Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • India Russia Relation: মার্কিন চাপ নয়, ব্যবসায়িক বাস্তবতা! রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের ব্যাখ্যা রিলায়েন্সের

    India Russia Relation: মার্কিন চাপ নয়, ব্যবসায়িক বাস্তবতা! রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের ব্যাখ্যা রিলায়েন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ২০ নভেম্বর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরআইএল) জানিয়েছে যে, তারা গুজরাটের জামনগরস্থিত শোধনাগারের জন্য রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আপাতত কিনবে না। আরআইএলের শোধনাগারের দুটি ইউনিট রয়েছে। সেটির একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা এসইজেডে অবস্থিত। সেখান থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত (ইইউ) একাধিক দেশ এবং আমেরিকায় পেট্রোপণ্য সরবরাহ করে ওই সংস্থাটি। কিন্তু সম্প্রতি রুশ তেলের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রফতানি বাণিজ্য ঠিক রাখতে আপাতত মস্কোর থেকে ‘তরল সোনা’ আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিলায়েন্স। এর পিছনে মার্কিন চাপের কোনও প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই।

    ব্যবসায়িক ঝুঁকি এড়াতে সিদ্ধান্ত

    জামনগর এসইজেড রিফাইনারি ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির প্রায় অর্ধেক প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে। এই পণ্যের বড় অংশ যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে, যেখানে রিফাইন্ড ফুয়েলের দাম তুলনামূলক বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে রাশিয়ান ক্রুড থেকে উৎপাদিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও রুশ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নতুন সময়সীমা ঘোষণা করেছে। ফলে রিলায়েন্স আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রফতানিমুখী ইউনিটে রাশিয়ান তেল বাদ দিচ্ছে, যাতে বাজার হারানো বা সেকেন্ডারি স্যাংশনের ঝুঁকি না থাকে। ইউরোপীয় বাজার যাতে হাতছাড়া না হয় তাই এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিলায়েন্স। রফতানির জন্য এসইজেড শোধনাগারে ব্যবহৃত তেল রুশ সংস্থা ‘রসনেফ্ট’-এর কাছ থেকে আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিলায়েন্স। মুকেশের সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের দাবি, নিষিদ্ধ সংস্থাগুলির কাছ থেকে তেল কিনলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবে না রিলায়েন্স। ক্রেমলিনের তেল পরিশোধন করে পেট্রোপণ্য ইউরোপের বাজারে বিক্রি করে তাদের ঘাড়েও নিষেধাজ্ঞা চাপলে ব্যবসার পথও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    দীর্ঘমেয়াদি রাশিয়া চুক্তি অটুট

    রিলায়েন্স পূর্বে রসনেফ্টের সঙ্গে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল ক্রয়ের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে। তবু, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য পরিস্থিতি বদলালে কর্পোরেট কৌশলও বদলাতে হয়। কোম্পানি জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত কার্গো গ্রহণ করা হয়েছে, এবং শেষ রুশ তেল-কার্গো ১২ নভেম্বর লোড হয়েছে। সরকারি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি “পিছু হটা” নয়—বরং বাস্তববাদী সামঞ্জস্য। ভারত রাশিয়ার সাথে তার কৌশলগত জ্বালানি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, আবার বেসরকারি খাতকে নিষেধাজ্ঞার বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। রাশিয়ার রসনেফ্ট নয়ারা এনার্জির ভাদিনার রিফাইনারিতে প্রায় ৪৯% অধিকার রয়েছে, অন্যদিকে ভারতীয় সরকারি সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ রয়েছে ভ্যাঙ্কর্নেফট, তাস-ইউরিয়াখ এবং সাখালিন-১ প্রকল্পে। অতএব, রিলায়েন্সের আংশিক কৌশলগত সমন্বয় ভারতের রাশিয়া-সম্পর্কের ওপর কোনও মৌলিক প্রভাব ফেলছে না।

    অভ্যন্তরীণ সরবরাহ স্বাভাবিক

    রিলায়েন্সের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র এসইজেড রফতানি ইউনিটে প্রযোজ্য। দেশের অভ্যন্তরীণ (ডোমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়া) রিফাইনারিগুলো এখনো বিভিন্ন উৎসের তেল—রাশিয়া থেকেই ক্রয় করছে। এতে সরকার একদিকে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রেখেছে, অন্যদিকে রফতানি বাজারকেও রক্ষা করেছে। সস্তা রাশিয়ান তেল আমদানির ফলে দেশীয় জ্বালানি খরচ কম এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। সরকার কোথাও রাশিয়ান তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি, রাষ্ট্রায়ত্ত রিফাইনারিগুলোকেও তা বন্ধ করতে বলেনি। অতএব, এটি সরকারি নীতি পরিবর্তন নয়—একটি কর্পোরেট ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপ। রিলায়েন্সের এই সিদ্ধান্ত সরকারের কাছে বরং ইতিবাচক—কারণ এটি রফতানি আয় রক্ষা করে।

    ভারত এখনও রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার

    সূত্রের খবর, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আপাতত স্পট মার্কেট থেকেই তেল কেনার পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তেল পরিশোধনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার রাশিয়ার থেকে তেল কেনাবেচার পরিসংখ্যান কিন্তু ভিন্ন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্ট বলছে, এখনও দেশে অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগই আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে। গত পাঁচ বছরে তা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। ২০২১-’২২ সালে ৪০ লক্ষ টন তেল কেনা হয়েছিল। গত অর্থবর্ষে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৮ কোটি টন। চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিলের পর থেকে অগস্টের শেষ পর্যন্ত তেল কেনা হয়েছে ৪ কোটি টন। ফলে চলতি অর্থবর্ষে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি কমবে না, বরং আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞমহলের। শুধু অক্টোবরেই মস্কোর তেল কিনতে ২৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ২৬,২৫০ কোটি টাকা) খরচ করেছে ভারত। উপদেষ্টা সিইআরএ-র দাবি, সেপ্টেম্বরে একই মূল্যের আমদানি হয়েছিল। তবে গত মাসে পরিমাণে ১১ শতাংশ বেশি কিনেছে দেশীয় সংস্থাগুলি। ফলে ভারত এখনও রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার।

    বাজারভিত্তিক কৌশলগত পুনর্বিন্যাস

    রিলায়েন্সের পরিবর্তন কেবল “রফতানি নোড”-এ সীমাবদ্ধ। ভারতের সামগ্রিক রাশিয়ান তেল আমদানি এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। কূটনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত–রাশিয়া সহযোগিতা আগের মতই চলছে। মোদি সরকারের নীতি হলো— “যেখানে দরকার সমন্বয়, যেখানে সম্ভব স্বায়ত্তশাসন”—যা ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব বোঝা যাচ্ছে, রিলায়েন্সের রফতানি ইউনিটে রাশিয়ান তেল বন্ধের সিদ্ধান্তটি মার্কিন চাপের ফল নয়—এটি একটি বাজার-চালিত, ঝুঁকি-সচেতন কর্পোরেট সিদ্ধান্ত, যেখানে ভারত সরকার সীমিত হস্তক্ষেপ করে কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় নীতি-স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিশ্চিত বিশ্বে নিষেধাজ্ঞা ও ভূরাজনৈতিক চাপের সময় এটি ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের বাস্তব প্রয়োগ।

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

  • Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি গুপ্তচর চক্র ভেঙে দিল রাশিয়া। এই নেটওয়ার্কটি রাশিয়া থেকে উন্নতমানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও সামরিক হেলিকপ্টার প্রযুক্তি পাচারের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানের এই ষড়যন্ত্র আঁচ করেই প্রত্যাঘাত করে। রাশিয়ায় আইএসআই-এর এ ধরনের অভিযান এটাই প্রথম। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ফের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই ইসলামাবাদের এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরি করতে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা কাজে লাগান বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে সক্ষম হয় ক্রেমলিন।

    সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ নাগরিক গ্রেফতার

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক গুপ্তচরবাহিনী ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মস্কোর পুলিশ। অভিযুক্ত রুশ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পূর্ব ইউরোপের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের শহর হল সেন্ট পিটার্সবার্গ। সেখানে বসে ক্রেমলিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ইসলামাবাদে পাচারের চেষ্টার চক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। একটি কাউন্টার-এস্পিওনাজ (গুপ্তচরবিরোধী) অভিযানে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর থেকে ওই রুশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল নথি মেলে। অনুমান, তিনি ওই নথি পাচারের চেষ্টা করছিলেন। নথিগুলিতে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও ছিল বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন আইএসআই-এর ওই চক্রের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও তথ্য পাচারের রুট খতিয়ে দেখছে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে সম্পর্ক

    এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কটি ‘অপারেশন সিঁদুরের’ কয়েক মাস পরেই তৈরি হয়। সূত্রের দাবি, ওই অভিযানে ব্যবহৃত উন্নত রুশ প্রযুক্তি, বিশেষ করে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। ভারত নাকি রাশিয়া থেকে আরও পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। তার আগে ওই সিস্টেমের খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। তাই এই চক্রান্ত বলে অনুমান। এর প্রভাব রুশ-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন

    এ ঘটনার মধ্যেই রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে রুশ দূতাবাস পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ফ্রন্টিয়ার পোস্ট’-এর একটি নিবন্ধের তীব্র সমালোচনা করে, যেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে মস্কো। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে রুশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। তিনি মস্কো পৌঁছোনোর কয়েক দিন আগে আইএসআইয়ের চর গ্রেফতার হওয়ায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি আরও বাড়ল। রাশিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তানের কিছু প্রতিনিধি গোপন সামরিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা নকশা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। এই প্রযুক্তি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেয়—এ কারণে রাশিয়া এই ধরনের তথ্য কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের পদক্ষেপ, ক্ষুব্ধ রাশিয়া

    পাকিস্তান এখনও এই অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইসলামাবাদের তরফে সাধারণত এমন অভিযোগ অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যায়, এবং অনেক সময় “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত” বলে দাবি করা হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি প্রকাশ্যে না বলেও অভ্যন্তরীণভাবে এমন অভিযোগ তোলে, তাহলে তা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। বিশ্ব রাজনীতিতে এখন রাশিয়া চায় নিজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সামরিক অবস্থানকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া যেভাবে নিজেদের প্রতিরক্ষা উন্নয়নে ব্যস্ত, সেই সময় পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত “স্পর্শকাতর” বলে মনে করছে রুশ প্রশাসন।

    কেন রুশ প্রযুক্তি জানতে আগ্রহী ইসলামাবাদ

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তের থেকে সামরিক হেলিকপ্টার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এগুলি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে পাঠানোর কথা ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ‘এমআই-৮’ শ্রেণির দু’টি সামরিক পরিবহণ হেলিকপ্টার এবং ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। মস্কোর ওই সামরিক কপ্টার ব্যবহার করে না এ দেশের ফৌজ। তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে ‘এস-৪০০’। গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা চার দিনের সংঘাতে ‘পুরু বর্মে’ ভারতের আকাশকে ঢেকে দিয়েছিল ‘এস-৪০০’। শুধু তা-ই নয়, ইসলামাবাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক লড়াকু জেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে এই হাতিয়ার। এ দেশের গোয়েন্দাদের অনুমান, তার পরই সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রযুক্তি বুঝে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আইএসআই। সেন্ট পিটার্সবার্গে ধৃত ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাঁদের কতটা সাহায্য করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

     

     

     

     

  • SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) উপস্থিতিতেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। এই হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। তাই সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে সহ্য করা যায় না, অভিমত প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    খোলাখুলি সন্ত্রাস-কে সমর্থন

    সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ২০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সম্মেলনের আগে মোদি একান্তে কথা বলেন। তার পরেই মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশ যে ভাবে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তা কি আমরা মেনে নিতে পারি? প্রশ্ন ওঠে।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মোদি। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করলেন। জানালেন, সন্ত্রাসের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের ক্ষতি হচ্ছে।

    পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা

    পহেলাগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে আমরা সন্ত্রাসবাদের একটা খুব খারাপ, উগ্র রূপ দেখেছি। আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছে। গত চার দশক ধরে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যে সমস্ত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’’ মোদির এই ভাষণের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফও।

    সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ

    সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে মোদি (PM Modi At SCO Summit) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে ভারত। আল কায়েদা এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়়াই করেছি। অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার বিরোধিতা করি আমরা।’’ মোদি সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি “গভীর উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলোকে চরমপন্থা ও মৌলবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    এসসিও গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস না-করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা মানবতার জন্য যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ থাকলে কোনও দেশ, কোনও সমাজ সুরক্ষিত বোধ করতে পারে না। নিরাপত্তা সকল দেশের অধিকার।’’

    ভারতের পাশে চিন, চাপে পাকিস্তান!

    এসসিও সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সোমবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্টের (Xi Jinping) সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমান্তপারের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বোঝান যে, এই সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং চিন, দুই দেশকেই প্রভাবিত করছে। তাই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির নিশানায় থেকেছে ইসলামাবাদ। তবে জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বরাবরই বেশ মসৃণ। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও পাকিস্তানকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের কথা বলে ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবারই ভারতে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের (SCO Summit) মূল অধিবেশনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আলোচনার ফাঁকে তিন নেতাকে হাস্যরসে মেতে উঠতে দেখা যায়। সম্মেলনের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমে বিপুল ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারত-চিন-রাশিয়া— তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেদের মধ্যে খোশগল্পে মগ্ন। এর পরেই, পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে বলতে হাঁটতে শুরু করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পিছনে একা দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার একমঞ্চে দেখা গেল যুযুধান দুই পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। রবিবার এসসিও বৈঠকের শুরুতেই দেখা গেল, একসারিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে একে অপরের থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন তাঁরা।

    বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত আনন্দের

    চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে আগত নেতাদের স্বাগত জানান। সেখানে পুতিন ও মোদিকে একসঙ্গে হাঁটতে ও প্রাণবন্ত আলোচনায় মেতে থাকতে দেখা গিয়েছে। এসসিও সম্মেলনের মধ্যেই দেখা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পুতিনকে জড়িয়ে ধরেন মোদি। অতীতেও পুতিনের সঙ্গে আলিঙ্গন কূটনীতি সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। রুশ তেল কেনার শাস্তি হিসেবেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারবার মার্কিন চোখরাঙানি সত্ত্বেও ভারত অবশ্য রুশ তেল কেনা বন্ধ করেনি। রাশিয়ার তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় পণ্যের জন্য সেদেশের বাজার খুলে দেওয়া হবে। আমেরিকা ভারতীয় পণ্য না কিনলে রাশিয়া কিনবে, এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সবসময়ই খুব আনন্দের।’ কেবল পুতিন নন, এসসিও সামিটে যেসব দেশ অংশগ্রহণ করেছে, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই আলাদা করে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলাদা করে সকলের ছবি পোস্টও করেছেন নিজের সোশাল মিডিয়ায়।

    মোদি-শরিফ দূরত্ব

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তবে মোদি ও শাহবাজ শরিফের মধ্যে দৃশ্যত কোনও আলাপচারিতা হয়নি। বরং দুজনকে আলাদা আলাদা দেখা যায়, এমনকি একটি ছবিতে দুজনকে একে অপরের পিঠের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করা ছবিতেও দেখা যায়, শাহবাজ শরিফ পিছনের সারিতে থাকলেও মোদি কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত টোকায়েভের সঙ্গে “গঠনমূলক মতবিনিময়”-এর কথা উল্লেখ করেন। সম্মেলনের ঐতিহ্যবাহী ফটোতেও মোদি ও শরিফকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

    এসসিও সম্মেলনের হাইলাইটস

    এসসিও-র ১০ সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে এবারের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার। দিনভর নানা আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণে উদ্যোগ নিচ্ছে এসসিও। রবিবার রাতে এক বর্ণাঢ্য ভোজসভার মাধ্যমে ২৫তম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই অনুষ্ঠানে মোদির পাশাপাশি পুতিনসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। চিন এবছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে। এবারের সম্মেলনই এখনও পর্যন্ত সংগঠনের ইতিহাসে বৃহত্তম। এসসিও প্লাস ফর্ম্যাটে মোট ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান,সম্মেলনে আমন্ত্রিত। যার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেস্কিয়ান ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। নিয়মিত সদস্য ছাড়াও অতিথি এবং পর্যবেক্ষক হিসাবে বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানকে এবারের এসসিও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই অতিথিদের জন্য একটি ব্যাঙ্কোয়েটের আয়োজন করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাঁর স্ত্রী পেং লিউয়ান।

  • Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের চড়া শুল্কহারের জেরে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত (India) ও রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুক্রবার সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করে দিল মস্কো। ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    শুল্ক আরোপ আমেরিকার (Vladimir Putin)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোকে কাঠগড়ায় তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সঙ্গে চাপিয়ে দেয় মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই আবহে ৩১ অগাস্ট দু’দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। সোমবার তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের বার্তা দিল ক্রেমলিন।

    মোদির ডাকে সাড়া

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে হয়েছিল পার্শ্ববৈঠক। সেই সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। চলতি বছরের মার্চ মার্চ মাসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যদিও সেই সময় পুতিনের ভারত সফরের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি লাভরভ। চলতি মাসে মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় (Vladimir Putin) তিনিই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরই ভারতে আসতে পারেন পুতিন। শুক্রবার সেটাই নিশ্চিত করল রাশিয়া।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিরও ভারতে (India) আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসবেন জেলেনস্কি। তিনি চান, বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করুক ভারত। তবে জেলেনস্কি ঠিক কবে নয়াদিল্লিতে আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে (Vladimir Putin)।

  • Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার Ukraine Russia War ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্ত সাপেক্ষে — কিয়েভকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর অধিকার স্বীকার করতে হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে এই প্রস্তাব দেন পুতিন। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। একাধিকবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তার মাঝে শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প এবং পুতিনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়— দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উভয়েরই দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক হয়েছে।

    ভূখণ্ডের বিনিময়ে শান্তি ও ক্রিমিয়া স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরকদমে চলছে। সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে পুরোপুরি ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি রাশিয়া ক্ষুদ্র কিছু দখলকৃত এলাকা — যেমন সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৪৪০ বর্গকিমি জমি — ফেরত দিতে পারে।

    রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো হলো

    ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে

    রাশিয়া এই দুই অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে

    সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে

    ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না

    রাশিয়ার উপর আরোপিত কিছু ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে

    ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে রুশ ভাষাকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    ইউক্রেনে রুশ অর্থোডক্স চার্চ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে

    ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে; তবে ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে

    নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, পুতিন ইউক্রেনকে “ডনবাস পুরোপুরি ছাড়তে” বলেছেন — এটি রাশিয়ার বহু পুরনো অবস্থান।

    ইউরোপের উদ্বেগ ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া

    ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট একে “পুতিনের স্পষ্ট জয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়” বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফিওনা হিল বলেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আদায় করতে পারেননি — যেটি ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশের কোনো অংশ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডনবাস রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ক্ষেত্র হতে পারে। যদিও তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কি) সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।

    ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি

    আপাতত ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ আছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর ডোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশ আছে রাশিয়ার দখলে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক চেয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরো জায়গাই আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে, ইউক্রেন। পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি। তার পরে কী হয়, আপাতত সে দিকেই চোখ সারা বিশ্বের।

    থাকছেন ইউরোপের অন্য নেতারাও

    শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কি নন, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা একাধিক ইউরোপীয় নেতার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন আলোচনায় অংশ নেবেন। ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১টায় (মার্কিন সময়) অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বৈঠকটি শুরু হবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।

  • Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান যে মস্কো তার যুদ্ধ কেবল তখনই শেষ করবে, যদি ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দেয়। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাস্কায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় পুতিন এই দাবি জানান। তিনি প্রস্তাব দেন, দোনেৎস্ক (Donetsk Region Meeting) হস্তান্তরের মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রকে স্থির রাখতে পারবে, বিশেষ করে দক্ষিণের খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রুশ সেনারা ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ অংশ দখল করে ফেলেছে।

    ট্রাম্পের বার্তা জেলেনস্কি ও ইউরোপকে (Putin)

    এর ঠিক একদিন পরেই ট্রাম্প এই বার্তাটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন যৌথ ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি সীমিত যুদ্ধবিরতির বদলে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির পক্ষে সওয়াল করেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সেরা উপায় হল সরাসরি একটি শান্তিচুক্তি করা, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিরতি নয়, কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টেকসই হয় না।” তিনি আরও জানান, যদি অগ্রগতি হয়, তবে পুতিনের সঙ্গে আর একটি বৈঠক নির্ধারণ করা হবে।

    প্রশ্ন হল, কেন দোনেৎস্ক এই সংঘাতের কেন্দ্রে

    ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্র দোনেৎস্ক। বর্তমানে রাশিয়া প্রায় এর ৭০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন তাদের পূর্ব প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরবেষ্টনী ধরে রেখেছে। দোনেৎস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার জন্য হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য, রাশিয়া-ইউক্রেন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। এটি ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে তাদের দ্রুততম ভূখণ্ডগত দখলকে সুসংহত করবে। উল্টোদিকে, দোনেৎস্ক হারালে কিয়েভের জন্য পুরো পূর্ব ফ্রন্টের স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

    মিডিয়া প্রতিবেদন

    মিডিয়া প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তিনি দোনেৎস্ক ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। তবে ১৮ অগাস্ট ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিস্তৃত আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তিনি পুতিনকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। তবে, ক্রেমলিন স্পষ্টভাবে এমন কোনও ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেছে এবং জানিয়ে দিয়েছে যে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে (Donetsk Region Meeting) এ ধরনের কোনও আলোচনাই হয়নি (Putin)।

    ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিত

    ট্রাম্পের আগের ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিতগুলি ইউরোপীয় রাজধানীগুলোকে অস্থির করে তুলেছিল। অনেক নেতাকে আশ্বস্ত করেছিল যখন ট্রাম্প পুতিনকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে, মস্কো যদি যুদ্ধ থামাতে অস্বীকার করে, তবে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে আলাস্কার আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। বরং এই বৈঠক পুতিনকে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। বৈঠকটি লাল গালিচা অভ্যর্থনা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে হালকা কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল। এরপর দুই নেতার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। পুতিন দোনেৎস্কের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করছে এই জন্য যে, তিনি কূটনৈতিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান, যা রুশ সেনারা সামরিকভাবে অর্জনে সংগ্রাম করছে। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন দোনেৎস্কে ৩১ মাইল দীর্ঘ একটি দুর্গ শহর ও প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলেছে। রুশ সেনারা বারবার সেই প্রতিরক্ষা লাইনের কাছে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। “ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি (Donetsk Region Meeting) অব ওয়ারে”র মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে (Putin)।

    রাশিয়া

    এই দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ে রাশিয়া গত ১৭ মাসে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও জনবল নিয়োজিত করেছে। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রাশিয়া ধীরে ধীরে শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে দোনেৎস্ক দখল করে, তবে তারা পরবর্তী ধাপে খারকিভ ও দ্নিপ্রোপেত্রোভস্ককে হুমকির মুখে ফেলতে পারবে। এতে ইউক্রেনকে তড়িঘড়ি করে নতুন কিন্তু দুর্বল প্রতিরক্ষা লাইন গড়তে হবে। দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে, যা পশ্চিমী নেতাদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়, যদিও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ। পুতিনকে দেওয়া লাল গালিচা অভ্যর্থনার সঙ্গে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রবল বৈপরীত্য তৈরি করেছিল। আর আলোচনায় ইউক্রেনের অনুপস্থিতি তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। বৈঠক থেকে অন্তত একটি যুদ্ধবিরতির রূপরেখা আশা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবর্তে এটি দেখিয়ে (Donetsk Region Meeting) দিল বাস্তবতা ও আড়ম্বরের মধ্যে কতটা ফাঁক রয়েছে। তার পরেই ট্রাম্প শান্তির দায়ভার সরাসরি জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় দেশগুলির ওপর চাপিয়ে দেন (Putin)।

  • Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পদক্ষেপ করুক ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এমনই অনুরোধ জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে আলাস্কায় ইউক্রেনের অুনপস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সমালোচনাও করলেন তিনি। অন্যদিকে, টানা তিন ঘণ্টা পর আলাস্কায় শেষ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Trump-Putin Meet) বৈঠক। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেল না।  যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৈঠকে একমত হওয়ার চেষ্টা

    আলাস্কায় বৈঠকের পরে ট্রাম্প অবশ‍্য জানিয়েছেন, ‘ভাল অগ্রগতি’ হয়েছে। শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে হবে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বহু বিষয়েই আমরা একমত হয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে দুই বিষয়ে আমরা নজর রেখেছিলাম, তার সমাধান মেলেনি। কিন্তু কিছুটা এগনো গিয়েছে। বলা যায়, ততক্ষণ চুক্তি হবে না, যতক্ষণ আমরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাই। তবে কয়েকটা বিষয় বাকি আছে। তার মধ্যে কিছু অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাই। আর তার সমাধান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও করতে পারিনি। আমরা আশাবাদী সেই সমাধানেও আমরা খুব দ্রুত পৌঁছোতে পারব।”

    সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে

    আর বৈঠকের পর পুতিনের বক্তব্য, “যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, “আমেরিকা ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।” যুদ্ধবিরতির জন্য ‘উদ্যোগী’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কো। পুতিনের বক্তব্য, শান্তিপ্রক্রিয়ায় ইউক্রেনবাসী বা রাশিয়াবাসী কেউই বাধা সৃষ্টি করবে না। শুক্রবারের বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে দাবি করেছেন তিনি। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসঙ্গেও।

    সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক

    শুক্রবারের বৈঠকের পরে শান্তি নিয়ে স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’জনে।  এই বৈঠকের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, একটি বৈঠকে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সমাধান হবে না। দ্বিতীয় বৈঠক হবে। এবং সেটিই হবে ‘আসল গুরুত্বপূর্ণ’। ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিনের বার্তা, দ্বিতীয় সেই সাক্ষাৎ হতে পারে মস্কোয়।  ট্রাম্প হাসিমুখে উত্তর দেন, “মজার প্রস্তাব,” যদিও স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। তবে তিনি দরজা খোলা রেখেছেন, বলেছেন,“যদি সেটা সম্ভব হয়।”

    বৈঠকে না থাকতে পারায় হতাশ ইউক্রেন

    তবে, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা, পুতিনকে দেখে ট্রাম্পের হাততালি দেওয়া বা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এক গাড়িতে যাওয়া, রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো দেখে ইউক্রেনবাসীদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে আলাস্কার এই বৈঠকে আমন্ত্রিতই ছিলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথেষ্ট আপত্তি তুলেছে। বিবদমান দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধবিরতি নিয়েই আলোচনা, তখন একপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কীসের সিদ্ধান্ত হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ভারতকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভব সব ধরনের অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের উচিত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়া এবং আমাদের অবস্থান ভাগ করে নেওয়া… ইউক্রেনকে ঘিরে যে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত। আলাস্কার ওই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।”

    ভারতকে অনুরোধ জেলনস্কির

    ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। ভারতকে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত এই যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করবে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সত্যিকার অর্থেই সুরক্ষিত হয়।” তিনি এটিকে “স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য লড়াই” বলে অভিহিত করেন। চলমান প্রায় চার বছরব্যাপী যুদ্ধে ভারত মস্কো ও কিয়েভ—উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। যার ফলে ভারত একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে, বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। বিশ্বমঞ্চে ভারতের বাড়তে থাকা অবস্থান ও রাশিয়া এবং পশ্চিম বিশ্বের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতকে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান একইসঙ্গে প্রতীকী ও কৌশলগত। একটি সার্বভৌম এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ভারতকে “নৈতিক অংশীদার” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

  • Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর হতে চলল। এখনও অবসান হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এহেন আবহে চড়া দরে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধের আকাশে ধ্বনিত হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও। এই যখন অবস্থা, তখন শেষমেশ রাশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন বিশ্বের দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধানরা। আগামী ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় (Alaska Meet) বৈঠকে বসতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া এবং আমেরিকার দুই ‘হুজুরে’র এই বৈঠককে স্বাগত জানাল ভারত (India)। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি জারি করেন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাতে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজবে রাশিয়া-ইউক্রেন। এর আগে অনেকবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” এদিন ফের জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ ছিল। ভারত যে সব সময় ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’য়ের পক্ষে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন (Alaska Meet)

    প্রশ্ন হল, ট্রাম্প ও পুতিনের এই আলাস্কা বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন? ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে (ইউক্রেনের রাজধানী) বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয়। আলোচনাগুলি হতে পারে নিছকই যুদ্ধবিরতি বা শত্রুতা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে। আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। জানিয়ে দিয়েছে, এই বৈঠক ইউক্রেনের এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও বহন করে।

    ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে

    এদিকে, এনবিসি নিউজ শনিবার জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছেন। এর আগে, ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের নিয়ন্ত্রিত কিছু এলাকা বিনিময় হতে পারে (India)। সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে পারে পুতিনের একটি দাবি, ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে, যা ২০১৪ সালে ক্রেমলিন বাহিনী অবৈধভাবে দখল করেছিল, এবং পুরো পূর্ব দোনবাস অঞ্চলও। এমন একটি অবস্থায় জেলেনস্কিকে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সেই অংশ থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই ()Alaska Meet অঞ্চলটি এখনও কিয়েভের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি 

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে আলাস্কায় ১৫ আগস্ট ২০২৫-এ বৈঠকের জন্য যে সমঝোতা হয়েছে, ভারত তাকে স্বাগত জানায়।” মন্ত্রক এও বলেছে, “এই বৈঠক ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন—‘এটি যুদ্ধের সময় নয়।’” এদিকে, এনবিসি নিউজ শীর্ষ আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছে, যেখানে ১৫ আগস্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ইউক্রেন ওই বৈঠকে যোগ দেবে কিনা, সে প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির কোনও সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আলাস্কায় বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়, যদিও বিষয়টি এখনও সম্ভাবনার স্তরেই রয়েছে (Alaska Meet)।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাফ কথা

    যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এগুলি অর্থহীন। কোনও লাভ হবে না।” তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই একই সঙ্গে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এতে কোনও লাভ হবে না।” তিনি এও বলেন, “ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশ্নের উত্তর ইউক্রেনের সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে। কেউই এর থেকে বিচ্যুত হবে না এবং হতে পারবেও না (India ।”

    ইউক্রেন ভাগের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেব না

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু ভূখণ্ড বিনিময় হবে এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বলে সতর্ক করেন যে ইউক্রেন দেশটিকে ভাগ করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারকে উপহার দেবে না।” তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, শান্তি আসতে হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে যুদ্ধের অবসানের মাধ্যমে, রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে নয় (Alaska Meet)।

    ইউরোপীয় দেশগুলির বক্তব্য

    এদিকে, শনিবার ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে বাদ দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না, পরিবর্তন করা যাবে না আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমেও। এদিকে, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শনিবার ব্রিটেনে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। সেখানে ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার বৈঠকের আগে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময়ও করেছেন বলে সূত্রের খবর। ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পঙ্কজ সারণ বলেন, “আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শীর্ষ (India) সম্মেলনের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, কারণ যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। এবং নিশ্চিতভাবেই ভারতের ওপর এর প্রভাব পড়বে (Alaska Meet)।” প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এবং পুতিন শেষবার এক সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৯ সালে, জাপানে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তাঁরা একাধিকবার টেলিফোনে কথাও বলেছেন।

    আগেও বৈঠক হয়েছে ট্রাম্প-পুতিনের

    পুতিন এর আগে ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকও করেছিলেন। সেই সময় ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এই সিদ্ধান্তের চেয়ে পুতিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে মনে হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, রাশিয়া নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবেরকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুতিন শেষবার কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ২০১৫ সালে, যখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বৈঠকে বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Alaska Meet)। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউক্রেন প্রেডিসেন্ট বলেন, “ইউক্রেন রাশিয়াকে জমি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে আলোচনায় বসাও অর্থহীন। আমরা সবাই শান্তি চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয় (India)।”

    ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “অবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমার বৈঠকটি হতে চলেছে। ১৫ অগাস্ট শুক্রবার আলাস্কায় আমাদের সাক্ষাৎ হবে। পরে টেলিগ্রামে রাশিয়ার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চত করতে প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করবেন (Alaska Meet)।”

LinkedIn
Share