Tag: Weather Forecast

Weather Forecast

  • Weather Forecast: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    Weather Forecast: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে নিম্নচাপ, অন্যদিকে আবার ঘূর্ণাবর্ত। দুয়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Heavy Rainfall) সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast) জানিয়েছে শুক্রবার শহরের আকাশ দিনভর মেঘলা থাকবে। জেলায় বাড়বে বৃষ্টিপাত। ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।  

    পর পর ২ দফায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ভিজেছে জেলা, শহর। ফের আবারও নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে মায়ানমার থেকে আসছে ঘূর্ণাবর্ত। দুয়ের প্রভাবে আগামী ২ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বাড়বে। শুক্রবার থেকেই আকাশের মুখ ভার। শনিবার থেকে বর্ষার দাপট আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়েছে। তারপরেই রাতের দিকে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। মাঝে মধ্যেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও শহর কলকাতায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। শহরের আকাশ মূলত  মেঘলা থাকবে। মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গরম থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকার জন্য বাড়বে অস্বস্তিও। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। 

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। শনিবার বৃষ্টিপাত হবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ঝোড়ো হাওয়ার বইবে উপকূলের জেলাগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায়।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপের সেভাবে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। তাপমাত্রাতেও খুব বেশি হেরফের হবে না। দিনের দিকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও এবার বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। 

    এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই ওড়িশার কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ সাতটি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে কটক, জগৎসিংপুর, সম্বলপুরসহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।  

     

  • Weather Forecast: অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল, নিম্নচাপ সরছে ঝাড়খণ্ডের দিকে

    Weather Forecast: অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল, নিম্নচাপ সরছে ঝাড়খণ্ডের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবং উত্তর ওড়িশার (Odisha) উপকুলবর্তী অঞ্চলে (Coastal Area) নিম্নচাপের (Depression) সৃষ্টি হয়েছে। গত ছ ঘণ্টা ধরে এই অঞ্চলে রয়েছে নিম্নচাপটি। ২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে এই নিম্নচাপ। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের দিকে সরছে নিম্নচাপ। আর সেই কারণে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে। বাকুড়া, পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়? 

     

    ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) নিম্নচাপের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর আগে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ওড়িশার চার জেলাকে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্যে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছিলেন। রেড অ্যালার্ট রয়েছে ওড়িশার বেশ কিছু জায়গায়। 

    উত্তর ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকুলবর্তী এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতায়। দক্ষিণ ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া সকাল থেকেই এই নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

    উত্তর ছত্তিশগড় এবং পূর্ব মধ্যপ্রদেশে আজ সারাদিনই ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিধর্ভতে। 

    আগামীকাল এই সব এলাকাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং পূর্ব রাজস্থানে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে ছত্তিশগড়, বিধর্ভতে।  

    ওড়িশা সরকারের তরফে বন্যা মোকাবিলায় সবরকমের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে। 

    রাঁচির আবহাওয়া দফতরের তরফে ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু জায়গায় জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সরাইকেলা-খারসওয়ান, পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম ও মধ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
     

  • Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে। উত্তরবঙ্গ ভিজলেও গোটা এপ্রিল মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়নি। উল্টে তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। 

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফলে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। এই জলীয়বাষ্প ঝাড়খণ্ড, বিহারের ছোটনাগপুর এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করছে। আর তার প্রভাবেই বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাজ্যে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কিন্তু, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তাতে অস্বস্তি কমবে।
     
    রবিবার থেকে রাজ্যে হতে পারে কালবৈশাখী। আর তা চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। রবি থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই ক’দিন তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।  

    পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।  দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরেও।

  • Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এক এক ঘূর্ণিঝড়ের আবার এক এক নাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন হয়? সম্প্রতি যে ঘূর্ণিঝড়গুলি ভারতের পূর্ব উপকূলে বিশেষ দাগ কেটেছে, সেগুলি হল ‘আয়লা’, ‘আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘ফণী’।
     
    ইতিমধ্যেই ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহল চাড়া দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় এর অর্থ ‘ক্রোধ’। রবিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। 

    রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)-র তথ্য অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে বা বিশ্বজুড়ে একসময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। আর, এই ঘূর্ণিঝড়গুলির জেরে দুর্যোগ একসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে তৈরি ঝড়কে, দুর্যোগের পরিমাণ অনুমান করতে, ঝুঁকি বোঝাতে, কতটা সচেতনতার দরকার তা বোঝাতে, ব্যবস্থাপনা বোঝাতে এবং প্রশমনের সময়কাল বোঝাতেই আলাদা নাম দেওয়া হয়। নাম তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় যে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন। যাতে এই নাম সহজে রেলস্টেশন, উপকূলীয় ঘাঁটি, সমুদ্রে থাকা জাহাজের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীরা ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পেতে পারেন। আর, সেই অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। 

    জটিল অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সনাক্তকরণের যে পদ্ধতি আগে চালু ছিল, তার চেয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে ঝড়ের সম্পর্কে মানুষকে জানানো বা সচেতন করা অনেক সহজ হয়েছে। শুরুর দিকে ঝড়ের নামকরণ করা হত ইচ্ছেমতো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ঝড়ের মেয়েলি নাম ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা পরবর্তীতে আরও সংগঠিত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    ১৯৫৩ সাল থেকে অতলান্তিক নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারে তৈরি তালিকা অনুযায়ী। এমনটাই জানিয়েছে ডব্লিউএমও। বর্তমানে বিশ্বে ছ’টি আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। 

    ভারতের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) হল আরএসএমসিগুলির মধ্যে একটি। স্বভাবতই একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্ব তারও রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরে যখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, আর তার বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন আইএমডি সতর্কবার্তা জারি করে। আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়-বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়।

    বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের এই তালিকাটি লিঙ্গ, রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো দেশগুলোর দেওয়া নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তাইল্যান্ড অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় আসে, তার নাম বদলানো হয় না।

    একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। নামকরণের সময় মাথায় রাখা হয়, সর্বোচ্চ আটটি অক্ষর থাকতে পারবে। কোনও সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে সেই নামগ্রহণ করা হয় না। কোনও জনগোষ্ঠীর আবেগ যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, ঝড়ের নামকরণে সেটাও মাথায় রাখেন আবহাওয়াবিদরা। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে।  

    ভারত থেকে যে নামগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘মেঘ’, ‘আকাশ’। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘হেলেন’ এবং ‘ফণী’। পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’। ‘অশনি’র পর যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নাম হবে ‘সিত্রং’। এই নামটি তাইল্যান্ড দিয়েছে। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’।

     

  • Monsoon in Bengal: দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বর্ষা? খুশির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Monsoon in Bengal: দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বর্ষা? খুশির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ভিজতে চলেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ (Gangetic West Bengal)। শুক্রবারই রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা (Monsoon)। এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস (Weather Department)। আজ প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি চলবে একাধিক জেলায়। নামবে তাপমাত্রার (Weather Forecast) পারদ।  

    এদিকে, আজ সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বর্ষা এলেও আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে।  

    আরও পড়ুন: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    উত্তরবঙ্গে আগামী চার-পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। 

    সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি এবং অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই। নদীতে জল স্তর বাড়বে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। পাহাড়ি এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ধ্বস নামার আশঙ্কা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “পথে হল দেরি”, ১৬জুন বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে

    কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আদ্রতা জনিত অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কম-বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যের দিকে এগোচ্ছে। শুক্রবার তা রাজ্যে প্রবেশ করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। 

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এমনকি কলকাতাতেও আজ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়ায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে বৃহস্পতিবার কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতাসহ আশেপাশের কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির পুর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।  

      

LinkedIn
Share