Tag: vatpara

vatpara

  • Barrackpore: নিজের নামে ব্যাঙ্কে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ, আছে লাক্সারি বাস! জানেনই না ভাটপাড়ার জয়ন্ত

    Barrackpore: নিজের নামে ব্যাঙ্কে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ, আছে লাক্সারি বাস! জানেনই না ভাটপাড়ার জয়ন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার ভাটপাড়ার জয়ন্ত ভট্টাচার্যের। কাজের স্বার্থে কিস্তিতে বাইক কেনার তিনি সিদ্ধান্ত নেন। কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়েই যত বিপত্তি। ব্যাংকের নথি ঘেঁটে জানানো হয় তাঁর নামে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে। যা শুনে আকাশ থেকে পড়েন জয়ন্তবাবু। কারণ, তিনি এই ধরনের ঋণ কোনও ব্যাংক থেকেই নেননি। পরে, তিনি খোঁজখবর করে জানতে পারেন, আসাম, দার্জিলিং, পুনে এবং বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে।

    প্রতারণা নিয়ে কী বললেন জয়ন্তবাবু? (Barrackpore)

    জয়ন্তবাবু বলেন, আমার নামে পাসপোর্ট রয়েছে। অথচ আমি পাসপোর্ট এর জন্য জীবনে কোথাও আবেদন করিনি। আমার নামে রয়েছে লাক্সারি বাস। অথচ আমি কখনও তা দেখিনি। কারণ, কিস্তি ছাড়া বাইক কেনার মতো আমার ক্ষমতা নেই। আমি যে প্রতারিত হয়েছি তা বুঝতে পারি। কারণ, যে সব জায়গা থেকে আমার নাম করে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে, সেই সব জায়গায় আমি জীবনে যাইনি। তবে, এটা ঠিক কিস্তিতে বাইক কিনতে না গেলে আমি এই চক্রের হদিশ পেতাম না। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু, তারা কোনও সাহায্য করেনি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পরে, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বারাকপুরের (Barrackpore) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত এ বিষয়ে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে।

    কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তির আইনজীবী?

    জয়ন্তবাবুর আইনজীবী বলেন, জয়ন্তবাবুর নামে ১৪টি ব্যাঙ্ক থেকে ধাপে ধাপে এই ৬০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আসলে, যেটা জানা গিয়েছে,  আসামে জয়ন্ত ভট্টাচার্য নামে কোনও এক ব্যক্তি ভাটপাড়ার জয়ন্তবাবুর কাগজপত্র নিয়েই এই প্রতারণা কারবার চালাচ্ছে। বারাকপুর (Barrackpore) আদালত বিষয়টি তো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জয়ন্তবাবু বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর আমার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কে যে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তা মকুব করা হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, জুটমিল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি

    Jute Mill: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, জুটমিল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল ভাটপাড়ায়। বিকাশ বেহেরা নামে এক জুটমিল (Jute Mill) কর্মীকে বাড়ির কাছ থেকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। দুটি গুলি তার শরীরে লাগে। আরেকটা গুলি শরীর ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্ট্রেট জেনারল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে, দিনের বেলায় এভাবে শ্যুটআউটের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে  শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশের বাড়ি কাঁকিনারা কুলি লাইন। তিনি কাকিনাড়া জুটমিলের কর্মী (Jute Mill)। এদিন কাজ শেষ করে এসে বাড়ির সামনে রাস্তায় তিনি ঘোরাঘুরি করছিলেন। এদিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ গাড়ি করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছে আসে। তাঁকে সেখান থেকে এক রকম অপহরণ করার মত করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।  ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুটো গুলি তার পায়ে লাগে। মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলেও সে ছুটে পালিয়ে যায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুষ্কৃতীদের হামলার জেরে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি রাস্তাতেই পড়েছিলেন। হামলার পর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত যুবক বিকাশবাবু বলেন, বাড়ির সামনে আমি ঘোরাঘুরি করছিলাম। আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। কেন আমাকে নিয়ে গেল আমি তা বুঝতে পারিনি। এরপর ওরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং গুলিও চালায়। কেন আমার উপর এভাবে হামলা চালাল আমি বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন আক্রান্তের পরিবারের লোকজন?

    আক্রান্ত যুবকের বাবা রাজু বেহেরা  বলেন, এদিন আমি জুট মিলে (Jute Mill) কাজ করছিলাম। ছেলেকে দুষ্কৃতীরা  ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানেই ছেলেকে লক্ষ্য  করে গুলি চালায়। আমি চাই, যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    BSF: মণিপুরে গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের, শোকের ছায়া ভাটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু সপ্তাহ আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদব। মঙ্গলবার সাত সকালেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকায়। তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার সহ গোটা ভাড়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

    কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাবা, মা, ভাই, বোন রয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। ভাইরা ছোট। ফলে, কেউ রোজগার করেন না। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বিএসএফে (BSF) চাকরি পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কিছুটা সুখের মুখ দেখা শুরু করেছিলেন। কারণ, রঞ্জিতবাবু ছিলেন পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী কৌশল্যা যাদব বলেন, “২৬ মে ও মণিপুর গিয়েছিল। সোমবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। খুব বেশিক্ষণ কথা হয়নি। কারণ, ও যেখানে ডিউটি করছিল, সেখানে গুলি চলছিল। ও কথা বলতে চাইলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। কয়েক মিনিট কথা বলার পর আমি ফোন রেখে দিয়েছিলাম। আমাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল। ছেলে আর পরিবারের খেয়াল রাখার কথা বলেছিল। ওটাই যে শেষ কথা হবে, তা ভাবতে পারিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি জায়গায় ডিউটিতে যাওয়ার কথা ও বলেছিল। সকাল সাতটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন সন্তান আর পরিবার নিয়ে কী করে সংসার চালাব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার?

    এদিনের ঘটনার পর পরই রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলারদের এক প্রতিনিধি দল আসে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার গোপাল রাউত বলেন, “বিএসএফ (BSF) জওয়ান শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের সবরকমভাবে আমরা সাহায্য করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটল না ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার এই কোন্দল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত গড়াল। ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মাসখানেক আগেই সত্যেনবাবুর স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে স্বামীর উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা করে চিঠি দিয়েছিলেন। সত্যেনবাবুর উপর হামলা হওয়ার পর তিনিও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলররা?

    কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ঘটনার জের জেলা তৃণমূলের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুবিচার চেয়ে সত্যেনবাবু জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী নিজে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলর হামলার ঘটনায় সত্যেনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকী দল কোনও ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই ভাটপাড়ায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করব। তার আগেই ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর দল বেঁধে পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি হয়রানি এবং সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের বক্তব্য, সত্যেনবাবু আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। পুরসভাকে নানা ভাবে বদনাম করছেন। পুরসভার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করলাম।

    কী বললেন সাংসদ অর্জুন সিং?

    এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবু বলেন, আমিও আগে অভিযোগ করেছি। পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ২৪ জন কাউন্সিলরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, আমাদের দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। পুলিস কমিশনার তো জেলা সভাপতি নয়। তাহলে তাঁর কাছে কেন এসব অভিযোগ জানাতে গেলেন, আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার মধ্যে ঢুকে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। জখম কাউন্সিলরের নাম সত্যেন রায়। তিনি বরাবরই সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মা রেবা রাহা ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারপার্সন। পুরসভার চেয়ারপার্সন সহ একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। পুরসভাকে ব্যবহার করে কয়েকজন কাউন্সিলর লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই পুরসভার ভিতরে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। তার আগেই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)  কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “আমাকে একা পেয়ে সাত-আটজন মিলে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পেরেছি। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আসলে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ওরা আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাই এই হামলা।” ঘটনার পর অবশ্য ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে দলের কাউন্সিলরের ওপর আরেক কাউন্সিলারের হামলার ঘটনাটি উত্থাপিত হয়।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় আমি পুরসভায় ছিলাম না। তবে, বিষয়টি মোটেই কাঙ্খিত হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রকম ঘটনা ঘটবে না বলে প্রত্যেক কাউন্সিলর জানিয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

    Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ স্কুলের টিফিনের সময় ছোট ছোট পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল। তাতে একটু চিত্কার হয়েছে। এটাই অপরাধ। আর তার জেরেই প্রতিবেশী অমিত সাউয়ের কাঁচা ঘুম ভেঙে যায়। সমস্ত রাগ গিয়ে তার স্কুল পড়ুয়াদের উপর পড়ে। আর দুপুর বেলায় কাঁচা ঘুম ভাঙানোর অপরাধে নিজের বাড়ি থেকে লাঠি নিয়ে সটান হাজির হয় বাড়ি পাশে থাকা স্কুলে। আর লাঠি দিয়ে স্কুলের গেটের সামনে মহানন্দে খেলা করতে থাকা পড়ুয়াদের বেধড়ক পেটায় (Attack) বলে অভিযোগ। ভাটপাড়ার ৪ নম্বর গলির সর্বোদয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের মধ্যে এসে এভাবে পড়ুয়াদের লাঠিপেটা (Attack)  করতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অমিত সাউ নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কেন সে এভাবে স্কুল পড়ুয়াদের মেরেছে তা পরিষ্কার নয়। তার মানসিক চিকিত্সা করা জরুরি। আদালতে বিষয়টি বলব।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Attack

     প্রতিবেশী ওই যুবকের আচমকা হামলার (Attack)  জেরে ১৭ জন স্কুল পড়ুয়া জখম হয়। ক্লাস টু, থ্রি এবং ফোরের পড়ুয়া রয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অভিভাবকরা পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়া থানার সামনে হাজির হন। তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। সে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিনের সময় খেলা করছিল। সেই সময় ওই যুবক এসে আমার ছেলে সহ বন্ধুদের বেধড়ক মেরেছে (Attack) । এটা হতে পারে না। স্কুলের মধ্যে আমাদের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা ওই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অন্য এক অভিভাবক বলেন, ওই যুবকের হামলায় (Attack)  আমার ছেলে জখম হয়েছে। ও মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ও ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না। আসলে খেলা করার সময় আচমকা হামলা (Attack)  চালিয়েছে বলে ও চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত যুবক প্রকাশ্যে যাতে আর বাইরে বের হতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা সে আরও করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বালেশ্বর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর আমার বন্ধু রবি খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। পরে, বাথরুমের পাশে বেসিনে থালা পরিষ্কার করছিলাম। আচমকা ট্রেনটি নড়ে ওঠে। বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কয়েকটি পাল্টি খেয়ে ছিটকে পড়ল। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন দেখি আমি বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।” ফোনে এক নিমেষে কথাগুলি বলছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয় দত্ত।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লির বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  গুরুতর জখম হন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। জখম রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস বলেন, ভাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। ভাই প্ৰথমে বলেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমাদের প্রার্থনা।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  জখম যাত্রী কী বললেন?

    দুর্ঘটনায় জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয়বাবু আরও বলেন, “ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে এসেছি। কিন্তু, শ্রমিকের কার্ড, জব কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেল। আমি কাজ করবো কী করে, খাব কী? ডান হাত আমার গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার পর থেকে অজ্ঞান হয়ে যাই। এদিন সকালে জ্ঞান ফিরে দেখি, বালেশ্বর হাসপাতালে। সেখান থেকে মেদিনীপুর।” একই রকম উৎকন্ঠ নিয়ে রয়েছে তার বন্ধু রবি। তারও পা ভেঙে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টিটাগড়ের পর এবার ভাটপাড়া পুরসভা। বোর্ড মিটিংয়ে (Meeting) ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পুরসভার বোর্ড মিটিং (Meeting)  ওয়াক আউট করলেন ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৩ মার্চ টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিলের নেতৃত্ব ১৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড মিটিং (Meeting)  ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় কোন্দলের বিষয়টি জানতে পেরে জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে। চেয়ারম্যানের ডানা ছেঁটে ৯ জনের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। টিটাগড় পুরসভার মতো এবার বিদ্রোহ আছড়ে পড়ল ভাটপাড়ায়। কিছুদিন আগেই জিলিবি মাঠে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী দাবি আদায়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু, এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।  ফলে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বুধবারের ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল। প্রতি মাসের মতো এদিন পুরসভায় বোর্ড মিটিং (Meeting)  ডাকা হয়। সেখানে চেয়ারপার্সন রেবা রাহা, ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ এবং অমিত গুপ্তা, অরুণ ব্রহ্ম, নুরেজামাল, হিমাংশু সরকারসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিটিং (Meeting)  শুরু হওয়ার পর পরই পাঁচজন সিআইসি সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।

    বোর্ড মিটিংয়ে কী নিয়ে এত বিদ্রোহ? Meeting

    কিছুদিন আগেই আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা নিয়ে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্মের বাগবিতন্ডা হয়। তাঁকে ওই ইঞ্জিনিয়র হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে তিনি দরবার করেন। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। কিন্তু, বেশ কিছুদিন হয়ে যাওয়ার পরও ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, সিআইসি অরুণ ব্রহ্ম ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এদিন বোর্ড মিটিং (Meeting) শুরু হতেই পুরসভার সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্ম বলেন, পুরসভার এক আধিকারিক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হলে আমি এই মিটিংয়ে (Meeting)  থাকব না। তিনি বক্তব্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সিআইসিরা তাঁকে সমর্থন করেন। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাঁচজন সিআইসি সদস্যের সঙ্গে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারপার্সন রেবা রাহার অনেক বয়স। তিনি পুরসভা ঠিকমতো করে চালাতে পারেন না। তাঁর ছেলে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও তাঁর ভাই পুরসভা চালান। পুরসভায় আমাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিআইসি সদস্যদের কোনও মান সন্মান নেই। তাই, বোর্ড মিটিং (Meeting) থেকে সবাই বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, পুরসভার একজন কর্মীকে নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সামান্য বিষয়। সমস্ত বিষয়টি মিটে যাবে। দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share