Tag: vhp

vhp

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

  • VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেভাবে বাড়ছে না হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu)। এর কারণ হিসেবে হিন্দু যুবকদের দেরি করে বিয়ে করার সিদ্ধান্তকেই দায়ী করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে এই সংগঠন দেশজুড়ে আহ্বান জানিয়েছে, তরুণ হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই যেন ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন। কারণ আজকের দিনে এটি খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে ভিএইচপি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে গত শুক্রবার মহাকুম্ভের ১৮ নম্বর সেক্টরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় বোর্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায়ই প্রস্তাব পাস করা হয়েছে, এ বিষয়ে।

    কী লেখা হল প্রস্তাবে?

    ওই প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, ‘‘বৈদিক নিয়ম অনুসারে ২৫ বছর হল গৃহস্থ আশ্রমে প্রবেশ করার সঠিক বয়স। তাই হিন্দু যুবকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে যে তাঁরা পুরুষ হোক বা মহিলা যেন এই বয়সে বিয়ে করেন।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) আরও জানিয়েছে, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেশের হিন্দু তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে আসা দরকার। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, জনসংখ্যার যে ভারসাম্যহীনতা দেখা যাচ্ছে এখানে হিন্দু সমাজ ক্রমশ অস্তিত্বের জন্য সংকটে ভুগছে।”

    আমেরিকায় দ্রুত বাড়ছে হিন্দু ধর্ম

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, আমেরিকায় হিন্দুধর্ম দ্রুত জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত অ-হিন্দুরা এই ধর্মকে গ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, হিন্দু মূল্যবোধের অভাবের কারণেই পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। একইসঙ্গে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, আর্বান নকশাল, বিনোদন, বিজ্ঞাপন এগুলো হিন্দু যুবক-যুবতীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। এর ফলে হিন্দু সমাজে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং লিভহীন সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩০০ দেশের সংগঠনের প্রতিনিধিরা মহাকুম্ভে হওয়া এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের নিয়েই পাস করা হয় এই প্রস্তাব।

  • Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Janmabhoomi) ট্রাস্টি কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী , চৌপাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এক অনন্য রামভক্ত ছিলেন কামেশ্বর চৌপাল (Kameshwar Chaupal), তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত।’’ প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালকে ‘প্রথম করসেবক’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিহারের প্রাক্তন এমএলসি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ (Ram Janmabhoomi) করা হয়। শোক প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

    সূত্রের খবর, চৌপালের মেয়ে তাঁকে আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিস্থাপন ফলপ্রসূ হয়নি (Ram Janmabhoomi)। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে মারা গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বনবাসী কল্যাণ কেন্দ্র, আরএসএস এবং এবিভিপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনে কাজ করেন তিনি।

    শোক প্রকাশ অমিত শাহের

    প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অমিত শাহ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ram Janmabhoomi) লিখেছেন, ‘‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা কামেশ্বর চৌপাল জি’র প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কাজ ও বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য বিশেষ কাজ করেছিলেন কামেশ্বর চৌপাল। প্রভু শ্রীরাম তাঁর আত্মাকে শ্রীচরণে স্থান দিন এবং তাঁর শোকগ্রস্ত পরিজনদের মানসিক শক্তি প্রদান করুন।’’

  • VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যায় পদদলিত হয়ে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) বেশ কয়েকজন ভক্তের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরেই বেশ কিছু হিন্দু বিরোধী শক্তি কুম্ভ মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ তোলে, এমনটাই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। এর পরে গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), সেই সমস্ত হিন্দু বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যারা মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করেছিল। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি ভক্ত হাজির হচ্ছেন পুণ্যস্নান করতে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এমন নিঁখুত ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের একাধিক পার্থক্যও সামনে আনেন। বিবৃতি জারি করে ভিএইপি বলে, গতবারের হজে ১,৩০০-এর বেশি মৃত্যু ঘটে।

    হজের সঙ্গে তুলনা চলে না কুম্ভের (VHP)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই সমস্ত মন্তব্যকে চূড়ান্তভাবে নিন্দা করে যেগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছিল শুধুমাত্র মহাকুম্ভের বিরোধ করার জন্য। প্রসঙ্গত, এই বিতর্ক তখনই শুরু হয়েছিল, যখন সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু হিন্দু-বিরোধী শক্তি তুলনা টানে মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের। সেখানে হজের ব্যবস্থাপনাকে নিঁখুত বলা হয়। তখনই সরব হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এরপরই ঘোষণা করে যে হজ হল একটি ছোটখাটো তীর্থ অনুষ্ঠান। মহাকুম্ভের সঙ্গে এর কোনওভাবেই তুলনা চলে না।

    মহাকুম্ভে বার্তা দেওয়া হয় মানব কল্যাণের (VHP)

    ভিএইচপি জানিয়েছে, মহাকুম্ভে এই কয়েকদিনেই কোটি কোটি ভক্ত হাজির হয়েছেন। প্রয়াগরাজের পবিত্র সঙ্গমে তাঁরা ডুব দিয়েছেন, অমৃত স্নান করেছেন। এর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে মহাকুম্ভ হল মানব কল্যাণের জন্য অনুষ্ঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের পরে একজন ব্যক্তি মানব কল্যাণের জন্য সংকল্প নেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়, এর সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, মহাকুম্ভে যে ধরনের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার, তার সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা চলে না হজের তীর্থযাত্রীদের।

    দূর্দান্ত ব্যবস্থাপনা মহাকুম্ভে (VHP)

    এনিয়ে পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা জানিয়েছে যে, গত হজযাত্রাতে ১,৩০০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখানেই প্রশ্ন তোলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের মতে, মহাকুম্ভে কি একজন ব্যক্তি আছেন? যিনি ক্ষুধায় নিহত হয়েছেন? যিনি তৃষ্ণায় নিহত হয়েছেন? যিনি সঠিক সময় ওষুধ পাননি বলে নিহত হয়েছেন? এমন এ কজনও নেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে যে কতটা সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কী বলছেন সংগঠনের জাতীয় মুখপাত্র

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বিনোদ বনসল। তিনি উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মহাকুম্ভের অভূতপূর্ব আয়োজনের জন্য। যেভাবে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রেখেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার, সে কথাও তুলে ধরেন বিনোদ বানসল। শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথের ব্যবস্থাপনার জন্যই কোটি কোটি ভক্ত পবিত্র সঙ্গমস্থলে ডুব দিয়ে আবার তাঁরা পুণ্য অর্জন করে নিজেরা নিজেদের বাড়ি নিরাপদে ফিরে যেতে পারছেন। এমনটাই দাবি বিনোদের।

    প্রতিদিন চারশো ট্রেন ঢুকছে প্রয়াগরাজে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, চারশোর ওপরে ট্রেন প্রতিদিন ঢুকছে প্রয়াগরাজে। এই প্রত্যেকটা ট্রেন ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। এছাড়াও বাসে করে, গাড়িতে করে ভক্তরা ঢুকছেন এবং সমস্ত কিছু ব্যবস্থাপনা অভূতপূর্বভাবে তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেই সমস্ত ভক্তদের প্রশংসাও করেন বিনোদ বানসল যাঁরা নিজেদের ব্যস্ততার মধ্যেও মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন। এতেই বোঝাই যাচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্ব ঠিক কতটা!

    কেন এক নয় হজ ও কুম্ভ?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই মুখপাত্রের মতে, মহাকুম্ভ এবং হজ- এই দুটো কখনও এক নয় এবং এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যের কারণ হল, সেবা, ব্যবস্থাপনা ও মানবকল্যাণের উদ্দেশ্য, যা কুম্ভে আছে, হজে নেই। এমনটাই মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্রের। হজে যেখানে মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, সেখানে মহাকুম্ভে ৪০ কোটি জনসমাগম হচ্ছে। তাহলে, কী করে তা এক হতে পারে? প্রশ্ন ভিএইচপির। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সরকার মৌনী অমাবস্যায় যে দুর্ঘটনা ঘটে তারপর থেকে যথেষ্ট তৎপর হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করে। এই ঘটনার জন্য ৩ জন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন তদন্ত করবে যে পদদলিত হয়ে মানুষগুলির মৃত্যুর কারণ ঠিক কী? তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করবে তারা।

  • Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির ভিতরে গৃহস্থালি কর্মে থাকা মহিলাদের দেখা অশালীন কাজ! এমন অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে এবার আফগানিস্তানে মেয়েদের ঘর এবং বাইরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নিদান দিল তালিবান সরকার (Taliban)। সম্প্রতি তালিবানি নির্দেশে এই ধরনের জানলা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এমন নির্দেশ সামনে আসতেই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। তালিবানের (Taliban) যুক্তি, বাড়ির ভিতরে কাজ করতে থাকা কোনও মহিলাকে বাইরে থেকে দেখলেও অশ্লীল কাজকর্ম হতে পারে। রাস্তা থেকে কোনও মহিলাকে রান্না করতে দেখলে, জল তুলতে দেখলে বা ঘরের অন্যান্য কাজ করতে দেখলে পুরুষরা আকৃষ্ট হতেই পারেন, এধরনের আকর্ষণ নাকি তালিবানের মতে অশালীন কাজের মধ্যে পড়ে। তাই এইসব জায়গায় জানলা রাখা যাবে না। ওই নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে, নতুন বাড়ি করলে কোনওরকম জানলাই রাখা যাবে না, পুরনো বাড়ি হলে জানলা বন্ধ করে দিতে হবে।

    জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা (Taliban)

    স্পষ্টভাবে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ির রান্নাঘর, প্রতিবেশীর দেওয়াল এবং মেয়েদের ঘরে জানলা থাকলে তা তাড়াতাড়ি বুজিয়ে দিতে হবে। এখানেই শেষ নয় গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে তালিবান সরকার (Afgan Women)। জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা, এমনটাও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

    আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র এটিএস

    ডিসেম্বরে এল জানলা বন্ধের ফতোয়া

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তেই ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট ফের একবার ক্ষমতায় আসে তালিবানরা (Taliban)। তারপর থেকেই মেয়েদের বিরুদ্ধে একাধিক ফতোয়া জারি করতে দেখা গিয়েছে। কয়েক মাস আগে নতুন নিয়ম করে তালিবান জানিয়েছিল, এক মহিলার কথা অন্য মহিলা শুনতে পারবেন না। পুরুষদের সামনে বা তাঁদের সঙ্গে জোরে কথা বলা আগেই বারণ ছিল। এরপর ডিসেম্বরে ফের এল জানলা বন্ধের ফতোয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দির চাই’, সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দির চাই’, সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দির চাই, এই দাবিতে জনজাগরণে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। নেতৃত্বে থাকবেন সাধু-সন্তরা। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এমন আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক মিলিন্দ পারান্ডে। এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, তাদের এই আন্দোলন শুরু হবে বিজয়ওয়াড়া থেকে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা মিলিন্দ পারান্ডে বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মগুরুদের নেতৃত্বে এবং হিন্দু সমাজের বিশিষ্টদের সাহায্যে আমরা দেশজুড়ে জনজাগরণের কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি। আমাদের দাবি থাকবে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হোক সমস্ত মন্দির।’’ প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর এই সাংবাদিক বৈঠক সম্পন্ন হয় দিল্লিতে।

    থিঙ্ক ট্যাঙ্ক টিম তৈরি হয়েছে (VHP)

    জানা গিয়েছে, এই নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক টিম তৈরি করেছে। এই দলে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবী এবং ধর্মীয় নেতারা। মন্দির পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁরা নিয়মবিধি তৈরি করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    অ-হিন্দুদের মন্দিরের যেকোনও কাজ থেকে সরানোরও দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    একইসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ডাক দিয়েছে যে মন্দিরে চত্বরে যদি কোনও অ-হিন্দু কর্মচারী থাকে, তাহলে তাঁদেরকেও সরানোর ব্যবস্থা করা হোক। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের নেতা মিলিন্দ পারান্ডে বলেন, ‘‘শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মেই যাঁদের বিশ্বাস রয়েছে, আস্থা রয়েছে, যাঁরা হিন্দু রীতিতে পুজো করেন, তাঁরাই মন্দিরের (Hindu Temple) যে কোনও কাজে নিয়োগ থাকুন।’’ একইসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও দাবি জানিয়েছে, যে যেকোনও ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাঁদেরকে কোনও রকমের মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাখা যাবে না। মন্দির পরিচালনা করতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ধার্মিক কাউন্সিল করার চিন্তা ভাবনাও শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে, এই ধার্মিক কাউন্সিল প্রত্যেকটা জেলা স্তরে তৈরি হবে। এবং সেখান থেকেই স্থানীয় মন্দিরগুলির জন্য ট্রাস্টি তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • VHP: ৩০০-র বেশি হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে হামলা গত ২২ মাসে, তালিকা প্রকাশ ভিএইচপি’র

    VHP: ৩০০-র বেশি হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে হামলা গত ২২ মাসে, তালিকা প্রকাশ ভিএইচপি’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশটা বাংলাদেশ নয়। পাকিস্তানও নয়। দেশের নাম ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই দেশেই গত ২২ মাসে হিন্দু ও তাঁদের শ’তিনেক উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই হামলার অভিযোগের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    তিনশোর বেশি হামলা (VHP)

    এই তালিকায় ৩০০টিরও বেশি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণগুলি জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৭ নভেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। পরিষদের দাবি, এই তালিকা ওই সময়কালের মোট আক্রমণের মাত্র এক-দশমাংশ। তাদের মতে, সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশ লাভ জিহাদ থেকে স্পিট জিহাদ এবং ইউরিন জিহাদে উন্নীত হয়েছে। ভিএইচপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, “এই আক্রমণগুলির বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা অমানবিক। আক্রমণের ধরনগুলি মানুষের কল্পনার বাইরে। সারা বিশ্ব ইতিমধ্যেই টেরর জিহাদ, লাভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ, জনসংখ্যা জিহাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এখন অ-মুসলিমদের প্রতি তাদের ঘৃণা স্পিট জিহাদ, ইউরিন জিহাদ, ট্রেন জিহাদ, মাইনর জিহাদ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।”

    ক্ষমতার লোভে কুকাজ!

    তিনি বলেন (VHP), “ক্ষমতার লোভে কিছু ধর্মনিরপেক্ষ দল এই জিহাদিদের উসকে দিচ্ছে। তারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে প্ররোচিত করছে। জিহাদিদের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” জৈন বলেন, “সংবিধান, আইন, বিচার ব্যবস্থা এবং জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানানো প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই কর্তা বলেন, “এটি একটি বৈশ্বিক বিষয় হয়ে উঠেছে। হামাসের আক্রমণ হোক বা বাংলাদেশি জিহাদিদের কার্যক্রম, কাশ্মীরে হিন্দুদের গণহত্যা হোক… নিষ্ঠুরতা এবং কামনার নির্মম নৃত্য এগুলিতে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান… সারা বিশ্বে কোথাও ইসলামফোবিয়া নেই এবং… জিহাদিরাই ‘কাফেরফোবিয়া’য় ভুগছে।”

    আরও পড়ুন: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, যাবেন নাইজিরিয়া, গায়নায়ও

    অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন জৈন। তিনি বলেন, “অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংগঠিত ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজ এই দেশদ্রোহী ও হিন্দুবিরোধী ষড়যন্ত্রগুলিকে থামানোর ক্ষমতা রাখে (VHP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

      

  • VHP: অ-হিন্দুদের অধিকার নেই দেবস্থান দখল করে রাখার, হুঁশিয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP: অ-হিন্দুদের অধিকার নেই দেবস্থান দখল করে রাখার, হুঁশিয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি বালাজি সমেত অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) সমস্ত মন্দিরের দায়িত্বভার হিন্দু সমাজকে হস্তান্তর করার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। চন্দ্রবাবু নাইডু সরকারের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় নেতা সুরেন্দ্র জৈন দাবি জানিয়েছেন, তথাকথিত মেকি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অ-হিন্দুদের কোনও অধিকার নেই দেবস্থানকে দখল করে রাখার এবং তা পরিচালনা করার। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানিয়েছে, হয় মন্দিরগুলিকে সরকারি দখলমুক্ত করা হোক অথবা প্রতিবাদ আন্দোলনের মোকাবিলা করার জন্য সরকার তৈরি থাকুক।

    তিরুপতির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হিন্দুরা (VHP) 

    তিনি আরও জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের হিন্দুরা প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ যে ধরনের খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে তিরুপতি বালাজি মন্দিরকে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদ ইস্যুতে জোর বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, দেবতার উদ্দেশে অর্পণ করা লাড্ডু প্রসাদে মিশ্রিত করা হয়েছে পশুর চর্বি। এই ঘটনাকে উল্লেখ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, ভক্তদের ভাবাবেগ ও বিশ্বাসকে রক্ষা করা উচিত সরকারের। এর পাশাপাশি সুরেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, অজস্র মন্দির রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh), যেগুলি জেহাদীদের দ্বারা আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, হিন্দু উৎসবগুলিকেও নিশানা করছে জেহাদীরা। কিন্তু সেই সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা।

    মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী

    এদিন সত্যেন্দ্র জৈন (VHP) আরও জানিয়েছেন, পবিত্র হিন্দু মন্দিরগুলির ওপর ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের হস্তক্ষেপ শুধুমাত্র অসাংবিধানিক নয় বরং তা হিন্দু ভাবাবেগেও আঘাত করছে। একথা বলতে গিয়ে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্যে ১২ নম্বর ধারা, ২৫ নম্বর ধারা ও ২৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী হল ধর্মস্থানের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চার দফা দাবি

    এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারের সামনে চার দফা দাবিও পেশ করা হয়। এগুলি হল,

    ১. তিরুপতি বালাজি সহ রাজ্যের সমস্ত হিন্দু মন্দিরকে সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে এবং তা হিন্দু সাধুসন্ত ও ভক্তদের হাতে দিতে হবে।

    ২. অ-হিন্দু  এবং ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রাখা যাবে না।

    ৩. মন্দির চত্বরে কোনও অ-হিন্দু খাবার, প্রসাদ বা অন্যান্য পানীয় বিক্রি করতে পারবেন না।

    ৪. যে সমস্ত জেহাদী হিন্দু মন্দির ও উৎসবগুলিতে আক্রমণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হোক হিন্দু মন্দিরগুলি, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP: সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হোক হিন্দু মন্দিরগুলি, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মঠ-মন্দির এবং ধর্মীয় স্থানগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সোমবার ওড়িশার সম্বলপুরে এই নিয়ে বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম ওড়িশার আটটি জেলার হাজার হাজার মানুষ এই মিছিলে অংশ নেয়। প্রতিবাদ মিছিলের পর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

    কেন এই দাবি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় মার্গদর্শকমণ্ডলীর সদস্য স্বামী জীবনমুক্তানন্দ পুরী মহারাজ মিছিলের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের প্রসাদে গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস এবং মাছের চর্বি ব্যবহারের রিপোর্ট নিয়ে গভীর দুঃখ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি তিরুপতির লাড্ডু প্রসাদে প্রাণীর চর্বি ব্যবহারের ঘটনাকে “অসহনীয় এবং একটি নিকৃষ্ট কাজ” বলে আখ্যা দেন। তিনি জানান, এই রিপোর্ট দেখে গোটা হিন্দু সমাজ মর্মাহত এবং দুঃখিত। তাঁর কথায়, “এই ধরনের ঘটনা কেবল তখনই ঘটে যখন হিন্দু মন্দির এবং অন্যান্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি হিন্দু সমাজ দ্বারা পরিচালিত হয় না, বরং সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।” তিনি জানান, অনেক দিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করে আসছে যে মন্দির এবং হিন্দুদের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “আমরা আবারও আমাদের দাবি পুনরায় জানাচ্ছি যে সমস্ত মন্দির এবং অন্যান্য উপাসনালয় সরকার থেকে মুক্ত করা হোক এবং হিন্দু সমাজের হাতে তুলে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

    বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য সভাপতি ডাঃ রাজকুমার বাদাপন্ডা বলেন “আমাদের দেশে প্রায়ই বলা হয় যে সংবিধান সর্বোচ্চ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিভিন্ন সরকার হিন্দু সমাজের প্রধান মন্দিরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। সরকারগুলি সংবিধান রক্ষা করার জন্য থাকলেও তারা প্রায়ই চেতনা লঙ্ঘন করে। তারা খোলাখুলিভাবে সংবিধানের ১২, ২৫ এবং ২৬ ধারা লঙ্ঘন করে মন্দিরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিজেদের স্বার্থে।”  তাঁর প্রশ্ন, “৭৭ বছরের স্বাধীনতার পরও হিন্দুরা কি এখনও নিজেদের মন্দির পরিচালনা করার অনুমতি পায়নি? সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়, কিন্তু হিন্দুদের এই সাংবিধানিক অধিকার কেন দেওয়া হয়নি?” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দ্বারা গভর্নর এবং রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “তিরুপতি বালাজি এবং অন্যান্য স্থানে অনিয়মের কারণে হিন্দু সম্প্রদায় এখন বিশ্বাস করে যে মন্দিরগুলিকে সরকার থেকে মুক্ত না করতে পারলে পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করা যাবে না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ভারত থেকে নেপালে নিয়ে গিয়ে শতাধিক হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, রুখল ভিএইচপি

    VHP: ভারত থেকে নেপালে নিয়ে গিয়ে শতাধিক হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, রুখল ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ নেপালে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরণের (Christian Conversion) চেষ্টা রুখে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। যে একশো জনকে ধর্মান্তকরণ করতে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের মুখে মাখিয়ে দেওয়া হয় কালো রং। আর যে পাদ্রী এই একশোজন ভারতীয়কে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করতে এসেছিলেন, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্মান্তকরণ নিয়ে ভারত কড়া হতেই ফিকির বের করছে ধর্মের কারবারিরা। তারা এখন ভারত থেকে ভিন দেশে লোক নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরণ করছে। দীক্ষা-পর্ব শেষ হওয়ার পর তাদের নিয়ে ফিরছে দেশে।

    ভেস্তে দিল ভিএইচপি (VHP)

    ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বর। এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেপালি শাখার কর্মীরা খবর পান মহারাজগঞ্জের থুথিবাড়ি শহর থেকে প্রায় ১০০ জন ভারতীয় হিন্দুকে নেপালে ধর্মান্তকরণের জন্য নিয়ে যাচ্ছে একটি খ্রিস্টান গোষ্ঠী। দুটি বাসে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নেপালে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই বাস দুটি থামিয়ে দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজন। এনিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ধর্মান্তরিত হতে আসা লোকজনের হাতাহাতি হয়। পরে ধর্মান্তরিত হতে আসা লোকজনের মুখে কালো রং মাখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন, আমেরিকায় সাংবাদিককে নিগ্রহ কং সমর্থকদের

    পাদ্রী সাহেবকে মারধর

    জানা গিয়েছে, যাদের ধর্মান্তরিত করতে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই মহিলা (VHP)। শিশুও ছিল বেশ কিছু। এঁদের অনেকেই দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। আর যে পাদ্রী তাদের দীক্ষিত করতে নিয়ে আসছিলেন, তাঁর নাম আমোস। নেপালের খৈরাহানি এলাকার একটি গির্জায় তাদের ধর্মান্তকরণ করতে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আগাম খবর থাকায় পাদ্রী সাহেবের পুরো পরিকল্পনাটাই ভেস্তে যায়। ভারত থেকে যারা ধর্মান্তরিত হতে নেপালে গিয়েছিল, তাদের মুখে কালো রং মাখিয়ে দেওয়া হয়। পাদ্রীকে মারধর করা হয়। যে বাসে করে তারা নেপালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেই বাস দুটিকে ভারত-নেপাল সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ অগাস্টও নেপাল সীমান্তে গ্রেফতার করা হয় কেরলের দুই ব্যক্তিকে। স্থানীয় চার্চে ধর্মান্তকরণ করানোর ধান্ধায় ছিল তারা। স্থানীয়রা তাদের ধরে তুলে দেয় (Christian Conversion) পুলিশের হাতে (VHP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share