Tag: us

us

  • S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের (ASEAN Summit) ফাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মালয়েশিয়ায় আয়োজিত এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার প্রেক্ষিতেই হয় এই বৈঠক। এক্স হ্যান্ডেল একটি পোস্টে জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক-সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়ে হওয়া আলোচনার প্রশংসা করেন।

    কোয়াত্রার বক্তব্য (S Jaishankar)

    এদিকে, রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা মার্কিন সেনেটের বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‍্যাঙ্কিং সদস্য জিন শাহিনের সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং তেল ও গ্যাস বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়াত্রা লিখেছেন, “এসএফআরসিডেমস-এর সেনেট বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‌্যাঙ্কিং সদস্য সেনেটর শাহিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠা, ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেল ও গ্যাস বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং আমাদের অঞ্চলের অভিন্ন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েই কেন্দ্রীভূত ছিল।”

    নরেন্দ্র মোদির অবস্থান

    ভারতের রাষ্ট্রদূত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানও তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এমন একটা সময়, যখন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল সাফ জানিয়ে দেন, ভারত কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে তাড়াহুড়ো করে স্বাক্ষর করবে না এবং এমন কোনও শর্ত মেনে নেবে না যা অংশীদার দেশগুলি ভারতের বাণিজ্যিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে। তিনি এও বলেন, “বাণিজ্য চুক্তি শুধুমাত্র শুল্ক বা কর সম্পর্কিত নয়, বরং এটি পারস্পরিক আস্থা গঠন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপন এবং বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সহযোগিতার জন্য একটি মজবুত কাঠামো তৈরির ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ (S Jaishankar)।”

    ওয়াশিংটনের সঙ্গে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “অতি স্বল্পমেয়াদি প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আগামী ছ’মাসের মধ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে নয়। এটি কেবল আমেরিকায় ইস্পাত বিক্রি করার ক্ষমতা নিয়েও নয়।” অন্যদিকে, বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল জানান, ভারতের সঙ্গে (ASEAN Summit) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। উভয় পক্ষই অধিকাংশ বিষয়ে একমত হওয়ার পথে। এ থেকে স্পষ্ট, শীঘ্রই একটি পারস্পরিকভাবে লাভজনক চুক্তি হতে যাচ্ছে (S Jaishankar)।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই সব আক্রমণের গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের শোভাযাত্রায় আক্রমণ, মন্দির-মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১৯ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ২৬ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারত এবং ভারতের বাইরে (Roundup Week)।

    কেরলের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কেরলের কমিউনিস্টরা মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে ঘটে যাওয়া হিজাব বিতর্কের জন্য হিন্দুত্বকেই দায়ী করেছেন। কোচির সেন্ট রিটা পাবলিক স্কুলের এক মুসলিম ছাত্রী খ্রিষ্টান-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটিতে হিজাব পরার অধিকার দাবি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ এবং পুলিশি সুরক্ষার সহায়তায় জানায়, স্কুলের ইউনিফর্ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিআই(এম)-এর নেতা ভি শিবনকুট্টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় অকারণে হিন্দুদের টেনে আনা হয়। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দীপাবলি উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, “দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অর্থের অপব্যয় করা উচিত নয়।” কেরলের বিখ্যাত গুরুভায়ুর মন্দিরের অডিটে এর সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ধরা পড়েছে। এটি রাজ্যের কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে মন্দির-অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। অডিটে প্রকাশ, মন্দিরে ভক্তদের দান করা সোনা, হাতির দাঁত, জাফরান ও রান্নার সামগ্রী-সহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যের খোঁজ মিলছে না। ডিউড” চলচ্চিত্রের পরিচালক কীর্তিশ্বরণ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ইভি রামস্বামী নাইক্কারের আদর্শে প্রাণিত। তিনি এমন এক চলচ্চিত্র বানিয়েছেন যা বিয়ের পবিত্রতাকে উপহাস করে, পরকীয়াকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করে, এবং নৈতিক অবক্ষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে দেখায় (Roundup Week)।

    জম্মু-কাশ্মীরের চিত্র

    জম্মু-কাশ্মীরের আখনূর এলাকায় জোরিয়ানের ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু কিশোরী পালিয়ে যায় এক ছেলের সঙ্গে। তার পরিবারের দাবি, এটি প্রলোভন ও মগজধোলাইয়ের ফল। ঘটনাটি ভারতজুড়ে তথাকথিত গ্রুমিং ও ধর্মান্তর র‌্যাকেট নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূচনা (Hindus Under Attack) করেছে। বেঙ্গালুরুর হেন্নুরের দোদ্দারামান্না লেআউট এলাকায় দীপাবলির রাতে (Hindus Under Attack) ইসলামি উগ্রবাদীদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে শুরু হওয়া ঝগড়ার পর পাঁচ মুসলিম যুবক দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয়দের হুমকি দেয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার পরেই শুরু হয় সংঘাত।

    নমাজ আদায়ে বিতর্ক

    পুনের শনি‌ওয়ার ওয়াদায় একটি বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যখন একটি ভিডিওতে দেখা যায় কিছু মুসলিম নারী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ওই কাঠামোর ভেতরে নমাজ আদায় করছেন। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশের কাছে দায়ের করা হয় অভিযোগ। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির মেধা কুলকার্নি এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি গোমূত্র ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান এবং শিব বন্দনা করেন। তাঁর দাবি, এই নমাজ আদায় অপমানজনক। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত (Roundup Week)।

    বিপাকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Hindus Under Attack) সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি এক শ্বেতাঙ্গের ভারতীয় এবং তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ। বিতর্কের সূত্রপাত এক্স হ্যান্ডেলে বিশৃঙ্খল একটি রাস্তার ভিডিও পোস্ট করে তিনি যা লিখেছেন, তার নির্যাস হল ভারতীয়রা তাঁদের নির্বোধ দীপাবলির আবর্জনা দিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিকে পুরো নোংরা জায়গায় পরিণত করেছে। বেঙ্গালুরুর এক নারী তাঁর সঙ্গী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তারা তাঁকে বিয়ের জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছিলেন। মামলাটি এইচএসআর লেআউট থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসহাক।

    আমেরিকার ছবি

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অপমান করা হয় হিন্দুদের। দীপাবলির উৎসব চলাকালীন কিছু খ্রিস্টান চরমপন্থী এই উৎসবকে অশুভ বলে অপমান করতে থাকে। তারা অংশগ্রহণকারীদের নিন্দাও করে। তাদের অভিযোগ, ভারতীয়রা আমেরিকা ও কানাডায় বন্যপ্রাণ ধ্বংস করছে।

    প্রসঙ্গত, অধিকাংশ হেট ক্রাইম মূলত (Hindus Under Attack) কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামি দেশগুলিতে এই হিন্দু-বিরোধী ঘৃণার প্রকাশ সুস্পষ্ট। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক রূপের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব দেখা যায়। এটি হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)।

  • John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কীভাবে ওয়াশিংটন কোটি কোটি ডলার সাহায্যের বিনিময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল, তা ফাঁস করে দিলেন জন কিরিয়াকু (John Kiriakou)। তাঁর দাবি, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখত। কিরিয়াকু সিআইএতে ১৫ বছর কাজ করেছেন। এর মধ্যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, পারমাণবিক কূটনীতিতে সৌদি প্রভাব এবং দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তনশীল ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে একাধিক খোলামেলা মন্তব্যও করেছেন।

    মার্কিন বিদেশনীতির সমালোচনা (John Kiriakou)

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতিতে বেছে নেওয়া নৈতিকতারও সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন স্বচ্ছন্দ্যে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে এবং গণতান্ত্রিক আদর্শের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কিরিয়াকু বলেন, “পারভেজ মোশারফ পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন বিশাল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে মূলত তাঁকে কিনেই নিয়েছিল। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একনায়কদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসে। সেখানে জনমত বা গণমাধ্যম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমরা আসলে মোশারফকে একরকম কিনেই নিয়েছিলাম।” কিরিয়াকু বলেন, “আমরা লাখ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছিলাম – সামরিক ও অর্থনৈতিক এবং তার বদলে মোশারফ আমাদের যা খুশি, তা-ই করতে দিয়েছিলেন।”

    মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন

    প্রাক্তন সিআইএ কর্তা আরও বলেন, “মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে আমেরিকার পাশে দাঁড়ালেও, গোপনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল-কায়েদাকে নিয়ে মোটেই চিন্তিত ছিল না, তারা চিন্তিত ছিল ভারতের ব্যাপারে। মোশারফ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করতেন, অথচ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতেন (Pakistan)।”

    বড় নীতিগত ভুল

    কিরিয়াকু (John Kiriakou) জানান, সৌদি আরব হস্তক্ষেপ করায় আমেরিকা পাকিস্তানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানকে নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। সৌদিরা পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করেছিল। তিনি বলেন, “যদি আমরা ইজরায়েলের মতো পথ অবলম্বান করতাম, তাহলে আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ ছিল। কিন্তু সৌদিরা এসে বলল, ‘দয়া করে তাঁকে ছেড়ে দিন। আমরা একিউ খানকে পছন্দ করি। আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করছি।’” একে তিনি একটি বড় নীতিগত ভুল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “হোয়াইট হাউস সিআইএ এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন তারা খানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে। এটা নিশ্চিতভাবেই সৌদিদের চাপের কারণেই হয়েছিল।”

    বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে!

    কিরিয়াকুর (John Kiriakou) দাবি, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খানকে রক্ষা করার কারণ তাদের নিজস্ব পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি ইঙ্গিত দেন, রিয়াধ দীর্ঘমেয়াদে একটি সমান্তরাল পারমাণবিক সক্ষমতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল। তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই ভাবতাম, সৌদিরাও কি নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করছে না?” তিনি এই পর্যবেক্ষণকে সাম্প্রতিক সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন। তাঁর ইঙ্গিত, রিয়াধ হয়তো এখন তাদের বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে (Pakistan)।

    আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামি

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামির সমালোচনা করে বলেন, “ওয়াশিংটন বেছে বেছে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়, অথচ স্বচ্ছন্দে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে। আসলে আমরা নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বাতিঘর হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসি। কিন্তু এটি সত্য নয়। আমরা যা করি, তা আমাদের তাৎক্ষণিক স্বার্থেই করি।”

    মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক লেনদেনভিত্তিক

    তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে (John Kiriakou) সৌদির সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপেই লেনদেনভিত্তিক। তিনি বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বিদেশনীতি খুবই সহজ। আমরা তাদের কাছ থেকে তেল কিনি, আর তারা আমাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে।” কিরিয়াকু মনে করিয়ে দেন, এক সৌদি প্রহরী তাঁকে বলেছিল, “তুমি ভাড়াটে কর্মচারী। আমরা টাকা দিয়ে তোমায় এনেছি, যাতে তুমি এসে আমাদের রক্ষা করো।” কিরিয়াকু বলেন, “বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য এখন পরিবর্তনের পথে। কারণ সৌদি আরব, চিন ও ভারত নিজেদের কৌশলগত ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে (Pakistan)।” তিনি বলেন,
    “আমরা তেলের সমুদ্রে বসে আছি। আমাদের আর সৌদিদের প্রয়োজন নেই। তারা এখন তাদের সম্ভাবনা বিবেচনা করে চিন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে। আমরা আসলে বিশ্ব পরিচালনার এক নয়া রূপান্তর প্রত্যক্ষ করছি (John Kiriakou)।”

  • H 1B Visa Fee Row: ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক-গবেষকদের দেশে ফেরাতে নয়া প্রকল্প কেন্দ্রের

    H 1B Visa Fee Row: ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক-গবেষকদের দেশে ফেরাতে নয়া প্রকল্প কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী (H 1B Visa Fee Row) কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষিতে নয়া প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। এর লক্ষ্য হল বিদেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক ও গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনা (Modi Govt)। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধু শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীদের ভারতে ফেরানোই নয়, বরং তাদের দেশের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে বসানো হবে। এতে এক দিকে যেমন দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা যাবে, তেমনি ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রকেও আরও শক্তিশালী করা যাবে।

    এইচ-১বি ভিসা (H 1B Visa Fee Row)

    সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চশিক্ষা নীতি এবং এইচ-১বি ভিসার উচ্চ ফি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শাটডাউনের ফলে ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন শিক্ষা বিভাগ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে কর্মীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতকে শক্তিশালী করা। এজন্য নির্বাচিত গবেষকদের ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান- যেমন আইআইটি, বিভিন্ন গবেষণাগার, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোয় পদ দেওয়া হবে।

    অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র

    সূত্রের খবর, এই প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, টেকনোলজি এবং গণিত ক্ষেত্রের ১২ থেকে ১৪টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রে চালু করা হবে। গবেষকদের সেট-আপ অনুদান দেওয়া হতে পারে, যা তাঁদের ভারতে নিজস্ব ল্যাব ও গবেষণা টিম তৈরিতে সাহায্য করবে। জানা গিয়েছে, আইআইটিগুলিও এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন পরিচালক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

    কী বলছেন শিক্ষাবিদরা

    ট্রাম্প প্রশাসনের বড় ধরনের (H 1B Visa Fee Row) পরিবর্তনগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর কঠোর শর্ত আরোপ করেছে।  এর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক বৈষ্ণবের মতে, “আর্থিকভাবে আমরা হয়তো কখনও বৈশ্বিক বেতনের সমান হতে পারব না। কিন্তু এখানে একটি আবেগগত টান রয়েছে। এই বার্তা প্রতিভা আকর্ষণ করবে। সঠিক মানুষ নির্বাচন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। তদারকি করা হবে, তবে সেখানে গুরুত্ব থাকবে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর, লেনদেনভিত্তিক বিনিময়ের ওপর নয় (Modi Govt)।”

    ভারতীয় অধ্যাপকের বার্ষিক আয়

    উদাহরণস্বরূপ, একজন ভারতীয় অধ্যাপকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩৮,০০০ মার্কিন ডলার, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তা ১,৩০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে এবং চিনে প্রায় ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার। জানা গিয়েছে, সরকার এমন একটি প্রকল্প তৈরি করছে যা প্রক্রিয়াগত দেরি, অর্থায়নের অনিশ্চয়তা এবং সীমিত প্রাতিষ্ঠানিক সহায়-সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। একই সঙ্গে বৌদ্ধিক সম্পদ অধিকার, গবেষণার স্বাধীনতা এবং স্থায়ী পদ বা চাকরির কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে, যাতে এই প্রকল্পটি আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠে।

    বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সহযোগিতা

    বর্তমানে ইউরোপ, চিন এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলি বিপুল পরিমাণে অর্থায়নযুক্ত উদ্যোগ এবং নয়া গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশি গবেষকদের নিয়োগ করছে। ভারত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে নিতে যেতে চায় এবং দেশ থেকে বৈজ্ঞানিক প্রতিভার ভিন দেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে চায় (H 1B Visa Fee Row)। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই ভিজিটিং অ্যাডভান্সড জয়েন্ট রিসার্চ ফ্যাকাল্টি প্রোগ্রামের মতো কিছু উদ্যোগ চালু করেছে, যা বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সহযোগিতার সুযোগ দেয়। কিন্তু এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। ২০১৭–১৮ সালে সূচনার পর থেকে এই প্রোগ্রাম ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রায় ১০০টি সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্প শেষ করেছে (Modi Govt)।

    ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সংস্থা ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস সম্প্রতি একটি এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পরে আমেরিকার বাইরে রয়েছেন এমন কারও জন্য এইচ-১বি ভিসা চাইলে ওই ১ লাখ ডলার দিতে হবে। ওই নির্ধারিত সময়ের পরে যে এইচ-১বি ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে কোনও বিদেশি কনস্যুলার বিজ্ঞপ্তি, প্রবেশের পর বিজ্ঞপ্তি এবং প্রাক-উড়ান তথ্য যাচাইয়ের অনুরোধ করা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও নয়া কড়াকড়ি কার্যকর হবে (H 1B Visa Fee Row)। নয়া নিয়ম অনুসারে, বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলিকে ১ লাখ ডলার দিতে হচ্ছে ট্রাম্প সরকারকে। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে প্রতি বছর ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান (Modi Govt)। এই মুহূর্তে ভারতীয়রাই এই ভিসার সব চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। শুধু গত বছরেই ভারত থেকে ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে ৭১ শতাংশ (H 1B Visa Fee Row)।

  • Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Phone Call) জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ প্রচেষ্টার আশাও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই কথোপকথন হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন আমেরিকা ক্রমশ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য কুখ্যাত এই পাকিস্তান।

    মোদির বার্তা (Diwali Phone Call)

    বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার ফোন কল এবং উষ্ণ দীপাবলি শুভেচ্ছার জন্য।” তিনি বলেন, “এই আলোর উৎসবে আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র যেন আশার আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করে এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে। এদিন ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।

    ‘একজন মহান ব্যক্তি ও খুব ভালো বন্ধু’

    প্রসঙ্গত, ওভাল অফিসে (Diwali Phone Call) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প মোদিকে ‘একজন মহান ব্যক্তি’ এবং ‘খুব ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের জনগণকে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ভারতের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে খুব আগ্রহী।”  তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলুন পাকিস্তানের সঙ্গে যেন কোনও যুদ্ধ না করি। সেখানে বাণিজ্য বিষয়টিও আলোচনায় এসেছিল। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পেরেছিলাম। আর এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নেই। এটা খুবই ভালো একটা বিষয় (PM Modi)। তিনি একজন মহান মানুষ এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন (Diwali Phone Call)।”

  • Dhanteras 2025: ভারতীয় অর্থনীতি নাকি ‘ডেড ইকোনমি’! ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা ঘষে দিল ধনতেরাসের বাজার

    Dhanteras 2025: ভারতীয় অর্থনীতি নাকি ‘ডেড ইকোনমি’! ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা ঘষে দিল ধনতেরাসের বাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘ডেড ইকোনমি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথায় সায় (Indian Economy) দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও। তবে দিন দুয়েক আগে ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) কেনাকাটার বাজার শুনলে চোখ কপালে উঠবে ট্রাম্প এবং গান্ধীরও। যদিও ধনতেরাসের বিকিকিনির হিসেব শুনে আর রা কাড়েননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। বাণিজ্য সংগঠনের অনুমান, চলতি বছর ধনতেরাসে বিপুল কেনাকাটা করেছেন দেশবাসী। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের প্রাথমিক অনুমান, এই ধনতেরাসে সারা দেশে মানুষ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছেন। এর মধ্যে কেবল সোনা ও রুপো বিক্রি হয়েছে ৬০ কোটি টাকারও বেশি। বাকি টাকার অন্যান্য সামগ্রী। প্রসঙ্গত, ধনতেরাসের দিন কোনও কিছু কিনলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় বলেই বিশ্বাস ভারতীয়দের।

    ব্যাপক বিক্রি (Dhanteras 2025)

    ধনতেরাসে ভারতবাসী সাধারণত কেনেন সোনা, রুপোর পাশাপাশি বাসনকোসন, ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি, মাটির প্রদীপ, মোমবাতি এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী। অনেকে আবার এই দিনেই কেনেন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, “ধনতেরাসে দেশজুড়ে সোনা, রুপো এবং অন্যান্য শুভ জিনিসপত্রের মোট ব্যবসা ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে অনুমান।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি (Dhanteras 2025) বলেন, “গত দু’দিনে সোনার বাজারে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, কেবল সোনা ও রুপোর লেনদেন হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি (Indian Economy)।” এবার দিল্লিতে সোনা বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এটি একটি রেকর্ড। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি হয়েছে ২৫ গুণ বেশি।

    সোনার দাম

    জানা গিয়েছে, দেশে সোনার দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। গত বছর ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকারও বেশি। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ৬০-এর কাছাকাছি। ২০২৪ সালে রুপোর দাম ছিল কিলো প্রতি ৯৮ হাজার টাকা। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বৃদ্ধির হার ৫৫ শতাংশ। তা সত্ত্বেও ধনতেরাসে এই দুই মূল্যবান ধাতু কিনতে পিছপা হননি ভারতীয় ক্রেতারা। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফে জানানো হয়েছে, সোনা ও রুপো ছাড়াও ব্যাপক বিক্রিবাটা হয়েছে অন্যান্য সামগ্রীও। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার রান্নাঘরের জিনিসপত্র, ১০ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রনিক্স গুডস, সাজসজ্জার জিনিসপত্র, প্রদীপ এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার (Dhanteras 2025)। শুকনো ফল, মিষ্টি, পোশাক, যানবাহন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে (Indian Economy) ১২ হাজার কোটি টাকার।

    রুপোর বিক্রিবাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে

    ওই বাণিজ্য সংগঠনের দাবি, এবার ব্যাপক কেনাকাটার নেপথ্যে রয়েছে মূলত জিএসটি সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রচার। এর ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ছোট ব্যবসায়ী এবং পণ্য উৎপাদনকারীরা। এই দু’দিনে মানুষ যেমন দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কিনেছেন, তেমনি ব্যবসা হয়েছে অনলাইনেও। ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুরেন্দ্র মেহতা জানান, মুম্বইয়ের জাভেরি বাজারে সোনা ও রুপোর কয়েন কেনার জন্য ভিড় উপচে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, সোনার চড়া দামের কারণে এবার রুপোর বিক্রিবাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সোনা যাঁদের নাগালের বাইরে, তাঁরা ঝাঁপিয়েছেন রুপো কিনতে। এর জেরে রুপোর জিনিসের বিক্রি বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ঢের বেশি।

    গয়না ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    কল্যাণ জুয়েলার্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রমেশ কল্যাণরামন বলেন, “অনেক জায়গায় সোনা-রুপোর মুদ্রার সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেড়েছে (Indian Economy)। কারণ খুচরো বিক্রেতারা উচ্চ মূল্যের প্রতিকূল প্রভাবের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না (Dhanteras 2025)।” ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধনতেরাসের সময় সোনা কেনা শুভ বলে বিবেচিত হয়। গয়না ব্যবসায়ীদের মতে, এই উৎসবের মরশুমে ভারতীয় সোনার বাজারে যে অর্থনৈতিক সঞ্চালন ঘটেছে, তা শুধু খুচরো ব্যবসাকেই চাঙা করেনি, বরং ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও এক ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

    ট্রাম্প-রাহুলের মুখে ঝামা!

    প্রসঙ্গত, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মাস কয়েক আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তারা তাদের মৃত অর্থনীতিকে এক সঙ্গে ধ্বংস করতে পারে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেছিলেন, “উনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ছাড়া এটা সবাই জানেন। সবাই জানেন যে ভারতীয় অর্থনীতি একটি মৃত অর্থনীতি। আমি খুশি যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প একটি সত্য কথা বলেছেন (Indian Economy)।”

    ধনতেরাসের বাজার কি তবে এঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিল (Dhanteras 2025)?

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “নো কিংস” আন্দোলন, লোকে লোকারণ্য

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “নো কিংস” আন্দোলন, লোকে লোকারণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনসভায় অচলাবস্থার কারণে সরকারি কার্যকলাপ বন্ধ রয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে। এহেন আবহে শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে প্রচুর বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে সমবেত হন। বিক্ষোভকারীরা এই প্রতিবাদকে “নো কিংস” (No Kings) আন্দোলন আখ্যা দেন। রিপাবলিকানরা একে ব্যঙ্গ করে “হেট আমেরিকা” (Hate America) সমাবেশ বলে অভিহিত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ২,৫০০-রও বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ওয়াশিংটন (US) ডিসি এবং নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহর, তেমনি রয়েছে মধ্য-পশ্চিমের ছোট ছোট শহরও।

    “নো কিং!” (Donald Trump)

    সান ফ্রান্সিসকোয় শয়ে শয়ে মানুষ ওসান বিচে তাঁদের শরীর দিয়ে “নো কিং!” (কোনও রাজা নয়!) এবং অন্যান্য স্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানান। স্ট্যাচু অব লিবার্টির পোশাকে সেজেছিলেন হেইলি উইঙ্গার্ড। তিনি বলেন, “আমি আগে কখনও কোনও বিক্ষোভে অংশ নিইনি।” সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পকে একজন একনায়ক হিসেবে দেখতে শুরু করেন। “এটাই গণতন্ত্রের চেহারা!” – এমনতর স্লোগানে হাজারো মানুষ ওয়াশিংটনে মার্কিন ক্যাপিটল ভবনের কাছে প্রতিবাদ জানান। প্রসঙ্গত, আইনসভায় অচলাবস্থার কারণে ফেডারেল সরকার টানা তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে।

    ট্রাম্পের সমালোচনা

    বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের তথাকথিত কঠোর কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক বিরোধী ও অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ওপর আক্রমণও। ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি ছিল তৃতীয় বৃহৎ গণ-সমাবেশ, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন শাটডাউন থাকায় শুধু ফেডারেল কর্মসূচি ও সেবা বন্ধই হয়ে যায়নি, ক্ষমতার মৌলিক ভারসাম্যেরও পরীক্ষা হয়েছে। একটি আক্রমণাত্মক এক্সিকিউটিভ শাখা যেভাবে কংগ্রেস ও আদালতের (US) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা সতর্ক করেছেন। তাঁদের মতে, এটি কর্তৃত্ববাদিতার বিপজ্জনক স্খলন (Donald Trump)।

    প্রতিবাদের কারণ

    বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু নির্দিষ্ট নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলিতে ফেডারেল বাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো, যা ফেডারেল ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া ও সমাজের সামরিকীকরণ হিসেবে দেখা হয়েছে; ব্যাপক অভিবাসন অভিযান ও নীতিগুলি যা বহিষ্কার ও অভিযোগ করা অবিচারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার বন্ধের ফলে ফেডারেল কর্মী ও জরুরি সেবার ওপরও যে প্রভাব পড়েছে, তাও প্রতিবাদের অন্যতম কারণ (Donald Trump)।

    ট্রাম্প বলেন, “ওরা আমায় রাজা বলে উল্লেখ করছে। আমি কোনও রাজা নই।” ট্রাম্পের প্রচার টিমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেও বিক্ষোভকারীদের ব্যঙ্গ করে একটি পোস্ট করা হয়, যেখানে ট্রাম্পকে এক রাজামহারাজার মতো মুকুট পরে ব্যালকনি থেকে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে (US)।

  • MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারী দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্য সামনে রেখেই পরিচালিত হয়।” এক বিবৃতি জারি করে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল কেনার (Russian Oil) বাজারকে আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্রময় করতে চায়। জ্বালানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে।” যদিও সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।

    ট্রাম্পের দাবি (MEA)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মোদি) আমার বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমরা খুশি ছিলাম না। কারণ এর ফলে রাশিয়া এই হাস্যকর যুদ্ধ (ইউক্রেনের সঙ্গে) চালিয়ে যেতে পেরেছে,  যেখানে তারা পনেরো লাখ মানুষ হারিয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত তেল কিনছে (রাশিয়া থেকে)। আর (মোদি) আজ আমায় আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকে দিয়েও একই কাজ করাতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত হয়ত এখনই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন বার্তার প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

    সস্তায় অপরিশোধিত তেল

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। রাশিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (MEA)। যার ফলে দাম কমতে থাকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের। প্রত্যাশিতভাবেই ০.২ শতাংশ থেকে ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা চালিয়ে যেতে থাকে ভারত। যার জেরে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও দমানো (Russian Oil) যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের আগের অবস্থানেও যে কোনও বদল হয়নি, এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট (MEA)।

  • Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    Md Yunus: ‘হিন্দু’ শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হিন্দু’ (Hindu) শব্দের ওপর কি তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)? এই জল্পনাই ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। তার কারণ হল, ইউনূসের করা একটি মন্তব্য। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁরা যেন নিজেদের হিন্দু হিসেবে পরিচয়  না দেন। তাঁরা যেন প্রথমে নিজেদের নাগরিক হিসেবে দেখেন।

    হিন্দু বলবেন না! (Md Yunus)

    কিছু দিন আগে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস জানান, এই দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে এবং সবার জন্য সমান সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ইউনূসের ভাষায়, “আমার বার্তা হল, যখন আমি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করি, আমি বলি, ফিরে গিয়ে তারা যেন না বলে, আমি হিন্দু, তাই আমায় রক্ষা করুন। বরং বলুন, আমি এই দেশের নাগরিক। আমাকে যে সুরক্ষা দেওয়ার কথা রাষ্ট্রের, আমি তার সম্পূর্ণ অধিকারী। তাহলে আপনাদের সুরক্ষার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অতিরঞ্জিত!

    বাংলাদেশে যে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চালানো হচ্ছে, ওই সাক্ষাৎকারে তা-ও ফুৎকারে উড়িয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ঘটনাকে লঘু করতে গিয়ে তিনি বলেন, “অধিকাংশ ঘটনাই জমি নিয়ে স্থানীয় বিবাদ বা প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা। একেই সাম্প্রদায়িক হিসেবে তুলে ধরা হয়।” ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কোনও ঘটনাই ঘটেনি বা বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে? উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “অনেক সময় পারিবারিক ঝামেলা, জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও সংঘাত দেখা যায়।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ধরুন আপনি আমার প্রতিবেশী। আপনি হিন্দু প্রতিবেশী, আমি মুসলমান প্রতিবেশী। হয়তো অন্য প্রতিবেশীদের মতোই আমাদের বিবাদ রয়েছে জমির সীমানা নিয়ে। তাহলে কী আপনি বলবেন, এটা হিন্দু-মুসলিম সমস্যা?”

    ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায়

    শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিন্দুদের ওপর (Md Yunus) এবং মন্দিরে হামলার যে একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট রয়েছে, তাও খারিজ করে (Hindu) দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি বলব সরকার অত্যন্ত সতর্ক। কারণ ভারত এই বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।” এর পরেই ভারতের ঘাড়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায় চাপিয়ে দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “ভুয়ো খবরই এখন ভারতের বিশেষত্ব।” ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বর্তমানে ভারতের একটি বিশেষত্ব হল, ভুয়ো খবর ছড়ানো – ভুয়ো খবরের বন্যা।” হাসান যখন দলিল-দস্তাবেজে থাকা গণহিংসার ঘটনা এবং ধর্মীয় পতাকা তোলার জন্য এক হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন, তখন ইউনূস ফের বলেন, “এগুলি ভ্রান্ত তথ্য প্রচারের অংশ।” হাসান ইউনূসের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “গত নভেম্বরে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু আপনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন (Md Yunus) এবং তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আক্রান্ত।” এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরেও প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সব কিছুই ভুয়ো খবর। আপনি ভুয়ো খবরের দ্বারা পরিচালিত হতে পারেন না।”

    কাঠগড়ায় ভারত

    তার পরেই তিনি জানান, ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হল (Hindu) ভুয়ো খবর ছড়ানো। ইউনূস অস্বীকার করলেও, গত বছরের নভেম্বর মাসে ৩০ হাজার হিন্দু নিরাপত্তা ও বিচারের দাবিতে নামেন ঢাকার রাজপথে। সেই সময় গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তিও দাবি করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পর যে বাংলাদেশে ব্যাপক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রমাণ মেলে সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মন্তব্যেই। তিনি বলেছিলেন, “ইউনূস সরকারের অধীনে হিন্দুদের প্রতি আচরণ নৃশংস।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্য নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইউনূস। তিনি জানান, ট্রাম্প আদৌ এমন কিছু বলেছেন কিনা, বা বাংলাদেশে কী ঘটছে সে বিষয়ে তাঁর আদৌ কোনও ধারণা আছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন (Md Yunus)।

    আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারের প্রধান করা হয় ইউনূসকে। তার পর থেকে একের পর এক ‘বিতর্কিত’ কাজ করে চলেছেন ইউনূস। কখনও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে (Hindu), কখনও আবার হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে জেলে পুরে কখনও বা অপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে বারবার দেশের পাশাপাশি বিদেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামেও এসেছেন ইউনূস। এবার তিনি আরও একবার ‘হেডলাইন’ হলেন। এবং সেটা হলেন, হিন্দুদের হিন্দু পরিচয় না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে (Md Yunus)।

  • Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বর্তমানে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া সিদ্ধান্তের জেরে ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, চিনের বিরুদ্ধে হঠাৎই বা কেন এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কেন চিনা পণ্যের ওপর চাপালেন এত চড়া শুল্ক?

    ট্রাম্পের যুক্তি (Donald Trump)

    এই সব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে। তিনি লিখেছেন, “গত ছ’মাস চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বাণিজ্যে ওদের এমন একটা পদক্ষেপ সেই কারণেই আরও বিস্ময়কর লাগছে। আমার অবশ্য বার বার মনে হয়েছে, ওরা মিথ্যা বলছে। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মনে তো হচ্ছে, অনেক দিন ধরে ওরা এই পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু চিনকে সারা বিশ্বের বাজারে এভাবে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।” পাল্টা হুমকির সুরে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওরা একটা একচেটিয়া অবস্থান নিতে চাইছে। কিন্তু আমেরিকার অবস্থানও একচেটিয়া এবং চিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত আমি তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তারা ক্রমশ বৈরী হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যে তারা দুর্লভ খনিজ ও উৎপাদনের প্রায় প্রতিটি উপাদানের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়, এবং প্রায় যা কিছু তাদের মাথায় আসে।” ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘অশুভ ও বৈরী পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারকে বাধাগ্রস্ত করে পুরো বিশ্বকে ‘বন্দি’ করে রাখার জন্য নীল নকশা ছকা হয়েছে।

    কী লিখলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প লিখেছেন, “কেউ কখনও এ ধরনের কিছু দেখেনি। মূলত, এটি বাজারকে অবরুদ্ধ করবে এবং প্রায় সব দেশের জন্য জীবনকে কঠিন করে তুলবে, বিশেষ করে চিনের জন্য।” তিনি যোগ করেন, “আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও সাড়া পেয়েছি যারা এই আকস্মিক বিরাট বাণিজ্যিক বৈরিতা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” গত অগাস্টেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, তিনি ৯০ দিনের আগে বেজিংয়ের (China) ওপরে শুল্ক চাপাবেন না। জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে নয়া শুল্কহার লাগু করার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এই পর্বে আগে যে হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছিল, তা-ই বলবৎ থাকবে। কিন্তু সেই সময়কালের আগেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনা পণ্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

    চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের নয়া রফতানি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গত, চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক ৯ অক্টোবর নতুনভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে। এতে আরও পাঁচটি নতুন বিরল মাটি (Rare Earth) উপাদানকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত চালানের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধন (refining) প্রযুক্তিকেও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে এবং চিনা কাঁচামাল ব্যবহারকারী বিদেশি উৎপাদকদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি, বিশেষত আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলি, নিয়মিতভাবে এসব উপকরণ পাওয়া থেকে কার্যত বঞ্চিত হবে (Donald Trump)।

    ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’

    এটি আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঘোষিত ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’-এর আওতায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেই সময় ১৭টি বিরল মাটি উপাদানের মধ্যে ৭টি এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রফতানি সীমিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিশোধ, যা বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে এবং অনেক মার্কিন প্রস্তুতকারককে উৎপাদন লাইন বন্ধ করতে বাধ্য করে (China)। চিনের শি জিনপিং সরকার এই রফতানি সীমাবদ্ধতাকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আগে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বেজিং বিরল মাটি উপাদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ আরও মজবুত করেছে। এই ধাতুগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে অপরিহার্য (Donald Trump)।

    ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বাতিল

    এদিকে, চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (China)। কারণ হিসেবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলার প্রয়োজনও নেই। দু’সপ্তাহের মধ্যে জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আর তার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু আমার কাছে নয়, সব রাষ্ট্রনেতার কাছেই এটা খুবই বিস্ময়কর (Donald Trump)।”

LinkedIn
Share