Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের সুস্বাদু ব্ল্যাক টি (Assam Tea), কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রূপোর ঘোড়ার মূর্তি, নকশাদার টি-সেট এবং ভগবদ্‌ গীতার রুশ ভাষার সংস্করণ – এইসব উপহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুতিনকে উপহার (Assam Tea)

    শ্রীমদ্‌ ভগবদ্‌ গীতা হল এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য, চিরন্তন আত্মা এবং আত্মিক মুক্তি সম্পর্কে উপদেশ দেন। এর চিরন্তন জ্ঞান নৈতিক জীবনযাপন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরের শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন অনুবাদের মাধ্যমে এটি আজ বিশ্বের আধুনিক পাঠকদের কাছেও সহজলভ্য হয়েছে (PM Modi)। উর্বর ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে উৎপাদিত অসম ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি স্বাদ, উজ্জ্বল রঙ এবং ‘অসমিকা’ জাতের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত, এটি ভূমি, জলবায়ু ও কারুশিল্পের দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

    সমৃদ্ধ শিল্পকলা

    জটিল নকশা ও খোদাই করে নির্মিত মুর্শিদাবাদের সুসজ্জিত রুপোর চা-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ শিল্পকলা এবং ভারত ও রাশিয়ার চা সংস্কৃতির গভীর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আধিকারিকরা জানান, ভালোবাসা ও স্নেহের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া এই সেট ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ও চায়ের চিরন্তন অনুষঙ্গকে উদযাপন করে। সূক্ষ্ম শিল্পকৌশলে সজ্জিত মহারাষ্ট্রের হাতে তৈরি রৌপ্য ঘোড়াটি ভারতের ধাতু কারুশিল্পের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে। হাতে তৈরি ঘোড়ার ঠাঁট-ঠমকপূর্ণ, সামনের দিকে এগিয়ে চলার ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং নিরন্তর অগ্রগতির রূপক। আগ্রায় হাতে তৈরি মার্বেল পাথরের দাবা সেট সূক্ষ্ম কারুশিল্প ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের সমন্বয়, যা ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট’ (ODOP) উদ্যোগের অধীনে এ অঞ্চলের পাথরের শিল্পঐতিহ্যকে তুলে ধরে (Assam Tea)।

    কাশ্মীরি জাফরান, স্থানীয়ভাবে ‘কোং’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত, কাশ্মীরের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। রঙ, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এটি বিখ্যাত (PM Modi)। গভীর সাংস্কৃতিক ও রন্ধনপ্রণালীগত গুরুত্বও বহন করে কাশ্মীরি জাফরান।

  • Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফর শেষ করে শুক্রবার রাতেই দেশ ছাড়লেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President, Vladimir Putin)। ২৮ ঘণ্টার ব্যস্ত সূচি শেষে বিদায়বেলায় পুতিনকে এগিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, ব্যাঙ্কোয়েট হলে মোদি (PM Narendra Modi)–পুতিনের পাশাপাশি বসা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্য—সব মিলিয়ে বৈঠকের গাম্ভীর্য থেকে জোরদার বার্তা পাঠাল দুই দেশ। শুরু হল দিল্লি–মস্কো (Vladimir Putin India Visit) সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়। বাণিজ্য থেকে জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি থেকে প্রতিরক্ষা—প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে ফেলল দুই দেশ।

    জ্বালানি ও বাণিজ্যে গভীরতর সম্পর্ক

    দিল্লি-মস্কো ঠিক করে ফেলল আগামী ছয় বছরের বাণিজ্যিক পথনকশা। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। বৈঠক শেষে রাশিয়ার স্পষ্ট বার্তা, “ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত মস্কো।” জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি—সব খাতেই যৌথ উন্নয়নে এগোবে দুই দেশ। জ্বালানি নিরাপত্তাকে ভারত–রাশিয়া অংশীদারিত্বের মূল স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, নাগরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দুই দেশের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি, জি-২০, ব্রিকস, এসসিওর মতো ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিরক্ষায় যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত ও রাশিয়ার লেনদেন পৌঁছে গিয়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। শীঘ্রই এই অঙ্কটা পৌঁছে যাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে।” একইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট জানা এই বাণিজ্যের ৯৬ শতাংশই হয়েছে দেশীয় মুদ্রায় অর্থাৎ ভারতের টাকা ও রাশিয়ার রুবেলে মাধ্যমে। অর্থাৎ ডলারকে পাশ কাটিয়ে দেশীয় মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে জোয়ার এনেছে দুই দেশ। যা আমেরিকার ডলার অস্ত্রকে কড়া জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন

    সম্মেলনের পর এক্স-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “২৩তম ভারত–রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানান দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছি। সংযোগ বৃদ্ধি, জাহাজ নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বহু ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো হবে।” রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারত আবারও জানিয়েছে—ভারত শান্তির পক্ষেই। মোদি জোর দিয়ে বলেছেন, স্থায়ী শান্তিই ভারতের লক্ষ্য, এবং অচলাবস্থা নিরসনে শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। শুক্রবার যৌথ প্রেস বৈঠক থেকে রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকটাই হল উভয় দেশের সংস্কৃতি ও জনসাধারণ।’ আর সেই সংস্কৃতি ও জনসাধারণের মেলবন্ধনকে বজায় রাখতে রাশিয়ার কাজান এবং ইয়েকাতেরিনবুর্গে দু’টি ভারতীয় দূতাবাস খুলেছে নয়াদিল্লি। যার উদ্বোধন হল শুক্রবার।

    কুড়ানকুলামের দায়িত্ব নিলেন পুতিন

    ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুড়ানকুলামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। তামিলনাড়ুর এই পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি চুল্লির মধ্য়ে দু’টি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি চারটি এখনও নির্মীয়মান। সেগুলির দায়িত্ব নিতে চায় রাশিয়া, জানিয়েছেন খোদ পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করব আমরা।’ দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, “আগামী দিনে আমাদের এই বন্ধুত্ব বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি দেবে এবং এই বিশ্বাস আমাদের যৌথ ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ করবে।” মোদি এদিন ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বকে “ধ্রুবতারা” বলে অভিহিত করেন—যা বহু ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অটুট থেকেছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে দ্রুত এফটিএ (FTA) সম্পাদনের আহ্বান জানায় ভারত-রাশিয়া। দুই নেতা দ্রুত ইএইউ (Eurasian Economic Union)-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে মতৈক্যে আসেন।

    ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যে প্রধান সমঝোতাগুলিতে সই হয়েছে—

    ভারত–রাশিয়া কৌশলগত সহযোগিতা কর্মসূচি (২০২৩–২০৩০)—বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইত্যাদিতে সহযোগিতা বিস্তারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ চুক্তি।

    দুই দেশের নাগরিকদের অস্থায়ী শ্রম কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি

    অবৈধ অভিবাসন দমনে সহযোগিতা

    উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা

    খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা

    মেরু জলে পরিচালিত জাহাজের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা

    রাসায়নিক সার খাতে সহযোগিতা

    পণ্য ও যানবাহনের প্রি-অ্যারাইভাল তথ্য বিনিময়

    দুই দেশের ডাক ও যোগাযোগ বিভাগে চুক্তি

    মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় ও লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা

    তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে প্রসার ভারতী ও রাশিয়ার বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার মধ্যে একাধিক চুক্তি

    ভারত নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সে (IBCA) রাশিয়ার যোগদানের জন্য কাঠামোগত চুক্তি

    “ইন্ডিয়া ফেব্রিক অফ টাইম” (India, Fabric of Time) প্রদর্শনীর আয়োজন

    রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

    রুশ পর্যটকদের জন্য গ্রুপ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

  • Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে  নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া সন্ত্রাসের মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin India Visit) সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘বন্ধু’ পুতিন। ঠিক এই সম্বোধন দিয়েই শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মোদি বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে পুতিন আমাদের সঙ্গে স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনারশিপের সূত্রপাত করেছিল। ⁠ভারতের প্রতি পুতিনের দায়বদ্ধতা এবং বন্ধুত্বের জন‍্য আমি আমার বন্ধু পুতিনকে ধন‍্যবাদ জানাই৷’’ এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ হিসেবে সম্বোধন করেন পুতিন৷

    ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রাম

    মোদির (Modi-Putin Meet) কথায়, ‘‘ভারত-রুশ বন্ধুত্ব সময়ের সব পরীক্ষায় পাশ করেছে৷ ⁠আজ আমরা এই বন্ধুত্বকে আরও পোক্ত করতে আলোচনা করেছি৷’’ এরপরেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ⁠২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত এবং রাশিয়া একটি ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রামে সম্মতি হয়েছে ৷ মোদি জানান, ‘‘ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে ⁠এক্সপোর্ট এবং কোঅপারেশনের রাস্তা খুলবে দু’দেশের৷ ⁠কৃষি এবং ফার্টিলাইজারের ক্ষেত্রেও আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক কৃষকদের জন‍্য অনেক লাভদায়ক হবে। ভারত এবং রাশিয়া একসঙ্গে তৈরি করবে ইউরিয়া৷’’ শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও রাশিয়া ভারতকে নতুন সুযোগ দেবে বলে জানান তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, এই সমন্বয় এবং বন্ধুত্ব, সবটাই নতুন মাত্রা পেয়েছে পুতিনের নেতৃত্বে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ অংশীদারিত্বের তকমা পেয়েছিল। এমনকি, গত ২৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন পুতিন। আমি তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাই।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো সুর

    এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। সেটা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হোক বা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত হামলা, এই সমস্ত ঘটনার মূলে একই। ভারতের অটল বিশ্বাস যে সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধের উপর সরাসরি আক্রমণ। এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাষ্ট্রসংঘ, জি২০, ব্রিকস, এসসিও এবং অন্যান্য ফোরামে ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এই সমস্ত ফোরামে আমাদের আলোচনা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতেই বারংবার পাক প্রধানমন্ত্রী ও পাক সেনাপ্রধানকে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতে ‘ভারতবিরোধী’ হুঙ্কার তুলতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার যেন সেই সকল হুঙ্কারের জবাব দিয়ে দিলেন মোদি।

    ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ

    এদিকে শুক্রবার বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটা শান্তির যুগ। সাম্প্রতিক অতীতে শান্তি ফেরাতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। আমার বিশ্বাস গোটা বিশ্ব আবারও শান্তির পথে ফিরবে।” নেতা হিসেবেও পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রকৃত বন্ধুর মতো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন পুতিন। সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন।” মোদির কথায়, আগামী দিনে বিশ্বে শান্তি ফিরবে বলে আশাবাদী তিনি, কারণ শান্তির মাধ্যমেই বিকাশ ঘটবে।

    স্পেশাল কারেন্সি তৈরির পথে

    বর্তমানে ২৭ ঘণ্টার সফরে ভারতে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের মাটিতে পা রাখেন পুতিন৷ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে পুতিনের এই ভারত সফরের দিকে বিশেষ নজর রাখছে ওয়াশিংটনও৷ আজ, শুক্রবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর সঙ্গে দেখা করেন পুতিন৷ তারপরে হয় মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক৷ বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রনেতাই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন, মোদিকে ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ বলে বক্তব্য শুরু করেন। পুতিন বলেন, ‘‘আমরা স্পেশাল কারেন্সি তৈরির দিকে এগোচ্ছি৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে—এখন বাণিজ্য লেনদেনের ৯৬ শতাংশই জাতীয় মুদ্রায় হচ্ছে।” ⁠এনার্জি তৈরির ক্ষেত্রে সফল পার্টনারশিপ রয়েছে রাশিয়ার। ⁠ পুতিন বলেন, ‘‘ভারতে বৃহত্তম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কুডানকুলাম তৈরিতে আমরা সহযোগিতা করছি৷ ⁠ভারতের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা চলছে—ছয়টির মধ্যে তিনটি রিঅ্যাক্টর ইতোমধ্যেই গ্রিডে সংযুক্ত হয়েছে।’’

    নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর

    পুতিন জানান, এই বৈঠকের পরে ভবিষ্যতে ⁠নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছি আমরা। যার মধ্যে অন্যতম হল উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডর প্রকল্প। রাশিয়ার টিভি চ‍্যানেল আরটি আজ থেকে ভারতে নিজেদের ব্রডকাস্ট শুরু করছে৷ ⁠আগামিবছর ভারত ব্রিকসে চেয়ার গ্রহণ করবে। আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে ভারতকে৷ গত বছর ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা এই পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হব বলে মনে করি। মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের প্রক্রিয়া আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। গত অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণে রাশিয়া সহযোগিতা করে আসছে। আমাদের আলোচনার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। এই সফর দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’’

  • Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin India Visit) ভগবদ গীতা উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Putin Meet)। এক্স হ্যান্ডলে বিশেষ এই উপহারের কথা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গীতার শিক্ষা পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়।’’ তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কিছুই হতে পারে না, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পুতিনের হাতে মোদি যে গীতা তুলে দেন, তা রুশ ভাষায় অনূদিত। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বন্ধু পুতিনকে এই বিশেষ উপহার দেন মোদি।

    মোদি-পুতিন বিশেষ সম্পর্ক

    ভারতের মাটিতে পুতিনকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করমর্দন ও আলিঙ্গন করে দুই রাষ্ট্রপ্রধান রওনা দিয়েছিলেন একই গাড়িতে। পুতিনকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দরে রুশ শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি গাড়ি ‘ফরচুনার’-এ চেপেই দুই নেতা ৭, লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছন। পুতিন ‘ফরচুনার’-এ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয় হুবহু সেই মুহূর্ত যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চিনের তিয়ানজিন দেখেছিল। সেখানে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁর ‘অরাস সেনাত’-এ মোদিকে ডেকে নিয়েছিলেন! এ বার ডিসেম্বরের শীতে গোটা দুনিয়া দেখল ঠিক তার উল্টো ছবি। ‘ফরচুনার’ পিছু পিছু চলল ‘সর্ববিপদহরেষু’ অরাস সেনাত।

    মোদির আমন্ত্রণে নৈশভোজে পুতিন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে যোগ দেন পুতিন। সেখানেই তাঁর হাতে গীতা তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে, যেখানে ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিশেষ আলোকসজ্জা ও দুই দেশের পতাকা সাজানো ছিল। বৈঠকের আগে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছিলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে যাবতীয় আলোচনা নিয়ে আশাবাদী। ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু দশকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এই সম্পর্কে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। ভারতে আসের আগেই অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু পুরোনো। ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক অনেক আগে থেকেই তা রয়েছে। তাতে কোনও ফাটল ধরেনি।’

  • Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদির আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেননি। তাই ৪ বছরের ব্যবধানে ফের ভারত সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ ও আগামিকাল (৪-৫ ডিসেম্বর) ভারতে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের মাটিতে পা রাখলেন পুতিন ৷ ‘বন্ধু’কে স্বাগত জানাতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি হাজির হন দিল্লির পালাম সেনাঘাঁটিতে ৷ দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন তিনি ৷ ইতিমধ্য়ে রুশ প্রতিনিধি দল ভারতে এসে পৌঁছেছে ৷ ২৩ তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতেই দিল্লি এলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ৷

    মোদি-পুতিন সাক্ষাৎ

    রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ‘অতিথি দেব ভবঃ’ ভারতভূমের অতিপ্রাচীন সংস্কৃতি। অতিথিকে ভারতে দেবতার আসনে রাখা হয়। ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথা রয়েছে। পুতিনকেও আপ্যায়নের ত্রুটি রাখছে না ভারত। পুতিনকে নিজে এয়ারপোর্টে রিসিভ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতে এসেছিলেন পুতিন। ঠিক সন্ধে সাড়ে ৬টায় ভারতের মাটিতে ল্যান্ড করে পুতিনের বিশেষ বিমান। পুতিন বিমান থেকে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি। করমর্দন করলেন দুই নেতা। এরপর একই গাড়িতে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান দুই রাষ্টপ্রধান। সাধারণ প্রোটোকল অনুযায়ী কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ভারত সফরে এলে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির থাকেন বিদেশমন্ত্রী বা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে দিল্লি বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন মোদী। ২০১৮-য় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও মোদী নিজেই বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন। এবার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতেও বিমানবন্দরে গেলেন মোদি।

    মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা

    সম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গ্রাফ তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের নয়াদিল্লি সফর বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এই সফরেই আরও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়া থেকে কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে চলেছে। এরই সঙ্গে আরও আধুনিক এস-৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও আসবে ভবিষ্যতে। সেই চুক্তি নিয়ে আজ নৈশভোজের পর নরেন্দ্র মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা হবে। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়ও উঠে আসবে। ভারত বরাবরই যুদ্ধের বিরোধিতা করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। এবারও নয়াদিল্লি সেদিকেই জোর দেবে বলেই ধারণা।

    পুতিনের সফরসূচি

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সফরসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সাড়ে ১১ টার সময় তাঁর রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে ৷ এরপর নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউজে ২৩তম ভারত-রাশিয়া সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে ৷ দুপুর ১.৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করবেন ৷ বিকেল ৩.৪০ মিনিটে একটি বাণিজ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পুতিন ৷ সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ৷ রাত ৯টা নাগাদ ফের রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি ৷

    নিরাপত্তায় মোড়া দিল্লি

    প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়া দিল্লিকে। ইতিমধ্যে পুতিনের সুরক্ষায় রাশিয়ার থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৫০ জনের একটি দল। মোতায়েন থাকছেন ভারতের এনএসজি কম্যান্ডোরাও। মস্কো থেকে উড়ে এসেছে পুতিনের প্রেসিডেন্সিয়াল বাহন অরাস সেনাট। ৬০০ হর্স পাওয়ারের এই গাড়ি আসলে চার চাকার উপর চলমান একটা দুর্গ। মাত্র ২ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা গতি তুলতে পারে এই গাড়ি। শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই গাড়িতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাইরে রয়েছে ব্যালিস্টিক আর্মার। রয়েছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। বোমা ও গ্রেনেড হামলায় এই গাড়ির কোনও ক্ষতি হয় না। ৪টে চাকা ফুটো হয়ে গেলেও দৌড়াতে থাকে এই গাড়ি।

    ভারত-রাশিয়া সামরিক চুক্তি

    পুতিনের সফরে ভারত যে চুক্তিতে দ্রুত স্বাক্ষর করার জন্য উন্মুখ, সেটি হল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাইটার জেট সুখোই-৫৭ ক্রয়। ভারতের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসছেন পুতিন। কারণ, নিছক একটি দেশ অন্য দেশকে সামরিক উপকরণ বিক্রয় করে মুনাফা করবে—বিষয়টি এমন নয়। রাশিয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সুখোই বিক্রির পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনের চুক্তিতেও সবুজ সংকেত দেবে। এজন্য বাছাই করা হবে ভারতের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং ভারত ডায়নামিক্স। অর্থাৎ ওই দু‌ই সামরিক উপকরণের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা দ্রুত ডেলিভারির জন্য মস্কোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে না। এই দুই চুক্তির অন্যতম শর্ত হল একটি বড় অংশের সংযুক্তিকরণ হবে ভারতেই। যা ভারত সরকারের যে কোনও সামরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সমঝোতায় অন্যতম লক্ষ্য।

  • Vladimir Putin: “চাপের কাছে নতি স্বীকার করার মানুষ নন”, প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন

    Vladimir Putin: “চাপের কাছে নতি স্বীকার করার মানুষ নন”, প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চাপের কাছে নতি স্বীকার করার মানুষ নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।” সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আমেরিকার চড়া শুল্কনীতি প্রয়োগ করে ভারতের নীতি প্রভাবিত করার চেষ্টা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার দু’দিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে আসছেন পুতিন। তার আগে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ওই সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এগুলির মধ্যে ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতে ভারত–রাশিয়া সম্পর্কের দিকনির্দেশনাও।

    পুতিনের মুখে মোদি-স্তুতি (Vladimir Putin)

    ওই সাক্ষাৎকারে পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “তামাম বিশ্ব আজ ভারতের দৃঢ় এবং অবিচল অবস্থান প্রত্যক্ষ করছে। আন্তর্জাতিক চাপে দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং নেতৃত্বের সাহসের জন্য ভারত গর্ব করতেই পারে।” রাশিয়া এবং ভারতের শক্তিশালী সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি দ্বিপাক্ষিক লেনদেন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।” প্রসঙ্গত, মোদি ও পুতিনের সভাপতিত্বে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা শুক্রবার। তার আগে বৃহস্পতিবারই ভারতে আসছেন রুশ রাষ্ট্র প্রধান। তাঁর ভারত সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে, যখন রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দিচ্ছে, কড়া নজর রাখা হচ্ছে পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের ওপরও (PM Modi)। পুতিনের সফরের আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, উভয় দেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। পুতিন (Vladimir Putin) মন্ত্রিসভার সব অর্থমন্ত্রীরাও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আসছেন নয়াদিল্লিতে।

    রুশ প্রেসিডেন্টের প্রথম ভারত সফর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রথম ভারত সফর। এই সফরের আগেই তিনি দিয়েছেন বিশেষ সাক্ষাৎকার। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, যারা কারও চাপের কাছে মাথা নত করে না।” পুতিন বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা অনেক আগেই ভারতে এই বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। আমাদের আলোচনা করার মতো অনেক কিছুই আছে। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বিশাল।”

    মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির প্রতি মুগ্ধতা

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় পুতিনের মুখে শোনা গিয়েছে মোদি-স্তুতি। ঠিক এক বছর আগে মস্কোয় একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পুতিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ যেভাবে বিশ্বব্যাপী ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করছে, তা দেখে তিনি মুগ্ধ। মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া নামে একটি কর্মসূচি রয়েছে। আমরা ভারতে আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম স্থাপন করতেও প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত সরকার ভারতকে প্রথমে রাখার নীতি দ্বারা চালিত স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছে (PM Modi)। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতে বিনিয়োগ লাভজনক।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Vladimir Putin) সেদিন এও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাশিয়ান কোম্পানি রোসনেফ্ট ভারতে তখনই ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল।

  • India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার দু’দিনের ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (India Russia Relation)। রুশ প্রেসিডেন্টের আসার প্রতীক্ষার (Vladimir Putin) প্রহর গুণছেন ভারতবাসী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির রাস্তা-অলি-গলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ আর মজবুত হবে।

    ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন (India Russia Relation)

    পুতিন এদিনই ভারতে তাঁর দুদিনের সফর শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নয়াদিল্লি আগমনের অল্প সময় পরেই ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ওপর শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা, এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হবে। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি হবে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তার পরেই শুরু হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। উচ্চ পর্যায়ের এই সফরকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সফর যাতে নিরাপদ ও বিঘ্নহীন হয় সেজন্য কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক ব্যবস্থা। শীর্ষ সম্মেলনের আগে পাঁচ-স্তরীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই ব্যবস্থায় রয়েছে অভিজাত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) কমান্ডো, সম্ভাব্য যাতায়াতপথে নিযুক্ত স্নাইপার, ড্রোন নজরদারি, অননুমোদিত সংকেত বন্ধে জ্যামার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এআই-নিয়ন্ত্রিত মনিটরিং সিস্টেম (Vladimir Putin)। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির মুখ চিনতে পারা ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে (India Russia Relation)।নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ৪০ জনেরও বেশি সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে রাষ্ট্রপতির কনভয়ের প্রতিটি মুহূর্ত রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য যে কোনও হুমকি নিষ্ক্রিয় করা যায়। বহুস্তরীয় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি কৌশলগতভাবে ভাগ করা হয়েছে এভাবে, বাইরের স্তরগুলি এনএসজি দলের এবং দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে, আর ভেতরের স্তরগুলি পরিচালনা করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস।

    রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির

    রুশ প্রেসিডেন্ট যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও বৈঠক করবেন, এসপিজির কমান্ডোরা মূল নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত হবেন। পুতিন যে হোটেলে থাকবেন এবং যেসব জায়গায় যেতে পারেন, সম্ভাব্য সেই সব জায়গাগুলিও সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা ও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনও ধরনের ত্রুটি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রাণপাত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির আগমন, শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আর্মার্ড অরাস সেনাট লিমুজিন, যেটি বিশেষভাবে এই সফরের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে (India Russia Relation)।

    রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ

    এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন পুতিন। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। পরে তিনি যাবেন রাজঘাটে, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে। এদিনই হায়দরাবাদ হাউসে হবে মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। পরে ভারত মণ্ডপমে একটি অনুষ্ঠান এবং পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আতিথ্যে ডিনারে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin)। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে তাঁর অরাস সেনাট লিমুজিন গাড়িটিও। মস্কো থেকে বিশেষ বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে এই লাক্সারি এই গাড়িটিকে। ২০১৮ সালে বাজারে আসার পর থেকেই এই গাড়িটি হয়েছে পুতিনের সরকারি গাড়ি। গাড়ি নয়, বরং সাঁজোয়া বলা যেতে পারে। অনেকেই বলেন এটি হল ভ্রাম্যমাণ একটি দুর্গ। মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চিনে গিয়েছিলেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে, তখন পুতিনের সঙ্গে এই গাড়িতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে (India Russia Relation)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়েছে ভারত। শুল্ক চাপ বজায় রাখার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তিও করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এই আবহেই ভারতে আসছেন পুতিন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পোক্ত সম্পর্ক। মিস্টার পুতিনের এই (Vladimir Putin) সফর তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের অটোনমি কোনও একটা দেশের কাছে বন্ধক রাখতে পারি না। বরং সব দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বাধীন সম্পর্ক থাকা উচিত। আশা করি, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে (India Russia Relation)।”

  • Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin visit India)। বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে দিল্লি আসবেন পুতিন। র আগে মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়ে রাখল রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা। দু’দেশের মধ্যে লজিস্টিক সাহায্যের আদানপ্রদানের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির নাম ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার দিক থেকে এই চুক্তিটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন এমন এক সময়ে দিল্লিতে আসছেন, যখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ফলে এই সফরে দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি করতে চাইছেন পুতিন। এ ক্ষেত্রে রুশ তেলের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    পুতিনের সফরসূচি

    প্রেসিডেন্ট পুতিন ৪ ডিসেম্বর সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে পৌঁছবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধে ৭টায় ৭ লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পরের দিন, ৫ ডিসেম্বর, সকাল ৯ টায়, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে পুতিনকে (Putin visit India) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তিন বাহিনীর একটি গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। তারপর, সকাল ১০ টার মধ্যে, পুতিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে পৌঁছবেন। সকাল ১১ টায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিন হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, মহাকাশ এবং কৌশলগত সহযোগিতা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার পর উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করবেন। বিকেল ৪টায়, দুই নেতা ভারত-রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামেও ভাষণ দেবেন। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পর্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৫ ডিসেম্বর সন্ধে ৭টায় রাষ্ট্রপতি পুতিনের সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করবেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রায় ৩০ ঘণ্টার ভারত সফর শেষে সন্ধেয় ভারত থেকে রাশিয়া ফিরবেন।

    আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য চুক্তি, একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তার আগে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহেই এই চুক্তিটিতে অনুমোদনের জন্য রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাঠান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন। মঙ্গলবার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নিম্নকক্ষ। স্টেট ডুমার স্পিরাক ভ্যাচেস্লভ ভলোদিন বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এবং সার্বিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্কের কদর করি। এই চুক্তির অনুমোদন পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

    আরইএলওএস চুক্তি কী

    আরইএলওএস চুক্তিতে রুশ সামরিক সরঞ্জাম, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান রাশিয়া থেকে ভারতে সরবরাহের পদ্ধতিগত বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। একই রকম ভাবে ভারতের থেকেও সামরিক সহযোগিতার পদ্ধতিগত দিকও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। এটি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি। দু’দেশের বাহিনীর যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সামরিক আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। পুতিনের ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে। অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সাহায্যের পথ আরও দৃঢ় করতে একটি সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। পুতিনের সফরের আগে এমন একটি সমঝোতা স্মারকে অনুমোদন দিয়েছে রুশ মন্ত্রিসভা। রাশিয়ার তরফে এই সমঝোতায় সই করবে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটম। তারা আগে থেকেই তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু পরমাণু রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।

    দিল্লি-মস্কো সম্পর্ক অটুট

    ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর। এই সফরের দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতীয় পণ্যে দুই দফায় ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, ‘ভারতের উপরে যে চাপ রয়েছে আমরা জানি।’ ট্রাম্পের হুমকি এবং পশ্চিমের বেশ কিছু দেশের আপত্তির পরেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। রুশ তেল আমদানি সামান্য কিছুটা কমলেও, তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। এখনও ভারতে জ্বালানি তেলের সিংহ ভাগই আসে রাশিয়া থেকেই। ট্রাম্পের হুমকির যাতে কোনও প্রভাব দিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরে না পড়ে, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের ভারত সফরে তা নিশ্চিত করতে চাইবেন পুতিন।

  • Putin Modi Meet: বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন পুতিন, মোদির সঙ্গে কী কী বিষয়ে হবে আলোচনা?

    Putin Modi Meet: বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন পুতিন, মোদির সঙ্গে কী কী বিষয়ে হবে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে (Annual Summit) যোগ দিতে ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin Modi Meet)। আগামী ৪-৫ তারিখ ভারতে কাটাবেন তিনি। এই সময়ের মধ্যেই পুতিন বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও। উল্লেখ্য, এটি গত চার বছরে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রথম ভারত সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর দুই দেশের নেতাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Putin Modi Meet)

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আসন্ন রাষ্ট্রীয় সফরটি ভারত ও রাশিয়ার নেতৃত্বকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির পর্যালোচনা করার, ‘বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’কে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নির্ধারণ করার এবং পারস্পরিক স্বার্থসম্পন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলিতে মতবিনিময় করার সুযোগ করে দেবে।” ক্রেমলিনের তরফেও বলা হয়েছে, আলোচনার বিস্তৃত পরিসর রয়েছে, যেখানে রাজনীতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও বৈশ্বিক বিষয়-সহ বহু ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারি একটি নোটে ক্রেমলিন জানিয়েছে, “এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের ব্যাপক অ্যাজেন্ডা বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারত্বের আওতায় সর্বাঙ্গীনভাবে আলোচনা করার সুযোগ দেবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও বিবেচনা করা হবে।”

    প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা

    সূত্রের খবর, শীর্ষ সম্মেলনে (Annual Summit) ভারত ও রাশিয়া মূলত প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে। ভারত আরও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে চায়। কারণ ‘অপারেশন সিঁদুরে’র সময় এগুলি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তিনটি ইউনিট এসে গিয়েছে। আরও দুটি আসার কথা আগামী বছরে। কেন সরবরাহে দেরি হচ্ছে রাশিয়ার কাছে তা জানতে চাইবে ভারত। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি সামিটে বলেন, “এস-৪০০ সংক্রান্ত আলোচনা হলেও এই বৈঠকে এ সম্পর্কে কোনও ঘোষণা আশা করবেন না। এই বৈঠক দুপক্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বৃহত্তর দিকগুলিতে কেন্দ্রীভূত থাকবে।” শুধু তা-ই নয়, ভারত অন্যান্য প্রকল্পে দেরির বিষয়টিও উত্থাপন করবে, যার মধ্যে রয়েছে সুখোই আপগ্রেড। রাশিয়ার সু–৫৭ যুদ্ধবিমানের প্রতি সম্ভাব্য আগ্রহ নিয়েও আলোচনা করবে দুই দেশ। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারত রাশিয়া থেকে কম তেল কিনছে। তাই রাশিয়া ভারতকে অপরিশোধিত তেলের ওপর অতিরিক্ত ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে (Putin Modi Meet)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানা এবং শান্তি প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রনেতার। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই সংঘাতের দ্রুত অবসানের আহ্বান জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন যুদ্ধের মাঝে শান্তি প্রচেষ্টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, “এই সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।” প্রসঙ্গত, এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং ভারত শান্তিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে চায়। পুতিন-মোদির আলোচনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে বাণিজ্য। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হল, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল কিনছে। তবে রাশিয়ার প্রধান তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দিতে পারে এই আমদানি (Annual Summit)।

    বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রভাব

    ভবিষ্যতে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশই ভারতের রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবে, বিশেষ করে ওষুধ শিল্প, যন্ত্রপাতি এবং কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে। বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ, বিনিয়োগ প্রকল্প এবং শ্রমিকদের যাতায়াতের বিষয়গুলিও আলোচনায় থাকবে (Putin Modi Meet)। আলোচনায় উঠে আসবে ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্ব পুনরুজ্জীবনের কথাও। পুতিনের এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমী দেশগুলির চাপের কারণে ভারত কিছুদিন ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অপেক্ষাকৃত নীরব ও সীমিত রেখেছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও শক্তিশালী হতে শুরু করেছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে। ভারত প্যান্টসার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ভরোনেজথ রাডার-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে আগ্রহ দেখিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই সফর উভয়পক্ষকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের বিস্তৃত অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেবে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ

    ভারত ও রাশিয়ার এই আলোচনার নেপথ্যে একটি বড় কারণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ। ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে এবং ভারতকে রাশিয়া থেকে কম তেল কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে (Putin Modi Meet)। আমেরিকার নয়া আইন অনুযায়ী, রাশিয়ার জ্বালানি খাতের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলির জন্য আরও কঠোর শাস্তি আরোপ হতে পারে। এই সব বিষয়ই ভারতকে এই সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বাধ্য করেছে। কারণ ভারত চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া – দুই দেশের সঙ্গেই শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে। এজন্য অবশ্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির ভারত (Annual Summit)।

    ভারতে আসছেন পুতিন

    সাত বছর আগে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে সই হয়েছিল এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঐতিহাসিক চুক্তি। শুক্রবার সেখানেই ফের বৈঠক করতে চলেছেন এই দুই রাষ্ট্র প্রধান। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে অন্তত ৫৬ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সমঝোতা সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন। প্রতিরক্ষার পাশাপাশি তাঁর এই সফরে নির্মাণক্ষেত্র, বয়নশিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্র নিয়ে নতুন পথে হাঁটার সূচনা করতে পারে ভারত ও রাশিয়া। রাশিয়ার ওই ক্ষেত্রগুলিতে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও ঘোষণা করতে পারেন পুতিন (Putin Modi Meet)।

    পোল্যান্ডের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    এদিকে, পুতিনের ভারত সফর নিয়ে যখন নয়াদিল্লিতে চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা, তখন ভারতে এসেছেন পোল্যান্ডের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী ওয়াদিস্লাও তোফিল বার্তোজুক্সি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি খুব আশাবাদী এই ভেবে যে উনি (পুতিন) যখন দিল্লিতে আসবেন, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বলবেন। আমি আগেই বলেছি, ছ-সাত মাস আগেই যখন আমি এখানে ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুতিনকে ইউক্রেনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না বলেছিলেন। তাঁরা দুজনেই সঠিক কাজটিই করেছেন। তাই আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বলবেন, দেখুন (Annual Summit) প্রেসিডেন্ট, আপনার ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা উচিত। কারণ এই সংঘর্ষ থেকে আমাদের, আপনার বা অন্য কারও কোনও লাভ নেই। কারণ এটি ভারতকেও প্রভাবিত করে। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার দুটি বড় কোম্পানি থেকে তেল কেনা নিষিদ্ধ করেছেন। রাশিয়া থেকে ভারতের একটি বিশাল সরবরাহ রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে (Putin Modi Meet)।”

  • Vladimir Putin: আগামী সপ্তাহেই ভারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা?

    Vladimir Putin: আগামী সপ্তাহেই ভারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের তারিখ ঘোষণা করা হল। ক্রেমলিনকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর ভারতে আসবেন পুতিন। ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ দেশে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও এক সরকারি বিবৃতিতে পুতিনের সফর নিশ্চিত করেছে। সফরকালে পুতিন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হবে।

    কী কী নিয়ে আলোচনা

    বিদেশ মন্ত্রকের মতে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ‘বিশেষ ও সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ আরও মজবুত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। নেতারা ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং আগামী বছরের জন্য সহযোগিতার নতুন দিশা নির্ধারণ করবেন। পাশাপাশি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতেও আলোচনা হবে। ২৩তম ভারত–রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য, মহাকাশ, বিজ্ঞানসহ একাধিক ক্ষেত্রের সহযোগিতাও গুরুত্ব পাবে বলে সরকারি মহলে আশা করা হচ্ছে।

    কৌশলগত সহযোগিতার বন্ধন

    মোদি ও পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক, কৌশলগত সহযোগিতার বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদী নয়াদিল্লি। এছাড়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হতে পারে। রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার কারণে ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। ফলে মার্কিন-ভারত বাণিজ্য ধাক্কা খেয়েছে। তবে আমেরিকার এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যনীতিতে পরিবর্তন করেনি নয়াদিল্লি। এর ফলে দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে সরব হয়েছে ক্রেমলিনও। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের সফরকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    প্রতিরক্ষা সহযোগিতাই আলোচনার কেন্দ্রে

    সূত্র জানিয়েছে, পাঁচটি অতিরিক্ত এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার-ডিফেন্স স্কোয়াড্রন ক্রয়ের ভারতীয় প্রস্তাব—যা ‘অপারেশন সিনদূর’-এ অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত—এই বৈঠকের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই কার্যকর এস-৪০০ সিস্টেমগুলোর জন্য অতিরিক্ত ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের বিষয়টিও আলোচনায় থাকতে পারে। এছাড়া রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত করেনি ভারত। মস্কো এই বিমানকে আমেরিকান এফ-৩৫-এর সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে জোরালোভাবে তুলে ধরছে বলে জানা গিয়েছে।

    ইউক্রেন যুদ্ধও থাকবে আলোচনায়

    রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়েও দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিকবার শান্তির পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহার সঙ্গে ফোনে আলাপ করে ইউক্রেন পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেন সংঘাতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা কথা বলেছেন। যুদ্ধের দ্রুত অবসান ও টেকসই শান্তির প্রতি ভারতের সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। উল্লেখ্য, পুতিন শেষবার ২০২১ সালে নয়াদিল্লি সফর করেছিলেন, এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর জুলাই মাসে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই ধারাবাহিক উচ্চস্তরের যোগাযোগই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রমাণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

LinkedIn
Share