Tag: Uttar Dinajpur

Uttar Dinajpur

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় উত্তর দিনাজপুর থেকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় উত্তর দিনাজপুর থেকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সমানে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার বাংলা যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ গ্রেফতার করেছে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। তাঁর নাম যাহ নিশার আলম। তিনি হারিয়ানার আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালায়ের এমবিবিএসের ছাত্র। শুক্রবার ভোরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ টিম সুর্যাপুর বাজার চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই বিস্ফোরণ মামলায় জঙ্গি সংগঠনের তরফে চিকিৎসকদের একটা বড় গ্রুপকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

    লুধিয়ানার তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগ নিশারের (Delhi Blast)!

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড (Delhi Blast) ধৃত নিশার আলমের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাহ নিশার আলমের আদি বাড়ি লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার অধীনে কোনাল গ্রামে। তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কর্মসূত্রে কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে কোনাল গ্রামের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দুই একদিন আগে পারিবারিক একটি বিয়েতে যাহ নিশার তাঁর মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন। এবার এই কাজে এসেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত নিশার। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে প্রথম লুধিয়ানার তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, নিশার বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের বাড়িতে রয়েছে। এরপর তদন্তকারী অফিসাররা দ্রুত উত্তরবঙ্গে আসে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই সুর্যাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। শুক্রবার ভোরে নেমেই নিশারের বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী অফিসাররা।

    হতবাক পরিবার

    পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে নিশারের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। এরপর মোবাইলের লোকেশন সূর্যাপুর বাজারের লোকেশন স্থির করা হয়। তারপর সেখানে পৌঁছায় তদন্তকারী দল এবং এরপর নিশারকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয় ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) থানায়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে পরিবার ছেলের কাণ্ডে সম্পূর্ণ ভাবে হতবাক। নিশারের কাকা আবুল কাশেম বলেন, “ভাইপোকে আমরা খুবই শান্ত-স্বভাব ও ভদ্র ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া কোনও বিষয়ে মাথা ঘামায় না।” গ্রামের বাসিন্দারাও জানিয়েছেন নিশার অত্যন্ত ভদ্র এবং শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এত বড় ঘটনার সঙ্গে তার নাম কীভাবে জড়িয়েছে তা ভেবেই হয়রান।

  • Uttar Dinajpur: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    Uttar Dinajpur: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের তাঁবেদারি করতে করতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে রাজ্যে পুলিশের! এবার পায়ের তলায় মাটি শক্ত করে ঘুরে দাঁড়াতে কার্যত উত্তরপ্রদেশের যোগী পুলিশের এনকাউন্টার মডেলকে হাতিয়ার করেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমকে নিকেশ করল রাজ্য পুলিশ। শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে, কি বাহিনীর মনোবল ধরে রাখতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে বেরিয়ে অবশেষে নিজের দক্ষতা প্রমাণে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, এদিনের এনকাউন্টারে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, সাজ্জাকের মতো বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এনকাউন্টারই দাওয়াই, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বই কি মেনে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল সাজ্জাকের বিরুদ্ধে? (Uttar Dinajpur)

    বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) জেলে ফেরার সময় পাঞ্জিপাড়ায় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালায় বিচারাধীন আসামি সাজ্জাক আলম। জানা যায়, জেল লক আপে তার হাতে বন্দুক পৌঁছে দিয়েছিল আবদুল নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ঘটনার পর থেকে সাজ্জাকের খোঁজে ম্যান হান্ট শুরু করে পুলিশ। ডিজি রাজীব কুমার বলেন, এই ধরণের দুষ্কৃতীদের কী করে শিক্ষা দিতে হয় তা পুলিশ জানে। পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ১টা গুলি ছুড়লে পুলিশ ৪টে গুলি ছুড়বে। তখন থেকেই এনকাউন্টারের জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে, যোগী পুলিশের মতো এই রাজ্যের পুলিশ সেই ক্ষমতা দেখাতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু, নিজেদের স্বার্থে অবশেষে বাধ্য হয়ে যোগী রাজ্যের এনকাউন্টার মডেলের ওপর আস্থা রাখল মমতার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার ভোর-রাতে গোয়ালপোখর সীমান্ত (Uttar Dinajpur) পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় পুলিশের মুখোমুখি হয় সাজ্জাক। তখন তাকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি সে। এরপরও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে অভিযুক্ত। তখন পুলিশকর্মীরা গুলি চালালে সাজ্জাকের গায়ে গুলি লাগে। লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীদের খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ২০১৭ থেকে ১০ হাজারের বেশি এনকাউন্টার করেছে তারা। তাতে ৬৩টি দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্ক কম হয়নি। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের নামে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছিল তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও দুষ্কৃতীকে সবক শেখাতে যোগী আদিত্যনাথের পথেই হাঁটতে হল মমতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: চোপড়ায় দাপাচ্ছেন জেসিবি বাহিনীর জব্বার, টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত পাওনাদার

    Uttar Dinajpur: চোপড়ায় দাপাচ্ছেন জেসিবি বাহিনীর জব্বার, টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত পাওনাদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জেরে তৃণমূল নেতা জেসিবি এখন জেলে রয়েছেন। তাতে কী হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ায় এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জব্বার। জব্বার আবার জেসিবি বাহিনীর অন্যতম সদস্য। ফলে, তাঁর সামনে কথা বলার এখন কারও সাহস নেই। জব্বারের এই দাপাদাপিতে বেজায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাঁরা চাইছেন, জেসিবির মতো জব্বারের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। প্রসঙ্গত, জেসিবি নিজের মতো করে সালিশি বসিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালাতেন। কিছুদিন আগে চোপড়ায় একজন মহিলা এবং পুরুষকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Uttar Dinajpur)

    জানা গিয়েছে, কালিকাপুরের (Uttar Dinajpur) মনসুর আলম নামে এক শ্রমিক জব্বারের দাদা জামশেদের সঙ্গে সিকিমে কাজ করতে গিয়েছিলেন। জামশেদ শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ করেন। সেই সুবাদে জামশেদের কাছে থেকে মনসুর প্রায় ১৪ হাজার টাকা পান। বছর খানেক হল তাঁকে সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সেই টাকা চাইতে যান তিনি। টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার জব্বারের নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলায় পাঁচজন জখম হন। তাঁদের চোপড়ার দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে চোপড়া থানায়। তবে, দুদিন হতে চলল এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    আক্রান্তের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত ব্যক্তি মনসুর  আলম বলেন, “আমি শ্রমিকের কাজ করি। প্রায় পাঁচ থেকে ছ’মাস আমায় কোনও টাকা দেয়নি। আমি সেই টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। তখনই মারধর করা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আসলে ওরা এলাকায় শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ কিছু করবে না, সেটা জানে বলেই ওদের এত বাড়বাড়ন্ত। আমি চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ২১ জুলাইয়ের পোস্টার সরানোয় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভাইরাল ভিডিও

    Uttar Dinajpur: ২১ জুলাইয়ের পোস্টার সরানোয় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আর একদিন বাকি, সরকারি পূর্ত দফতরের সামনে থেকে রাজনৈতিক পোস্টার সরিয়ে দেওয়ায় কার্যত তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়লেন এক অফিসার। ২১ জুলাইয়ের পোস্টার অফিসের গেট থেকে সরিয়ে দেন এক ইঞ্জিনিয়ার অফিসার। এরপর রীতিমতো ধমক এবং তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় তাঁকে বাধ্য করা হয় ক্ষমা চাইতে। ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral video) হয়েছে সেই ভিডিও। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার কর্ণজোড়া এলাকায়।

    কীভাবে ঘটেছে ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই পূর্ত দফতরের (Uttar Dinajpur) ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে ঢুকে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এক তৃণমূল নেতা, অধিকারিককে বলেন, “আপনি একজন সরকারি কর্মচারী। এই সাব ডিভিশেনের অফিসার! ব্যানারটাই ফেলে দিলেন? হাত জোড় করে ক্ষমা চান এবং ব্যানার লাগিয়ে দিন। যতক্ষুণ পর্যন্ত ব্যানার না লাগাবেন ততক্ষুণ পর্যন্ত আপানকে আমরা ছাড়ব না। এখানে অফিসের সমানেই বসে থাকব।” এরপর দেখা যায় আধিকারিক বলেছেন, “আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।” ঠিক তারপরই পোস্টার অফিসের গেটের মধ্যে লাগিয়ে দেন।

    অফিসারের বক্তব্য

    পূর্ত দফতরের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার বাবুন হালদার এই বিষয়ে সাংবাদিকদের পরে বলেছেন, “এটা তো সরকারি অফিস, এখানে রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো ঠিক না। তাই আমি খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এই ভাবে শাসক দলের কর্মীদের হুমকি অত্যন্ত অন্যায়। আমি উচ্চ আধিকারিকদের জানিয়েছি। দেখা যাক ন্যায় বিচার পাই কিনা।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা উত্তম কুমার সিনহা বলেছেন, “আমরা খবর পেয়েছি কে বা কারা আমাদের পোস্টার খুলে নিয়েছে। জানতে পেরেছিলাম ওই কাজ সরকারি আধিকারিক করেছেন। এরপর প্রশ্ন করি কেন করলেন? কিন্তু কোনও রাজনৈতিক পোস্টার ছিলনা। তিনি আমাদের প্রতি অন্যায় করেছেন। তাই পোস্টার লাগাতে বাধ্য হয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে করেছেন বিয়েও! গ্রেফতার জয়ন্তের সাগরেদ রাহুল গুপ্তা

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেছেন, “রাজ্যে তৃণমূলের প্রকাশ্যে সন্ত্রাস চলছে। ওদের দাবি মতো কাজ না করলেই মুশকিল। চাহিদা না পূরণ করলে এমন করেই ভয় দেখিয়ে ভিডিও (Viral video) করে ভাইরাল করা হবে। সরকারি আধিকারিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। অত্যন্ত অন্যায়, তীব্র ধিক্কার জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: বর্ষায় অজানা পোকার কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু! তীব্র আতঙ্ক রায়গঞ্জে

    Uttar Dinajpur: বর্ষায় অজানা পোকার কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু! তীব্র আতঙ্ক রায়গঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বর্ষাতে নতুন আতঙ্ক দেখা গিয়েছে। অজানা এক পোকার কামড়ে শরীরে পড়ছে ফোসকা, আসছে বেদম জ্বর। ইতিমধ্যে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। তবে এই পোকার উপদ্রব কীভাবে আটকানো যায়, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন এলাকার মানুষ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    পোকা কামড়ালেই বেদম জ্বর আসে (Uttar Dinajpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোকা (Insect) কামড়ালে বেদম জ্বর আসছে। শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ৮ থেকে ৮০, কেউই এই পোকার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) কুলিক নদীর সংলগ্ন দেবীনগর, বীরনগর, শক্তিনগর, পশ্চিম বীরনগর এলাকার ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বহু মানুষ ইতি মধ্যে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এই পোকা কী? কথা থেকে এসেছে, কেউ নাম বলতে পারছেন না। রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে একাধিক মানুষ গৃহেবন্দি হয়ে রয়েছেন। পোকার কামড়ে অসুস্থ হয়ে একজন ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।

    শরীরে তীব্র জ্বালা শুরু হয়

    এলাকার (Uttar Dinajpur) এক যুবতী রুনা সিং আক্রান্ত হয়েছেন এই পোকার কামড়ে। তিনি বলেছেন, “যখন পোকা (Insect) কামরায় তখন অনেকেই বুঝতে পারেননি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শরীরে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। আমি যখন জঙ্গলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, সেই সময় আচমকা কিছু একটা পোকা কামড়ে দিয়েছিল। এরপর শুরু হয় ব্যাপক জ্বালা। হাত দিয়ে ধরতেই ফোসকা পড়ে গেল। একই ভাবে আমার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। এরপর ডাক্তারকে দেখাতে গেলে পোকার কামড়ে সংক্রমণ হয়েছে বলে জানতে পারি।”

    কেমন দেখতে পোকা?

    এই পোকা (Insect) দেখতে বাদামি রঙের। দিনে ভালো করে দেখা যায় না। রাতে আলোর দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে। বর্ষায় জল জমে, গাছ লতাপাতা বাড়ে সেখানে নানা পোকার বাসা হয়। এই পোকা এইরকম ভাবেই এলাকায় বাসা বেঁধেছে। তবে চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তাররাও একে বারে নাজেহাল। আবার রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝোপঝাড় বাড়লেও সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানো হয়। প্রশাসন বর্ষার পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আরও এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাপি রায়। তিনি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক তৃণমূল নেতা। তিনি রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তাঁর নাম মহম্মদ সাজ্জাদ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttar Dinajpur)

    শনিবারই উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জে ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এরই মধ্যে আবার জেলায় দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে গুলি করার ঘটনায় জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন। ঠিক সেই সময় দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল প্রকাশ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন বাপি ও মহম্মদ নামে দুই তৃণমূল নেতা। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর গুরুতর জখম মহম্মদ সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সিসি ক্যামেরর ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ কোটি কর্মসংস্থান! আরবিআইয়ের রিপোর্টে মুখ বন্ধ হয়েছে বিরোধীদের, তোপ মোদির

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিষয়টি জানার পরই হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ” দলের একটা মিটিং চলছিল। আচমকাই গুলি করেছে। কেন হঠাৎ করে গুলি করল বুঝতে পারছি না। ওখানে সিসিটিভি আছে। পুলিশ আধিকারিকরা দেখে বিষয়টির তদন্ত করুক। তবে, রাজনৈতিক কোনও কারণ বলে মনে হচ্ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ। পুলিশের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন স্থানীয় ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার নীচাখালি গ্রামের ডানকান-এর আনারকলি চা বাগানে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় চোপড়া থানার পুলিশ। এরপর আহতদের চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছে। তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বিঘার এই আনারকলি চা বাগান (Uttar Dinajpur) লাভজনক না হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে বাগান ছেড়ে চলে যায় ‘ডানকান’ সংস্থা। চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তাই বাগানের একাংশে চাষ করে কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই বাগান নিজেদের কব্জায় আনতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন চোপড়া ব্লকের ভবানীপুর এলাকার তৃণমূল নেতা হাসিবুল ইসলাম সহ তাঁর সঙ্গীরা। হাসিবুল ইসলাম স্থানীয় দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। বিবাদ মেটাতে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়িতে সালিশী সভা বসলেও তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে হাসিবুল ইসলামের সহযোগিরা বাগান দখল করতে এলে, বাগান দখলে থাকা শ্রমিকরা তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এরপর চলে গুলি।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলবে ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    আহত শ্রমিকদের বক্তব্য

    আহত শ্রমিক হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বললেন, “পুলিশের উপস্থিতিতেই হাসিবুলের লোকজন আমাদের উপর গুলি চালিয়েছেন। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।” আক্রান্ত আনোয়ারা আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা হাসিবুল, শাহিন, সামসুল সকলে মিলে আমাদের উপর পাথর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। বাগানের মালিক কোম্পানি অনেকদিন আগে চলে গিয়েছে, আমরা কোনও ক্রমে কাজ করে খাচ্ছিলাম। কিন্তু এটাই তৃণমূলের গুন্ডাদের সহ্য হচ্ছিল না। ওঁরা এসে গুলিও করেছেন।” ঠিক এরপর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন স্থানীয় চা শ্রমিকেরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    Uttar Dinajpur: রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেলায় সক্রিয় কিডনি পাচার চক্র! এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে। এবারে এক মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে কিডনি বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের জালিপাড়া এলাকায়। এই চক্রের হদিশে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    কীভাবে কিডনি পাচার (Uttar Dinajpur)?

    উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর এলাকার বাসিন্দা মাইজালি বর্মন (৩৩) কিডনি পাচারের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের তির জালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রবি জালির বিরুদ্ধে। মাইজালি বর্মনের অভিযোগ, নিজের দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর প্রচুর টাকার ঋণে জর্জরিত ছিলেন। গত চার মাস আগে রবি জালির সাথে তাঁর আলাপ হয়, এরপর থেকেই রবি জালি তাঁকে কিডনি বিক্রি করার জন্য প্রোলোভন দেন। বিনিময়ে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে রবি জালি জানান। এরপর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে বাঁ দিকের কিডনি দেন মাইজালি। বিনিময়ে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও বাকি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে দেড় লক্ষ টাকা দিতে রাজি হলেও সেই টাকাও দেয়নি। সেই দেড় লক্ষ টাকা গত ৪ জুন চাইতে গেলে রবি জালি তাঁকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মারধরের পাশাপাশি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর নিজের বাড়ি থাকতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে রায়গঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন তিনি। থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন মাইজালি।

    আর্থিক সংকটে কিডনি বিক্রি

    প্রসঙ্গত, দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর আর্থিক সংকট দেখা দেয় মাইজালির বর্মনের (Uttar Dinajpur)। স্বামী কার্তিক বর্মন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ঋণে জর্জরিত হওয়ায় কিডনি বিক্রি করতে রাজি হন তিনি। টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করতে রাজি হলেও প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন এটা ভাবতে পারেননি তিনি। তাই এখন সেই টাকা ফেরৎ পাওয়া এবং রবি জালির কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।

    কিডনি পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য এই এলাকা

    উল্লেখ্য, একটা সময়ে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) ব্লকের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা কিডনি পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিলো। এই পাচার চক্রের মূল পান্ডা হিসেবে নাম উঠেছিল বিন্দোলের জালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজ্জাক ও কুদ্দুসের। যাদের ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। দীর্ঘদিন এই কিডনি পাচার চক্র বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে এসেছে ওই এলাকার বাসিন্দা সমাজকর্মী অশোক কুমার রায়। সেই আন্দোলনের জেরে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় এই কিডনি পাচার চক্র। সমাজকর্মী অশোক কুমার রায় বলেন, “১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথম এই কিডনি পাচার চক্র শুরু হয়। দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে এই চক্র গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ ছিল। আবারও এই চক্র সক্রিয় হলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দরকার পড়লে আমরা ফের আন্দোলনে নামবো।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    অপরদিকে, ওই এলাকায় কিডনি পাচার চক্রের পান্ডারা সক্রিয় হওয়ায় অবাক স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পঞ্চায়েত প্রধান জিন্নাতুল খাতুন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রশাসনকেও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব। ওই মহিলা যদি ঘর ছাড়া হয়, তবে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে আমি পদক্ষেপ নেব।”

    আরও পড়ুনঃ “তমলুকের জন্য ১০১ শতাংশ পরিশ্রম করেছি”, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেবাংশুর

    অভিযুক্তের ভাইয়ের বক্তব্য

    যদিও রবি জালির বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন রবি জালির ভাই ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা টুলটুলি জালির স্বামী ছবি জালি। তিনি বলেন, “ওই মহিলার দাদার কাছে টাকা পেতো তবে কিডনি বিক্রির সাথে এর কোনও যোগ নেই। সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যে। আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছেন ওঁই মহিলা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের তীব্র লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর । ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর তৃণমূল বাহিনীই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের (Voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক।

    চোপড়ায় সভায় হুমকি (Uttar Dinajpur)

    বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC Candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের (Uttar Dinajpur) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই নির্বাচনী প্রচারে হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুন সিংহ।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    চোপড়া (Uttar Dinajpur) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল সভায় বলেছেন, “চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে উন্নয়ন করাবো। পঞ্চায়েত সদস্যদের শুধু বুথে লিড দিলেই হবে না, বুথে বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে দিতে হবে। যদি এই কাজ না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।” ঘটনায় এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে বল খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল চোপড়া

    উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা ছিল চোপড়া (Uttar Dinajpur)। বিরোধী সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manik Saha: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক বাড়বে’, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    Manik Saha: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক বাড়বে’, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবারের তুলনায় এই রাজ্যে বিজেপি অনেক বেশি আসন পাবে। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে এসে মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। তিনি বলেন, মোদি দেশে যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন তার থেকে আরও বেশি ভালো ফল হলে আমরা অবাক হব না। তাই, এই রাজ্যের বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। যারা ওই দলে রয়েছে, তারাও মনেপ্রাণে বিজেপিকে সমর্থন করছে।

    বাংলায় শান্তির পরিবেশ নেই (Manik Saha)

    মানিক সাহা (Manik Saha) বলেন, সন্দেশখালি হোক বা অন্য কিছু মানুষ সব বুঝতে পারছে। শান্তি সম্প্রীতি যদি না থাকে কোনও রাজ্যের উন্নতি হয় না। এই রাজ্যে সেই পরিবেশ নেই। তাই, দলে দলে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে ঝটিকা সফরে আসেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মালদায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে সড়কপথে মালদা যাওয়ার পথে তিনি ইসলামপুরে দাঁড়ান। ইসলামপুর শহরের জীবন মোড় এলাকায় এক বিজেপি কর্মী প্রবীর দাসের বাড়িতে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন করেন। মধ্যাহ্নভোজনের শেষে তিনি আবার মালদার  উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন বিশ্ববরেণ্য। তিনি সাধারণ মানুষের গ্যারান্টির কথা বলেন। তাই মানুষ বুঝতে পারছে যে বিজেপি ছাড়া উন্নয়ন কিছু হবে না। তিনি আরও বলেন,” মালদায় একটি মিটিং রয়েছে সেই মিটিংয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের নিয়ম রয়েছে দলীয় কার্যকর্তার বাড়িতে আহার গ্রহণ করার। সেই মতো এদিন ইসলামপুরে মধ্যাহ্নভোজন করছি।”

    ত্রিপুরায় পাহাড়-সমতল আনন্দে আছে

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Manik Saha) বলেন, “ডেমোক্রেসি কাকে বলে সেটা ত্রিপুরায় না গেলে বুঝতে পারবেন না। সাধারণ মানুষ এখন শান্তিতে আছে। সাধারণ মানুষের অধিকার রয়েছে। ত্রিপুরায় যারা মথা আছে তারাও সরকারে এসে যোগদান করেছে। পাহাড়-সমতল এখন আনন্দে আছে। সন্দেশখালি হোক বা অন্য কিছুই মানুষ সব বুঝতে পারছেন, শান্তি সম্প্রীতি যদি না থাকে কোন রাজ্যের উন্নতি হয় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share