Tag: US Tariffs

  • Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল জেদের কাছেই হার মানতে চলেছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! অন্তত ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরনের বলা কথায় মিলল তারই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তিনি আশা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক কমাবে। নাগেশ্বরনের বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন চড়া শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রফতানিকারীরা।

    ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার বক্তব্য (Indian Goods)

    নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরন জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটন যে ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা নভেম্বরের শেষের দিকেই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ নভেম্বরের পর এই শাস্তিমূলক শুল্ক আর থাকবে না। এটি কোনও সুস্পষ্ট সূচক বা প্রমাণের ভিত্তিতে আমি বলছি না, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটি আমার আশা। আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শাস্তিমূলক শুল্ক নিয়ে একটি সমাধান হবে এবং আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও সমাধান হবে।”

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত, পারস্পরিক শুল্ক, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে আনা হতে পারে। তিনি জানান, সামগ্রিক শুল্কবিষয়ক বিরোধের সমাধান হতে পারে আগামী ৮–১০ সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এটি তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন, কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে নয় (Indian Goods)। প্রসঙ্গত, নাগেশ্বরনের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটা সময়, যার কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ভারতীয় রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত চড়া শুল্ক হার ঘোষণা করেছিল। কারণ হিসেবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো থেকে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত (Indian Goods)।

  • S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব একটি সমষ্টি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য পরিবেশ খুঁজছে। তবে একই সময়ে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ হয় এবং সবার উপকারে লাগে।” ভার্চুয়াল ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোমবার কথাগুলি বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত ও অন্য কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক (US Tariffs) আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জয়শঙ্করের এই কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য (S Jaishankar)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য রাষ্ট্রনেতারা। এই সম্মেলনেই জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে খোলা, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন রেখে সংরক্ষণ করা উচিত হবে।” তিনি বলেন, “যখন একাধিক ব্যাঘাত ঘটে, তখন আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই ধরনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মানে হল আরও দৃঢ়, নির্ভরযোগ্য, অতিরিক্ত নিরাপত্তা-সহ এবং স্বল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা তৈরি করা।”  প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন মার্কিন শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কারণ এগুলিই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।জয়শঙ্কর বলেন, “গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পন্থার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি মজবুত বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নীত করতে হবে। ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং লেনদেন জটিল করা কোনও সাহায্য করবে না। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলির সঙ্গে যোগ করলেও সুবিধা হবে না।”

    ভারতের বক্তব্য

    জয়শঙ্কর ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের বাণিজ্য নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে কিছু ব্রিকস অংশীদারের সঙ্গে। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমরা আশা করি, আজকের সভা থেকে এই উপলব্ধিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে আসবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য (US Tariffs) ভারতের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এটি সংরক্ষণ ও বিকাশ করা উচিত। শুধু তাই নয়, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি প্রকৃত উদ্বেগের কারণ।” কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে অস্থিরতা এবং চরম জলবায়ু ঘটনা, এসবই গত কয়েক বছরে বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই চ্যালেঞ্জগুলির মুখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বিশ্বকে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে। এতগুলি গুরুতর সমস্যা অবহেলিত থেকে যাওয়ায় বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।”

    চিন-ভারত কাছাকাছি

    এদিকে, বৈরিতা ভুলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চিন। ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেজিং। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ অন্যায় শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে চিন। তাই ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ এক সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা (US Tariffs)।” দুই পড়শি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই (S Jaishankar) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি-সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

    নীতি পরিবর্তন ভারতের

    ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চ শুল্কহার চড়ানোর পর নীতি পরিবর্তন করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরানো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন অ্যাপ-সহ তার অনেক পণ্যের জন্য খোলা হচ্ছে ভারতের দুয়ার। এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে (US Tariffs)। এক কথায়, ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণের জন্য এখন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার (S Jaishankar)।

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারির পরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য যেন আরও বাড়ছে (Russia)। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মূলত আমদানি হচ্ছে — অর্থাৎ ভারত কিনছে (Free Trade), অথচ ভারত থেকে সে অর্থে রফতানি হচ্ছে না। ফলে বাণিজ্য অনুপাতে একটি ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, যা নিয়ে কথা বলাই যায়। এই ভারসাম্যহীনতা নিরসনের জন্য মস্কোতে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র ওপর জোর দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি রাশিয়ান সংস্থাগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভারত থেকে পণ্য ও পরিষেবা কেনে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    রাশিয়ার (Russia) প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ-এর সঙ্গে মস্কোতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বলেন, দুই দেশকেই বাণিজ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং নিজেদের উদ্যোগগুলি সম্প্রসারিত করতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় জয়শঙ্কর বলেন, “শুল্ক এবং অন্য বাধার অপরাসণে সরবরাহ সহজ করতে হবে। আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর, উত্তর সমুদ্রপথ এবং চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্তক করিডরের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উভয় সংস্থাগুলির আর্থিক বিনিময় মসৃণ করতে হবে।” নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরও বেশি করে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে হবে।”

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (Free Trade) শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে রাশিয়া

    প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী এ দিনই নিশ্চিত করেছেন যে, মস্কোতে তাঁর এই বৈঠকের সময় রাশিয়ার (Russia) কর্তৃপক্ষ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে, আমেরিকাকে কূটনৈতিকভাবে আরও জোরালো জবাব দেওয়া যাবে এবং ভারতের বহু পণ্য ও পরিষেবা রাশিয়াতে রফতানি করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বিগত চার বছরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য পাঁচ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কই চক্ষুশূল হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই তিনি ভারতের উপর শুল্ক বাড়িয়েছেন।

    বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে (Russia)

    ২০২১ সালে বাণিজ্য ছিল ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রাশিয়া থেকে ভারত মূলত হাইড্রোকার্বন আমদানি করে। নয়া দিল্লিতে রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই একটি বড় ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন — রাশিয়া থেকে কেবল আমদানি হচ্ছে, কিন্তু রফতানি বাড়ছে না। তাই জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় পণ্য ও পরিষেবার রফতানির জন্য মস্কোকে তাদের বাজার আরও বিস্তৃত করতে হবে। পরবর্তীকালে ভারত–রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরাম-এ তিনি বলেন, “ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে আপনারা বিনিয়োগ করুন এবং নতুনভাবে কাজ শুরু করুন। কারণ, এভাবেই একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।”

    শুল্ক চাপানো অনৈতিক, বললেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন

    অন্যদিকে, ভারতের উপর যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন (Russia)। তিনি বলেন, “আমেরিকার বাজারে ঢুকতে সমস্যা হলে, রাশিয়া ভারতকে রফতাবিতে স্বাগত জানাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। ভারতের জন্য পরিস্থিতি কঠিন। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আস্থা আছে আমাদের। জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বজায় থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী আমরা।”

  • Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। সেই বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, ফোন করে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এই বিষয়টি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এই বিষয়টি জানানোর জন্য পুতিনকে  ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট মোদির (PM Modi)

    এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পুতিনকে বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করে লেখেন, ‘‘সম্প্রতি আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর (পুতিন) বৈঠকের বিষয়বস্তু আমার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’ মোদি আরও জানিয়েছেন, ভারত ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। যুদ্ধ বন্ধের সকল প্রচেষ্টাকে ভারত সমর্থন করে বলেও জানিয়েছেন মোদি।

    কথা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও

    জানা যাচ্ছে, আলাস্কার বৈঠক বা ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গই নয়, মোদি এবং পুতিনের (Putin) মধ্যে এই কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও একাধিক প্রসঙ্গ। ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

    ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ভারতেরও, কারণ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ওপর শুল্কও বৃদ্ধি করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে কী জানিয়েছিলেন ট্রাম্প

    বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে, এই বৈঠক হতে চলেছে মূলত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত থামানোর বিষয়ে। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, আলাস্কায় গত ১৫ অগাস্ট এই বৈঠক ৩ ঘণ্টা ধরে চলে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্রই বের করা যায়নি। কিন্তু বৈঠকের পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুজনেই বলেন বৈঠক ফলপ্রসূ।

    বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

    অন্যদিকে, গত শনিবারে ভারত আলাস্কায় রাশিয়া এবং আমেরিকার এই বৈঠকে স্বাগত জানায়। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি আসে যে, ভারত স্বাগত জানাচ্ছে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) এই বৈঠককে।

    ট্রাম্পের সুর নরম

    প্রসঙ্গত রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক চড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপরে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর কিছুটা নরম বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। কারণ, ওই বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আজ যা হল, আশা করি এর পর আর ওটা (শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওটা নিয়ে আমাকে আবার ভাবতে হবে। এখন কিছু নয়। আমার মনে হয়, বৈঠক খুব ভালো হয়েছে।’’

  • US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    US Tariffs: ভারতীয় রফতানির উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণ, ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সহায়তা প্যাকেজ আনছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে রফতানি করা পণ্যে বাড়তি ২৫ শতাংশ কর চাপিয়েছে আমেরিকা। ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানিকৃত পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) বসানোর কথা জানিয়েছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। স্বভাবতই এর কারণে যে সব দেশ আমেরিকায় পণ্য রফতানি করে, তাদের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশগুলি বাড়তি সুবিধা পাবে। মার খাবে বেশ কিছু পণ্যের রফতানি। কিন্তু কোনওভাবেই এতে চাপে পড়তে নারাজ দিল্লি। বিকল্প সব পথ খুলে রাখার চিন্তা করছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রফতানির উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বিপুল হারে শুল্কের প্রেক্ষিতে, এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলির জন্য একটি বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ আনার চিন্তাভাবনা করছে ভারত সরকার। এই প্যাকেজের মাধ্যমে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর রফতানি সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পথকেও সুনিশ্চিত করতে চায়।

    কোন কোন দ্রব্য আমেরিকায় রফতানি করে ভারত

    বর্তমানে, ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার মোট শুল্ক প্রায় ৫০ শতাংশ — যেখানে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক শুল্ক এবং অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ আরোপিত হয়েছে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে। এই শুল্কের দ্বারা প্রভাবিত খাতগুলোর মধ্যে প্রধানত শ্রমনির্ভর শিল্প যেমন সামুদ্রিক পণ্য, খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র শিল্প অন্তর্ভুক্ত। এই প্রথাগত ও স্থানীয় শিল্পগুলোর অস্তিত্ব এবং বিকাশের জন্য বৈদেশিক বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারের সহায়তা প্যাকেজ এই শিল্পগুলোর রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকা ভারতের থেকে দামি জহরত, গয়না, কাপড়, সামুদ্রিক মাছ, গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনে। সেই ব্যবসাই সাময়িক ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা বণিকমহলের। বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের মতো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে কম শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। আমেরিকায় পণ্য রফতানির প্রতিযোগিতায় সেই দেশগুলি ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে এ দেশের রফতানিকারক সংস্থাগুলির একাংশ।

    সামুদ্রিক মাছ

    ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি মার খাবে ভারতের সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণীর ব্যবসা। ভারত যত সামুদ্রিক মাছ (সিফুড) রফতানি করে, তার ৪০ শতাংশই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ সে দেশে রফতানি করে ভারত। সবচেয়ে বেশি রফতানি করে চিংড়ি। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথা আগে ভাবছে মোদি সরকার। বিশেষত খাদ্যদ্রব্য ও সামুদ্রিক পণ্যের মতো খাতে পণ্যের স্থায়িত্ব কম এবং লাভের মার্জিনও সীমিত। এই খাতের উপর নির্ভরশীল মানুষজন প্রধানত কৃষক এবং গ্রামীণ পটভূমি থেকে আসা। তাই এই গ্রামের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে স্বল্পমেয়াদে সহায়তা প্যাকেজ অত্যাবশ্যক, বলে মনে করে কেন্দ্র।

    কাপড়-ব্যবসা, জহরত, গয়না, গাড়ির যন্ত্রাংশ

    নয়ডা, সুরাটের কাপড় রফতানিকারক সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমেরিকায় রফতানির জন্য কাপড় তৈরি আপাতত স্থগিত রাখবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো মনে করছে, নতুন এই শুল্কনীতির প্রভাব ব্যবসার উপরে কিছুটা হলেও পড়বে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আমেরিকায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার জহরত এবং পাথর বসানো গয়না রফতানি করেছে ভারত। এ দেশের জহরত কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাজার হল আমেরিকা। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কিরীট ভন্সালী জানিয়েছেন, আমেরিকার পরিবর্তে বিকল্প দেশে জহরত রফতানির পথ দেখবে ভারত। তাদের নজরে রয়েছে দুবাই, মেক্সিকো। ভারত যত পরিমাণ গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করে বিভিন্ন দেশে, তার অর্ধেকই যায় আমেরিকায়। প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রাংশ রফতানি করা হয়।

    রাশিয়া থেকে আরও তেল

    ভারতীয় বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড (IIFT)-এর অধ্যাপক রাম সিং বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে আরও কিছু ছাড়ে তেল কেনার কথা বলতে পারে। সেখান থেকে সাশ্রয় হওয়া অর্থ রফতানিকারীদের সহায়তা প্যাকেজে ব্যয় করা যেতে পারে, যাঁরা আমেরিকান শুল্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।” আমেরিকার বাড়তি শুল্কের ফলে ভারতীয় রফতানিকারীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরকে দ্রুত আমেরিকায় পণ্য রফতানির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক রাম সিং জানান, “আমেরিকায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে থ্যাঙ্কসগিভিং, বড়দিন এবং নিউ ইয়ার উপলক্ষে বিক্রি সর্বাধিক হয়। তাই এই সময়ে পাঠানোর জন্য রফতানিকারীদের বলা হয়েছে তাঁদের পণ্য আগে থেকেই পাঠাতে, যাতে বাড়তি শুল্কের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।” সহায়তা প্যাকেজে উচ্চ ভর্তুকি, সহজ ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা, রফতানির জন্য নতুন বাজার সন্ধান এবং রফতানির নিয়মকানুন শিথিল করার মতো একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে বাণিজ্যমন্ত্রক। ভারত সরকার (India Plans on Tariff) যে এই পরিস্থিতিতে সহায়তা প্যাকেজ বিবেচনা করছে, তা শ্রমনির্ভর ও দুর্বল খাতগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকেও সুরক্ষিত রাখার একটি সঠিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ, বলেই মনে করছে বণিক মহল।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। পাত্তা দেয়নি ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) আরোপের হুঁশিয়ারিকে। তার পরেও দিব্যি রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। নয়াদিল্লির এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের ওপর ফের একপ্রস্ত উল্লেখযোগ্য শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দিলেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্প। ‘বন্ধু’র প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

    ট্রাম্পের গলায় ভিন্ন সুর (Donald Trump)

    ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এখনও চূড়ান্ত হয়নি বাণিজ্যচুক্তি। চলছে দর কষাকষি। এমতাবস্থায় ভারতকে ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মঙ্গলবার ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। এদিন তিনি জানান, ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করে। কিন্তু আমরা ওদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি না।” এর পরেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপাতে চলেছি।” তবে ভারতীয় পণ্যের ওপর কত পরিমাণ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা, এদিন তা স্পষ্ট করেননি ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র ‘নায়ক’ (US Tariffs)।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট

    ট্রুথ সোশ্যালে ফের একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারত যে শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশিরভাগটাই (Donald Trump) খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া যে ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াব।” গত বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে ‘জরিমানা’ও দিতে হবে বলে (US Tariffs) জানিয়েছিলেন মোদির ‘বন্ধু’।

LinkedIn
Share