Tag: vitamin d deficiency

vitamin d deficiency

  • Arthritis Pain: তিরিশের চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই বহু মহিলা হাঁটু, পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় কাবু!

    Arthritis Pain: তিরিশের চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই বহু মহিলা হাঁটু, পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় কাবু!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হাড়ের রোগ। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে (Young Women) এই সমস‌্যা আরও বেশি। অনেকের হাড়ের শক্তি কমে যাওয়ার জেরে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের এই বাড়বাড়ন্ত যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন মহিলাদের বাতের সমস্যা বাড়ছে? (Arthritis Pain)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ভারতীয় মহিলা অস্ট্রিয় পোরেসিস সহ একাধিক হাড়ের রোগে আক্রান্ত। এর মূল কারণ ভিটামিন ডি -র অভাব। অধিকাংশ মহিলার দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকছে না। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা বংশানুক্রমিক হচ্ছে। তবে জীবনযাপনের ধরন বাতের সমস্যা কিংবা যে কোনও হাড়ের রোগকে আরও জটিল করে তুলছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলাদের খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। অনেক সময়েই তাঁরা দীর্ঘ ব্যবধানে খাবার খান।‌ আবার পরিমাণও ঠিকমতো থাকে না।‌ অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিনের মধ্যে ঠিকমতো ভারসাম্য থাকে না। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাতের সমস্যাও কাবু করে। পাশপাশি ঘরের কাজ অধিকাংশ সময়েই মহিলারা বেশি করেন। এর জেরে সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করা, ভারী জিনিস তোলার মতো কাজ লাগাতার করার জেরে হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। তাছাড়া মা হওয়ার পরে শরীরে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পাওয়া যায় না। এর জেরেই দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বাড়ে। এবার দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস মহিলাদের বাতের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবে?

    সময় মতো ব্যালেন্স খাবার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। পাশপাশি কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। পেট ভরানোর জন্য শুধু ভাত কিংবা রুটি খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে না। হাড় মজবুত করতে (Arthritis Pain) জরুরি নিয়মিত পরিমিত প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার। তাই ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে নিয়মিত সবুজ সব্জি, ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে। এতে হাড়ের শক্তি বাড়বে। নিয়মিত দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। পনির কিংবা দই নিয়মিত খেলে হাড় প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সহজেই পাবে‌। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে বাতের সমস্যার মোকাবিলা সহজ‌ হবে।

    স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Arthritis Pain)

    মহিলাদের আরেকটি বড় শারীরিক সমস্যা হল অতিরিক্ত ওজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় কাবু হন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই রোগ আরও বাড়িয়ে তোলে। দেহের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু ও কোমরে মারাত্মক চাপ পড়ে। অনেক সময়েই সেই ওজনের জেরে বাতের‌ সমস্যা বাড়ে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাতে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা ঘরে-বাইরে পরিশ্রম করেন। কিন্তু শারীরিক কসরত অনেক সময়েই নিয়মিত করেন না। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের কাজ ঠিকমতো হয় না। বাতের ব্যথার মতো একাধিক রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে (Arthritis Pain)। বিভিন্ন পেশি সক্রিয় থাকে।‌ আবার জয়েন্টগুলো সচল থাকে।

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

    মহিলাদের ঘুমের জন্য বরাদ্দ সময় যথেষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।‌ এর প্রভাব স্নায়ু, পেশি এবং হাড়ের উপরে মারাত্মক ভাবে পড়ে। শরীরের বিশ্রাম জরুরি।‌ তবেই শরীর শক্তি সঞ্চয় করে আবার কাজ করতে পারবে। তাই নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনো দরকার।‌ তবেই হাড়ের শক্তি বাড়বে।

    ঘরের কাজের সময়ে সাবধানতা জরুরি (Arthritis Pain)

    মহিলারাই অধিকাংশ সময়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করেন। এই কাজের জন্য তাঁদের বারবার ওঠাবসা করতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও হয় একাধিকবার। এর জেরে অস্থিসন্ধি অর্থাৎ কোমর, হাঁটুর বিভিন্ন জয়েন্টের কাজ বাড়ে। বারবার এই ধরনের কাজ করার ফলে এই অস্থিসন্ধি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন ব্যথা বাড়ে। তাই এই ঘরোয়া কাজ করার সময় খেয়াল রাখা জরুরি। প্রয়োজন মাফিক বিশ্রাম জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের সমস্যা আর শুধু বয়সের সীমানায় আটকে থাকছে না। ভারতে অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক একাধিক হাড়ের রোগে ভোগেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। রিকেট রোগে (Rickets Disease) কাবু বহু শিশু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না হলে বহু শিশুর স্বাভাবিক জীবন যাপনে অন্তরায় তৈরি হবে।

    রিকেট রোগ (Rickets Disease) কী? 

    রিকেট এক ধরনের হাড়ের রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ (Rickets Disease) দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। হাত-পা বেঁকে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করার শক্তি চলে যায়। কার্যত পঙ্গু হয়ে যায় তারা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Rickets Disease)? 

    সম্প্রতি তেলঙ্গানার এক মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক-চিকিৎসক রিকেট নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রিকেট এক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হতে চলেছে। ৩০ শতাংশের বেশি ভারতীয় শিশু রিকেট রোগে ভুগছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছেলে। রিকেট রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছেলে। মূলত নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সিরাই এই রোগে (Rickets Disease) আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই সতর্ক না হলে মারাত্মক বিপদ হতে চলেছে।

    রিকেট রোগের (Rickets Disease) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু উপসর্গ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় রিকেট রোগের লক্ষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হাড়ের সমস্যায় ভুগলে, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত, মা ভিটামিন ডি কিংবা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে গর্ভাবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এই হাড়ের রোগ সংক্রমিত হয়। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর হাতের কবজি, পায়ের পাতার গঠন রিকেট রোগের (Rickets Disease) জানান দেয়। অস্বাভাবিক চওড়া কপাল, হাতের কবজি বেঁকে যাওয়া, পা সোজা না থাকা এবং মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার মতো লক্ষণ স্পষ্ট করে রিকেট রোগ। পাশপাশি, শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যায়।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে এই রোগ (Rickets Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি, সচেতনতা পারে এই রোগের মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, মা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে শিশুরোগ চিকিৎসককে জানানো উচিত। তাহলে শিশুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তাতে রিকেট রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তাছাড়া, এই রোগের ঝুঁকি কমাতে, খাবারের উপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, ডিমের কুসুম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, এগুলো দেহে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি, মাল্টা, কমলালেবু, মুসুম্বি লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এগুলো শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। তাছাড়া, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে। এগুলো রিকেট (Rickets Disease) রুখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share