Tag: Vector Control Research Centre

Vector Control Research Centre

  • Technology To Kill Mosquito: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    Technology To Kill Mosquito: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমকাল হোক বা শীতকাল, মশার (Mosquito) উপদ্রবের হাত থেকে রেহাই নেই। বিকেল হতে না হতেই মশা ঢুকে পড়ছে ঘরে। সঙ্গে নিয়ে আসছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং আরও নানা অসুখ। অনেকেই মশা তাড়ানোর জন্য নানা স্প্রে বা অনেক কেমিক্যালজাত দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে অনেক সময় তা কার্যকরী হয় না বা হলেও অন্য উপকারী কীট-পতঙ্গদেরও ক্ষতি করে থাকে। আবার সেই কেমিক্যালজাত স্প্রেগুলো কোনও খাবারে মিশে গেলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। কিন্তু এই মশাদের হাত থেকে রেহাই দিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) এক অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যার নাম বিটিআই (Bti)। যার সাহায্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছড়ানো মশাদের সহজেই মারা যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সংক্রান্ত সিনড্রোম ভয় ধরাচ্ছে, আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা

    মশা মারার পদ্ধতিতে ব্যাসিলাস থুরিংয়েনসিস ইসরাইলেন্সিস (Bacillus Thuringiensis Israelensis) নামক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয় এবং এটি একটি পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতি। কারণ এর ফলে শুধুমাত্র মশাই মারা যায়, এটি অন্য কীট-পতঙ্গের কোনওরকম ক্ষতি করে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া কমানোর জন্য এই পদ্ধতিটিই উপযুক্ত উপায়। আইসিএমআর-এর ভেক্টর কন্ট্রোল রিলার্চ সেন্টার (Vector Control Research Centre) এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।

    এই পদ্ধতির বিষয়ে বলতে গিয়ে আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর অশ্বিনী কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য হল এটি শুধুমাত্র মশা ও মাছির লার্ভাদের মারে, এর ফলে অন্যান্য কোনও পোকামাকড়, জলজ প্রাণী বা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষতি করে না। ভেক্টর কন্ট্রোল রিসার্চ সেন্টারের এই পদ্ধতিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ্ধতির মতই কার্যকরী বলেছেন। ২১টি কোম্পানিতে এই পদ্ধতি ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    মশার হাত থেকে রেহাই পেতে এই প্রযুক্তিই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে ভারত। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা রয়েছে, এক হল এটি পরিবেশ-বান্ধব ও এটি কার্যকরীও। বি়জ্ঞানীরা আশা করছেন যে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই ভারতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবে।

LinkedIn
Share