Tag: Vikram sarabhai initiated india’s space program

Vikram sarabhai initiated india’s space program

  • Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথিতযশা বিজ্ঞানী (Scientist) তথা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi of Indian Science)। যাঁর সম্পর্কে তিনি একথা বলেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ডাঃ বিক্রম সারাভাই (Vikaram Sarabhai)। ভারতীয় বিজ্ঞানের পথিকৃত। ১২ অগাস্ট হয়ে গেল তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী।

    ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদে এক শিল্পপতির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। গুজরাটের কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। পরে চলে যান কেমব্রিজে। ১৯৪০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারাভাই ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটেশ রমণের অধীনে আইআইএসসিতে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৪৫ সালে ফের চলে যান কেমব্রিজে। সেখানে কসমিক রে ইনভেস্টিগেশন ইন ট্রপিক্যাল শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দেন সারাভাই। এরপর ফের দেশে ফেরেন এই প্রবাদপ্রতীম বিজ্ঞানী। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর যখন ২৮ বছর বয়স, তখনই গুজরাটে তিনি গড়ে তোলেন উন্নতমানের ফিজিক্স-ল্যাব। ১৯৬২ সালে আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব ভূমিকা নেন সারাভাই।

    আরও পড়ুন : ভাল আছেন রুশদি, এবার হুমকি দেওয়া হল হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    ছয়ের দশকের গোড়ায় ভারতে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণা। ওই সময়ই আমেরিকার স্যাটেলাইট সিনকম-৩ এর সাহায্যে টোকিও অলিম্পিকের লাইভ ট্রান্সমিশন হয়। ইসরোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি দেখেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। রাশিয়া প্রথম কৃত্রিম আর্থ স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পরেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বস্তুত তিনিই ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার কোনও আগ্রহ নেই। দেশের নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। দেশের প্রযুক্তি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও প্রয়োজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী।

    আরও পড়ুন :গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

     

LinkedIn
Share