Tag: vladimir putin

vladimir putin

  • Vladimir Putin: বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাশিয়ায়, ফের প্রার্থী হচ্ছেন পুতিন!

    Vladimir Putin: বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাশিয়ায়, ফের প্রার্থী হচ্ছেন পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধান্ত বদল করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)! আগে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের পর আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না। তবে বর্তমানে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার এক সূত্রের খবর, সেই কারণেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন পুতিন।

    জোসেফ স্তালিন

    রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ছিল ৪ বছর। কোনও একজন পর পর টানা দুটো টার্ম থাকতে পারতেন রাষ্ট্রপতি পদে। তবে টানা ২৪ বছর ক্রেমলিনে ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। টানা দু’ বারেরও বেশি যাতে প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যায় তাই একুশেই আইন বদলেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার আগেই অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ৬ বছর। যেহেতু বদলেছে আইন, তাই আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনও বাধা রইল না পুতিনের সামনে।

    আইন বদল পুতিনের

    ২০০০ সালের মে মাস থেকে পর পর দু’টি টার্মে জিতে প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন পুতিন (Vladimir Putin)। যেহেতু দু’ বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না, তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে পুতিন হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালের নির্বাচনে জিতে ফের হন প্রেসিডেন্ট। জয়ী হন ১৮-র নির্বাচনেও। তার পরেই পরিবর্তন করা হয় আইনে। নতুন বছরের মার্চ মাসে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনেই লড়তে চাইছেন বছর একাত্তরের পুতিন। তবে এ ব্যাপারে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন ক্রেমলিনের কর্তারা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই, তা ঘোষণা করা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

    তবে পুতিন রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর জয় যে নিশ্চিত, তা বলছে সে দেশের বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা। জানা গিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে রয়েছে রাশিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এই আবহেই চলতি বছরের প্রথম দিকে শোনা গিয়েছিল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে সেটা যে নিছকই জল্পনা ছিল, তার প্রমাণ মিলল প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসায়। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে যাতে রাশিয়া হেরে না যায়, তাই এর শেষ দেখে ছাড়তে চান পুতিন। তাই তিনি বদলেছেন আগের সিদ্ধান্ত (Vladimir Putin)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। আয়োজক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একদম সঠিক কাজ করছেন তিনি। দেশে তৈরি গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত।” মঙ্গলবার দেশের বন্দর শহর ভ্লাদিভসতকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    দেশীয় পণ্যের ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করে পুতিন বলেন, “আগে আমাদের কাছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি ছিল না, এখন আমাদের কাছে রয়েছে। এটা সত্যি যে মার্সিডিজ বা অডি গাড়ির তুলনায় আমাদের তৈরি গাড়িগুলি অনেক শোভনীয় দেখতে। নয়ের দশকে আমরা অনেক গাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু এটা ইস্যু নয়। আমাদের বন্ধুদের দেখে শেখা উচিত। যেমন ভারত। ওরা দেশীয় প্রযুক্তিতে গাড়ি তৈরি ও তা ব্যবহারের ওপর নজর দিয়েছে। আমার মনে হয়, মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) একদম সঠিক কাজ করছেন। উনি একদম ঠিক।”

    আরও পড়ুুন: লুকিয়ে একা পর্ন ছবি দেখা কি দণ্ডনীয় অপরাধ? যুগান্তকারী মন্তব্য কেরল হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নিজস্ব তৈরি গাড়ি রয়েছে। আমাদের সেগুলি ব্যবহার করা উচিত। ওই গাড়িতে কোনও সমস্যা নেই। এতে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিক্রি বাড়বে। এমন একটা চেইন তৈরি করতে হবে, যাতে কোন শ্রেণির আধিকারিকরা কী ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, তা জেনে সেই অনুযায়ী গাড়ি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনা নিয়ে একাধিক প্রস্তাবনা আনা হয়েছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের অটোমোবাইল সংস্থা রয়েছে। আর আমাদের সেই গাড়িগুলি ব্যবহার করা উচিত। এই পদক্ষেপের জন্য আমাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে থাকা কোনও নীতির বিরোধিতা বা লঙ্ঘন করতে হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন ভ্লাদিমির পুতিনের, কী কথা হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন ভ্লাদিমির পুতিনের, কী কথা হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেপ্টেম্বরে ভারতে রয়েছে জি২০-র শীর্ষ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে পুতিন আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথাই জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের বদলে ওই সম্মলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভারভ।

    জি ২০ সম্মেলন

    ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বসছে জি২০ সম্মেলন। জি২০-র সদস্যভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন এই সম্মেলনে যোগ দিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আসবেন। তবে আসবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের মতে, যেহেতু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি রয়েছে বিশ্বজুড়ে, তাই ভারতে আসতে পারছেন না তিনি।

    পুতিনের গরহাজিরার কারণ

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোদি টেলিফোনে জেনেছেন জি২০ সম্মেলনে পুতিন কেন হাজির হতে পারছেন না। নয়াদিল্লির প্রতি মস্কোর ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে জি ২০ সম্মেলনে পুতিনের গরহাজিরার কারণ হিসেবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেছিলেন, “সে সময় জরুরি সামরিক সক্রিয়তার কারণেই প্রেসিডেন্ট পুতিন শারীরিকভাবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির থাকতে পারবেন না।” তবে সশরীরে হাজির না হলেও, ভার্চুয়ালি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন পুতিন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    এই প্রথম নয়, গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও ব্রিকস সম্মলনে উপস্থিত হননি পুতিন। সেখানেও পাঠানো হয়েছিল রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য দেশ। এই আদালতই ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং শিশুদের জোর করে স্থানান্তরিত করার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে জারি করেছে গ্রেফতারি পরওয়ানা। জি২০ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার অংশগ্রহণ করেন দিল্লিতে বিশ্ব ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বি২০ সম্মেলনে। প্রসঙ্গত, তিনদিনের জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। আসবেন অতিথি দেশের সদস্যরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের

    Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের (Yevgeny Prigozhin)। বুধবারে ১০ জন যাত্রীকে নিয়ে বিমান ভেঙে পড়ে রাশিয়ায়। এই বিমানেই ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রুশ সংবাদ মাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বিমানে ইয়েভগেনি ছিলেন এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল (Yevgeny Prigozhin)?

    রাশিয়ার সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বেসরকারি সংস্থার এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমানে যাত্রা করছিলেন তিনি। মস্কো থেকে প্রায় ১০০ কিমি উত্তরে টিবের একালাকয় কুজ়েনকিনো গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয় মৃতদের মধ্যে বিমানে সাতজন যাত্রী এবং তিনজন পাইলট ছিলেন। এই বিমানের মধ্যে ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। 

    কে এই ওয়াগানার প্রধান?

    রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে একেবারে সামনে থেকেই লড়াই করছিল ওয়াগানার গ্রুপ। কিন্তু কয়েক মাস আগেই পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। রাশিয়া থেকে পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকিও দেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর নামটি সংবাদ শিরনামে উঠে আসে। এরপর থেকেই পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল ধরে প্রিগোজিনের। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার, আইএস এবং আল-কায়দায়র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বিশেষ ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে আফ্রিকাকে নিজের ঠিকানা হিসেবে ঘোষণা করে  একটি ফোন নম্বর দিয়ে সকলকে এই ঘোষিত যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

    পুতিনের সঙ্গে মতভেদ হয়েছিল

    পুতিন ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে (Yevgeny Prigozhin) হত্যা করতে পারেন বলে একটি অভিযোগ উঠেছিল জুলাই মাসের সময় থেকেই। এমনও কথা শুনতে পাওয়া গিয়েছিলল যে, মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। কিভ, ডনবাস এবং ইউক্রেনের অনেক এলাকা দখলের জন্য বিশেষ দায়িত্ব ছিল এই প্রিগোজিনের উপর। কিন্তু আচমাকা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন পুতিনের বিরুদ্ধেই। তার পর থেকেই পুতিনের রোষে পড়েন ‘বন্ধু’ প্রিগোজিন। বেলারুশের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ মাঝপথে থামান তিনি। এবার বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিন জড়িত বলে অভিযোগ তুলছেন ওয়াগানার যোদ্ধারা। তাঁদের অভিযোগ, রুশ সেনা পরিকল্পিত ভাবে খুন করছেন প্রিগোজিনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের উদ্দেশ্য পুতিনকে (Vladimir Putin) গদিচ্যুত করা নয়। আমরা একটা প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র।” এই ‘মিউ মিউ’ বার্তা রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার (Wagner) গ্রুপের প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের। তিনি বলেন, “দেশে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে যে আশঙ্কা আমাদের মনে ছিল, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের পদযাত্রায়।” ১১ মিনিটের এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, “আমাদের দলের সদস্যরা রাশিয়ার মাটিতে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। আমরা রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধও করিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত, রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে নামানোর জন্য।” 

    ওয়াগনারের বিদ্রোহ

    ওয়াগনার (Wagner) রুশ সেনার অংশ নয়। তবে বছর দেড়েক ধরে রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে অংশ নিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে। এর আগে লিবিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং মোজাম্বিকের মতো দেশে গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন ওয়াগনারের সেনারা। সম্প্রতি রুশ সেনা পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন ওয়াগনার প্রধান। এর পরেই মস্কোর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় ভাড়াটে যোদ্ধাদের ওই বাহিনী। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেন ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক হাজার যোদ্ধা।

    ওয়াগনারের অগ্রগতি

    শুক্রবার রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর শনিবার সকালে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ভোরোনেজের দখল নেন ওয়াগনারের যোদ্ধারা। এর পর তাঁরা এগোতে থাকেন মস্কোর দিকে। সক্রিয় হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর আকাশপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে। ওয়াগনার প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। বাহিনীকে ফেরার নির্দেশ দিয়ে আত্মগোপন করেন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    পরে এক অডিও বার্তায় তিনি (Wagner) বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরা আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করলে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করার নির্দেশও এদিন অডিও বার্তায় দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান।

    পুতিনের ব্যাঘ্র গর্জনের ধাক্কায়ই কি মিউ মিউ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে দশা রাশিয়ার (Russia Crisis) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। বছর দেড়েক ধরে যুদ্ধ চললেও, এখনও সম্ভব হয়নি ইউক্রেন বিজয়! এমতাবস্থায় রাশিয়ার অন্দরেই মাথাচাড়া দিল বিদ্রোহ। মস্কোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ার পেশাদার যোদ্ধারা। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ হাজার সেনার বাহিনী ক্রমেই এগোচ্ছে মস্কোর দিকে। বিদ্রোহ দমন করতে পেশাদার যোদ্ধাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    ওয়াগনারের প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশ

    পেশাদার যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজিন প্রগোজিনকে সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া সরকার। দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারের নির্দেশও। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। মস্কোর (Russia Crisis) সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেছে তারা। এমতাবস্থায় পুতিনের কড়া বার্তা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন, তাঁরা দেশের কাছে বিশ্বাসঘাতক বলে গণ্য হবেন।

    পুতিনের হুমকি

    এদিকে, ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের চেষ্টা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, পুতিন প্রতিরক্ষমন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক ও ন্যাশনাল গার্ডের কাছ থেকে নিয়মিত এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেশের অভ্যন্তরণী বিদ্রোহ (Russia Crisis) ঠেকাতে শনিবার জাতির উদ্দেশে আবেগতাড়িত ভাষণ দেন পুতিন। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের পিঠে ছুরি মারা। এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা। অতি উচ্চাকাঙ্খা এবং ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। যে বা যাঁরা দেশের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, সচেতনভাবেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা যাঁদের, সন্ত্রাসবাদীদের মতো ব্ল্যাকমেল করছেন, দেশের আইন এবং নাগরিকদের কাছে তাঁদের কঠোর শাস্তি অনিবার্য। তিনি বলেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ অশান্তি আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতিগত পরিচয়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটা সমগ্র রাশিয়া ও দেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত ধাক্কার। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি আমাদের নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই সময় জাতীয় ঐক্য অবশ্যই জরুরি।

    এদিকে, ওয়াগনার (Russia Crisis) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ক্রেমলিনকে দায়ি করে প্রগোজিন বলেন, আমরা মস্কো যাচ্ছি এবং যে কেউ আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আমাদের শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, আমাদের প্রচুর সংখ্যক যোদ্ধা, আমাদের কমরেডদের হত্যা করেছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পর দিনই এমন ঘোষণা করলেন পুতিন। মঙ্গলবার পুতিন বলেন, “আমি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি, কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসছে।” আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’-ই ছিল শেষ চুক্তি। অন্যদিকে পুতিনের ঘোষণাকে “দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    কেন এই পদক্ষেপ পুতিনের?

    সোমবারই ইউক্রেনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন বাইডেন৷ তার পরেই মস্কোর এই পদক্ষেপ নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করছে। পুতিনের এই বড় সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ গুলিকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তার ন্যাটো সহযোগীরা ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয়ের লক্ষ্যে কাজ কারছে, তাই এই সিদ্ধান্ত৷ প্রতিপক্ষ দেশগুলি রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার দখলের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ ভ্লাদিমির পুতিনের৷ পুতিনের মতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হার চায় আমেরিকা। একই সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের তথ্যও চায় তারা। এটা চলতে দেওয়া যায় না। ফলে মঙ্গলবার ‘স্টেট অফ দ্য নেশন’-এ ইউক্রেন যুদ্ধের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে বিশেষ ভাষণ দেন পুতিন। সেখানেই আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার বিষয়টি ঘোষণা করেন ও সাফ জানিয়ে দেন, একে অপরের নজরদারিতে থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া করবে না রাশিয়া।

    আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্য

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলল আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে পুতিনের এই ঘোষণা সত্ত্বেও আলোচনার দরজা বন্ধ করছে না তাঁর দেশ। এ প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, কৌশলগত অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে রাজি।”

    পুতিনের এই ঘোষণার পরে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইউক্রেন জয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাশিয়া। মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দু’বার ভাববে না তারা। অন্যদিকে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দিল বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

  • India Russia Relationship: পুতিনের উপস্থিতিতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ বৈঠক অজিত ডোভালের

    India Russia Relationship: পুতিনের উপস্থিতিতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ বৈঠক অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমা দেশগুলি ক্রমেই ‘শত্রুতা’ বাড়াচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে। এমনকী রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকও এড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এবার মস্কোতে পৌঁছলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেখানে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন অজিত ডোভাল। নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন তাঁরা। সেই বৈঠকেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে করা হয় বিস্তারিত আলোচনা। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে দুই দেশই রাজি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে। লস্কর, জইশের মত জঙ্গি সংগঠনকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডোভাল।

    পুতিনের সঙ্গে ডোভালের বৈঠক

    মস্কোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের অফিস থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারত-রশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। বুধবার থেকে দুই দিনের রাশিয়া সফর শুরু করেছেন ডোভাল।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    অজিত ডোভাল এদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন। অজিত ডোভাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আফগানিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বৈঠকে ডোভাল বলেছিলেন, কোনও দেশই যাতে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করার জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার না করে সেদিকে নজর রাখা জরুরি।

    ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, অজিত ডোভাল আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। এদিকে আফগান নাগরিকদের জন্য ভারত যে সাহায্য পাঠিয়েছে, তারও উল্লেখ করেন অজিত ডোভাল। আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতেও ভারত আফগানিস্তানের মানুষের পাশে থাকবে।

    সোমবার নয়া দিল্লিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেছেন, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্কে আরও বৈচিত্র আনতে চায়। আর সেই কারণেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের রাশিয়া সফরের মাত্র তিন মাস পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই রাশিয়া সফর।

    প্রসঙ্গত, বুধবার অজিত ডোভাল আফগানিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পঞ্চম বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। যা আয়োজন করেছিল রাশিয়া। আজকের এই বৈঠকে রাশিয়া, ভারত ছাড়াও ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, তাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও ছিলেন। 

  • Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরই ভোল বদল রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়মিত সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। বাইডেনের ইউক্রেনকে এই প্রতিশ্রুতির দেওয়ার পরপরই পুতিনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়। 

    কী বলেন পুতিন?     

    পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সামরিক সংঘর্ষের পরিমাণ আর বাড়ানো নয় বরং এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো। আমরা এই যুদ্ধের অবসানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং যত তাড়াতাড়ি আমরা তা করতে সমর্থ হব তত ভাল।” 

    তবে পুতিনের (Vladimir Putin) মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এ বিষয়ে বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা শেষ করতে তিনি যে আলোচনা চান সেটি নিশ্চিত করতে পুতিন কোনো ইঙ্গিত রাখেননি।”

    আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?  

    পুতিনকে (Vladimir Putin) ইঙ্গিত করে জন কিরবি আরও বলেন, ‘বরং তিনি যা করছেন তা তার দাবির পুরোপুরি বিপরীত। তিনি ইউক্রেনের জমিনে এবং আকাশে যা করছেন তা এমন একজন ব্যক্তির কথা নির্দেশ করে, যে কিনা ইউক্রেনের জনগণের উপর সহিংসতা চালিয়ে যেতে চায় এবং যুদ্ধ বাড়াতে চায়।’ 

    এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যহত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে ১৮৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করবে মার্কিন প্রশাসন।

    নিয়মমাফিক বছর শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ঠিক তার আগের দিনই কয়েক ঘণ্টার মার্কিন সফর সেরেছেন জেলেনস্কি। তাই সাংবাদিক সম্মেলনের শুরু থেকেই একযোগে আমেরিকা ও ইউক্রেনকে আক্রমণ করেন পুতিন। সাফ জানিয়ে দেন, “এই যুদ্ধ বন্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা বহুদিন ধরেই এই চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যেভাবেই হোক, এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছি।” সামরিক লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হলেও যুদ্ধ বন্ধ করার কথা উঠে এসেছে পুতিনের মন্তব্যে।

    রুশ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “আমরা তো দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষরা সেটা চাইছে না। তারা যত তাড়াতাড়ি যুদ্ধ বন্ধের গুরুত্ব বুঝতে পারে, ততই ভাল।” ইউক্রেনের জন্য প্রতিরক্ষার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টি নিয়েও আলাদা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর মতে, অযথাই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কিছু পক্ষ। তবে এইভাবে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে হয়েছিল জি ২০ (G20) সম্মেলন। এই সম্মেলনে সবাই হাজির থাকলেও, ছিলেন না রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর ছড়ায়, অসুস্থ থাকায় ওই সম্মলনে গরহাজির ছিলেন তিনি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অনুপস্থিত থাকলেও, ভারতে (India) যে জি ২০ সম্মেলন হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন পুতিন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে পুতিনের নিজের ওপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নিজেই এ খবর জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতে জি ২০ সম্মলন শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে। শেষ হবে তার পরের দিন।

    শ্বেতলানা লুকাস বলেন…

    পুতিনের মুখপাত্র শ্বেতলানা লুকাস বলেন, আমি আশা করি, অবশ্যই (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) যাবেন। তবে এটা একান্তভাবেই স্থির করবেন তিনি স্বয়ং। আগামী সম্মেলন এখনও এক বছর দেরি। তাই আমি এখনই এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমার মনে হয়, তাঁর যাওয়ার সমস্ত রকম সম্ভাবনা রয়েছে। লুকাস বলেন, জি ২০ সম্মেলন নিয়ে কোনও ইভেন্ট এড়াবে না রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত না থাকলেও, সে দেশের তরফে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতকে নিয়ে কৌতুহলী বিশ্ব’, জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন মোদি

    জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রতিটি ইভেন্টেই রাশিয়া যোগ দেবে বলেও জানান পুতিনের মুখপাত্র। লুকাস বলেন, আমরা একটিও ইভেন্ট মিস করব না। সেটা ওয়ার্কি গ্রুপের বৈঠক হোক কিংবা সেমিনার অথবা কনফারেন্স। তিনি বলেন, এটার রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে তার পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া, মতামত ব্যক্ত করা এবং অন্যান্য দেশ কী তুলে ধরছে, তা খুঁটিয়ে দেখা।

    এদিকে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ভারত-রাশিয়ার যে বাৎসরিক সম্মেলন হয়, এবার তা হচ্ছে না। ফি বার এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এবার দু তরফেই শিডিউলের সমস্যার জেরে হচ্ছে না ওই সম্মেলন। সূত্রের খবর, নিউক্লিয়ার হুমকির জেরে হচ্ছে না মোদি-পুতিন বৈঠক। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দুই দেশের দুই প্রধান মুখোমুখি হতে পারছেন না স্রেফ শিডিউলের সমস্যার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share