Tag: Vandalised

  • Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল (Temple Vandalised)! এতদিন বাংলাদেশে হামলা চালানো হচ্ছিল হিন্দুদের মন্দিরে। ভাঙচুর করা হচ্ছিল, প্রতিমা, বিগ্রহ। এবার (West Bengal) সেই একই ঘটনা ঘটল এপার বাংলায়ও। এর আগেও যে এ রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে তা ছিল কখনও সখনও। বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের পর বস্তুত এ রাজ্যে আছড়ে পড়েছে মন্দির ধ্বংসের ঢেউ। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমা। একটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, আর একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। যেহেতু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আশঙ্কায় ঘটনা দুটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল, তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    সুকান্তর পোস্ট (Temple Vandalised)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তিটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, মূর্তি ভাঙার আগে মন্দিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্খচূড়া বাজার এলাকায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে (Temple Vandalised) পোস্টে লিখেছেন সুকান্ত।

    হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের ওপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে – প্রস্তুত থাকো।”

    পোস্ট শুভেন্দুরও

    এদিকে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রতিমা পোড়ানো হয়েছে তমলুকের শ্রীরামপুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন একটি মন্দিরে। এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (মমতাকে হারানোয় এখন এই নামেই সবাই ডাকছেন শুভেন্দুকে) শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া ও হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত। তাঁর আরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদেরও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি কালী মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বসিরহাট থানার অধীনে শঙ্খচূড়া বাজারের কালী মন্দিরে দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তাঁর দাবি (Temple Vandalised), মন্দিরে হামলার ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহানুর মণ্ডলের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যও নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে– বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শঙ্খচূড়া বাজারে দেবী কালীর একটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হয়তো আবারও এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেবেন বা এমনও দাবি করতে পারেন যে, এটা হিন্দুদেরই একটা চক্রান্তের অংশ।” তাঁর প্রশ্ন, গত পাঁচ দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখবেন?

    মন্দিরে হামলা হয়েছে আগেও

    বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা। গত বছরও হাওড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছিল ৫টি মন্দিরে। ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে সেবার রেল অবরোধও হয়েছিল। সেবারও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেবার তিনি সাফ বলেছিলেন (Temple Vandalised), দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।

    শুভেন্দুর তোপ

    সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছিলেন, “গত রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি সনাতনী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা রেল অবরোধ করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অনুরোধ করছি দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করুন। সঙ্গে শান্তি ফেরাতে দ্রুত শান্তি ফেরান। যারা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, গণপরিবহণকে প্রভাবিত না করে তাদের প্রতিবাদ করতে দিন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গা ছাড়া ভাবের জন্যই তারা সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা করার সাহস পাচ্ছে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেরই ডিএনএ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শরীরে। তাদেরও হাতিয়ার সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূলের প্রয়োজন একটি বিশেষ(Temple Vandalised) সম্প্রদায়ের ভোট। এ রাজ্যের ওই সম্প্রদায়ের ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটই পড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে। তৃণমূল তাদের তুষ্ট করতে গিয়েই নানাভাবে তোল্লাই দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বিশেষ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের এহেন বাড়বাড়ন্ত!

    শুধু তাই নয়, এই ভোটের স্বার্থেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যারা বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহ ভাঙচুর করছে কিংবা মন্দির অপবিত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ব্যবস্থা নিতেও শোনা যায়নি বলেও দাবি সনাতনীদের একাংশের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের এই বিশেষ ভোটারদের (West Bengal)। যে ভোটারদের ‘দাক্ষিণ্যে’ বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Temple Vandalised)।

LinkedIn
Share