Tag: Water Treaty

  • India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি (India Pakistan Tension) উত্থাপন করে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শনিবার তার জবাব দিল ভারত (UN Meet)। রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, ইসলামাবাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। তারা অযথা ভারতের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা বন্ধ করুক। কারণ পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদই এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের হিমবাহ বিষয়ক এক সম্মেলনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান নিজেই। আমরা অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই চেষ্টায়, যেখানে তারা এই ফোরামকে অপব্যবহার করে এমন বিষয় উত্থাপন করেছে যেগুলি এই ফোরামের আওতার মধ্যে পড়ে না। আমরা এই ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করি।”

    ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত (India Pakistan Tension)

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদেকে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগ করে আসছে। হিমবাহ সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার এই সিদ্ধান্তকে জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং ইন্দাস নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিকে একতরফাভাবে ও অবৈধভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক (India Pakistan Tension)। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষের জীবনকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জল বন্ধ করে রাখা উচিত নয় এবং পাকিস্তান তা কখনওই তা হতে দেবে না।”

    কী বললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?

    এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “ইন্দাস জলচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পরিস্থিতির মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, যা এই চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলোর পুনর্মূল্যায়নকে জরুরি করে তোলে – এটি এমন একটি সত্য যা অস্বীকারযোগ্য নয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের হুমকি। তিনি বলেন, “তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবিরাম সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদ এই চুক্তির বিধান অনুযায়ী একে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করছে। পাকিস্তান নিজেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ভারতের ওপর এর দোষ চাপানো থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ফোরামকে অপব্যবহার করার এবং এমন বিষয় উত্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমরা স্তম্ভিত, যেগুলি এই ফোরামের আওতাভুক্ত (UN Meet) নয়। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই (India Pakistan Tension)।”

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    সুশান্ত দাস

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এসব করে কী লাভ? তাঁদের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হলে সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হবে। এসব জল বন্ধ করে (Water Treaty) লাভের লাভ কিছুই হবে না।

    ভারতের মাস্টারস্ট্রোক! (Pahalgam Attack)

    তাঁদের প্রশ্নগুলোকে সম্মান দিয়েও প্রশ্নকর্তাদের উদ্দেশে কিছু কথা। জল চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি এত হালকাভাবে নিলে হবে না। এই চুক্তির অনেক ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের। এটা ভারতের একটা মাস্টারস্ট্রোক। কেন? এটা এমন একটা অদৃশ্য অস্ত্র, যা যে কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী। এর প্রভাব মারাত্মক। কীভাবে? এটা জানতে হলে আগে একটু ইতিহাস আওড়ে নেওয়া যাক। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী- বিয়াস (বিপাশা), রাভি (ইরাবতী) এবং সাতলেজ (শতদ্রু)র জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী- চেনাব (চন্দ্রভাগা), সিন্ধু (ইন্ডাস) এবং ঝিলাম (বিতস্তা)-র জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    পাকিস্তানে সিন্ধু নদের গুরুত্ব

    এতদিন ধরে এই চুক্তি লাগু থাকার ফলে, সিন্ধুর জলের ওপর কার্যত দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের কৃষি। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষের জন্য এই জল ব্যবহার হয়। পাকিস্তানের সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদ থেকে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও চলে সিন্ধুর জলেই। ফলে, পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের ওপরেই (Water Treaty)। এবার ভারত এই চুক্তি স্থগিত করায় কৃষি থমকে (Pahalgam Attack) যাবে। এমনিতেই, পাকিস্তানে খাদ্যসঙ্কট চূড়ান্ত। তার ওপর কৃষি লাটে উঠলে দেশজুড়ে হাহাকার দেখা দেবে। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। তার ওপর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে চরম অন্ধকার নেমে আসবে। সেটাও শরিফ সরকার বিলক্ষণ জানে।

    মসজিদের মাইকে সাইরেন

    এখানেই শেষ নয় কিন্তু। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোনও বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছুই বন্ধ হল। এর প্রভাব কী হতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারই। এদিন দুপুরবেলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে বিপদঘণ্টি (Pahalgam Attack) বেজে ওঠে। চারদিকে হই-হই পড়ে যায়। প্রতিটা মসজিদের মাইকে সাইরেন বেজে ওঠে। জানা যায়, আচমকা ঝিলম নদীর জলস্তর হু-হু করে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেকি কাণ্ড! ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত ঝিলম! বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে দিয়েছে জল। চকোঠি সীমান্ত থেকে মুজাফফরাবাদ শহর পর্যন্ত, নদীর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা দেখে স্থানীয়দের আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। নদী তীরবর্তী সমস্ত গ্রাম – হাতিয়ান বালা, ঘড়ি দুপাট্টা, মাঝোই – সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায়। দ্রুত খালি করা হয় গ্রাম। পরিবারগুলি নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় (Water Treaty)।

    প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছিল। তবে, তারা যেখানে খরার আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেখানে প্লাবন চলে এল। যাকে বলে, আউট অফ সিলেবাস কোশ্চেন! এর চেয়ে আরও বড় প্রভাব দেখা যায় পাকিস্তানের অন্য প্রান্তে। পহেলগাঁও হত্যার পরের দিনই হামলার দায় নিয়েছিল লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ঝিলম প্লাবিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দায় ঝেড়ে ফেলে তারা (Pahalgam Attack)। অর্থাৎ, মৌচাকে ঢিল পড়েছে! ফলে, যাঁরা বলছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা, এটাও একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। তফাতের মধ্যে এখানে অস্ত্র আগুন নয়, এখানে অস্ত্র জল। ভারতের পূবদিকের প্রতিবেশীর নোবেলজয়ী সর্বেসর্বা, তিনি খবর শুনছেন তো! নয়তো কোনওদিন তারাও বানের জলে ভেসে (Pahalgam Attack) যেতে পারে…

LinkedIn
Share