ্বান জানান। চৌহান বলেন, “এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য পরীক্ষার। স্বদেশী হোক আমাদের মন্ত্র। যা ব্যবহার করব, তা হোক দেশে তৈরি। এতে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, যুবসমাজের চাকরি বাড়বে এবং আমাদের মায়েরা-বোনেরা স্বনির্ভর হবেন।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং শীঘ্রই তৃতীয় স্থানে পৌঁছবে — যদি আমরা সকলে মিলে স্বনির্ভরতা গড়ে তুলি।”

    কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান

    সরকারের এই কঠোর অবস্থান শুধু অর্থনৈতিক নয়, খাদ্য সুরক্ষার মান নিয়েও গভীর প্রতিশ্রুতি বহন করে। আগেও বিভিন্ন দেশ জিএম ফসল আমদানির নিয়ম শিথিল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। এবার ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে — দেশের কৃষিনীতি দিল্লি থেকেই নির্ধারিত হবে, বিদেশি রাজধানী থেকে নয়। ঘরোয়া ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে চৌহান বলেন, “কৃষি মন্ত্রক ও সার মন্ত্রক একসঙ্গে কাজ করছে যাতে ইউরিয়া, ডিএপি ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের সরবরাহ সময়মতো নিশ্চিত করা যায়। তাঁর আশ্বাস, “চাষিদের প্রয়োজন মেটাতে আমরা কোনও কসুর রাখবো না। খাদ্যই জীবন, আর কৃষক হলেন জীবনের দাতা। কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান। আমার প্রতিটি শ্বাসে কৃষকের অস্তিত্ব আছে। কৃষকের কল্যাণেই দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত।”

    একপাক্ষিক চুক্তিতে নারাজ ভারত

    সবুজ বিপ্লব দেশের কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছিল বলে মনে করেন অনেকেই। গম আমদানির ক্ষেত্রে মার্কিন নির্ভরতামুক্তও হয়েছিল ভারত। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাড়াহুড়োয় কেবল আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি করতে নারাজ ভারত।

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

  • Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসিম মুনির (Asim Munir) হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।” পাক (Pakistan) সেনাপ্রধান সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ যুদ্ধোন্মাদ আচরণের মাধ্যমে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে।” রুবিন পাকিস্তানের কার্যত সামরিক শাসক মুনিরকে ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি বিশ্বের কাছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (Pakistan)

    বিতর্কের সূত্রপাত মুনিরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেছিলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” ভারত মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের এই হুমকির আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করেছে। বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল এবং দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে (Asim Munir)।”

    মুনিরকে ধুয়ে দিলেন রুবিন

    কেবল ভারত নয়, মুনিরকে ধুয়ে দিয়েছেন রুবিনও। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদকে ক্ষোভের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা অনেক জঙ্গির আদর্শগত ভিত্তি বোঝে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন (Pakistan)।” প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিক রুবিনের ইঙ্গিত, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান ঐতিহ্যগত কূটনৈতিক বিরোধের তুলনায় মৌলিকভাবে এক ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। রুবিন বলেন, “মুনিরের বক্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম?” তিনি বলেন, “একজন ফিল্ড মার্শালের কথাবার্তা আমাদের ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শোনা বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    রুবিনের প্রস্তাব

    রুবিনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক (Asim Munir) সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে তার ভাষায় পরিকল্পিত পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেওয়া, যার মধ্যে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তিনি এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সময় প্রায় এসে গিয়েছে যখন ভবিষ্যতের কোনও প্রশাসনকে অন্য এসইএএল টিম পাঠিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ বিকল্পটি এতটাই ভয়াবহ যে সেটি সহ্য করার মতো নয়।”

    পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত

    রুবিনের মতে, এমন (Pakistan) কোনও কারণ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হওয়া উচিত প্রথম প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র, যাকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তার আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য থাকা উচিত নয়।” কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রুবিন বলেন, “আসিম মুনিরকে আমেরিকার উচিত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করা এবং যেন কখনওই তিনি আমেরিকান ভিসা না পান। একই সঙ্গে কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তাও নয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং মুনিরের এহেন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চায় (Asim Munir)।”

    ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে

    রুবিন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এহেন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। ইসালামাবাদের এই হুমকি বিশ্বের সামনে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই দেশ কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে অথবা শেষ সময় চলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানি (Pakistan) ফিল্ড মার্সালের উসকানিমূলক ধমক ওসামা বিন লাদেনের মুখের কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে দেখে অভাব-বঞ্চনার চশমা চোখে। তারা বোঝে না বহু জঙ্গির মনে আদর্শগত আক্রোশ চোরা স্রোতের মতো ঘুরে বেড়ায়।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

    মার্কিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে মুনিরের এহেন মন্তব্যের পরেও ট্রাম্প কোনও পদক্ষেপ না করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেন্টাগনের এই প্রাক্তন কর্তা। তিনি বলেন, “আসিম মুনির যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।” একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন করে (Asim Munir) পেন্টাগনের এই প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হোক (Pakistan)।”

  • US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (US)। স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিএলএ-র সহযোগী মজিদ ব্রিগেডকেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। সোমবারই এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালেই বিএলএকে ‘স্পেশাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরটিস্ট’ বলে দেগে দিয়েছিল আমেরিকা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরেই এই বিবৃতি দেওয়া হল মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

    স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহী (US)

    বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা। গত মঙ্গলবার রাতেও বালুচিস্তানের নৌশকি জেলায় বিএলএর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার আগে গত মে মাসে বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় ১৪ জন পাক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির জেরে নাকানিচোবানি খাচ্ছিল পাক সরকার ও পাক সেনাপ্রধান। এই আবহেই বালুচ স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ঘোষণা করা হল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে।

    জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকল বিএল

    সোমবার বিবৃতি জারি করে বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকিয়ে দিল আমেরিকা। বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলও। গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই ট্রেন (US) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং সেনাকর্মী-সহ ৩১ জন নিহত হন।

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের স্বঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘোষণা করা হল এমন একটা সময়ে যখন পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে তারা বিএলএ কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তেহরান (ইরানের রাজধানী) প্রায়ই অস্বীকার করে। তবে এই সহযোগিতা এমন একটা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে যেখানে পাকিস্তান নিজেই বালুচিস্তানে (Balochistan) কঠোর দমননীতির অভিযোগের মুখে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করছে, অসামরিক জনগণকে টার্গেট করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে (US)।

  • India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রধারী (Nuclear threat) একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন দেশ পাকিস্তান। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir) মন্তব্য নিয়ে এমনই বার্তা দিল নয়াদিল্লি। সোমবার ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসিম মুনির যে অর্ধেক পৃথিবীকে ধ্বংস করার কথা বলেছেন,তাতেই বোঝা যায় দেশটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন (India’s Response to Nuclear Threat) দেশ যাদের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও এ নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করা হবে না। সেই সঙ্গে ‘বন্ধু দেশের’ মাটি থেকে এমন বার্তা দুর্ভাগ্যজনক বলেও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা থেকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের কিছু মন্তব্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হট্টগোল করা পাকিস্তানের প্রধান চালিকাশক্তি। এই ধরনের মন্তব্যে যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন একটা দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকায় যে সন্দেহগুলি দানা বেঁধেছিল, সেগুলিই আরও জোরদার হচ্ছে। সেখানে সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’’পরমাণু অস্ত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অর্থাৎ সেনাবাহিনীর হাতে চলে যাওয়াকেও ‘প্রকৃত বিপদ’ বলে মনে করে ভারত।

    মার্কিন-মুলুক থেকে কেন এই বার্তা

    এর পরেই আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা (India’s Response to Nuclear Threat) দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারত পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করবে না। আগেও তা স্পষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করব।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকায় গিয়ে পরমাণু বোমা (Nuclear bomb) ব্যবহার করে ভারতকে (India) ধ্বংস করার সরাসরি হুমকি দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir)। মার্কিন সফরে গিয়ে এক নৈশভোজের অনুষ্ঠানে মুনির বলেন, ‘‘আমরা যদি ডুবে যাই, তবে সঙ্গে অর্ধেক দুনিয়াকেও টেনে নেব।’’ মুনির বলেন, ‘‘আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি মনে করি শেষ হয়ে যাচ্ছি, তবে আমরা অর্ধেক দুনিয়াকে শেষ করে দেব।’’

    পাকিস্তানের বেস কি বাংলাদেশ

    মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ-ও বলেছেন, পাকিস্তান নাকি এবার ভারতের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করবে। এই আবহে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশকে কি পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ‘বেস’ হিসেবে ব্যবহার করবে? এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানের অপ্রশাসনিক শক্তিকে সাবধান করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে থাকা এইসব শক্তি পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ছেলেখেলার স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের উপর নজরদারি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভারতের মতে, পাকিস্তানের বারবার পরমাণু অস্ত্রের হুমকিও ভারতের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ ঠেকাতে পারবে না। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকাটাই এই অবস্থায় বাঞ্ছনীয় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ভারত। কারণ এরকম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের দায়িত্ববুদ্ধিহীন ও দুর্বৃত্ত দেশের উপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর রাখা জরুরি বলে মনে করেন রাজনাথ সিং।

    আমেরিকাকেও জবাব

    পাকিস্তানে ভারতের সেনা অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তৎপরবর্তী দুই দেশের সংঘাতের পরে দু’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আমেরিকায় গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। ফ্লরিডার টাম্পায় শিল্পপতি আদনান আসাদ আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই পাকিস্তানকে পারমানবিক শক্তিধর দেশ বলে দাবি করে ভারতকে খোঁচা দেন মুনির। এমনকি ভারতের সঙ্গে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। যা পহেলগাঁও হামলার পর স্থগিত করেছে ভারত। এপ্রসঙ্গে মুনির বলেন, ‘ভারত বাঁধ তৈরি করুক। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনও অভাব নেই। বাঁধের কাজ হয়ে গেলেই ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃতীয় কোনও দেশকে এ হেন পরমাণু হুমকির নজির বিরল। সম্প্রতি খনিজ তেল নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি হয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সূত্রে পাকিস্তানের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ইসলামাবাদের উপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে দুই দেশকেই স্পষ্ট বার্তা দিল ভারত।

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কূটনীতিকদের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা নষ্ট করেছেন – যার লক্ষ্য ছিল ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আনা এবং রাশিয়া ও চিনের খপ্পর থেকে দূরে রাখা (Tariffs)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন (John Bolton), “ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন, অথচ চিনের প্রতি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।” বোল্টন বলেন, “ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ একটি বিরাট ভুল হতে পারে। কারণ এতে ভারত রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “যদিও এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সামান্য বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছিলেন, তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির আশায় সেটিকে আর বাড়াননি। উল্টোদিকে, ভারতকে ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও।

    কী বলছেন বোল্টন (John Bolton)

    বোল্টনের মতে, রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতের ওপর আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্কই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই সবচেয়ে খারাপ ফল তৈরি করেছে। ভারত এ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর একটা কারণ হল তারা দেখেছে চিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি ভারত, রাশিয়া ও চিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করতে পারে। মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিলা বলেন, “এই শুল্ক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন অংশীদার হিসেবে কতটা নির্ভরযোগ্য, সে বিষয়ে ভারতের সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।”

    বোল্টনের যুক্তি

    এর আগে দ্য হিল নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত (John Bolton) এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারে। তিনি এও বলেছিলেন, “চিনের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় শুল্কে বেশি সুবিধা দেওয়া বিশাল একটি ভুল হতে পারে (Tariffs)। প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বোল্টনের আশঙ্কা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর আসন্ন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-শুল্ক বিরোধকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।

    ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন মার্কিন সেনেটের

    এদিকে, ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেনেটের তথা ডেপুটি সেক্রেটারি কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি সমর্থন করেছেন ভারতকে। কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ক্যাম্পবেল বলেন, “ট্রাম্পের এই অবস্থান ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন কখনওই মার্কিন নেতার সামনে মাথা নত না করেন (Tariffs)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “২১ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। কিন্তু এখন তা সংকটে। যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা ভারত সরকারের জন্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।” ক্যাম্পবেল জোর দিয়ে বলেন, মোদি যেন কোনও অবস্থায়ই ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার না করেন (John Bolton)।

    ভারতের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক

    ৬ অগাস্ট ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা আগে থেকেই কার্যকর থাকা ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যই এই নতুন পদক্ষেপের কারণ, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অশ্রদ্ধাশীল ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় অনুসন্ধানের অঙ্গীকারও করে। ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত সফর করবেন পুতিন (John Bolton)।

    এখন দেখার কোথাকার জল কতদূর গড়ায়।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

  • PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।”  পর পর দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবারই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে এমএস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির সাফ কথা (PM Modi)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে, কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত দৃঢ়ভাবে তার কৃষকদের পাশে আছে, এবং তাদের কল্যাণের জন্য যা কিছুই করতে হয়, আমি তা-ই করতে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, দেশের কৃষিক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছিল সবুজ বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন। তাঁর জনশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষক সমাজকেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি এসেছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত একে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকেই টার্গেট করেছে। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লি (PM Modi) তার অবস্থান স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের আমদানি বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” আমেরিকার এই পদক্ষেপকে গভীরভাবে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভারতকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য নিশানা করাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও আমার সরকার গ্রামীণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    বাধার প্রাচীর কেবল তেল নয়, কৃষিও

    যদিও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবুও বাজারে প্রবেশাধিকারের চাহিদা, ভর্তুকি কাঠামো এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রাধিকারের মৌলিক পার্থক্যের কারণে কৃষিও দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় একটি বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বড় প্রবেশাধিকার চায়। অথচ ভারত চায় তার অভ্যন্তরীণ কৃষি খাতকে সুরক্ষা দিতে। এটি একটি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়।জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল, স্বাস্থ্য ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড এবং স্থানীয় জীবিকার সম্ভাব্য বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই। এটা আলোচনাকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বিতর্কিত অংশগুলির একটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যাতে না থাকে, তাই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, এবং ভারত কোনও চাপের কাছেই নত হবে না (PM Modi)।

    বাণিজ্যচুক্তি আপাতত বিশ বাঁও জলে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পাঁচ দফায়। আরও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তী সমঝোতা সেরে নিতে চাইছে দুই দেশ। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারতে আসার কথা। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার। এতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির দেশ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় কোনও পণ্য রফতানি করতে হলে সব মিলিয়ে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। পরে ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা হলে দেশগুলির ওপর আরও অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে (PM Modi)।”

  • RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ। তাই কি কাছাকাছি আসছে ভারত-চিন-রাশিয়া? গঠিত হচ্ছে নয়া জোট ‘রিচ অ্যালায়েন্স’ (RICH Alliance)? অন্তত এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে তামাম বিশ্বে (Trumps Tariff War)। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপর ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য এও জানিয়েছেন, তিনি ভারতের ওপর শুল্ক বাড়াবেন বহুলাংশে। তবে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনওপ্রকার চাপের কাছেই নতিস্বীকার করবে না নয়াদিল্লি। ভারতের পাশাপাশি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়াও।

    আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক! (RICH Alliance)

    প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একবার বলেছিলেন, “আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, কিন্তু বন্ধু হওয়া মারাত্মক।” এই কথারই প্রতিধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে বর্তমানে। কারণ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পাক খাচ্ছে শুল্ক-যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে মুখপাত্র মারিয়া জাখালোভা বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলির ওপর আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে শুল্ক আরোপ করছে। যারা ওয়াশিংটনের ভিন্ন পথে চলেছে, তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া একটি মাল্টিপোলার ও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার পক্ষে। তাই রাশিয়া ভারতের পাশেও রয়েছে, রয়েছে চিনের সঙ্গেও, এক কথায় আমেরিকার একাধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে।”

    হতাশার গর্ভে জন্ম রাশিয়ার এই প্রতিক্রিয়া

    তাঁর দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়ার জন্ম হতাশা থেকেই। কারণ তারা নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থায় নিজেদের ক্রমহ্রাসমান প্রভাব মেনে নিতে পারছে না। তাঁর মতে, শুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বব্যবস্থার বদল রোখা যাবে না (Trumps Tariff War)। জাখারোভার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া শুল্ক ঘোষণার পর এক নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া, ভারত এবং চিনের মধ্যে যে এই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে, তা বিশ্বে শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে (RICH Alliance)।

    অমোঘ প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্নটি, ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতি কি একটি শক্তিশালী ‘রিচ’ (Russia-India-China) জোটের উত্থান ডেকে এনেছে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রিচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ব্রিকসের (BRICS) চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কারণ রাশিয়া-ভারত-চিনের (রিচ) এই সংক্ষিপ্ত রূপটিই ধন ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এক শক্তিশালী জোটের ইঙ্গিত দেয়।

    আমেরিকার শিয়রে বিপদ!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘রিচ’ (RICH Alliance) গঠিত হলে বিপাকে পড়বে আমেরিকা। সে দেশের জিডিপি হল প্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা। অন্যদিকে, রাশিয়া, ভারত ও চিনের সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা। ভারত, চিন ও রাশিয়ার সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭ শতাংশ। উল্টো দিকে, আমেরিকার জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ কোটি, বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ। ত্রিদেশীয় এই সম্ভাব্য জোটের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪৮ লাখ, সেখানে আমেরিকার মাত্র ১৩ লাখ। ন্যাটো মিত্রদের যুক্ত করলেও, সেনা সংখ্যায় এগিয়ে ‘রিচ’-ই। পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের দিক থেকেও এগিয়ে ‘রিচ’। এই সম্ভাব্য জোটের দেশগুলির কাছে আনুমানিক ৬,৩০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আর আমেরিকার রয়েছে প্রায় ৫,২০০টি (Trumps Tariff War)।

    কে এগিয়ে, পিছিয়েই বা কে

    যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ, তবুও রাশিয়া এবং চিনও শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা দেশগুলির মধ্যেই রয়েছে। ভারতও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে। এই ত্রিদেশীয় জোট গঠিত হলে স্থল, জল ও আকাশে ন্যাটোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে (RICH Alliance)। ‘রিচে’র সদস্য দেশগুলি প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ। রাশিয়ার রয়েছে তেল, গ্যাস ও কয়লার বিশাল ভাণ্ডার। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান রপ্তানিকারক। ভারত পারমাণবিক ও সৌরশক্তিতে ব্যাপক এগিয়েছে। আর চিন সৌর প্যানেল ও উইন্ড টারবাইনের শীর্ষ উৎপাদক।

    প্রাকৃতিক সম্পদেও ঋদ্ধ এই তিন দেশ। রাশিয়ার রয়েছে টাইটানিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট ও ইউরেনিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার। চিন বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজের ৬০ শতাংশেরও বেশি উৎপাদন করে। আর ভারত সমৃদ্ধ বক্সাইট, লোহা আকরিক, গ্রাফাইট ও ম্যাঙ্গানিজে। কৃষিতেও এগিয়ে ‘রিচ’। ভারত দুধ ও ডালের বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদক। রাশিয়া গম রফতানিতে রয়েছে শীর্ষে। আর চিন দক্ষ কৃষিযন্ত্র ও খাদ্য উৎপাদনে। চুম্বকে, এই তিন দেশের জোট গঠিত হলে জ্বালানি, খাদ্য বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাইরের সাহায্যের কোনও প্রয়োজনই প্রায় থাকবে না (Trumps Tariff War)।

    ‘রিচ’ নামের ত্রিদেশীয় এই জোট দিনের আলো দেখে কিনা, এখন সেটাই দেখার (RICH Alliance)।

LinkedIn
Share