Tag: USA

USA

  • Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    Tahawwur Rana: ভারতে আসতেই হচ্ছে! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানার আর্জি খারিজ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসতেই হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। রানার ভারতে প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাহাউর জানিয়েছিলেন, সে পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মুসলিম হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। কিন্তু তাহাউর রানার সেই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেননি বিচারপতি। তাঁর প্রত্যর্পণের উপর কোনও স্থগিতাদেশ চাপায়নি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল।

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে রানার আর্জি

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রত্যর্পণ স্থগিতের জরুরি আবেদন’ দাখিল করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর প্রত্যর্পণের অর্থ হল আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘের নির্যাতন-বিরোধী কনভেনশন লঙ্ঘন করা। কারণ ভারতে তাঁকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাঁর আবেদনে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানি মুসলিম হিসেবে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ভারতে নির্যাতনের ঝুঁকি আরও বেশি।’ এছাড়া, তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়, তাহাউর একাধিক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তিনি একাধিক হার্ট অ্যাটাক, পার্কিনসনস ডিজিজ, ব্লাডার ক্যান্সারের আশঙ্কা, স্টেজ ৩ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, অ্যাজমা এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জেলে বন্দি হওয়া তার জন্য ‘প্রকৃত অর্থে মৃত্যুদণ্ড’ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

    আবেদন খারিজ

    মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রানার এই আবেদন গ্রহণ করেনি এবং ভারতীয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রানা পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘যদি এই প্রত্যর্পণ স্থগিত করা না হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং আমি শিগগিরই মারা যাব।’ এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যায় সে। স্যান ফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই তাহাউর রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ বার আমল দিল না তার জরুরি ভিত্তিতে করা আবেদনেও। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন তিনি। শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া

    উল্লেখ্য, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আবহে ভারতের অনুরোধে আমেরিকার প্রশাসন রানাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১১ সালে শিকাগোর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল রানা। তার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি। এই আবহে ২০২৩ সালের মে মাসে একটি মার্কিন আদালত পাক বংশোদ্ভূত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রানা আবেদন করেছিল। তারপর রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। তবে ২১ জানুয়ারি তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত।

    ভারতের দাবিতে সিলমোহর

    প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সওয়াল করে আসছিল নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার এই নাগরিকই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ঘটনায় অন্যতম চক্রী। তাই ভারতের বিচারব্যবস্থার অধীনেই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। গত ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলগার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে শীর্ষ আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে রানার আইনজীবী ২৩ ডিসেম্বর সরকারের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, যাতে এই মামলায় রানার রিট পিটিশন গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালত রানার আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় ঘোষণা করে দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরকালে রানার প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘খুব শিগগিরই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ এর পরেই শুরু হয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। কিন্তু ফের মার্কিন শীর্ষ আদালতে শেষ চেষ্টা করেন রানা। তবে তাঁর সেই চেষ্টায়ও জল ঢালল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। যাঁদের মধ্যে ছ’জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। হামলা চালিয়েছিল ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি।

  • Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি

    দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে

    হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।

  • Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পেতে এত দিন চালু ছিল ‘গ্রিন কার্ড’। এ বার চালু হতে চলেছে ‘গোল্ড কার্ড’। ‘গ্রিন কার্ড’-এর নতুন সংস্করণ এটি। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। এবার আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা। ওই পরিমাণ টাকা দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ।

    কী বলছেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তাঁরা সফল হবেন।’’ তাঁর আশা ১০ লক্ষ কার্ড বিক্রি হবেই। আর সেই বিপুল অর্থ দিয়ে আমেরিকার যত ঋণ রয়েছে সব শোধ করা যাবে। কিন্তু যদি স্রেফ অর্থ দিয়েই নাগরিকত্ব ‘কেনা’ যায়, তাহলে তো রুশরাও আমেরিকায় এসে নাগরিক হয়ে যেতে পারে? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হ্যাঁ, আসতেই পারে। আমি তো কয়েকজন রুশ ধনকুবেরকে চিনি, যাঁরা খুবই সজ্জন ব্যক্তি।’’

    কবে থেকে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু

    ট্রাম্প জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য আমেরিকান কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কী ভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিদ্যমান ‘ইবি-৫ প্রোগাম’কে প্রতিস্থাপন করতে চলছে এই ‘গোল্ড কার্ড’ সিস্টেম। নতুন এই সিস্টেম চালু করা হলে ‘ইবি-৫ প্রোগাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

  • Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের অছিলায় ভারতের বুকে ছুরি মারতে চেয়েছিল আমেরিকা? ভারতে (India) ২১ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করে কি ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসন? এমনই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা। পদ্ম-পার্টির নেতাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, প্রকারান্তরে তা স্বীকার করে নিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।

    ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকার খরচ (Donald Trump)

    সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বাড়াতে ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকা খরচ করেছে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (সংক্ষেপে ডোগে) এমনতর দাবি করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এই আবহে আমেরিকার করদাতাদের এই টাকা খরচ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত ট্রাম্পের এক ভাষণের ভিডিওতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় ওরা (বাইডেন প্রশাসন— যারা অর্থায়ন করেছিল) অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের এই বিষয়টি ভারত সরকারকে জানাতে হবে। এটা বিশাল বড় ব্রেকথ্রু। রাশিয়া আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছিল বিজ্ঞাপনে। সেটাই তো কত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। আর এটা তো ২১ মিলিয়ন ডলার!”

    অমিত মালব্যর পোস্ট

    প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছিলেন, “ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ? এটা নিশ্চিতভাবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। এর থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে শাসক দল তো নয়।” পদ্ম-সাংসদ মহেশ জেঠমালানির দাবি (India), প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে এ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন ইউএসএইডের প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান বীণা রেড্ডি। এ নিয়ে নাকি যাবতীয় নির্দেশও দিতেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াপার্টের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বিজেপি আগেই অভিযোগ করেছিল, ওপেন সোস্যাইটি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ওসিসিআরপির মতো প্রক্সির মাধ্যমে (Donald Trump) ভারত নিয়ে ভুয়ো প্রচার করছিলেন জর্জ সরোস। এনিয়ে বাইডেন জমানায় বিজেপি একটি দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নিশানা করেছিল গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন ট্রাম্প

    বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্যোগে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত এফআইআই প্রায়োরিটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “কী প্রয়োজন ছিল ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার? আমার সন্দেহ বাইডেন প্রশাসন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল। তারা হয়তো চেয়েছিল অন্য কেউ ভোটে জিতুক। এই বিষয়টি আমরা ভারত সরকারকেও জানাব।” দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসে সরকারের অপব্যয় কমাতে উদ্যোগী হন ট্রাম্প। তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি নামে একটি নয়া দফতর খুলেছেন। এই দফতরেরই মাথায় বসানো হয়েছে টেসলা কর্তা ইলন মাস্ককে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। কিন্তু এবার থেকে সেই টাকা আর দেওয়া হবে না।

    ‘ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা’

    ভারতের পাশাপাশি অনুদান বন্ধ করা হবে অন্যান্য দেশেরও। এর সমর্থনেই নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের করদাতাদের ২১ মিলিয়ন ডলার কেন আমরা ভারতকে দেব?” সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী (India), বিশ্বের নানা প্রান্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশকেও দেওয়া হত ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সেই অর্থও বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। কেবল ভারত বা বাংলাদেশই নয়, মোজাম্বিক, মালি, নেপাল, সার্বিয়া, কম্বোডিয়ার মতো নানা দেশকে নানা খাতে দেওয়া অনুদানের অর্থও বন্ধ করার কথাও জানিয়েছেন মাস্ক।

    ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও চড়া শুল্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন করদাতাদের টাকা ভারতের ভোট করানোর জন্য বরাদ্দ হওয়া উচিত নয়। কারণ, ভারতের প্রচুর টাকা আছে। আর বিশ্বের অন্যতম চড়া শুল্কের দেশ ভারত।” ট্রাম্প আরও বলেন, “ভারতের জন্য আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও আমার শ্রদ্ধা আছে। দুদিন আগেই তিনি এদেশে সফর করে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও, ভারতে ভোট করাতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান অযৌক্তিক বলেই মনে হয় (India)! তাই আর নয় (Donald Trump)।”

  • CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ গর্ভনমেন্ট এফিসিয়েন্সির আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে একটি তালিকা দেওয়া হয়। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার নাম ছিল। ওই সংস্থাগুলির অর্থনৈতিক বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় একটি বিশেষ সংস্থার নাম রয়েছে। তা হল— কনসর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেংথেনিং (Consortium for Elections and Political Process Strengthening বা সংক্ষেপে সিইপিপিএস (CEPPS)। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাকে বাইডেন প্রশাসন বরাদ্দ করেছিল ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার। এই বিপুল তহবিলের মধ্যে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই সংস্থা ব্যয় করেছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮২ কোটি টাকা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ ওই মার্কিন সংস্থা কার নির্দেশে করেছিল, এই নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। প্রথমেই আমরা জেনে নেব সিইপিপিএস আসলে কী!

    ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা (CEPPS)

    জানা যায়, এই সংস্থা (CEPPS) তৈরি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। নিজেদের উদ্দেশ্য হিসেবে এই সংগঠন দেখায় যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করা, গণতন্ত্রের প্রচার করা, সুশাসন ব্যবস্থার প্রচার করাই তাদের কাজ। যখন এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এটি একটি এনজিও। এই ধরনের যত বেসরকারি সংস্থা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলির কেন্দ্রীয় সংস্থা হল সিইপিপিএস। এই সংস্থা জানিয়েছিল তাদের তিনটি শাখা রয়েছে। একটি হল ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম, দ্বিতীয়টি হল ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয়টি হল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট।

    কোন উদ্দেশে তৈরি করা হয়?

    প্রসঙ্গত, এই সংস্থার তরফ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং যারা নির্বাচন পরিচালনা করে সেই ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। এর পাশাপাশি, যে কোনও দেশের সংসদে, নাগরিক সমাজের সঙ্গে গণতন্ত্র ওপর কাজ করে এই সংস্থা। তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সমাজ কর্মীদের সঙ্গে তারা বৈঠক করে। তাদেরকে সাহায্য করে। তাদের জন্য কর্মসূচির স্থির করে এবং গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলি তারা করে। এই সংস্থা আরও দাবি করেছে যে, তাদের বর্তমানে শাখা রয়েছে পৃথিবীব্যাপী ১৪০টিরও বেশি দেশে। এই দেশগুলিতে তারা সক্রিয়। এই দেশগুলিতে তারা কাজ করে চলেছে নিরন্তর ভাবে। সংস্থার (CEPPS) আরও দাবি করেছে যে, প্রত্যেকটি দেশে তারা গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, সুশাসন- এই সমস্ত বিষয়ে কর্মসূচি নেয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে যে সিইপিপিএস নামের এই সংগঠনকে ফান্ডিং করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত ইউএসএআইডি বা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট— ক্ষমতায় এসেই যাদের ফান্ডিং আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বন্ধ ওয়েবসাইট

    এই সিইপিপিএস সংস্থা ইউএসএআইডির পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকেও তাদের তহবিল সংগ্রহ করে। বছরের পর বছর ধরে তারা এমন কাজ করে যাচ্ছে। সিইপিপিএস দাবি করে যে, তারা যে কোনও দেশের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ করে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরেশিয়া, আমেরিকা এই সমস্ত জায়গাতেই তারা কাজ করে বলে জানিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে যে, প্রতিষ্ঠা হওয়া ইস্তক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান পেয়েছে সিইপিপিএস। ঘটনা হল সিইপিপিএস-এর আর কোনও আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বর্তমানে কার্যকর নেই। এই সংস্থা ইউএসএআইডি থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের তহবিল নিয়েছে এবং ১৯৯৫ সাল থেকেই তারা সক্রিয় কিন্তু ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ সালের পর থেকে তারা তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

    সংস্থাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক

    ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইউএসএআইডি যে নথি প্রকাশ করছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য তারা দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে আসছে যে, ২০২১ সালে ইউএসএআইডি তাদের মোট তহবিলের ৬৬ শতাংশই প্রদান করছে সিইপিপিএস -কে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সিইপিপিএস যে দাবি করে, তা কিন্তু আসল সত্য নয়। সিইপিপিএস কোনও সরকারি সংস্থা নয়। কিন্তু একে অর্থনৈতিকভাবে তহবিল প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না সিইপিপিএস। এটি সরাসরি সেদেশের রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজকে ফান্ডিং করে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এখানেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। অর্থাৎ কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে হরণ করা, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বদল করার কাজও করে তারা।

    ২০১৯ সালের প্রতিবেদন

    ২০১৯ সালে ইউএসএআইডির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা করার জন্য তারা সিইপিপিএস-এর মত একটি সংস্থার উপরে নির্ভর করে। সিইপিপিএস-এর উপর এই নির্ভরশীলতা ইউএসএআইডিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা কমতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠতে থাকে।

    দেশ বিরোধী শক্তির ফান্ডিং

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে এই সংস্থা কাজ চালিয়েছে তাদেরই শাখা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসকে নিয়ে। ২০১২ সালে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশির সঙ্গে এই ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এক চুক্তি করে। প্রেস বিবৃতি জারি করে তৎকালীন ভারতের নির্বাচন কমিশন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্ট্রোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর  সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে দেশের নির্বাচন কমিশন। যৌথ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। একইসঙ্গে গবেষণা চলবে কিভাবে গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করা যায়। আসল উদ্বেগের বিষয় হল আইএফইএস ইতিমধ্যে সেই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে যেগুলি ভারত বিরোধী সংগঠন বলেই পরিচিত। এরমধ্যে রয়েছে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। এই ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এর মালিক জর্জ সরোস ভারত বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত। এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এইভাবে দেশবিরোধী শক্তির ফান্ডিং নিয়ে আসলে কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করেছিল ওই মার্কিন সংস্থা।

    ইউএসএআইডি-র ওপরে রাশ (USAID)

    ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

  • USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই আমেরিকা (USA) থেকে অমৃতসরে পৌঁছায় সে দেশ থেকে বিতাড়িতদের বিমান। এই বিমানেই ছিলেন একজন। তাঁর নাম দলজিৎ সিং। রবিবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি জানান যে আমেরিকা (USA) থেকে নিয়ে আসার সময় তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নেমে সাংবাদিকদের এই কথাগুলো বলেন দলজিৎ সিং।

    হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং

    জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের (Punjab) হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং। প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ১১৬ জন ভারতীয়কে নিয়ে একটি বিমান নামে অমৃতসরে এবং সেই বিমানেই ছিলেন দলজিৎ সিং। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তাঁকে বেআইনি পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। অন্যদিকে দলজিৎ সিং-এর স্ত্রী কমলপ্রীত কৌর অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামীকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট প্রতারিত করেছিল। ওই এজেন্ট তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে বেআইনিভাবেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর (দলজিৎ সিং) কোনও দোষ নেই বলেই জানিয়েছেন কমলপ্রীত। জানা গিয়েছে, গ্রামের একজন বাসিন্দা দলজিৎকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ট্রাভেল এজেন্ট এর সাহায্য নিয়ে আমেরিকা (USA) গেলে সুবিধা হবে। গ্রামের ওই ব্যক্তি ট্রাভেল এজেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল দলজিতকে। ট্রাভেল এজেন্ট দলজিৎ সিংকে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু জানা যায় তাঁকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র না নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই দলজিৎ তাঁর যাত্রার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেন।

    কোন কোন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন বিমানে

    শনিবার রাত ১১:৩৫ নাগাদ অবতরণ করে সি১৭ বিমান। সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে ফেরে। এরপরে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ পাঞ্জাব (Punjab) পুলিশের গাড়িতে করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। হরিয়ানার যে সমস্ত বাসিন্দা আমেরিকাতে ছিলেন, অবৈধ অভিবাসীরূপে, তাঁদেরও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাতে যে বিমান নামে, সেখানে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং একজন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। আজ রবিবার ১৫৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে তৃতীয় বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাটর্নি করণ জোশী (Attorney Karan joshi) হলেন ভারতের নতুন দিল্লির (New Delhi) একজন সফল অভিবাসী। জীবনের চরম সাফল্যের পথ কতটা মসৃণ ছিল জানেন? তাঁর সাফল্য এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অনুপ্রেরণা। তাঁর অধ্যাবসায়, উচ্চাকাঙ্খা এবং কঠোর পরিশ্রম দারুণ ভাবে প্রভাবিত করছে ভারতীয়দের। নিজের দেশ থেকে মার্কিন মুলুকে গিয়ে সেখানকার নানা কঠিন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংঘর্ষ করে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই বর্তমানে সফলতার আর এক নাম অ্যাটর্নি করণ জোশী। বর্তমানে তিনি অরেঞ্জ ল-ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এনআরআই ভারতীয় নাগরিক এবং মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থার মধ্যে ব্যবধান দূর করার কাজকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এই যুবক এখন ভারতীয় সমাজের কাছে আইডিয়াল। দেশের গণ্ডি পার করে কীভাবে বিদেশের মাটিতে গিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হয়, সেই পথ দেখালেন তিনি। তিনি এখন সংবাদ মাধ্যমে বহুল চর্চিত এক ব্যক্তিত্ব।

    প্রথম জীবন (Attorney Karan joshi)

    করণ জোশী শৈশবে পড়াশোনা করেছেন নতুন দিল্লির (New Delhi) বারাখাম্বা রোডের মর্ডান স্কুলে। তাঁর পরিবার ছিল উচ্চ-মধ্যবিত্ত। তাঁর আশপাশের লোকজনের গতানুগতিক কেরিয়ার গঠনের বাইরে খুব একটা নজর ছিল না। তাই স্কুল জীবন শেষ করে অভিবাসী জীবনের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। একদিকে ভিন্ন দেশে ভাষার প্রতিবন্ধকতা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং সম্পূর্ণ একটি নতুন দেশে সবদিক থেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য ছিল। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইমে চাকরিও করতে শুরু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেন। একদিকে নতুন সংস্কৃতিকে গ্রহণ এবং নিজের পুরাতন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা তাও খুব কঠিন কাজ ছিল। তবুও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি।

    আইনি জগতে বিশেষ স্বীকৃতি

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) তাঁর আইনি শিক্ষা শেষ করে চাকিরি জীবনে প্রবেশ করেন। প্রথমে ছোট একটি আইনি সহযোগিতার সংস্থায় কাজ করতেন। এরপর সমস্যা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে কারিগরি এবং স্টার্টআপ জগতে কাজের দক্ষতা অর্জন করেন। ধীরে ধীরে ওই দেশের একাধিক শীর্ষ কোম্পানিতে নিজের দক্ষতায় আইন বিশেষজ্ঞরূপে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে করণ হিউস্টন, টেক্সাস, অরেঞ্জ ল-এর বাইরে ক্রমবর্ধমান আইন সংস্থার মালিক এবং পরিচালনার কাজও করেছেন। আইন জাগতে একজন সফল ব্যক্তি হয়েও সব সময় নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা শোনাতেন নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের। উৎসাহও দিতেন। নানা রকমের ইভেন্ট এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করে কীভাবে ভালো কেরিয়ার গড়া যায় সেই দিকে পথনির্দেশিকা দিয়ে থাকেন তিনি। সব সময় ঝুঁকি নেওয়া এবং আত্মবিশ্বাসের কথা বলে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজও করেন তিনি।

    বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) মনে প্রাণে বিশ্বাস রাখতেন যে ভারতীয়রা (New Delhi) পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে নিজের প্রতিভা, শ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করতে পিছপা হয় না। তাঁরা সব রকমের স্বপ্ন পূরণ করতে সব কাজ করতে জান লড়িয়ে দেন। করণ নিজেও একজন অভিবাসী হয়ে সবরকম ভাবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ। দেশের বাইরে আজ ভারতীয়রা নানা ভাবে নেতৃত্ব দানের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন করণ। শুধু আমেরিকায়ই নয়, আজ ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জাপান এবং মধ্য প্রাচ্যেও ভারতীয়দের ব্যবসা, শিল্প, কারিগরি, প্রযুক্তি, বিনিয়োগে ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন। ফলে অভিজ্ঞমহলের মত ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share