Tag: vulture

vulture

  • Vulture Population: ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার, বলছে রিপোর্ট

    Vulture Population: ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশগত ভারসাম্য অথবা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শকুন (Vulture Population)। পচাগলা মৃতদেহ ভূপৃষ্ঠ থেকে সরাতে স্যানিটাইজেশনের কাজ করে শকুন। অর্থাৎ প্রাকৃতিক স্যানিটাইজেশনের পরিষেবা শকুনের কাছ থেকেই পাওয়া যায়। একাধিক গবেষণায় সামনে এসেছে মানুষের জীবন রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শকুন (Vulture)। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভারতে শকুনের সংখ্যা কমেছে বিগত বছরগুলিতে (Vulture Population)। এর ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের ওপর। বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হারও। ৯০-এর দশকের পর থেকে শকুনের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে দেশে, এমনই তথ্য সামনে এসেছে এক গবেষণায়। এর পরবর্তীকালে ২০০২ সালেই শকুনকে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আইইউসিএন।

    কী বলছে নতুন গবেষণা (Vulture Population)? 

    নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ভারতে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মৃত প্রাণীর কাছ থেকে রোগ জীবাণু ছড়ানোর ফলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৃত প্রাণীর দেহ প্রাকৃতিকভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ করে শকুন, তাই শকুনের (Vulture) প্রজাতির কমার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

    বিপুল পরিমাণে শকুনের মারা যাওয়ার কারণ কী?

    কিন্তু বিপুল পরিমাণে শকুনের মারা যাওয়ার (Vulture Population) কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধই শকুনের মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ। বিষাক্ত এই ওষুধের সংক্রমণ মৃত প্রাণীদের দেহ শকুনের দেহে ছড়ায়। তার প্রভাবে শকুনের দেহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পড়তে থাকে। কিডনি বিকল হয়ে যেতে থাকে। এরফলেই মারা যেতে থাকে শকুন। পরবর্তীকালে ভারত সরকার ২০০৬ সালে এই ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।

    যে অঞ্চলগুলিতে শকুন থাকত, সেখানে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪.৭ শতাংশ

    গবেষণাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের যে অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে শকুন থাকত, সেখানে গড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ শকুনের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালের পরবর্তীকালে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮৬ জন অতিরিক্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওই অঞ্চলগুলিতে। এত মানুষের মৃত্যু, শকুনের সংখ্যা কমার ফলেই হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ওই সমস্ত জায়গাতে মৃত প্রাণীর দেহ প্রাকৃতিকভাবে স্যানিটাইজেশন করত শকুন যার ফলে রোগ জীবাণুর ছড়ানো বন্ধ হত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন (Vulture) প্রজনন কেন্দ্রে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরির উদ্যোগ নিল বন দফতর। যার পোশাকি নাম আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই রাজাভাতখাওয়ায় এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

    কৃত্রিম উপায়ে শকুনের (Vulture) ডিম ফোটানোর উদ্যোগ কেন নিল বন দফতর?

    পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের (Vulture) গুরুত্ব অপরিসীম। পচাগলা দেহ দেহাংশ খেয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু,  গত কয়েক দশকে শকুনের সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে প্রাণীটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শকুন। শকুনের বিলুপ্তির কারণে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আর সেই কারণেই পৃথিবীতে  শকুন বাঁচিয়ে রাখার নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০০৬ সালে  বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৫৪ টি শকুন রয়েছে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ টি শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছে। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে সে সব শকুনকে ছেড়েছে বন দফতর।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা?

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, আমরা শকুনের (Vulture) সংখ্যা বৃদ্ধি দ্বিগুন হারে করার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করতে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতি রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন  কেন্দ্রে চালু করা হবে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, একটি শকুন বছরে একটি মাত্র ডিম পারে। কিন্তু, ডিম পারার পরে সেই ডিম সেখান থেকে কোনওভাবে তুলে নিতে পারলে ওই  শকুনের ওই বছরেই আরও একটি ডিম পারার সম্ভাবনা থাকে। শকুনটি একটি ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধরে নিয়ে আরেকটি ডিম পারতে পারে। ফলে, এক্ষেত্রে বছরে একটি শকুন দুটো ডিম পারতে পারে। একটি ডিম কৃত্রিম উপায়ে ফোটানোর ব্যবস্থা করতে পারলে একটি শকুন থেকে বছরে দুটো ডিম পেতে পারি। আর সেই দুটি ডিম থেকে দুটো শকুনের বাচ্চার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাতে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share