Tag: vhp

vhp

  • Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীর নিত্য উপাসনার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তাঁরা এখন খবরের শিরোনামে। এঁদের মধ্যে চারজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই মহিলাদের পরিচয়।

    বিয়ের আগে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন লক্ষ্মী দেবী। বিয়ের পরে চলে আসেন বারাণসীতে। তাঁর স্বামী সোহনলাল আর্য। বারাণসী প্রান্তের ভিএইচপির সহ-সভাপতি। তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার ভিতরে পাওয়া কালো পাথরের কাঠামোটি আদতে একটি শিবলিঙ্গ। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন লক্ষ্মীদেবী। বলেন, আইনি লড়াইয়ে যোগ দিতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম স্বামীর কাছে। বছর ছেষট্টির এই মহিলা বলেন, আমি ও বারাণসীর অন্য মহিলারা নিয়মিত মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো করতে পারছিলাম না। বিশ্বেশ্বরের বাহন নন্দীর মূর্তি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। প্রসঙ্গত, ১৮০০ সাল নাগাদ নেপালের রানা বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মামলার আরও এক ‘পার্টি’ হলেন সীতা সাহু। বছর চল্লিশের সীতা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মা প্রভাবতী দেবী এক সময় উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে বিজেপির টিকিটে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বালগোপাল সাহু একটি জেনারেল স্টোরের মালিক। বিজেপির স্থানীয় মহানগর ইউনিটের সদস্য। তিনি বলেন, সীতা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিয়ের আগে যোগ দিয়েছিলেন আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবিরে। সীতা বলেন, নবরাত্রির সময় শৃঙ্গার গৌরী চত্বরে যাওয়ার সময় আমরা প্রতিদিন প্রার্থনা করতে পারতাম না। আমরা কেবল চত্বরটা দেখতে পেতাম।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    রেখা পাঠকের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুরোটাই বারাণসীতে। তিনি বারাণসীর অতিপরিচিত লাট ভৈরব মন্দিরের মহন্ত দয়াশঙ্কর ত্রিপাঠীর মেয়ে। তিনি বলেন, দেবতার প্রতি ভালবাসা আমার রক্তে রয়েছে। দয়াশঙ্কর বলেন, আমরা শুধু সম্মান চাই। হিন্দুত্বের জন্য মরতেও প্রস্তুত আমরা। নবরাত্রির সময় পুজো করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে রেখার। বলেন, সব মন্দিরে নবরাত্রির সময় যেভাবে পুজো করা হয়, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরেও সেইভাবেই করা উচিত।

    ছোট্ট একটি বিউটি পার্লারের মালিক মঞ্জু ব্যাস। স্বামী বিক্রম ব্যাসকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তাঁর। কিরোশী মেয়ে বারাণসী শহরের বাইরে পড়াশোনা করে। মঞ্জু বলেন, অনেকেই আমাদের সম্পর্কে জানতে চায়। আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।

    পিটিশন দাখিল করেছিলেন রাখি সিংহও। তবে তিনি ঠিক কে, তা জানা যায়নি। দিল্লিতে থাকলেও, তিনি কখনও বাকিদের সঙ্গে দেখা করেননি। রেখা বলেন, দয়া করে ওঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমরা এখন চারজন। 

     

  • Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কে সরগরম দেশ। বিতর্ক শুরু মথুরায়ও। এহেন আবহে ফের মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। কর্নাটকের (Karnataka) ম্যাঙ্গালুরুর (mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছে স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (vhp) নেতারা।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই শুরু বিতর্ক। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করেছে হিন্দুদের একটি গোষ্ঠী। পুজোপাঠ সংক্রান্ত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল।  

    ভরত বলেন, চলতি মাসের ২৫ তারিখে মসজিদ চত্বরে আমরা বিশেষ “থাম্বুলা প্রাশে” করতে চলেছি। আচার শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সূত্রের খবর, উত্তেজনা এড়াতে ইতিমধ্যেই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কেভি বলেন, আমি পুরো বিষয়টি জেনেছি। ভূমি দফতর জমিটির মালিকানার ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং হিন্দু মন্দিরের দাবিদার, দু পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। পুরো বিষয়টি শুনব। তিনি বলেন, সব পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করবে। ততদিন এলাকায় বজায় থাকুক স্থিতাবস্থা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যাবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার (Wazukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে। তার পর এবার ফের আরও একটি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্য উত্তর প্রদেশ নয়, কর্নাটক।

     

LinkedIn
Share