Tag: valley

valley

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বেশ কিছুদিন ধরে কোনও না কোনও জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। পাশাপাশি সীমান্ত টপকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ক্রমাগত ঘটে চলেছে। উপত্যকার পরিস্থিতি দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একাধিক বড় পদক্ষেপ করেছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে বিএসএফ (BSF)-এর দুই হাজারের বেশি জওয়ান মোতায়েন করা হবে।

    ওড়িশা থেকে বিএসএফ নিয়ে যাওয়া হবে (Jammu and Kashmir)

    বিগত বেশ কিছুদিন জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। তাদের লক্ষ্যে থাকছে সেনাছাউনি বা সেনা কনভয়। ইতিমধ্যে জম্মুতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে বেশ কিছু সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কপালে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে জঙ্গি দমন করা যায় এবং নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করা যায়, তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে মূলত ওড়িশা থেকে বিএসএফ (BSF) কর্মীদের জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে রিয়াসি, কিশতওয়ার, কাঠুয়া জেলায় বিএসএফের দুটি ব্যাটালিয়ন পাঠানো হবে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই জম্মুতে দুই হাজার সেনার ব্যাটালিয়ন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সৈন্যদের সাম্বা এবং জম্মু-পাঞ্জাব সীমান্তেও রাখা হবে। ভারতের পশ্চিম প্রান্তে জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট বরাবর ২২৮৯ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। জম্মুর সীমান্ত প্রায় ৪৮৫ কিলোমিটার, যার বেশিরভাগ অংশ ঘন বন এবং পাহাড়ি ভূখণ্ড দ্বারা বিভক্ত। এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক ডজন বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মহরমের মিছিল থেকে ছড়ায় হিংসা, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে মৃত তেজরাম

    প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ কমান্ডো মোতায়েন

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জম্মুর (Jammu and Kashmir) পাহাড়ি অঞ্চলে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে এই অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। তাদের সঙ্গে আধুনিক অস্ত্রও ছিল। এই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খতম করতে জম্মুতে প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ কমান্ডোকে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু জঙ্গিই লক্ষ্য নয়, যে সব এলাকায় এই জঙ্গি কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়া হয়, সেই সব জায়গায়ও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফলে এই বার পরিস্থিতিকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি মাত্রায় বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করতে চলেছে কেন্দ্র।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir Clash: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    Jammu And Kashmir Clash: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ভূস্বর্গে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)! গোয়েন্দা রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, পাক সেনার প্রাক্তন অফিসারদের মদতেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir Clash) ঘটছে একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনা। পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনী স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের প্রাক্তন আধিকারিকরাই জঙ্গিদের শেখাচ্ছেন দূরপাল্লার এম৪ কার্বাইনের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে চালাতে হয়, কীভাবেই বা ব্যবহার করতে হয় বিস্ফোরক। সেনার ওপর চিনা স্টিল কোর বুলেট ব্যবহার করে কীভাবে গেরিলা হানা চালানো যায়, সেই কৌশলও শেখানো হচ্ছে জঙ্গিদের।

    মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অস্ত্র (Jammu And Kashmir Clash)

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় প্রচুর অস্ত্র ফেলে যায় মার্কিন সেনা। নেটো এবং আমেরিকার সেনাদের ফেলে যাওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্রই হাতফের হয়ে চলে আসছে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে। প্রমাণ হিসেবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে চলতি জুলাই মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছে মিলেছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন। কেন্দ্রীয় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও জানিয়েছিল, পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও রসদের জোগান দিয়েছিল পাক সেনা। তদন্তের পরে স্থানীয় প্রশাসনও জানিয়েছিল, ২০২১ সালে আমেরিকা যেসব বুলেট আফগানিস্তানে ফেলে গিয়েছিল, তারই কয়েকটা ব্যবহার করা হয়েছিল পুঞ্চ হামলার সময়।

    জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা!

    এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া বিপুল অস্ত্রভান্ডারই এখন রয়েছে তালিবানের হাতে। তালিবানের সাহায্য নিয়ে সেই অস্ত্র ব্যবহার করে উপত্যকায় (Jammu And Kashmir Clash) অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে পাক জঙ্গিরা। অত্যাধুনিক এই সব অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করা হবে, কোন কৌশলে বধ করা যাবে শত্রুপক্ষকে, এসবেরই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা।

    আরও পড়ুন: “সনাতন ধর্ম বিশ্বাস করে মানব কল্যাণে”, বললেন মোহন ভাগবত

    বিএসএফ সূত্রে খবর, ২০২১ সাল থেকে উপত্যকায় বেড়েছে একে সিরিজের রাইফেল, আইইডি-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণ। এগুলির বেশিরভাগই আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া নেটো ও মার্কিন সেনার অস্ত্র। উপত্যকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে পাক জঙ্গিদের পাশাপাশি তালিবানদের এই অস্ত্র সরবরাহকারীদের ভূমিকা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে এবং উপত্যকাবাসীকে সুরক্ষা (Pakistan) দিতে বেশ কিছু বৈঠক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে টহলদারিও (Jammu And Kashmir Clash)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Killings: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    Kashmir Killings: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় গত কয়েক দশকে খুন হয়েছেন হাজার ছয়েক হিন্দু (hindu)। এর মধ্যে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অমুসলিম লোকজনও রয়েছেন। একের পর এক হিন্দু নিধনের পরে প্রশ্ন উঠছে, এবার কে? সন্ত্রাসবাদের (terrorism) রক্তলোলুপ হাত থেকে বাঁচতে কাশ্মীর (kashmir) ছাড়তে চাইছেন হিন্দু পণ্ডিত (pandit) সম্প্রদায়ের লোকজন। সরকারের কাছে তাঁরা এই দাবি জানিয়েওছিলেন। তবে তাঁদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) সরকার। কাশ্মীরেরই জেলা সদর দফতরের মতো কোনও ‘নিরাপদ’ স্থানে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুন : “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জনৈক অশ্বিনী পণ্ডিত বলেন, সরকারের এই পরিকল্পনা অবাস্তব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা না করে আমরা কীভাবে থাকব? প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজে বেশ কয়েক বছর আগে উপত্যকার একটি স্কুলে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। পরিবার নিয়ে উপত্যকায় ফিরেও এসেছেন।

    শুধু অশ্বিনী নন, পুনর্বাসন প্যাকেজ পেয়ে ভূস্বর্গে ফিরে এসেছেন আরও অনেকে। উপত্যকার বিভিন্ন ক্যাম্পে বসতি গেড়েছেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের হিন্দু নিধনযজ্ঞ (Hindu Killings in Kashmir) শুরু হওয়ায় উপত্যকা ছাড়ার আবেদন জানিয়েছেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের (kashmiri pandit) এই লোকজন। বদগাম জেলার শেখপোড়ায় কলোনির গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ’চারেক পরিবার। তাঁরা বলেন, এখানে আর থাকা যায় না। চাকরি নিয়ে আমরা আর মাথা ঘামাই না!

    ভেসু ক্যাম্পে থাকেন সঞ্জয় কাউল। বেছে বেছে হিন্দুরা জঙ্গিদের বন্দুকের নলের শিকার হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন তিনিও। বলেন, খুন বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে আমার কলোনি। এখানে ৩০০টি পরিবার রয়েছে। আমরা সুরক্ষিতও। কিন্তু আমাদের কাজের জন্য রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে জেলা সদরে। এই জেলা সদর আমার কলোনি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। তিনি বলেন, কলোনি থেকে বের হলে যে কেউই জঙ্গিদের সফট টার্গেট হয়ে যেতে পারে। সঞ্জয় বলেন, সবচেয়ে ভাল বিকল্প হবে আমাদের কয়েক মাস কিংবা এক বছর অথবা কাশ্মীর শান্ত হওয়া পর্যন্ত জম্মুতে ডেপুটেশনে পাঠানো।

    আরও পড়ুন : গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    গত কয়েক মাস ধরে উপত্যকায় বেছে বেছে কেবল হিন্দুদেরই খুন করা হচ্ছে। ১ মে থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন মোট আটজন। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। বছর একুশের ওই ম্যানেজার চাকরি করতে রাজস্থান থেকে এসেছিলেন কাশ্মীরে। সেখানেই ঝরে গেলেন অকালে।

     

       

LinkedIn
Share