Tag: viral fever

viral fever

  • Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উপদ্রব বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের। এবার প্রকাশ্যে এল জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেই পেশায় চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রের পুণের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    জিকা ভাইরাস (Zika Virus)

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী কন্যা। জ্বর না সারায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত পিতা-পুত্রী। যদিও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। জিকা ভাইরাস ডিজিজ একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এই এডিস মশাই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ইয়োলো ফিভার। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

    রোগের লক্ষণ

    এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হালকা জ্বর হবে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেবে। মাথাব্যথা করবে। পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হবে। চোখের নীচে হবে প্রদাহ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোনও গর্ভবতী এই রোগে ভুগলে তাঁর শিশুর দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেল্থ অফিসার রাজেশ দিঘে বলেন, “৪৬ বছরের এক চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী মেয়ে যাঁরা পুণে শহরের এরান্ডওয়ান এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দুজনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের শরীরে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। ২১ জুন রিপোর্ট মেলে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতেই জানা যায়, তাঁর মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি।”

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    তিনি জানান, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে এলাকাবাসীকে তাঁদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৪৭ সালে, আফ্রিকার উগান্ডায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে (Heat Wave) নাজেহাল আট থেকে আশি! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে! তা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খাচ্ছেন আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছেন এসি ঘরে! আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষত, ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের।

    কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা (Heat Wave)?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে একাধিক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার জেরে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। এই গরমে অনেকেই কাশির সমস্যায় ভুগছে। বিশেষত শিশুদের কাশি হলে, তা দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে। তাছাড়া গরম (Heat Wave) থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসি ঘরে থাকছেন। তার ফলে, ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে। সর্দি হলে তা ভোগাচ্ছে বেশি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে লাখ লাখ শিশু নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। এই আবহাওয়া তাদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যে সব শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে, একাধিক আইসক্রিম খেলে, ফের ফুসফুসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি থাকছে। 

    কীভাবে সুস্থ রাখবেন বাচ্চাদের (Heat Wave)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে (Heat Wave) যেমন শরীর ঠান্ডা রাখার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি নজর দিতে হবে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার জন্য যেন ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় জর্জরিত হতে না হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, একাধিক আইসক্রিম একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ, তাতে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাইরে মারাত্মক গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার, এই বৈপরীত্য শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত, শিশুদের জন্য তাই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। 
    তাছাড়া ঠান্ডা পানীয় সম্পূর্ণ এড়িয় চললেই ভালো, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয় যে সব উপাদানে তৈরি, তাতে শুধু সর্দি-কাশির সমস্যা নয়, স্থূলতার সমস্যাও দেখা যায়। সর্দি-কাশির সাময়িক সমস্যার পাশাপাশি স্থূলতার মতো দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরি করে ঠান্ডা পানীয়। তাই শিশুদের সুস্থ রাখতে ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
    এসি ঘরে থাকার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। শিশুরা থাকলে, সেই ঘরের তাপমাত্রা কখনই ২৫-২৬ ডিগ্রির বেশি কমানো যাবে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তাছাড়া, অবশ্যই চাদর ব্যবহার করতে হবে। বিশেষত রাতে ঘুমনোর সময় এসি চললে, যাতে বাচ্চা চাদর ঢেকে ঘুমোয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া, একটানা এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে পরিমাণমতো জল ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে শিশুদের নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ানো দরকার। তাতে একদিকে গরমে ডিহাইড্রেশন, সান বার্নের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে, তেমনি তাদের আরাম হবে। পাশপাশি নিয়মিত তরমুজ, আমের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। আর সর্দি-কাশি হলে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে সংক্রমণ ফুসফুসের জটিলতা তৈরি করতে না পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে। গরমের আমেজ ইতিমধ্যেই হাজির। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় জেরবার বঙ্গবাসী। আর আবহাওয়ার এই যখন-তখন পরিবর্তনের জেরে সবচেয়ে গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। সর্দি-কাশি আর জ্বরে কাবু সকলেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু আর বয়স্কদের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে। বক্ষঃরোগের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। পাশপাশি শ্বাসনালীতেও সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস (Healthy Food) নিয়মিত সঙ্গী করলেই ভোগান্তির ঝুঁকি কমবে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    নিয়মিত সঙ্গী হোক মধু আর তুলসী পাতা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে দু’চামচ মধু আর তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে এই পরিবেশে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তুলসী পাতা এবং মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু আর তুলসী পাতা খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পাশপাশি, তুলসী পাতা ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত তুলসী পাতা (Healthy Food) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রত্যেক দিন প্রাতঃরাশের পরে অন্তত একখানা লেবু থাকুক (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া খুবই শুষ্ক। শীতের শেষ আর গরমের শুরুর এই সময়ে প্রত্যেক বছর একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়ে। নানান রোগে মানুষ কাবু হন। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে। তবে খালি পেটে লেবু খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবারের পরে নিয়মিত একটা করে লেবু (Healthy Food) খাওয়া দরকার। এর জেরে একদিকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার লেবুর রস শরীরে জলের জোগান দেবে। ফলে শুষ্ক আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে।

    ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তরকারিতে থাকুক এলাচ
     
    তরকারিতে অনেকেই এলাচ দেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ে। সুন্দর গন্ধ হয়। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়। এলাচ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত তরকারিতে এলাচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ (Healthy Food) খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এলাচ ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

    নিয়মিত চারখানা খেজুর কমাতে পারে ভোগান্তি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান‌ ঠিকমতো থাকলে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন ঘটলেও শরীরে রোগের প্রকোপ কম হয়। আর খেজুর থেকে সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ থাকে খেজুর (Healthy Food)। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই মরশুমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে নিয়মিত চারখানা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ হল সুষম খাবার। অর্থাৎ, শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান দুধে থাকে। আবার হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে এতে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। রাতে এই খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়। ফলে শরীরের হরমোন ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে রোগের দাপট, শিশুদের বাড়তি ঝুঁকি চিকেন পক্স

    Winter Disease: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে রোগের দাপট, শিশুদের বাড়তি ঝুঁকি চিকেন পক্স

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে‌। দুপুর বাড়তেই গরম লাগলেও, রাতে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর নিয়মিত এই তাপমাত্রার ওঠানামার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বাতাসে সক্রিয় হচ্ছে একাধিক ভাইরাস (Winter Disease)। আর তার জেরেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ বিশেষত শিশুদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই আবহাওয়া। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই রকমফেরের জেরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার জেরেই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আট থেকে আশি, সব বয়সীরাই এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। ভাইরাসঘটিত জ্বরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে। তবে, করোনার দাপট দেশ জুড়ে বাড়ছে। তাই এই সময়ে জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তবে, এই পরিবেশে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার এই ওঠানামার জেরে চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষত শিশুদের খুব দ্রুত এই ধরনের রোগে আক্রান্ত (Winter Disease) হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই এই আবহাওয়ায় শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় বিপদ এড়ানো‌ মুশকিল হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বছর শেষে নানান উৎসব উদযাপনে অনেকেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি। গরম পোশাক পরা দরকার। বিশেষত রাতে বাইরে থাকলে গলা, কান ঢেকে রাখা দরকার। যাতে হঠাৎ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন না হয়। কারণ, হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেকের শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়। তার জেরে কাশি-সর্দি-জ্বরের মতো একাধিক ভোগান্তি হয়। 
    খাওয়ার দিকেও বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার। বিশেষত শিশুদের খাবারে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু, কিউইয়ের মতো ফল খাওয়া দরকার। কমলালেবু, মাল্টা বা কিউই জাতীয় যে কোনও ফল দিনে একটা খেলে, শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, সর্দি-কাশির মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ে। রোগ (Winter Disease) প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই এই ধরনের ফল নিয়মিত খেতে হবে। 
    পাশপাশি এই আবহাওয়ায় একেবারেই আইসক্রিম খাওয়া চলবে না। উৎসবের মরশুমে অনেকেই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এক চামচ মধু খেলে শরীর ভালো থাকবে। পাশপাশি দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। পক্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।
    সবুজ সব্জি ও মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, দিন কয়েক টানা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।‌ করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি, মত বিশেষজ্ঞদের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adenovirus: ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিলিত রূপ ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’! এর ফলেই কী ভয়াবহ পরিস্থিতি?

    Adenovirus: ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিলিত রূপ ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’! এর ফলেই কী ভয়াবহ পরিস্থিতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাস মূলত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী, কিন্তু এখন করোনার মতই রূপ বদলে আরও বেশি সংক্রামক ও ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে। এখনও অবধি রাজ্যে তিনশোর বেশি আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি বহু। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কী কারণ তা নিয়েই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’

    জানা যাচ্ছে, মিউটেশন হয়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দু’টি স্ট্রেন বা সেরোটাইপের মিশ্রণের ফলে তৈরি হয়েছে ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’। এ বারের ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে এই ভাইরাস কতটা দায়ী, তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, পরিচিত অ্যাডিনো ভাইরাস কেন এতটা ভোগাচ্ছে, তা জানতে ৪০টির মত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিল নাইসেড। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভাইরাসের দু’টি স্ট্রেন ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিশে থাকার বিষয়টি। নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “আগেও রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু তখন সংখ্যায় কম থাকলেও এ বার অধিকাংশই তাতে আক্রান্ত। এই রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের মধ্যে অ্যাডিনো-৭ সেরোটাইপ আগেও ছিল। এর সঙ্গে মিশেছে অন্য সেরোটাইপ।” তিনি জানান, দু’টি সেরোটাইপ মিশ্রিত ভাইরাস কতটা ভয়াবহ, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    এক ভাইরোলজিস্টের মতে, মানুষের অ্যাডিনো ভাইরাসের সাতটি প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে ৬৮ প্রকার (সেরোটাইপ বা স্ট্রেন) অ্যাডিনো ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। আরও জানা গিয়েছে, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ মূলত ঘটায় অ্যাডিনো ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৭ সেরোটাইপ। এছাড়াও অ্যাডিনোভাইরাস শ্বাসনালি তথা ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রদাহ ছাড়াও পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালি তথা রেচনতন্ত্র এবং চোখের কনজাংটিভা-র সংক্রমণ ও প্রদাহেও পটু।

    আরও পড়ুন: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    বিশেষ নির্দেশিকা জারি পুরসভার

    এই নতুন ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হলে গতকাল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক করা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে এবং সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সব-কটিতেই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে।

    কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, কলকাতায় বাড়িতে বাড়িতে বাচ্চাদের জ্বর কেমন রয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করবেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। জ্বর-সর্দিকাশি হলেই শিশুদের হাসপাতালে বা  নার্সিং হোমে ভর্তি করতে বলা হয়েছে। শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না, তাই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে কোনও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। যাদের সমস্যা বেশি রয়েছে, তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের কাছে যাতে বড়রা দূরে থাকেন বা মাস্ক পরেন, তাদের সংস্পর্শে থাকেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।

  • Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ নামলেও, হঠাৎ যেন ছন্দপতন। আবহাওয়া বদলে (Weather Change) গেল। শীতের দাপট অনেকটাই কম। শনিবার রাত থেকেই আবার গুমোট ভাব। বাড়ছে তাপমাত্রা (Tempareture)। আর আবহাওয়ার এই হঠাৎ বদলেই বাড়বে বিপদ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা (Doctors)।

    শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, ভাইরাস ঘটিত জ্বরে ভোগান্তি হয় শিশুদের। বয়স্করাও নানান সমস্যায় ভোগেন। তার উপরে যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পরিস্থিতি অনেক সময়ই উদ্বেগজনক হয়। আর আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি নজর দিতে হবে। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

    টিকাকরণ জরুরি…

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় টিকাকরণ জরুরি। যদি কোনও টিকা বিশেষত হাম, রুবেলা ভাইরাসের টিকা নেওয়া বাকি থাকে, তাহলে অবশ্যই নিতে হবে। দেরি করা যাবে না। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাপমাত্রার তারতম্যে শিশুরা খুব দ্রুত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে নিউমোনিয়ার মতো রোগেও কাবু হয়। তাই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে শিশুদের নিউমোনিয়ার ভয়াবহতা থেকে বাঁচানো যাবে। বড় বিপদ এড়ানো যাবে। শিশুদের মতো বয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন সময় মতো নিলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমবে।

    টিকাকরণ ছাড়াও সাধারণ কিছু সতর্কতার দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, হঠাৎ গরম লাগলেও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ফ্যান চালানো চলবে না। কিন্তু একেবারেই গরমের পোশাক বর্জন করে বাইরে যাওয়াও চলবে না। এতে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাছাড়া, যাঁদের ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, তাঁদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই রকম আবহাওয়ায় শুষ্কভাব বাড়ে। ফলে বাতাসে ধুলোর পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে, নিয়মিত স্কুল কিংবা বাইরে গেলে ধুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: হামকে আসন্ন বিপদ ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    খাবারের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি নজরদারি দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে নানান মেলা হয়, অনেকেই বেড়াতে যায়। কিন্তু শিশুদের কোনও ভাবেই আইসক্রিম কিংবা ঠাণ্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এতে নানান সমস্যা বাড়বে। পেটের অসুখ এড়িয়ে চলতে জরুরি কম মশলার খাবার খাওয়া। শীতে অনেকেই নানান বাইরের খাবার খান। কিন্তু অতিরিক্ত চটজলদি খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের অনেক সময়েই শীতে বাইরের খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়। হাতে-পায়ে লাল র‌্যাশ বের হয়, জ্বর হয়। তাই শরীরে কোনও রকম অ্যালার্জি দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    খাবারের পাশপাশি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই আবহাওয়া শুষ্ক। তাই শরীরে জলের চাহিদা বাড়বে। জল পর্যাপ্ত না খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো বিপদও ঘটতে পারে। তাছাড়া ভাইরাস ঘটিত জ্বরের থেকে মুক্তি পেতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। শীতের পারদ কমতেই কিন্তু ডেঙ্গির আশঙ্কা বাড়তে পারে। মশাবাহিত রোগের দাপট এড়িয়ে গেলে চলবে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে কী ধরণের জ্বর হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share