Tag: Vijaya Dashami

Vijaya Dashami

  • Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    Durga Puja 2025: দশমীর দিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু বধূরা, কবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর অপেক্ষার পর মহালয়া শুরু হলেই চারদিকে পুজো পুজো (Durga Puja 2025) গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আনন্দে মেতে ওঠে মন। আর দশমী আসা মানেই মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দশমী মানেই বিজয়া। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠানোর শুরু হয় তোড়জোড়। আর এই সূত্র ধরেই সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন বাড়ির বধূরা। বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।

    সিঁদুর খেলার প্রচলন কবে? (Durga Puja 2025)

    সিঁদুর খেলার (Sindoor Khela) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর (Durga Puja 2025) খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে সিঁদুর খেলা

    পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। পুরাণ মতে সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    সিঁদুর খেলায় (Sindoor Khela) মেতে ওঠেন সকলে

    বারোয়ারি মণ্ডপ (Durga Puja 2025) হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা, প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয়, তাঁদেরকেও দেখা যায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মণ্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া (Sindoor Khela) না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

  • Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Dusshera 2025: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে (Vijaya Dashami) বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Dusshera)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন (Akal Bodhan) করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ (Lord Ram Kills Ravana) করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা (Durga Puja 2025)। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার (Dusshera) দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা (Dusshera)। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার (Dusshera) মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)। দশমী মানেই দুর্গাপুজোর শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রাত পর্যন্ত মণ্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি-সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌। অপেক্ষা আসছে বছরের। বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে, যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে বিজয়া দশমী (Durga Puja 2025) বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি উল্লেখযোগ্য। রানি রাসমণির জামাতা মথুরবাবু এক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025) বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবী মা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন, এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    মহিষাসুর বধ, দেবকূল মাতে উৎসবে (Bijoya Dashmi)

    দশমী (Durga Puja 2025) ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভাপুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনি আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতাকূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি (Vijaya Dashami)

    অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী-নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ। ৫১টি অংশে সতীর মৃতদেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য শিব বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবতকন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2025) দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই এই দিনটি পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এই তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয়প্রাপ্ত করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি (Vijaya Dashami) দেখা যায়।

  • Rajnath Singh: বিজয়া দশমীতে চিন-সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে অস্ত্র পুজো রাজনাথের

    Rajnath Singh: বিজয়া দশমীতে চিন-সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে অস্ত্র পুজো রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দশমীর দিন অরুণাচল প্রদেশের অস্ত্র পুজোয় অংশ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এর পাশাপাশি চিন সীমান্তও পরিদর্শন করেন তিনি। নিজের ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘দশেরা হল অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির বিজয়।’’ এদিন অরুণাচল প্রদেশে ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে শহীদ জওয়ান সুবেদার যোগিন্দর সিং এর স্মৃতিসৌধের শ্রদ্ধার্ঘ্যও নিবেদন করেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং জেলারেল আর পি কালিতা  সমেত সেনাবাহিনীর অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা।

    গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন অসমে

    প্রসঙ্গত দুদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে অরুণাচল প্রদেশে পৌঁছান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। গত ২৩ অক্টোবর দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) ছিলেন অসমে। গতকালই অসমের তেজপুরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখানকার স্থানীয় মেঘনা স্টেডিয়ামে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে নৈশভোজও সারেন তিনি। জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারা দেশকে এক হওয়ার বার্তাও দেন রাজনাথ। পাশাপাশি জঙ্গি দমনে যেন সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও সজাগ থাকতে বলেন তিনি।

    দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে সেনারও

    রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) গতকাল তাঁর ভাষণে জানান, প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিনটা তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গেই কাটান। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব সারা বিশ্বে বিখ্যাত। ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছে, ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে ভারতের স্থান হবে তৃতীয়।’’ দেশের অর্থনীতির এমন উন্নয়নে সেনাবাহিনীরও যে অবদান রয়েছে, তাও নিজের বক্তব্যে বলেন রাজনাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহাদশমী (MahaDashami)। মায়ের বিদায়বেলা। এই দিনটি উত্তর ভারতে দশেরা (Dussehra) নামে পরিচিত। আর তাই দশেরার প্রাক্কালেই ভারতের জনসাধারণকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর বার্তায় তিনি বলেন, “বিজয়াদশমীর শুভ তিথি উপলক্ষ্যে আমি সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।”

    এদিন অধর্মের প্রতীক রাবণকে বধ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন রাম। আবার এই তিথিতেই অশুভ শক্তিরূপী মহিষাসুরের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করে শুভ শক্তিকে জাগ্রত করেন দেবী দুর্গা। এ কারণে দশমী তিথিটি বিজয়া দশমী নামেও পরিচিত। ফলে আজ দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তাতেও মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের কথা উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    তিনি তাঁর বার্তায় বলেন, মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের, অনৈতিকতার ওপর নৈতিকতার জয়ের প্রতীক হিসেবে সারা ভারতে বিজয়াদশমী পালিত হয়। উত্তর ভারতে এটি ‘দশেরা’ হিসাবে পালিত হয় এবং রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয় ‘রাবণ দহন’-এর মাধ্যমে দেখানো হয়। শ্রী রামজির আদর্শ, আচার-আচরণ এবং গুণের বার্তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। পূর্ব ভারতে, এই দিনে ‘দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন’ অনুষ্ঠান উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। এইভাবে এই উৎসব ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

    তিনি আরও বলেন, “আমি কামনা করি এই উৎসব আমাদেরকে নৈতিকতা, সত্য ও কল্যাণের শাশ্বত জীবন মূল্যবোধকে ধারণ করতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত করুক।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share