Tag: war

war

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দাঁড়ি পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি পুতিন (Putin) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আপস করার জন্য উন্মুক্ত।

    কোনও পূর্বশর্ত নেই (Ukraine Russia War)

    তিনি বলেন, আলোচনার জন্য কোনও পূর্বশর্ত নেই। তবে যে কোনও চুক্তিতে অবশ্যই বৈধ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কথা বলেননি। তবে তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। রাশিয়া দুর্বল জায়গায় রয়েছে, একথা মানতে রাজি নন পুতিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর পরেই পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি বলেন, কিভকেও আপসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    স্থায়ী শান্তি চুক্তি

    সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি স্থায়ী শান্তি চুক্তির পক্ষে (Ukraine Russia War) মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইস্তানবুলের বৈঠকে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, এই খসড়া চুক্তিকে কিছু ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ আত্মসমর্পণ হিসেবেই বিবেচিনা করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসবের জেরে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলোর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পুতিন এই আক্রমণকে নেটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান হিসেবে সমর্থন করেছেন। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যদি অন্য রকম কিছু ভাবতাম, তাহলে ২০২২ সালের আগেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে পুতিন (Putin) স্বীকার করেন, যুদ্ধের (Ukraine Russia War) জন্য রাশিয়ার আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি দোরগোড়ায়? এবার কি তবে পারমাণবিক যুদ্ধ (Nuclear War)? অন্তত এমনই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে (World War III)। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে বদলে এনে প্রয়োগের সীমা (Nuclear Weapons Doctrine) কমিয়ে এনেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এর পরই, শঙ্কিত ইউরোপ। বিশ্বের আকাশে যে ক্রমেই যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে, তা স্পষ্ট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির পরিস্থিতি দেখেও। ওই দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে পুস্তিকা বিলি করেছে।

    কী পরিবর্তন রাশিয়ার নয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে?

    পুতিনের স্বাক্ষর করা নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, শুধু পারণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশেও হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। অর্থাৎ, যদি কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সাহায্যে রাশিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় কোনও পরমাণু শক্তিশূন্য রাষ্ট্র, সেক্ষেত্রেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। এক্ষেত্রে দেশটি পরমাণু শক্তিধর না হলেও হামলা চালাতে পিছুপা হবে না ক্রেমলিন।

    কী বলছে সুইডেন (Nuclear War)

    জানা গিয়েছে, সুইডেন তার নাগরিকদের পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় ‘আশ্রয় নিন’ বলে সতর্ক করে একটি পুস্তিকা বিলি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মাত্র পাঁচবার এমন পুস্তিকা বিলি করা হয়েছে। সেই পুস্তিকা এবার সুইডেনের প্রতিটি বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে এক সপ্তাহ আত্মনির্ভরশীল থাকা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়ে একটি জরুরি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে নরওয়ে-ও। এর মধ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ!

    বছর তিনেক ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও, বন্ধ হয়নি সংঘাত। এহেন আবহে মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী আমেরিকায় তৈরি ছ’টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (ATACMS) নিক্ষেপ করেছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই এ খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এটি মস্কোর কাছে একটি বড় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রত্যাশিতভাবেই বাজতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III) এমনকী, পরমাণু যুদ্ধের (Nuclear War) দামামা।

    আরও পড়ুন: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    অনেক ন্যাটো দেশ তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলছে। ডেনমার্ক ইতিমধ্যেই সে দেশের নাগরিকদের ইমেল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুকনো খাবার, জল এবং ওষুধ মজুত করুন। জরুরি পরিস্থিতিতে, এমনকী পারমাণবিক হামলার (Nuclear War) সময়ও যাতে তিন দিনের জন্য বেঁচে থাকা যায়, তাই এগুলি মজুত করতে হবে।

    ফিনল্যান্ডও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ঘটনা ও সঙ্কট মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে তাদের অনলাইন ব্রোশিওর আপডেট করেছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সংশোধিত পারমাণবিক নীতি অনুমোদন করেছেন (Nuclear Weapons Doctrine)। তার জেরে যুদ্ধের ১০০০তম দিনে পারমাণবিক উত্তেজনা (World War III) বৃদ্ধির আশঙ্কা তীব্রতর হয়ে উঠেছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের (Nuclear War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরের পর ফের নভেম্বর। আবারও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) হত্যার চেষ্টা। তাঁর বাড়িতে (War In Israel) বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পর পর দুটি বোমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাগানে। সেই সময় অবশ্য ওই বাড়িতে ছিলেন না নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

    আত্মঘাতী ড্রোন (War In Israel)

    অক্টোবরে আত্মঘাতী ড্রোন উড়ে গিয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। সেদিনও বাড়িতে ছিলেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ফের হল আক্রমণ। রবিবার সকাল পর্যন্তও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী। তবে কারা এই হামলা চালাল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইজরায়েল প্রশাসন।

    এবার ছোড়া হল বোমা

    প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পর বিবৃতি জারি করেছে ইজরায়েল পুলিশ। তারা জানায়, শনিবার দুটি বোমা ছোড়া হয় কেসারিয়া শহরে প্রধানমন্ত্রী বাড়ি লক্ষ্য করে। দুটি বোমাই পড়ে (War In Israel) তাঁর বাড়ির বাগানে। বাড়িটিতে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। তাই কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সমস্ত দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ইরান ও তার সহযোগী দেশগুলি এক দিক থেকে যখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করছে, তখন ঘরের ভিতরেও তিনি একই হুমকির মুখোমুখি হবেন, এটা হতে পারে না। নিরাপত্তারক্ষী ও বিচারবিভাগীয় সংস্থাগুলিকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জগ। জনসাধারণের ক্ষেত্রে হিংসা বৃদ্ধি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি শিন বেটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত তদন্ত ও দমন করতে জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    প্যালেস্তাইনের হামাসের পর ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে। এরই মধ্যে (Benjamin Netanyahu) মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুবার টার্গেট করা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগে ইজরায়েলি সেনা (War In Israel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেজার ও ওয়াকি-টকি হামলা (Attack), দুই সপ্তাহের বিমান হামলার পর এবার স্থলপথে লেবাননে আক্রমণ শুরু করল ইজরায়েল। এবার রীতিমতো আগাম ঘোষণা করেই লেবাননে (Israel-Lebanon Conflict)  ঢুকে অভিযান শুরু করল তারা। মঙ্গলবার ভোরে ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হবে। মূলত স্থলপথে হওয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দার্ন অ্যারো’।

    ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা (Israel-Lebanon Conflict)  

    ইজরায়েলি সেনা সূত্রে খবর, হামাসের মতো হিজবুল্লারও গোপন সুড়ঙ্গগুলিকে নজরে রাখা হচ্ছে। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ ‘নেটওয়ার্ক’ ধ্বংস করতে চাইছে ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই হিজবুল্লার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ লেবানন ধরে সুড়ঙ্গগুলিতে এগোচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লা ঘাঁটি দাহিয়ে থেকে সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েল স্থলাভিযান শুরুর ঘোষণা করার পরেই আমেরিকা বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারকে’ সমর্থন করছে পেন্টাগন।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

     গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জন নিহত

    গত সপ্তাহে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে হত্যার পর ইজরায়েলের এটাই প্রথম স্থলপথে আক্রমণ। লেবানন (Israel-Lebanon Conflict)  সরকারের মতে, ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইজরায়েল অনেক হিজবুল্লা কমান্ডারকে নির্মূল করেছে। ইজরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ ছুঁয়েছে। এছাড়া, ১০ লক্ষ মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল, পূর্ব বেকা উপত্যকা এবং বেইরুটে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত এবং ১৭২ জন আহত হয়েছেন।

    হুথিকেও নিশানা

    লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী, ইয়েমেনের হুথিকেও নিশানা করছে ইজরায়েল। রবিবার ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা শহরে হুথি নিয়ন্ত্রিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সমুদ্রবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। গত শনিবার ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুথি। ঠিক সেই সময়ই আমেরিকা সফর শেষ করে ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন নেতানিয়াহু। তবে তাঁকে নিরাপদেই বিমানবন্দর থেকে বার করে আনা হয়।

    নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা মোদির

    পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা রোধ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আমাদের বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই। আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করা এবং সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করতে চাইছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এজন্য ভারতের (PM Modi) ওপরই ভরসা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একটি শান্তি-প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে।

    মোদির রফাসূত্র (PM Modi)

    সম্প্রতি তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে কীভাবে দাঁড়ি টানা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ইউক্রেনকে যদি কিছু আপোস করতে হয়, তবে তার বিনিময়ে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হবে না। এর অর্থ হল, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। তবে ইউক্রেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ঝোঁকের ভারসাম্য বজায় রাখতে হতে পারে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    ভারত-চিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গও

    ওই আলোচনায় এসেছে ভারত-চিনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের (PM Modi) সংঘর্ষের প্রসঙ্গও উঠেছে। গত কয়েক দশক ধরে চিনা ফৌজের লাগাতার আক্রমণের জেরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূখণ্ড হারিয়েছে ভারত। তার পরেও ভারত চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। বড় কোনও আঞ্চলিক ছাড় দিতেও অস্বীকার করেছে ভারত। তাওয়াং এবং অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশের ওপর বেজিং যে দাবি করেছিল, সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিভের (ইউক্রেনের রাজধানী) চোখে মোদি অনেক কম সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ক্রমশ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে আদর্শ মধ্যস্থতাকারীই হিসেবে দেখছে। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইউক্রেনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ারও। পশ্চিমে ইউক্রেনের যেসব বন্ধু দেশ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির ভারতের। সেই কারণেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের (PM Modi) ওপর ক্রমেই নির্ভর করতে শুরু করেছে জেলেনস্কির দেশ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফিরে এসেছেন মস্কো সফর সেরে। এবার ফের মস্কোভা নদীর পাড়ে পা রাখতে চলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা (Russia Ukraine War) উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া সফরে থাকবেন ডোভাল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দেখা করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে।

    শান্তির বার্তা (Ajit Doval)

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন ডোভাল। এই সফরে প্রাক্তন আমলা ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকের পাশাপাশি, ডোভাল মস্কোয় জুলাইয়ের শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনাগুলি ফলো করার সম্ভাবনা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাশিয়ান ও চিনা কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে। গত মাসে পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে জানিয়েছিলেন, ডোভাল তাঁর ইউক্রেন সফরের পর শান্তি সম্পর্কিত ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো সফরে যাবেন। সেই সফরেই যাচ্ছেন ডোভাল। তবে তাঁর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    কী বলছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস

    এদিকে, রাশিয়ান দূতাবাসের তরফে খবর, দিন কয়েক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ও তাঁদের পশ্চিমী পৃষ্ঠপোশকদের ধ্বংসাত্মক নীতির মূল্যায়ন শেয়ার করেছেন। রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেছেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়া ও ইউক্রনে সংঘাত নিয়ে মত বিনিময় (Ajit Doval) করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেছেন। তিনি আলোচনা ও কূটনীতির পাশাপাশি সংঘাতের একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আন্তরিক ও বাস্তব সম্পৃক্ততার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সংঘাতের তাড়াতাড়ি, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সমর্থন করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বৈঠকে দুই পক্ষই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ভারত কখনওই নিরপেক্ষ ছিল না। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে ছিলাম। ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমরা আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সম্মান করি। এই দ্বন্দ্বের আশপাশের সব সমস্যা প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে চিন, ব্রাজিল ও ভারত। আমি (Russia Ukraine War) এই বিষয়ে আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি (Ajit Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

    Pakistan: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ কার্গিল যুদ্ধে (Kargil War) জড়িত থাকার কথা কবুল করে নিল পাকিস্তান (Pakistan)। সে দেশের প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির।

    কার্গিল যুদ্ধ কবুল (Pakistan)

    এই অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের যোগের কথা কবুল করেন তিনি। জানান, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে কার্গিলের যুদ্ধে তাঁদের অনেক সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “১৯৪৮, ১৯৬৫, ১০৭১ বা ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ হোক, হাজার হাজার সৈন্য পাকিস্তান ও ইসালমের জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।” প্রসঙ্গত, পাক সেনা কখনওই কার্গিল যুদ্ধে তাদের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তারা এতদিন দাবি করে এসেছে, কার্গিল যুদ্ধ ‘মুজাহিদিন’ বা মুক্তি যোদ্ধাদের কাজ।

    কার্গিল যুদ্ধ

    ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ হয়। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ওই যুদ্ধে গোহারা হারে পাক সেনা। লাদাখে টানা প্রায় তিন মাস যুদ্ধ করে টাইগার হিল-সহ কার্গিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের অংশের যে জায়গাটা অনুপ্রবেশকারীরা দখল করে রেখেছিল, তা পুনরুদ্ধার করে ভারত। পরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে কার্গিল সেক্টর থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

    যুদ্ধের পর থেকেই ভারত দাবি করে আসছে, কার্গিল যুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের ওপর তাদের দাবি জাহির করতেই এলাকা দখল করেছিল তারা। যে দখলদারদের হটিয়ে কার্গিল পুনরুদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। কার্গিল যুদ্ধে যে পাক সেনা জড়িত, তার একাধিক প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবন্দি, তাদের পে বুক, ইউনিফর্ম এবং অস্ত্র। কার্গিল যুদ্ধে নিহত কয়েকজন পাক সেনার দেহ নিতে অস্বীকার করে পাকিস্তান। সেই দেহগুলোকে কবর দেয় ভারত।

    কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন ভারতের ৫৪৫ জন সেনা। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্মরণে ফি বছর ২৬ জুলাই দিনটিকে কার্গিল (Kargil War) বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share