Tag: vice presidential election

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

  • Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরী (Vice-Presidential Election) ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড (BJP Parliamentary Board Meeting)। সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেই দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। জানা যাচ্ছে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীরা উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়নে অংশ নেবেন। দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড।

    কবে, কীভাবে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    এনডি-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ২১ অগাস্ট মনোনয়ন জমা দেবেন। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ৭ অগাস্ট নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত এবং নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ১৭-তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ইলেক্টোরাল কলেজ দ্বারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ

    উল্লেখ্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সভার কাজ করার পর জগদীপ ধনখড়ের আশ্চর্যজনক পদত্যাগের পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে লেখা চিঠিতে ধনখড় স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন।

    বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অন্য বিষয়

    নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কৌশলগতভাবে তার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে, যাতে ভোটের সর্বাধিক সমর্থন নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বিজেপি তার দুই কক্ষের সাংসদদের দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মশালা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্বোধন করবেন বিজেপি জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই নিয়েও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেশনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা, যাঁরা সাংসদদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশ দেবেন। কর্মশালায় পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক এবং সাংসদদের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান আবশ্যিক

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের দিন সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এনডিএ শরিক দলের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদদের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির বৈঠক সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কর্মশালার অংশ হিসেবে থাকবে একটি ‘মক ভোটিং’ বা অনুশীলনী ভোটাভ্যাস, যেখানে প্রথমবার নির্বাচিত এবং তরুণ সাংসদদের ভোটদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। কৌশলগতভাবে, এনডিএ-র পরিকল্পনা হল সাংসদদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে সেই দলে শরিক দলের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া, যাতে ৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সাংসদদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

    একমত হওয়ার চেষ্টা

    সরকারের পরিকল্পনার আরও একটি দিক হল—সেইসব দলগুলিকে কাছে টানা যারা অতীতে নিরপেক্ষ বা নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডি, যারা প্রার্থীর প্রোফাইল দেখে অতীতে এনডিএ-র প্রার্থীদের সমর্থন করেছে। এখনও পর্যন্ত এনডিএ বা বিরোধী পক্ষ কেউই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় সদন নেতা জে পি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু – এই শীর্ষ মন্ত্রীরা বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন একটি ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে। তবে বিরোধী পক্ষের ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের প্রেক্ষিতে এনডিএ-র সঙ্গে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। বিরোধী দলগুলিও নিজস্ব প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

    জয় নিশ্চিত

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি। জগদীপ ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটের আগে আগামী সপ্তাহে এনডিএ সাংসদদের ওই মেগা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ এনডিএ শিবিরের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। সেখানেই প্রার্থীর নাম জানানোর কথা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই দু-দুবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। গত বৈঠকেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে শরিক নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। এদিন শরিক নেতৃত্ব সেই প্রধানমন্ত্রী ও নাড্ডার ওপর প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ-র সকল শরিক একমত হয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও জেপি নাড্ডার উপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সবার মত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হবে।

     

     

     

     

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

LinkedIn
Share