Tag: Watermelon

Watermelon

  • Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে বেশ কিছুদিন। ক্যালেন্ডারের হিসেবে এখন বসন্ত। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ছে। গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে তরমুজ অনেকেই নিয়মিত খান। কেউ তরমুজের রস খান আবার কেউ তরমুজের টুকরো নিয়মিত জলখাবারে পাতে রাখেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তরমুজ (Watermelon) শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়! (Watermelon)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। হঠাৎ গরম পড়ার জেরে অনেকের শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারে তরমুজের মতো ফল। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।

    গরমে ত্বক ভালো থাকবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়লে অনেকের ত্বকের সমস্য হয়। র ্যাশ‌, সান বার্ন ছাড়াও একাধিক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বক ভালো থাকে। কারণ, তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এই দুই ভিটামিন ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী (Watermelon)।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজে (Watermelon) রয়েছে লাইকোপেন নামে এক উপাদান। এর জেরে শরীরে বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে, নিয়মিত তরমুজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে! (Watermelon)

    তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি, ভিটামিন সি সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বরের‌ মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে।

    পেশির ব্যথা কমাতে বিশেষ উপকারী!

    তরমুজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান পেশির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে পেশি ভালো থাকে। পেশির ব্যথা কমে (Watermelon)।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে!

    তরমুজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজ নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    অতিরিক্ত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে তরমুজে উপকার পেলেও সতর্ক থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই প্রতিদিন তরমুজ‌ খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তাতে দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান শরীরে জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার (Watermelon) খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রত্যেক দিন অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস ডায়ারিয়ার মতো রোগের বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া, তরমুজে রয়েছে সরবিটল। এই উপাদানের জেরে অনেকের তরমুজ হজম হয় না। অনেক সময়েই এই উপাদান শরীরে হজমের গোলমালের কারণ হয়ে ওঠে।
    তাই তরমুজ নিয়মিত খাওয়ার আগে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাবে তরমুজ-ডাবের জল, বিরিয়ানি কিংবা মদ্যপান কি বাড়াবে বিপদ?

    Heat Wave: তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাবে তরমুজ-ডাবের জল, বিরিয়ানি কিংবা মদ্যপান কি বাড়াবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতা, বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে মেদিনীপুর। তাপপ্রবাহ (Heat Wave) অব্যাহত! প্রত্যেকদিন বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তার সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি! শিশু, বয়স্কদের পাশাপাশি সকলেই এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় অসুস্থ বোধ করছেন। এই গরমে কীভাবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন? হিট স্ট্রোক কিংবা মাশল ক্র্যাম্পের মতো বিপদ এড়াতে কী করবেন আর কোন দিক থেকে বাড়তে পারে বিপদ? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই মারাত্মক গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে খাবারের তালিকায় অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে থাকে। তাছাড়া, এই গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। যা মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে। তাই কী খাওয়া হচ্ছে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল খেতে হবে। বিশেষত, তরমুজ, পেঁপে, লেবু মেনুতে রাখতে হবে। তরমুজ, পেঁপের মতো ফলের মধ্যে জল থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। শরীরে বাড়তি জলের জোগান দেয়। লেবুতে থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা যে কোনও রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে তরমুজ, পেঁপের মতো ফল জলখাবারে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি, ডাবের জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ, ডাবের জলের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তা শরীরে লবণ ও জলের ভারসাম্যকে বজায় রাখে, তাতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া ডাবের জলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই গরমে ডাবের জল বিশেষ উপকারী। তাছাড়া ত্বক ভালো রাখতেও ডাবের জল সাহায্য করে। তাই নিয়মিত একটা করে ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    দুপুর কিংবা রাতের খাবারের তালিকাতেও হাল্কা ও সহজপাচ্য খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই গরমে যদি বদহজম হয়, তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য বিপদ আরও বেশি। তাই কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ভাত, সব্জি, হালকা সহজপাচ্য মাছের ঝোল খাবারের মেনুতে থাক, মত চিকিৎসকদের। 
    পর্যাপ্ত পরিমাণ জল অবশ্যই খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির বাইরে থাকলে জলের পাশপাশি নুন-চিনির সরবত সঙ্গে রাখতে হবে। এটি ওআরএসের মতো কাজ করবে। পরিমাণমতো জল না খেলে, শারীরিক সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত ঘাম হলে একাধিকবার স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাতে শরীর ঠান্ডা হবে, নানান শারীরিক অস্বস্তি এড়ানো যাবে। 

    কোন কোন দিক অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে?

    খাবারের মেনুতে অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই রাখা যাবে না। বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার এই গরমে খেলে হজমের সমস্যা আরও বাড়বে, যা নানান শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই গরমে মদ্যপানেও রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত, অতিরিক্ত বিয়ার সেবন বিপদ ডাকতে পারে বলেও স্পষ্ট মত তাঁদের। অনেকেই চিলড বিয়ার পান করে গরম (Heat Wave) থেকে সাময়িক আরাম পেতে চাইছেন। কিন্তু এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। কারণ, বিয়ার পান করলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। আর্দ্রতা বেশি থাকায় এমনিতেই দক্ষিণবঙ্গে গরমে ঘাম হয়। তার উপরে আরও বেশি ঘাম হলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই মদ্যপানে রাশ টানা জরুরি। সফট ড্রিংকস, আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও রাশ টানার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষত রাস্তার রঙিন পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মত তাঁদের। 
    এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। অনেকক্ষণ ঘরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কম করে রাখার পর হঠাৎ ঘর থেকে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিতে পারে। দ্রুত তাপমাত্রার তারতম্য বিপদ বাড়াবে। তাই এসি ঘর থেকে বেরনোর আগে কিছুক্ষণ এসি বন্ধ করে ধাতস্থ হয়ে বাইরে যাওয়া জরুরি। 
    ট্যালকম পাউডার ব্যবহার একেবারেই নয়। কারণ, এতে লোমকূপ ঢেকে যায়। ঘাম দেহ থেকে বেরতে পারে না। ফলে, শরীরের উত্তাপ বাড়ে, আবার নানান চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share