Tag: vice chancellor

vice chancellor

  • Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বা গবেষণার কাজে যুক্ত পড়ুয়াকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Interim Vice Chancellor) নিয়োগ করতে চান রাজ্যপাল। সেরা উজ্জ্বল ছাত্রকেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য করতে চান আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose), রাজভবন সূত্রে খবর এমনটাই। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে তা অভূতপূর্ব এক ঘটনা হতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়ার উপাচার্য হওয়ার কোনও নজির ভারতে কোথাও কোনও নেই।

    ছাত্ররাই আগামীতে উপাচার্য

    কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘দেশের মধ্যে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-উপাচার্য হবে। যেসব উজ্জ্বল-মেধাবি পড়ুয়া স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন এবং গবেষণা করছেন, তাঁরাই আগামীতে উপাচার্য হবেন। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথমবার হবে।’এই ‘ছাত্র-উপাচার্য’-র ধারনা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের কাছে একটি ট্রেন্ডে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য়পাল। কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাক্ষেত্রে থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। শুধু তাই নয়, সমাজ থেকে হিংসা দূরীকরণেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এর জন্য সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে হাতে হাত মিলিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে পড়ুয়ারাই যে ভারতের ভবিষ্যৎ স্থির করবে, এমনও মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ‘এডুকেশন হাব’ হয়ে উঠবে।

    দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র

    ‘পড়ুয়া-উপাচার্য’ প্রসঙ্গ টানার আগে এ দিন শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সমাজকে হিংসামুক্ত করার বার্তা দেন রাজ্যপাল। পড়ুয়ারা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র আর হিংসামুক্ত সমাজ চান কি না, তা জানতে চান। কালিম্পং কলেজ অডিটোরিয়ামের দর্শকাসনে বসা ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে কিছুটা নীরব থাকায় রাজ্যপাল তাঁদের উচ্চস্বরে উত্তর দিতে বলেন। সবাই ‘হ্যাঁ’ বলার পরে, তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তাতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরি করা। একই সঙ্গে দরকার হিংসামুক্ত সমাজ। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি রাজ্যপালের

    ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে যখন জেরবার রাজ্য সরকার, তখন সেই দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি তৈরি করেছেন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেন তিনি। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা খতিয়ে দেখবে এই ‘অ্যান্টি কোরাপশন কমিটি’। এছাড়া থাকছে, ‘গ্লোবাল আউটরিচ কমিটি’, যে কমিটির সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে, বাড়বে আদান-প্রদান। থাকছে ‘অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স কমিটি’, যাদের মূল আলোচ্য বিষয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণামূলক কাজ। রাজ্যপালের তৈরি করা ‘ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট কমিটি’ মূলত অধ্যাপকদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ বা সেমিনারের বিষয়গুলি দেখবে। আর শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ তৈরি করতে তৈরি করা হয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপ কমিটি’। আর রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রে একত্রে কাজ করতে পারে, তার জন্য তৈরি করা হয়েছে, ‘ইউনিভার্সিটি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’ বা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কমিটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) রাজ্যের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্য সরকার যদি কোনও পদক্ষেপ করে, মামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে তা আদালতকে জানাবে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটিতে সরকার পক্ষের সদস্য বেশি কেন? সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিই বা কেন রয়েছেন? সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়েছে? যতদূর জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত কোনও সদস্য থাকার কথা নয়! এই কমিটিতে শিক্ষাবিদদের কি রাখা হয়েছে?’’ এর জবাবে রাজ্য জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মাথায় রেখেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সব সদস্যই শিক্ষাবিদ! এর পাল্টা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। 

    মামলাকারীর দাবি

    এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) স্বজনপোষণের কোনও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ (সিলেকশন) কমিটির সদস্যপদে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি রাখা হয়েছে। তিনজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে বেআইনিভাবে।’ সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনওরকম স্বজনপোষণ যাতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের হস্তক্ষেপ মানা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। এমনকি, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত এড়িয়ে যাওয়ারও সংস্থান রয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিকে। তাঁর জায়গায় স্থান পান মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি। যা কাম্য নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    West Bengal: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের চরমে উঠল। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তাঁদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার (West Bengal) ও রাজভবনের দ্বন্দ্বের মধ্যে সমস্যায় উপাচার্যেরা। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনি বলেই গণ্য় করছে রাজ্য। 

    রাজ্যের দাবি নিয়োগ অবৈধ

    রাজ্য সরকারের দাবি, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। শিক্ষা দফতরের আর্জি খারিজ করে আগেই রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজভবনের বিবৃতির পরেই ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদনও করেন তিনি। রাজ্যপাল নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় সংঘাতের পথে চলে যায় রাজ্য। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে ইতিমধ্যে নির্দেশ পৌঁছেছে, ওই সব অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। তাই তাঁরা বেতন ও ভাতা পাবেন না। আইনি পরামর্শ নেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এনিয়ে রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য কয়েকজন অধ্যাপককে ডেকে গত মাসে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকের অব্যবহিত পরই নিয়োগ করা হয় উপাচার্যদের। রাজ্যপাল নিজের পছন্দের অধ্যাপক অধ্যপিকাদের সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কেউ কেউ রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করলেও বেশিরভাগই তা গ্রহণ করেন। সোমবার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, “শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে করা এই অস্থায়ী নিয়োগ আইন মেনে হয়নি।” আরও বলা হয়েছে, “এই উপাচার্যদের নিয়োগ বৈধ নয়। তাই তাঁরা পারিশ্রমিক ও ভাতা তুলতে পারবেন না। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাঁধল নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Aanand Bose)। সেই রিপোর্ট না পাঠানোয় রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল এবং ২৩ মে দু দফায় চিঠি দেওয়া হয় উপাচার্যদের। তার পরেও মেলেনি জবাব। তার জেরে এবার পাঠানো হল শো-কজ নোটিশ। কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই খবর।

    রাজ্যপালের (CV Aanand Bose) নির্দেশিকা

    সম্প্রতি রাজভবনের (CV Aanand Bose) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন কিংবা ইমেলে কথা বলতে পারবেন।

    রাজ্যের প্রতিক্রিয়া

    রাজ্যপালের এহেন ‘আচরণ’ ভালভাবে নেয়নি নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল এই নির্দেশিকা জারি করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, উনি ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেবেন। শিক্ষামন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, উপাচার্যরা কাজ না করে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে যাবেন নাকি?  

    আরও পড়ুুন: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    উপাচার্যদের কাছ থেকে কোনওরূপ সাড়াশব্দ না পেয়ে ২৩ মে ফের একবার তাঁদের চিঠি দেন রাজ্যপাল (CV Aanand Bose)। আগের নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়, সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতেই হবে। তার পরেও উপাচার্য সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাননি। এর পরেই ওই ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করেন রাজ্যপাল। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এটা আগের চিঠিরই পুনরাবৃত্তি। যা করার তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। যে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করা হয়েছে, সেগুলি হল, পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত স্টেট ইউনির্ভাসিটি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল এবং সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা (Education) ব্যবস্থার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত বেড়েছে। রাজ্যপালের এই সারপ্রাইজ ভিজিটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এহেন আবহে সোমবার রাজভবনে রাজ্যের পাঁচ শিক্ষাবিদকে নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, কাজল দে এবং শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল জাতীয় শিক্ষানীতি (Vice Chancellor)। ডিস্টেন্স লার্নিং ও রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়েও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রকে নো কনফ্লিক্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সকলের জন্য লাইব্রেরি, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত করা ও ভাবনা-চিন্তা আদানপ্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

    উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগে সার্চ কমিটি…

    এদিকে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অর্ডিন্যান্স তৈরির জন্য সোমবার অনুমোদন মিলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার (Vice Chancellor)। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটিতে তিনজনের পরিবর্তে থাকবেন পাঁচজন সদস্য। ইউজিসির প্রতিনিধিকেও ফিরিয়ে আনা হবে। থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। সেই মতোই পাশ হয়েছে অর্ডিন্যান্স। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সেখানকার সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে বসতে হলে প্রফেসর হিসেবে অন্তত ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। চন্দন বসুর তা নেই। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁকা রয়েছে উপাচার্যের পদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদও শূন্য হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্যের (Vice Chancellor) নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এবার তিনি কী করেন, তা দেখার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বা তিনি কী করেন, সেটাও দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Recruitment Case) নয়া মোড়!

    এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রায় ১২ জন তদন্তকারীর একটি দল উপাচার্যের কোয়ার্টার ও দফতরে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, সুবীরেশের দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেও হানা দেন সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক।

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুবীরেশ ছিলেন ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। বাগ কমিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাই দেননি ২২২ জন। এনিয়ে চলছিল বিচারবিভাগীয় তদন্ত। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সুবীরেশের দুই ডেরায় হানা দেয় সিবিআই। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সুবীরেশ। তার পরে পরেই উত্তরবঙ্গে তাঁর কোয়ার্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এদিকে এদিনই সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট।

    আরও পড়ুন : এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রচুর সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। পার্থর দাবি, ওই টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্পিতারও দাবি, টাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পার্থর লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে আসতেন। পার্থ গ্রেফতার হতেই উঠে আসে সুবীরেশের নামও। সিবিআই সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুবীরেশকে জেরা করলেই হাতে আসবে অনেক অজানা তথ্য। তাই তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণেই এবার সুবীরেশের ডেরায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share