Tag: Waqf

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মুর্শিদাবাদে আফস্পা (আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) জারির দাবি তুললেন পুরুলিয়ার সাংসদ বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jyotirmay Singh Mahato)। পশ্চিমবঙ্গে সীমনাবর্তী এই এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করা হোক বলে দাবি জানান তিনি। এই এলাকাগুলিকে উপদ্রুত ঘোষণা করে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায় আফস্পা জারির আর্জি জানিয়ে জ্যোতির্ময় চিঠি দিলেন (Anti Waqf Protests) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Jyotirmay Singh Mahato)

    সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এই আইনেরই প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। বাড়িঘরদোরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও খবর। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও এল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর। এহেন আবহে আফস্পা জারির দাবি তুললেন জ্যোতির্ময়।

    জ্যোতির্ময়ের দাবি

    তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাকে নেহাত অরাজকতা বললে কম বলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাই এজন্য দায়ী।” জ্যোতির্ময়ের অভিযোগ, ‘সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে সবার সামনে। হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র ভিড়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, এমনকি পুলিশবাহিনীও। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। এতে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট।’

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল

    চিঠিতে পুরুলিয়ার সাংসদ লিখেছেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে, আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের যেভাবে ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের এক ঘরে করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের ওপর হিংসা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার সঙ্গে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না করলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তবে এবার আর উপত্যকায় নয়, বাংলায়।” প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের আফস্পা আইন আগেই (Jyotirmay Singh Mahato) কার্যকর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে। এই আইনের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা পায় সেনা। কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারে, বলপ্রয়োগও করতে পারে।

    জ্যোতির্ময়ের বক্তব্য

    জ্যোতির্ময় আরও লিখেছেন (Anti Waqf Protests), “দীর্ঘদিন ধরে বাংলার হিন্দুরা নিঃশব্দে অত্যাচার সহ্য করে আসছেন। কাশ্মীরের মতো বাংলায় পরিস্থিতি হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” চিঠিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তির বিক্ষিপ্ত কতগুলি ঘটনাও তুলে ধরেন সাংসদ। তাঁর মতে, এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে আইনশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হবে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিকে টার্গেট করার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং হিন্দুরা যে একা নেই, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে (Jyotirmay Singh Mahato)।

    সাংসদের দাবি

    পুরুলিয়ার এই সাংসদের দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দুদের প্রায় ৮৬টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঝাউবোনা গ্রামে পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হিন্দুদের টার্গেট করে ‘ইকনমিক স্যাবোটেজ’ বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। জ্যোতির্ময়ের আরও অভিযোগ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও একই রকম অস্থিরতা (Jyotirmay Singh Mahato) দেখা দিয়েছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে দুর্বল ও কণ্ঠহীন করে তুলেছে (Anti Waqf Protests)।

    শাহকে চিঠি জগন্নাথ সরকারেরও 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এই সাংসদ। জেলায় শান্তি ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার (Jyotirmay Singh Mahato) আর্জিও জানিয়েছেন রানাঘাটের বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ধর্মীয়ভাবে পরিচালিত ধর্মান্ধদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ৪০০ জনেরও বেশি হিন্দু নদী পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং মালদার বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুর-সোভাপুর জিপির পার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি উগ্রপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। হিন্দুদের শিকার করা হচ্ছে, আমাদের লোকেরা তাঁদের নিজের দেশে তাঁদের জীবনের জন্য দৌড়চ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার এই (Anti Waqf Protests) ভাঙনকে অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক (Jyotirmay Singh Mahato)!”

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Incidents) ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। সেখানেই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের যেখানে তাণ্ডব চলছে, সেখানে ঠিক থানার উল্টোদিকের একটি বড় হলে অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও বারুদ মজুত রেখেছে তাণ্ডবকারীরা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে সনাতনীদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। একটা সময় সনাতনীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।” এদিন সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি বাস এবং মোটরবাইকে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে হাজির ছিলেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায়, যুব নেতা জয় সাহা প্রমুখ।

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Sukanta Majumdar)

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা – তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যাঁরা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তাঁরা এখন হতবাক – আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাঁদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না (Sukanta Majumdar)।”

    কী লিখলেন সুকান্ত?

    সুকান্ত আরও লেখেন, “এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ​​ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।”

    প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়ল পুলিশ!

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে ফের একবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Incidents) বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সামশেরগঞ্জও। প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন একাধিক পুলিশ কর্মী (Sukanta Majumdar)।

    সড়ক অবরোধ  

    শুক্রবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই সতর্ক ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। নয়া আইন অনুসারে, এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। যদিও শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত অংশে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

    ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা

    বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটাতে হয় কাঁদানে (Murshidabad Incidents) গ্যাসের সেল। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। ততক্ষণে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ নামানো হয় বিএসএফকে (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডারা মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি। আর পুলিশ (Murshidabad Incidents) দর্শকের মতো আচরণ করছে।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। শনিবার রাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। তার পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। বুধবার দীর্ঘ বিতর্কের পর গভীর রাতে লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলের পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট, আর বিপক্ষে ২৩২টি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায় বিলটি। তার পরেই বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। শনিবার তাতে সই করেন তিনি। এর পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে।

    ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (Waqf Amendment Bill)

    ভারত সরকারের গেজেটিয়রে প্রকাশিত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, “ওয়াকফ শব্দের অর্থ ঐক্যবদ্ধ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন।” নতুন আইন অনুযায়ী, তাই কোনও জমি ওয়াকফ কিনা, সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাককরা। বোর্ডে এবার থেকে থাকতে পারবেন অমুসলিম প্রতিনিধিরাও। নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরও।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    মুসলিম আইনে যে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে ধর্মীয় বা দাতব্যের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়, তাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তিকে বলা হয় ওয়াকফ সম্পত্তি। এই সম্পত্তি মূলত সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এই সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, মসজিদ এবং দরিদ্রদের আশ্রয় দেওয়ার মতো কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই জমি। সম্পত্তির দেখভাল করে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill)।

    এই বোর্ডের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন মুসলমানদেরই একাংশ। তার জেরেই ওয়াকফ বিল আনে কেন্দ্র। এদিন সেটি পরিণত হল আইনে। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সার্বিকভাবে উন্নতি হবে মুসলিমদের। ক্ষমতায়ন হবে মুসলিম মহিলাদের। নয়া আইন অবশ্য মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে অস্বচ্ছতা দূর হবে। নয়া আইন মুসলিম মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিশা দেখাবে। মুসলিম ছাত্রীদের বৃত্তি, মহিলাদের স্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা, দক্ষতা বৃদ্ধি, মহিলা উদ্যোগীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থার পাশাপাশি (Waqf Amendment Bill) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের রাস্তা খুলে দেবে নয়া আইন (Droupadi Murmu)। উন্নত করবে দরিদ্রদের জীবনযাপনের মান।

  • Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোদ্দ পুরুষের ভিটেয় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Amendment Bill) দাবি, ওই ৪০০ একর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। তার পরেই গত ১৭৪ দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে (BJP) কেরলের মুন্নামবাম গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। ৩০ মার্চ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। তারপর শনিবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান বিজেপি নেতারা। সেই সময় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    মুন্নামবাম পরিদর্শন শেষে বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, “এটি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদকে সংশোধনী বিল পাশ করতে শক্তি জুগিয়েছে। জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাশে থাকব। এই বিলের মাধ্যমে আপনাদের জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষমতা আছে। মুন্নামবামের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কণ্ঠ সংসদে পৌঁছেছে এবং এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত।”

    কেউ কথা রাখেনি!

    এদিন যে ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সবাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে সিপিএমের ঝান্ডা বয়েছেন। ওয়াকফ বিল পাশের পর এখন তাঁরাই হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। বিজেপির তরফে স্থানীয়দের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, একমাত্র পদ্ম-পার্টিই তাঁদের লক্ষ্যের সঙ্গে একমত। অথচ, সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস উভয়ই মুসলিম ভোটব্যাংকের (Waqf Amendment Bill) স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। প্রসঙ্গত, এলডিএফ এবং ইউডিএফের দাবি, তারা মুন্নামবামের মানুষের পাশে রয়েছে। তবুও উভয় ফ্রন্টের সাংসদরা বিলের সংশোধনীর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

    মুন্নামবামের আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ায়নি সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস। প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতারা। ওয়াকফ বিল পাশের পরে এটাকেই হাতিয়ার করতে ওই গ্রামে যাতায়াত করতে শুরু করেন ওই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়ে তারই জবাব দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ৫০ জন (Waqf Amendment Bill)।

LinkedIn
Share