Tag: Vishwakarma Puja

Vishwakarma Puja

  • Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এবার কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বকর্মার (Vishwakarma Puja) মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের (Barasat) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Vishwakarma Puja)

    বারাসতের সুভাষপল্লি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) আয়োজন করেছিলেন। রাস্তার ধারে মণ্ডপ তৈরি করে সেখানে বিশ্বকর্মার মূর্তি রাখা হয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত মণ্ডপ সাজানোর কাজ করেছেন পাড়ার ছেলেরা। মণ্ডপে আলো জ্বেলে সকলেই বাড়ি ফিরে যান। সকালে এসে দেখেন, মণ্ডপ থেকে প্রতিমা উধাও। মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্বকর্মার মূর্তি ভাঙচুর করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মূর্তিতে থাকা সোলার সাজ সবই ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে নজর পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফের পুজো যাতে হয়, তার ব্যবস্থা করে। তবে, কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহু বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে। এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এক মহিলা বলেন, মণ্ডপে আলো জ্বলছিল। সেই আলো নিভিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। আর বিশ্বকর্মা মূর্তি (Vishwakarma Puja) ভাঙচুর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, এটা কোনও একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পিছনে আরও অনেকে জড়িত। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য।

    পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এ বিষয়ে এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির মুখপাত্র তথা শিক্ষা সেলের কো-কনভেনর দীপঙ্কর সরকার বলেন, এরকম ঘটনা আমরা আগে কোনদিনও বারাসতে (Vishwakarma Puja) দেখিনি। মূলত আমরা শুনে আসছি বাংলাদেশে এরকম হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চলছে, তাদের মন্দির-মূর্তি সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বারাসতে এ ঘটনা নিন্দনীয়। সবথেকে দুঃখের বিষয় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার কথা না বলে আগে পুজো করার কথা বলছে। আমরা অবিলম্বে চাই, যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranna Puja 2024: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    Ranna Puja 2024: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সারা বছর ধরেই বাঙালিদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। এরই মধ্যে একটি পার্বণ হল অরন্ধন উৎসব (Ranna Puja 2024) বা রান্না পুজো। ভাদ্রপদ মাসের শেষ দিনে হয় এই অরন্ধন উৎসব (Arandhan Utsav)। আবার এদিন মনসা পুজোও করা হয়। এই মনসা পুজোরই একটি অংশ হল এই রান্না পুজো। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন সারা রাত ঘরে বিভিন্ন পদ রান্না করা হয় ও পরের দিন বাসি খাবার খাওয়া হয়। একেই বলে অরন্ধন।

    বছরে দুবার অরন্ধন উৎসব (Arandhan Utsav)

    সাধারণত এই অরন্ধন উৎসব বছরে দুবার পালন করা হয়। একবার অরন্ধন উৎসব (Ranna Puja 2024) হয় মাঘ মাসে, সরস্বতী পুজোর পরের দিন। ঐদিন থাকে শীতল ষষ্ঠী। ঐদিন শিলনোড়া পুজো করা হয়। এইদিন বাড়িতে গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতিও রয়েছে। আর একবার হয় আজ, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে। অরন্ধনে রান্নাঘরে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রাতেই রান্না করে পরের দিন খাওয়ার রীতি রয়েছে। আগের দিন সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে রান্নাবান্না করে এই পার্বণ পালন করা হয়। আর ভাদ্রমাসের রান্না পুজোর পরের দিন, অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোয় বাসি খাবার খাওয়ার রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। এই পার্বণে সাধারণত আমিষ ও নিরামিষ উভয় পদই রান্না করা হয়। আমিষ রান্নার মধ্যে থাকে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ। এছাড়াও আরও অন্যান্য মাছ রান্না করা হয়। আর অপরদিকে নিরামিষ পদে নানা রকম ভাজা, ডাল, নারকেল দিয়ে কচু শাক, পান্তা ভাত, চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি রান্না করা হয় (Ranna Puja 2024)।

    আরও পড়ুন: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা

    মনসা পুজো ও পান্তা ভাত

    এই উৎসব  (Arandhan Utsav) শহরাঞ্চলে অনেকটা বিলুপ্ত হলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক বাড়িতে হয়ে থাকে। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির অরন্ধনে মা মনসার পুজো করা হয়। এই দিন রান্নাঘরের সমস্ত জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করে ফণীমনসার ডাল অথবা শালুক গাছের ডাল দিয়ে মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মা মনসার পুজো করা হয়। প্রাচীনকালের এক উৎসব যা শস্য উৎসব নামে পরিচিতি, এই উৎসবেরও কিছুটা স্মৃতি বহন করে এই অরন্ধন পার্বণ (Ranna Puja 2024)। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে প্রচণ্ড সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে সবাইকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে দেবী মনসার পুজো করা হয় ঠিক ভাদ্র মসের শেষ দিন। আর এই মনসা দেবীর প্রতীক হিসেবে সিঁদুর ও তেল দিয়ে রান্নাঘর ও উনুনকে পুজো (Ranna Puja) করা হয়। পুজোতে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় মরশুমি শাক, সবজি, মাছ ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ভোগ দেওয়া হয়, কোথাও আমিষ বা কোথাও আবার নিরামিষ। যার মধ্যে পান্তা ভাত উল্লেখযোগ্য। নিরামিষ ভোগের ক্ষেত্রে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ অন্যতম ও নিরামিষের ক্ষেত্রে নানা রকমের ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক ইত্যাদি। 

    দেবীপক্ষের আগে রান্না পুজোই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর মহালয়ার পরেই শুভক্ষণে উৎসব শুরু হয়। যদিও এই অরন্ধন উৎসব বা রান্না পুজোর (Ranna Puja 2024) রীতিনীতি এখন আর বেশি দেখা যায় না। তবে শহরে কম হলেও, গ্রামে  এখনও এই উৎসব ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja 2024: আজ বিশ্বকর্মা পুজো, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja 2024: আজ বিশ্বকর্মা পুজো, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবছর ভাদ্রপদ মাসের সংক্রান্তির দিন উদযাপিত হয় এই পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja 2024) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। সকালে বিশ্বকর্মার আরাধনা, দুপুরে পেট ভরে মাংস-ভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী (Vishwakarma Puja 2024)

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja 2024)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma Puja 2024) একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা । বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে, আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kite Flying Protest: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    Kite Flying Protest: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরতের নীল আকাশে ভাসছে সাদা মেঘ। যদিও বাংলার বাতাসে পুজোর গন্ধ ম্লান। শহরের অলি-গলিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান। চোখে পড়ছে দফায়-দফায় মিছিল। রাত দখল, মানব বন্ধন সবই হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবি নিয়ে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ-বিরোধী নেতারা। এবার বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja Day) দিন আকাশে কালো ঘুড়ি উড়িয়ে (Kite Flying Protest) প্রতিবাদে নামতে চলেছে নাগরিক সমাজ। 

    প্রতিবাদের ঘুড়ি

    প্রতি বছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja Day)। পুরনো সংস্কৃতি মেনে পুজোর দিন আকাশে ঘুড়ি ওড়াবার প্রচলন রয়েছে। এইবার উৎসবেই মিশে গেল প্রতিবাদের ভাষা। আজকাল স্মার্টফোনের যুগে আকাশে সেভাবে ঘুড়ির (Kite Flying Protest) দেখা পাওয়া না গেলেও, আকাশে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান লিখে কালো ঘুড়ি ওড়াবার ডাক দিল কলকাতা। এমন বেশ কয়েকটি পোস্ট চোখে পড়ল সমাজমাধ্যমে। উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ‘ইন্ডিয়া কাইটস’ নামক দোকানে ‘বিচার চাই’ লেখা ঘুড়ি ঝুলতে দেখে অনেকেই সেই ঘুড়ি বাড়িতে কিনে নিয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি ঘুড়ির দাম ১৫ টাকা। বিভিন্ন সংস্থার তরফে এই ঘুড়ি বিতরণও করা হচ্ছে। কালো রঙের ঘুড়িতে সাদা রঙ দিয়ে লেখা ‘সকলের একটাই স্বর, বিচার পাক আরজি কর’।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    ঘুড়ির মধ্য দিয়েই বার্তা

    পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলকাতার সব প্রান্তে উড়বে প্রতিবাদের এই ঘুড়ি (Kite Flying Protest)। কোনও ঘুড়িতে লেখা থাকবে, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’, আবার কোনও ঘুড়িতে মোমবাতির ছবি দিয়ে লেখা থাকবে, ‘বিচার পাক অভয়া’। ‘ইন্ডিয়া কাইটস’-এর কর্ণধার অজিত দত্ত। আপাতত দেখভাল করেন তাঁর ছেলে সৈকত দত্ত। তিনি বলেন, “প্রতিবারই আমরা অন্যরকম ঘুড়ি বানানোর চেষ্টা করি। কখনও বিশ্বকাপ, কখনও ভোট। এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সর্বত্র। আমরাও বিচার চাই। ঘুড়ির মাধ্যমে সেই কথাই তুলে ধরতে চেয়েছি।” তাঁর কথায়, “আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা কয়েকটি ঘুড়ি তৈরি করেছিলাম। ধীরে ধীরে সেই ঘুড়ির চাহিদা বেড়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত প্রায় এই ধরনের ৬০০টি ঘুড়ি আমরা বিক্রি করেছি। আমাদের কাছে আর হাতেগোনা কয়েকটি ঘুড়ি পড়ে আছে। সবাই তো সবার মতো করে প্রতিবাদ করছেন। আমরাও ঘুড়ির মধ্য দিয়েই বার্তা দিলাম, বিচার চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হলে, তৃণমূলকে হলদিয়ার কারখানা থেকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের টাটা স্টিল এবং টাটা পাওয়ার মজদুর সঙ্ঘের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঠিক এইভাবে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হবে। হলদিয়া এবং কাঁথিতে কয়েক লাখ ভোটে জয়ী হব। তমলুকে তৃণমূল হারবে। আর তৃণমূল হারলেই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়ার কারখানার গেট থেকে শাসক দলকে উৎখাত করবো”। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভার ভোট হবে না। লোকসভার ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে পারবে না”। এদিন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, আনন্দময় অধিকারী, সোমানাথ ভুঁইয়া সহ আরও অনেক মজদুর সঙ্ঘের নেতারা।

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, কলকাতার মানুষ হালদিয়ায় এসে মাতব্বরি করবে আর এই এলাকার মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই জেলার অনেক মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের শিক্ষার সামগ্রী, দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য, রাস্তাঘাট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপর অনেক কাজ করেছি। এছাড়াও এলাকায় অনেক গাছ লাগিয়েছি। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন হলে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে আমাদের সকলকে আরও একত্রিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: মমতার স্পেন সফরকে যেন বিদ্রুপ করছে ১৩ বছর বন্ধ থাকা আসানসোলের ব্লু ফ্যাক্টরি!

    Asansol: মমতার স্পেন সফরকে যেন বিদ্রুপ করছে ১৩ বছর বন্ধ থাকা আসানসোলের ব্লু ফ্যাক্টরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্লু ফ্যাক্টরি নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখছেন অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক। আসানসোলের (Asansol) ধাদকা এলাকায় অবস্থিত এই ব্লু ফ্যাক্টরিতে একটা সময় কাজ করতেন শত শত শ্রমিক। আর সেই সময় বিশ্বকর্মা পুজো মানেই তিন দিন ধরে অনুষ্ঠান চলত এই কারখানায়। কত লোকের যাওয়া-আসা, লাইট, প্যান্ডেল, ধুমধাম করে জাঁকজমকপূর্ণ পুজো হত এই কারখানায়। চলত দেদার প্রসাদ বিতরণ এবং খাওয়াদাওয়া। এখন বন্ধ কারখানা কবে খুলবে, সেই আশায় প্রহর গুনছেন শ্রমিকরা।

    কারখানা বন্ধ বলে কি আড়ম্বরবিহীন বিশ্বকর্মা পুজো (Asansol)?

    আজ থেকে এক দশকের বেশি সময় আগেই ঘুচে গেছে সেই সব স্বর্ণ-উজ্জ্বল বিশ্বকর্মা পুজোর দিনগুলি। এখন শুধুই বন্ধ কারখানা (Asansol)। তাই নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই কারখানায়। অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক ছাড়া এই কারাখানায় আর কেউ নেই। বিশ্বকর্মা পূজোতেও নেই কোনও জাঁকজমক এবং আড়ম্বর। নিয়ম রক্ষা করতেই কেবল পুজো করা, ঠিক এমনটা জানাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। সময়ের কালে জরাজীর্ণ ভগ্নদশায় আচ্ছন্ন এই কারখানা। ব্লু ফ্যাক্টরির শ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানাকে কেন্দ্র করে নতুন কিছুর আশায় বুক বাঁধছেন। কারাখনা বন্ধ হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষের কাজ চলে গেছে। মানুষকে বিকল্প কাজের সন্ধান করতে হয়েছে। সবটা মিলিয়ে অনাড়ম্বর বিশ্বকর্মা পুজো কার্যত বন্ধ কারখানায় কর্মহীনতার প্রতীক।

    কারখানার শ্রমিকের বক্তব্য

    কারখানার এক শ্রমিক নিমাই বাউরি বলেন, “আজ ১৩ বছর ধরে কারখানা বন্ধ। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করেন। আমরা কেবল কয়েকজন মিলে কারখানাকে পাহারা দিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ আজ, কাল, পরশু বলে বন্ধ কারখানা খোলার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়েনি।” কারখানার নামে আদালতে কেস চলেছে বলে জানা গেছে। তবে মালিক পক্ষ কেসের পরিণতি নিয়ে কিছুই বলছেন না। কেসের সমাধান কবে হবে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “কারখানার পারিকাঠামো দিন দিন ভেঙে পড়ছে। কারখানায় কোনও বিদ্যুতের পরিষেবা নেই। জরাজীর্ণ এই কারখানা কবে প্রাণ ফিরে পাবে, সেই আশায় আমরা দিন গুনছি। আপাতত আমরা ছোট্ট করেই বিশ্বকর্মা পুজো করছি। মালিক পক্ষ এই পুজোর জন্য কোনও সহযোগিতা করেছেন না। আগে বিরাট ধুমধাম করে পুজো হত। এই বন্ধ কারখানার  তালা কবে খুলবে, সেই আশায় দিন গুনছি আমরা”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranna Puja: ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’, কী এই রান্না পুজো? কোন দেবীর পুজো করা হয়?

    Ranna Puja: ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’, কী এই রান্না পুজো? কোন দেবীর পুজো করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই ১৩ পার্বণের অন্যতম পার্বণ হল অরন্ধন উৎসব। দুর্গাপুজোর মরশুম শুরু হওয়ার আগে বাঙালির শেষ উৎসব এটিই। এই উৎসবকে একটি বিশেষ নামে সম্বোধন করা হয়, যেটি ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’ নামে পরিচিত। এই উৎসবে বিশেষত দেবী মনসার পুজো করা হয়। ঠিক বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন সারা রাত জেগে চলে রান্নাবান্না (Ranna Puja)।

    কী এই অরন্ধন বা রান্নাপুজো?

    বাঙালির দুর্গাপূজোর মরশুম শুরু হওয়ার আগে এই রান্না পুজোই (Ranna Puja) শেষ উৎসব। এটি হয়ে থাকে সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতের অমাবস্যার দিনে। এই দিন সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে রান্নাবান্না করে এই পার্বণ পালন করা হয়। আর এই রান্না পুজোর পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোয় বাসি খাবার খাওয়ার রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। এই পার্বণে সাধারণত আমিষ ও নিরামিষ উভয় পদই রান্না করা হয়। আমিষ রান্নার মধ্যে থাকে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ। এছাড়াও আরও অন্যান্য মাছ রান্না করা হয়। আর অপরদিকে নিরামিষ পদে নানা রকম ভাজা, ডাল, নারকেল দিয়ে কচু শাক, পান্তা ভাত, চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি রান্না করা হয়।

    বছরে দু’বার পালন হয় এই অরন্ধন উৎসব (Ranna Puja)

    শুধু বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনই নয়, সরস্বতী পুজোর পরের দিনও এই উৎসব (Ranna Puja) পালিত হয়, যেটি শীতল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। এই দিন অনেক বাড়িতে গোটা ও সিদ্ধ খাওয়ার রীতি চলে আসছে, এই দিনেও বাসি খাবার খাওয়ার চল আছে।

    কীভাবে ও সাধারণত কেন এই পুজো (Ranna Puja) করা হয়?

    এই উৎসব শহরাঞ্চলে অনেকটা বিলুপ্ত হলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক বাড়িতে হয়ে থাকে। এই দিন অনেকের বাড়িতে পঞ্চ সাপের ফণা যুক্ত মনসা প্রতিমা পুজো করা হয়। এর সাথে ফনিমনসা গাছের ডালও পুজো করা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালের এক উৎসব যা শস্য উৎসব নামে পরিচিতি, এই উৎসবেরও কিছুটা স্মৃতি বহন করে এই অরন্ধন পার্বণ। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে প্রচণ্ড সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে সবাইকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে দেবী মনসার পুজো করা হয় ঠিক ভাদ্র মসের শেষ দিন। আর এই মনসা দেবীর প্রতীক হিসেবে সিঁদুর ও তেল দিয়ে রান্নাঘর ও উনুনকে পুজো (Ranna Puja) করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দুই দিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। কেমন হচ্ছে প্রতিমা বিক্রি? কেমনই বা আছেন মৃৎশিল্পী কর্মীরা? মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ফরাক্কার মহাদেবনগরের পালপাড়া গ্রাম এবং বহরমপুরের মৃৎশিল্পীদের কথায় উঠে এলো তাঁদের জীবনে সংগ্রামের কথা। প্রতিমা তৈরির শেষ তুলির টান চলছে জোর কদমে। পুজো কি আর সারা বছর হয়! বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তাই এই সময়ে যদি প্রতিমা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে না পান, তাহলে মৃৎশিল্পীদের বাকি সারাটা বছর অত্যন্ত অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে। তাই শিল্পীরা নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে, রাজ্য সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই জেলার মৃৎশিল্পীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করে বলেন, পুজো মন্ডপ গুলির মতন আমাদেরও অনুদান চাই। 

    সরকারী অনুদান চাইলেন মৃৎশিল্পীরা (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাল বাদে পরশু বিশ্বকর্মা পুজো। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যাস্ততা। তবে এই বছর তেমন ভাবে বেচাকেনা নেই, কিছু প্রতিমার অর্ডার পাওয়া গেলেও, তাতে লাভের পরিমাণ কম। আর তাই তাঁদের খুব কষ্টের মধ্যেই কাটছে দিন। এই অবস্থায় মৃৎশিল্পকে এবং শিল্পীদের পারিবারিক জীবনকে সুরক্ষিত করতে সরকারের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। শিল্পীদের তরফে জানানো হয়, পুজো উদ্যোগতা ক্লাব গুলির জন্য যদি, ৭০ হাজার টাকা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে যাঁরা পুজোর ঠাকুর তৈরির কারিগর, তাঁরা কেন আর্থিক সাহায্য পাবেন না!

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    ফরাক্কার (Murshidabad) মৃৎশিল্পী কৌশিক পাল বলেন, “যেমন ভাবে সরকার পুজো মন্ডপ গুলোকে অনুদান দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।” উল্লেখ্য ফরাক্কার পালপাড়ায় ও বহরমপুরে খাগড়ায় বহু মৃৎশিল্পীদের পরিবার চলে একমাত্র প্রতিমা বিক্রি এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজের উপর। তাই এই শিল্পীদের জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    বহরমপুরের আরেক শিল্পী বলেন, এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো বায়না অনেক কম হয়েছে। দিন দিন সাজের জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ভালো সাজ না হলে ক্রেতারা প্রতিমা ক্রয় করতে চাননা। তাই দাম বেশি বলে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি কলকাতার কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের মতন আমাদেরও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করত, তাহলে আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হতাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তেরো পার্বণের এক পার্বণ বিশ্বকর্মা পুজো। আর এই বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। নানা কলকারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই পুজো হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ঘুড়ি ওড়ানোর পার্বণ (Kite Flying In Vishwakarma puja)। বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেই এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল আছে। এই দিনে আকাশে চলে ঘুড়ির লড়াই, কানে ভেসে আছে ভোকাট্টা শব্দ। আকাশে চোখ দিলেই দেখা যায় রং বেরঙের নানান ঘুড়ি। কিন্তু কখনও মনে প্রশ্ন এসেছে, কেন এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানো হয়?

    বিশ্বকর্মা পুজোয় কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয়? 

    এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এই বিশেষ দিনেই ঘুড়ি ওড়ানো হয়? আসলে এর পিছনে কিছুটা পৌরাণিক কাহিনিও আছে আর কিছুটা পরম্পরা। বিশ্বকর্মা হল প্রকৌশলীর দেবতা, সমস্ত দেবতাদের অস্ত্র থেকে শরু করে দেবতাদের রথ তৈরি, সব কিছু বিশ্বকর্মাই করে থাকেন। ঋগবেদ অনুসারে তিনি হলেন স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যার জনক। পুরাণ মতে, তিনিই নাকি কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারকা নগরী তৈরি করেছিলেন। আর তিনি তৈরি করেছিলেন দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ। এই উড়ন্ত রথকেই স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে। এই দিনে অনেক বছর ধরেই বাংলার আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি (Kite Flying In Vishwakarma puja) চলে আসছে। 

    বাংলায় কবে শুরু?

    বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর আছে আরও কিছু ইতিহাস। শোনা যায়, বাংলার আকাশে ১৮৫০ সাল থেকে এই ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন শরু হয়। আগে এই ঘুড়ি ওড়ানো ছিল প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিদের একটি বিশেষ বিনোদন। বাংলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজদের আর্থিক শক্তি ও প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়িতে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন। এমনকি জমিদার থেকে শরু করে রাজারাও টাকা দিয়ে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে ওড়াতেন।

    বর্ধমান রাজবাড়ির ইতিহাস

    এক সময় বর্ধমান রাজবাড়িতে ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন ছিল। বর্ধমানের রাজা এসেছিলেন পঞ্জাব থেকে, আর পঞ্জাবে অনেক দিন যাবত এই ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি ছিল। সেই সূত্রেই বর্ধমানের রাজা বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু করেন। এটাই আস্তে আস্তে ঘুড়ি উৎসবে পরিণত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল বিশ্বকর্মা পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, পরের দিন দুপুরে মাংসভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা। অন্যান্য বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপিত হবে।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী 

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share