Tag: violence

violence

  • Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ২ মে, ২০২১। আজ থেকে চার বছর আগে সপ্তদশ বিধানসভার নির্বাচনী ফল ঘোষণা হয়েছিল। দুপর ১ টার মধ্যেই নির্বাচনী ফলে স্পষ্ট হয় যে পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে (Post Poll Violence) পরাজিত হয়েছিলেন। শাসক দলের নেতা-কর্মীরা “ঠিক ঠিক খেলা হবে এই মাটিতেই খেলা হবে” গান বাজিয়ে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে দেয়। এরপর শুরু হয় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এবং হিংসালীলা (West Bengal)। বিজয় মিছিলের নামে বিজেপি কর্মী, আরএসএসের স্বয়ংসেবক এবং সাধারণ নিচুতলার হিন্দুদের টার্গেট করে শুরু হয় প্রশাসনিক মদতে সন্ত্রাস। তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, জয় নিশ্চিত বুঝেই নিজের মেয়ে মমতার হাতেই হিন্দু বাঙালিদের চরম অত্যাচারের শিকার হতে হয়। টানা হিংসায় মে মাসেই খুন করা হয় ২২ জনের বেশি মানুষকে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা

    দুপুর ২ টোর মধ্যেই কাঁকুড়গাছি রেলকলোনিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলা করে ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাড়িতে নিজের মা-দাদার সামনেই পাথর দিয়ে থেঁতলে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। বাড়িতে গৃহপালিত কুকুরগুলির গলায় ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা মেরে গোটা বাড়ি তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় দেদার লুটপাট। মৃত্যুর পর ৪ বছর কেটে গেলও, হাইকোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু দোষীরা এখনও সাজা পায়নি। শাসক দলের নেতা বলে দোষীদের টিকিও ছুঁতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।

    শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাস

    তখন রাত ৮টা। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাসে গোটা গ্রাম আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছিল। কৃষ্ণনগর শহরের কাছেই বাড়ি ছিল পলাশ মণ্ডলের। পেশায় দিন মজুর ছিলেন। প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন। নির্বাচন চলাকালীন মমতার দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থান নেই বলে বিক্ষোভ সভায় বিজেপি মঞ্চের বাঁশ বেঁধেছিলেন তিনি। এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য লিফলেটও বিলি করেছিলেন। ফল প্রকাশের আগেও হুমকি দিয়েছিল এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হুমকি উপেক্ষা করে তবুও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিনে রাত ১১ টায় বাড়িতে বড় বড় দা, তলোয়ার নিয়ে হামলা করে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। ভয়ে পলাশ নিজের বউ আর দুই মেয়েকে নিয়ে চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন। ঘরের টিন কেটে দুর্বৃত্তরা ঢুকে নীচ থেকে মারতে মারতে পলাশকে টেনে হিঁচড়ে বের করে (West Bengal)। এরপর শুরু হয় ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে এলোপাথাড়ি কোপ। শেষে যাওয়ার সময় কানের কাছে মাথায় গুলি করে যায় হত্যাকারীরা। সব কিছু শেষ হয়ে যায়! পরিবারে একমাত্র রোজগার করতেন পলাশ। কীভাবে চলছে পলাশের ফেলে যাওয়া সংসার জানেন? স্ত্রী এখন লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। আর ভয়-আতঙ্কে এখনও নিজের বাড়িতে ঢুকতে ভয় পান (Post Poll Violence)।

    ৭১ জনকে হত্যা

    ওই বছর ২ মে থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তালিকায় কোনও জেলা বাদ ছিল না। তৃণমূলের লাগাম ছাড়া অত্যচারে ১ লক্ষ মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর ঘরছাড়া হয়েছিল। মানুষ বাংলা ছেড়ে অসম, ঝাড়খণ্ডে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। ৪০ হাজার মানুষের বাসস্থানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সওকত মোল্লা, শেখ শাহজানের নেতৃত্বে তৃণমূলী গুণ্ডারা হিন্দুদের দোকান, বাড়ি, ফসলের ক্ষেতে বুলডোজার চালিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নন্দীগ্রামে এক মহিলা শুধুমাত্র হিন্দু বলে ধর্ষণ করা হয়। অত্যাচারের মাত্রা লাগাম ছাড়া ছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম এবং কোচবিহার জেলায়। দোষীদের একজনেরও সাজা হয়নি। দেখে নিন জেলা ভিত্তিক মৃতদের তালিকা –

    ভোটপরবর্তী হিংসায় মৃতের নাম, স্থান এবং তারিখ

    বাঁকুড়া (৩ জন)

    ১। অরূপ রুইদাস, ইন্দাস,  ৩ মে ২০২১

    ২।  কুশ ক্ষেত্রপাল, কোতলপুর, ৮ মে ২০২১

    ৩। গৌর দাস, বিষ্ণুপুর, ১৬ মে ২০২১

    বীরভূম (৫ জন) (Post Poll Violence)

    ৪। গৌরব সরকার, বোলপুর,  ২ এপ্রিল ২০২১

    ৫। জাকির হোসেন, ময়ূরেশ্বের,  ৮ মে ২০২১

    ৬। প্রসেঞ্জিৎ দাস, রামপুরহাট, ২৩ মে ২০২১

    ৭। মনোজ জসওয়াল, নলহাটি, ৬ মে ২০২১

    ৮। মিঠুন বাগদি, ১৪ জুন ২০২১

    কোচবিহার (১৪ জন) (West Bengal)

    ৯। মিঠুন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১০। মানিক মৈত্র, শীতলকুচি, ৩ মার্চ ২০২১

    ১১। হারাধন রায়, দিনহাটা, ৪ মার্চ ২০২১

    ১২। ধীরেন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৪ মে ২০২১

    ১২। অলোকলতা মণ্ডল, তফানগঞ্জ, ২৫ মে ২০২১

    ১৪। অনিল বর্মণ, শীতলকুচি, ২৯ মে ২০২১

    ১৫। শ্রীধর দাস, দিনহাটা, ২৩ জুন ২০২১

    ১৬। আনন্দ বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১৭। রবিন বর্মণ, শীতলকুচি, ৪ মে ২০২১

    ১৮। বিশ্ব বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ১৯। বিপুল রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২০। বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২১। বীরেন্দ্রনাথ রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২২। ফারুখ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ, ৪ মে ২০২১

    হুগলি (২ জন)

    ২৩। রবি হরি, আরামবাগ, ৪ জুন ২০২১

    ২৪। সুকুমার মণ্ডল, কৃষ্ণরামপুর, ৭ মে ২০২১

    হাওড়া (১ জন)

    ২৫। গুড্ডু চৌরাসিয়া, শিবপুর, ১০ মে ২০২১

    জলপাইগুড়ি (১ জন)

    ২৬। সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ি, ২ মে ২০২১

    ঝাড়গ্রাম (২ জন)

    ২৭। কিশোর মান্ডি, বিনপুর, ৫ মে ২০২১

    ২৮। তারক সাহু, ঝাড়গ্রাম, ৩১ মার্চ ২০২১

    কলকাতা (২ জন)

    ২৯। অভিজিৎ সরকার, কাঁকুড়গাছি, ২ মে ২০২১

    ৩০। নাম পাওয়া যায়নি, অন্বেষা বেরা অভিযোগ করেছেন।

    মালদা (৩ জন)

    ৩১। মনোজ মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩২। চৈতন্য মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩৩। দেবাশিস সরকার, গাজোল, ২ মে ২০২১

    নদিয়া (৫ জন)

    ৩৪। উত্তম ঘোষ, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৫। ধর্ম মণ্ডল, চাপড়া, ৬ মে ২০২১

    ৩৬। সাগর মাঝি, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৭। দিলীপ কীর্তনিয়া

    ৩৮। পলাশ মণ্ডল, কৃষ্ণনগর, ১৩ মে ২০২১

    উত্তর ২৪ পরগনা (১৩ জন)

    ৩৯। শোভারানী মণ্ডল, জগদ্দল, ৩ মে ২০২১

    ৪০। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৪১। আকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ২ মে ২০২১

    ৪২। সন্তু মণ্ডল, নৈহাটি, ৩ মে ২০২১

    ৪৩। জ্যোৎস্না মল্লিক, বারাসাত, ১২ মে ২০২১

    ৪৪। রোহিত প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ জুন ২০২১

    ৪৫। রোহিত প্রকাশ, ভাটপাড়া, ০৬ জুন ২০২১

    ৪৬। শিবনাথ বারুই, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৭। জয়দেব মিস্ত্রি, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৮। বিক্রম ঢালি, মিনাখাঁ, ৬ মে ২০২১

    ৪৯। জয়প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ মে ২০২১

    ৫০। প্রসেঞ্জিত দাস, বাগুইহাটি, ২৩ মে ২০২১

    ৫১। রঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    পশ্চিম মেদিনীপুর (১ জন)

    ৫২। বিশ্বজিত মাহেশ, স্বয়ং, ৪ মে ২০২১

    পূর্ব বর্ধমান (৬ জন)

    ৫৩। বলরাম মাঝি, কেতুগ্রাম, ৫ মে ২০২১

    ৫৪। কাকলি ক্ষেত্রপাল, জামালপুর, ৩ মে ২০২১

    ৫৫। নারায়ণ দে, বর্ধমান, ৬ মে ২০২১

    ৫৬। দুর্গা বালা, রাইনা, ৩ মে ২০২১

    ৫৭। বাবুল দাস, রাইনা, ৮ মে ২০২১

    ৫৮। সোম হাঁসদা, ভাতার, ২৩ জুন ২০২১

    পূর্ব মেদিনীপুর (২ জন)

    ৫৯। দেবব্রত মাইতি, নন্দীগ্রাম, ১৩ মে ২০২১

    ৬০। দেবাশিস শীল, তমলুক, ২৩ মে ২০২১

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১ জন)

    ৬১। সৌরভ বর, মথুরাপুর, ২ মে ২০২১

    ৬২। রাঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    ৬৩। অরিন্দম মিদ্দে, ডায়মন্ড হারবার, ১৫ মে ২০২১

    ৬৪। প্রদীপ বৈদ্য, বাসন্তী, ১৮ মে ২০২১

    ৬৫। নির্মল মণ্ডল, সোনারপুর, ২০ মে ২০২১

    ৬৬। রাজু সামন্ত, ডায়মন্ড হারবার, ২৮ মে ২০২১

    ৬৭। চন্দন হালদার, সাতগাঁছি, ২ জুলাই ২০২১

    ৬৮। ঊষা দাস, বজবজ, ৬ জুলাই, ২০২১

    ৬৯। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৭০। মানস সাহা, মগরাহাট, ২২ সেপ্টম্বর ২০২১

    ৭১। মিঠুন ঘোষ, রায়গঞ্জ, ১৮ অক্টোবর ২০২১

    এই সন্ত্রাসে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় (Post Poll Violence)। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। মানবাধিকার কমিশন, মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এসসি-এসটি কমিশন-সহ একাধিক সংস্থা হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে (West Bengal)। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে থানায় অভিযোগ বা মামলা গ্রহণ করেনি। নির্যাতিতরা অগত্যা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইমেল-এর মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দেলের রায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংন্থা এবং সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত এখনও চলছে, রাজ্য সরকার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতাও করেনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা এখনও উন্মুক্ত এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম। এই হিংসার পর থেকেই পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন এবং লোকসভার ভোটের পরও ভোট পরবর্তী হিংসা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের (West Bengal) রাজনীতিকরণ ১০০ শতাংশ সার্থক হয়েছে। এ রাজ্যে ভোটের অর্থ হল হিংসা, ধর্ষণ, খুন, অত্যাচার আর লুটপাট। রাজনীতিতে অত্যাচার এবং হিংসা কবে বন্ধ হবে তাও এই রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বড় প্রশ্ন (Post Poll Violence)।

  • Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ফাঁস রহস্যের পর্দা! বাবা-ছেলে খুনে ধৃত ‘মূল চক্রী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় (Murshidabad Violence)। ওই ঘটনায় বিজেপি-আরএসএসকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন (Murder Case) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় খুন করা হয়েছিল হিন্দু প্রতিমা শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। ওই ঘটনায় ‘মূল চক্রী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই হিন্দু খুনের মূল চক্রী তিনিই।

    ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’! (Murshidabad Violence)

    জিয়াউল গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেত্রী যে ‘কষ্ট কল্পিত বহিরাগত তত্ত্ব’ খাড়া করতে চেয়েছিলেন, তারও পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে জিয়াউলের গ্রেফতারির পর। মমতা স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী। সেই পুলিশই বলছে, ধৃতের বাড়ি শামসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। খুনের ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুই হিন্দু খুনের ঘটনায় এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা গিয়েছে, বাবা-ছেলে খুনে ধৃত তিনজকে জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের নাম জানতে পারে। তার পরেই ওই রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জিয়াউলকে। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।

    বহিরাগত তত্ত্ব আওড়ানোর কারণ

    জিয়াউলের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইনজামাম হক নামে একজনকে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবা-ছেলে খুনের পর ঘটনার অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বহিরাগত তত্ত্ব আওড়াচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আঙুল তুলেছিলেন বিএসএফ, বিজেপি এবং আরএসএসের দিকে। যেহেতু তিনি পুলিশ মন্ত্রী, তাই পুলিশি ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে (Murshidabad Violence)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই তিনি করেছেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জিততে তৃণমূল নেত্রীর প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সব ভোট। সেই (Murder Case) কারণেই তিনি ‘মিথ্যা’র আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের (Murshidabad Violence)।

  • Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”

    হিন্দু নির্যাতন

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।

  • Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Act Violence) আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলায় মোতায়েন করা (BJP) হয়েছে প্রায় ৮ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে ডিজি স্তর থেকে অতিরিক্ত এসপি পর্যন্ত পদস্থ কর্তাদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ (Anti Waqf Act Violence)

    কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়ার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে “গুরুতর ও অস্থিতিশীল” বলে অভিহিত করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের।

    বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারেরও দাবি, হিংসার মধ্যেই ধুলিয়ানের একাধিক পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে একাধিক পরিবারকে চরমপন্থী মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের হয়রানির কারণে মালদার পার্লালপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সময়েও স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে (BJP)। স্বাধীন ভারতের মাটিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বিভীষিকাময় দেশভাগের ইতিহাসের সাক্ষী বানাচ্ছেন (Anti Waqf Act Violence)।”

  • Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো! আর হিংসার আগুনে যখন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) পুড়ছে, তখন চা পানে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের ইউসূফ পাঠান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলার রাজনীতিতে (BJP)।

    জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশ। খুন হয়েছেন তিনজন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টহল দিচ্ছে বিএসএফও। এমতাবস্থায় রবিবার বহরমপুরের সাংসদ ইউসূফ পাঠানের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তিনি মনের সুখে চা পানে ব্যস্ত। পোস্টে লিখেছেন, “আরামদায়ক বিকেলে চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।”

    পদ্মের নিশানায় তৃণমূল

    একজন সাংসদের এহেন পোস্টে যারপরনাই চটেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে ভোটব্যাংকের অঙ্কে ইউসূফকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে জেতার পর প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের সাংসদের দায়িত্ব ভুলে মজা করছেন।” যদিও হিংসা কবলিত এলাকার সিংহভাগ অংশই ইউসূফের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে সেই জায়গাগুলো তাঁর কেন্দ্র লাগোয়া। তার জেরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও থেকে ইউসূফ পাঠান নামে একজন ক্রিকেটারকে তুলে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তাঁর ভোটব্যাংক ইউসূফকে বহরমপুরে (Murshidabad Violence) জয়ী করেছিল। আজ যখন বাংলা জ্বলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে, ইউসূফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন…এটাই তৃণমূলের অগ্রাধিকার…দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে আর পাঠান সাহেব চা পান করবেন এবং আনন্দ উপভোগ করবেন।”

    এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহজাদ পুনাওয়ালা লিখেছিলেন, “বাংলা জ্বলছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না এবং তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ নীরব থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে হিংসাকে উৎসাহিত করছেন! আর ইতিমধ্যে ইউসূফ পাঠান – এমপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং হিন্দুদের হত্যার মুহূর্তটি উপভোগ করছেন…এটাই টিএমসি।”

    রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইউসূফ পাঠান একজন ক্রিকেটার। কোনও রাজনীতিক নন। তাঁকে বহরমপুরে তৃণমূল কেন টিকিট দিয়েছিল শুধু তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টাকে ব্যবহার করার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ইউসূফের সঙ্গে রাজনীতির বা মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনের তাপ-উত্তাপের কোনও সম্পর্কই নেই। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হাওয়া ছবি থেকেই সেটা পরিষ্কার।” তিনি বলেন, “তৃণমূল শুধু মুসলমান ভোটব্যাংক সংহত রাখতে রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রাজনীতি করে না (BJP)। তারই প্রমাণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদের এই ছবি (Murshidabad Violence)।”

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াপ্রেমীদের ওপর হিংসার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে (Mhow Violence Case), তাদের মধ্যে রয়েছে তায়্যুব, বাবলু, গোলু, আহমেদ দরবারি, পাপ্পু, আজহার নূর, জামশাদ রেইন, আবদুল রশিদ কুরেশি ওরফে মালাও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারাগুলি বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, আঘাত করা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এফআইআরে নাম রয়েছে আনিস, শেরু, লাল্লু, সৈয়দ নাজিম, ইমরান, আফজল, সোহেল, রফিক এবং আর একজন ইমরান সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের (MP)।

    জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল (Mhow Violence Case)

    গত ৯ মার্চ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মহোয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল বের করেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিল এলাকার একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিংসার ঘটনা ঘটে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা (Mhow Violence Case)। তাঁদেরই কয়েকজনের পড়ে থাকা বাইকে এবং বাসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুদের কয়েকটি দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অভিযোগকারীর মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য মিছিলে থাকা লোকজনের উদ্দেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করছিল।

    ‘আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব’

    তারা বারবার চিৎকার করে বলছিল, “আমরা এ জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। তোমরা চিৎকার করবে, আনন্দ করবে, আর আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব।” মিছিলে থাকা লোকজন এর প্রতিবাদ করলে, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকজন আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে মিছিল লক্ষ্য করে। ইটের ঘায়ে জখম হন মিছিলে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী। অভিযোগকারী স্বয়ং কাঁধে চোট পেয়েছেন। অভিযোগকারী বলেন, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকগুলো বলছিল আজ তোমরা বেঁচে গেলে। কিন্তু এর পর আমাদের সামনে আর কখনও কোনও শোভাযাত্রা করলে তোমাদের একেবারে শেষ করে দেব।” ইন্দোরের (MP) পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “গত রাতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৭ জনের নাম রয়েছে। আমরা ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছি (Mhow Violence Case)।”

  • Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভলের (Sambhal-Violence) মসজিদ জরিপ চলাকালীন উগ্র মুসলিম জনতার হামলার ঘটনায় তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলের নির্দেশে গত ২৪ নভেম্বরের হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন (Judicial panel) গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় এই মসজিদে হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, মসজিদ হল হিন্দু দেবতা হরিহরের মন্দির। বাবরের সময়ে এই মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।

    চার জন মারা যান এবং বেশ কিছু পুলিশ কর্মী আহত (Sambhal-Violence)

    জানা গিয়েছে, সম্ভলের (Sambhal-Violence) কোট গারভি এলাকায় শাহি জামা মসজিদের জমি বিবাদ নিয়ে আদালতের নির্দেশে জরিপের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু গত রবিবার সমীক্ষা করতে গেলে সরকারি কর্মচারী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর ব্যাপক পরিমাণে ইট-পাথর ছোড়ে মুসলিম দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। একই ভাবে হিংসাত্মক হামলায় চার দুষ্কৃতী মারা যায়। তবে এই মন্দিরের একটি পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, মসজিদ আদতে হরিহর মন্দির ছিল। মুসলমান শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিত নির্মাণ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করার নির্দেশ

    ২৮ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “ঘটনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং বিস্তৃত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।” জানা গিয়েছে, এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনে (Judicial panel) থাকবেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার আরোরা। সেই সঙ্গে বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অমিত মোহন প্রসাদ এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার অরবিন্দ কুমার জৈন। ২৪ অক্টোবর সুপরিকল্পিত ভাবে হিংসার ঘটনা (Sambhal-Violence) ঘটানো হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে হিংসার ঘটনা ২৪ অক্টোবর ঘটলেও তার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯ অক্টোবর থেকেই। ফলে এই প্ররোচনা এবং ষড়যন্ত্রের পিছনে ঠিক কারা কারা যুক্ত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সংঘর্ষের (Sambhal Violence) জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ বিজেপির গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর মতে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত, গোধরার মতো।

    মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের (Sambhal Violence)

    রবিবার মুঘল আমলে তৈরি জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। সেই সময় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। জখম হন ২০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার মৃত্যু হয় জখম হওয়া আরও একজনের। অশান্তির আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এলাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হয়েছে।

    তদন্তের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, হিংসার ঘটনার কারণ জানতে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ সাতটি এফআইআর দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ক এবং স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ইকবাল মাহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালকে। এদিকে, সম্ভল মসজিদ কমিটি অশান্তির জন্য দায়ী করেছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    ঘটনার (Sambhal Violence) নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাটি বিরোধীদের কারণে ঘটেছে। তারা দেশকে পুড়িয়ে দিতে চায়। সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। গিরিরাজ বলেন, “বিরোধীদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল, গোধরাকাণ্ডের মতো।” তিনি আরও বলেন, “এটি সমীক্ষক দলের ওপর আক্রমণ ছিল না। আক্রমণ ছিল ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের ওপর। তারা (পড়ুন বিরোধীরা) দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চায়। তারা সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। যারা মারা গিয়েছে তারা হামলাকারীদের গুলিতে মারা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে নয়। ময়নাতদন্ত থেকেই এটা পরিষ্কার।” মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, “দেশ এটা সহ্য করবে না (Sambhal Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share