Tag: Vipulgiri

  • Rajgir: বিশ্বশান্তি স্তূপ, সপ্তপর্ণী গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ! ঘুরে আসুন রাজগীর

    Rajgir: বিশ্বশান্তি স্তূপ, সপ্তপর্ণী গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ! ঘুরে আসুন রাজগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় নাম ছিল রাজগৃহ (Rajgir)। রত্নগিরি, বিপুলগিরি, বৈভবগিরি, শোনগিরি, উদয়গিরি-এই পাঁচটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তাই কেউ কেউ একে ‘পাঁচ পাহাড়ের দেশ’ বলেও অভিহিত করেন। আর আপামর পর্যটকদের কাছে এর পরিচিতি ‘রাজগীর’ নামে। মগধরাজ জরাসন্ধের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। সম্রাট অশোকের পিতা সম্রাট বিম্বিসারের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। পরবর্তী কালে সম্রাট অশোক এখান থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন তৎকালীন পাটলিপুত্র, বর্তমানের পাটনাতে। ভগবান বুদ্ধ তাঁর জীবনের ১২টি বসন্ত কাটিয়েছেন এখানে। নালন্দার কাছে কুন্দলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর। সেই অর্থে রাজগির হল বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুগামীদের জন্য এক পবিত্র তীর্থস্থান।

    বিশ্বশান্তি স্তূপ (Rajgir)

    রাজগীরের সেরা আকর্ষণ হল গৃধ্যকুট পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিশ্বশান্তি স্তূপ। গৌতম বুদ্ধের স্মরণে জাপানের বৌদ্ধ সঙ্ঘ এই বিশ্বশান্তি স্তূপ নির্মাণ করেন। রাজগীরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণগুলি। বৈভব পাহাড়ের পাদদেশে ব্রহ্মা মন্দিরের পাশেই এই উষ্ণ প্রস্রবণ। অনেকেই মনে করেন, এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ থাকায় এই জলে স্নান করলে বহু রোগের নিরাময় হয়। এর কাছেই জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্ক। এর বিপরীতে রয়েছে মনিয়ার মঠ। এটিকে অনেকেই ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও মহাভারতে বর্ণিত মণিনাগের মন্দির বা মনসা মন্দির বলেন। এখান থেকে একটু এগোলেই বাঁ দিকে মৃগ উদ্যান। আর সামান্য দূরে জরাসন্ধের রত্নাগার।

    সপ্তপর্ণী গুহা

    এর পরের দ্রষ্টব্য সপ্তপর্ণী গুহা। বৈভব পাহাড়ের এই গুহায় (Rajgir) বসেই লেখা হয়েছিল বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। এবার চলুন বেনুবন। একটি বিশাল সরোবরসহ এই সুন্দর বাগানটি ভগবান বুদ্ধকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন নৃপতি বিম্বিসার। এছাড়াও দেখুন ভীরায়তন মিউজিয়াম, রথচক্র দাগ, রণক্ষেত্র, জাপানি ও বার্মিজ টেম্পল, জৈন তীর্থঙ্কর আদিনাথের মন্দির, নওলখা মন্দির প্রভৃতি।

    নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

    রাজগীর ভ্রমণের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল নালন্দা দর্শন। রাজগীর (Rajgir) থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। এটিই হল নালন্দার প্রধান আকর্ষণ। এর প্রবেশ পথের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে মিউজিয়াম। এখানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া বিভিন্ন এবং অন্যান্য স্থানের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও আকর্ষণীয় জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়েছে। ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় রাজগীর থেকে ৩১ কিমি দূরে পাওয়াপুরি থেকেও। পাওয়াপুরির জল মন্দিরটি ভালো লাগবেই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Rajgir)

    যাতায়াত-কলকাতা-হাওড়া থেকে পাটনাগামী যে কোনও ট্রেন ধরে আসতে হবে পাটনার একটু আগে বখতিয়ারপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে যেতে হবে প্রায় ঘন্টা দেড়েক দূরে রাজগীর।
    থাকা খাওয়া-এখানে রয়েছে সারদা গ্রুপের বেশ কয়েকটি হোটেল। এর মধ্যে রয়েছে ১) হোটেল রাজলক্ষ্মী ২) মা সারদা লজ ৩) বঙ্গবাসী লজ ৪) হোটেল সারদা প্রভৃতি। যোগাযোগ-০৯৩৩৯৮৯৯৪৯৩, ০৯৪৩১৪৮৭৬৪৬। এদের কলকাতায় নিজস্ব অফিস আছে ৫বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট-এ। ফোন-৮৫৮২৯১৬৪৯৯, ৯৪৩৩৭৫২৭২৩, ৯০৫১২৪৮৫৫৭২। প্রসঙ্গত জানাই, এখানে বাস বা গ্রুপ পার্টির থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।

LinkedIn
Share