Tag: Waqf violence

  • Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্ক ইস্যুতেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা। মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ব্যঙ্গের সুরে মিঠুন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?’’ একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তী ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, বাংলায় এখন হিন্দু সম্প্রদায় একজোট হচ্ছে।

    কোনও কিছুই বাঁচাতে পারবে না মমতাকে, তোপ মিঠুনের

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?’’ ওই সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, ‘‘এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন

    মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এই হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে তোপ দাগেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। মমতার এমন বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে মিঠুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।’’

  • Bhangar: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড়, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে চলল তাণ্ডব

    Bhangar: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড়, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে চলল তাণ্ডব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড় (Bhangar)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলন হয়ে উঠল হিংসাত্মক। গতকাল সোমবার সকাল সকাল ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ছড়ায় অশান্তি। স্থানীয় সোনপুর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের পাঁচটি বাইকে। একইসঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও (Waqf Violence) শুরু হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রায় ৮ থেকে ১০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।

    বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে

    মালদা মুর্শিদাবাদের পরে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয় ভাঙড়ে (Bhangar)। আইএসএফ-র উদ্যোগে রামলীলা ময়দান অভিযানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। এমনই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে। দুর্ভোগে পড়েন প্রচুর মানুষ। ভাঙড় থেকে কলকাতাগামী রাস্তা এরফলে বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে ওঠেন বাস অন্যান্য গাড়িতে থাকা যাত্রীরা। অন্যদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার।

    সোনপুর বাজারে ছড়ায় ব্যাপক অশান্তি (Bhangar)

    সোনপুর বাজার পুরোপুরি অবরোধ করা হয়। হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করেন সেখানে। ফলে রাস্তাঘাট একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই সময়ই তাঁদের রাস্তাঘাট সচল রাখার আবেদনও জানানো হয় পুলিশের তরফে। অভিযোগ ওঠে, এই সময়েই পুলিশের ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট বৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়ির কাচও ভাঙে। এর পর একটি পিক আপ ভ্যান রাস্তার উপর ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি পুলিশের বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের প্রিজন ভ্যানও (Bhangar)।

LinkedIn
Share