Tag: West Asia

West Asia

  • PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী সপ্তাহে তিনি জর্ডন, ইথিওপিয়া এবং ওমান সফর করবেন। পশ্চিম এশিয়ার এই তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত (West Asia) করতেই এই সফর তাঁর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজা আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিন আল হুসেইনের আমন্ত্রণে ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর জর্ডন সফর করবেন মোদি। ১৬ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিনি সফর করবেন ইথিওপিয়া। ১৭ তারিখে ওমানে পৌঁছবেন। ১৮ তারিখে শেষ হবে তাঁর তিন দেশ সফর।

    জর্ডন সফর (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, জর্ডন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সে দেশের রাজার সঙ্গে বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময়ের জন্যই করবেন এই বৈঠক। এই সফর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীকে চিহ্নিত করবে। সম্পর্ক আরও মজবুত করা, পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য নয়া সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার করার সুযোগ দেবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবিয় আহমেদ আলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার যৌথ প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” এও বলা হয়েছে, মোদির ইথিওপিয়া সফর আফ্রিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ইচ্ছেকে তুলে ধরে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিদেশ মন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অগ্রসর করার যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে (PM Modi)।”

    মোদির ওমান সফর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওমান সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তি চিহ্নিত করবে। তাঁর এই সফর হচ্ছে ২০২৩ সালের (West Asia) ডিসেম্বর মাসে ভারতে ওমানের সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফরের পর। ভারত ও ওমান সর্বব্যাপী কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক সংযোগ এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ শেয়ার করে। এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা-সহ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে। আলোচনার অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, কৃষি ও সংস্কৃতি। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও মতামত বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    ভারত ও ওমানের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (CEPA) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা ও স্বাক্ষরিত হওয়ার আশাও করা হচ্ছে। ওমানের শূরা কাউন্সিল এই সপ্তাহে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এর লক্ষ্য হল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা (PM Modi)। এদিকে, তিন দিনের ভারত সফরে রয়েছেন ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। একাধিক খাতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে (West Asia)। তাঁর এই সফরে রয়েছে বড় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতালি যে যথেষ্ট মনোযোগী, তারই প্রতিফলন আন্তোনিওর এই সফর (PM Modi)।

  • PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফোনালাপ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu)। অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হল। সেই সময় নেতানিয়াহু ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। ওই বৈঠক চলাকালীনই তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন মোদির সঙ্গে। এবারের ফোনালাপ হল এমন একটা সময়ে, যখন ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মোদিকে ফোন (PM Modi)

    বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ফের একবার সমর্থন জানিয়েছেন, যার মধ্যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নও রয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতাই ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত অংশীদারত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই নেতা সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে তাঁদের জিরো টলারেন্স নীতির অবস্থান ফের নিশ্চিত করেছেন।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজিও হয়েছেন।

    খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ!

    এদিকে, নেতানিয়াহুর দফতর ফের জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনিক আলোচনার সময়টি কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূত মাইক ওয়াল্ট্জ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি গাজায় শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির বিষয়ে দ্রুত ঘোষণার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এই কাঠামোর আওতায় ওয়াশিংটন হামাসকে পুনর্গঠিত হতে দেবে না।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূতের বক্তব্য

    ওয়াল্টজ বলেন, “আমরা এখন সেই অনুমোদন পেয়েছি। আমার মনে হয় আমরা শীঘ্রই সেই ঘোষণার কথা শুনতে পাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পিস বোর্ডের মাধ্যমে। এর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ, যাঁরা গাজায় জল, গ্যাস, নিকাশি এবং অন্যান্য মৌলিক সেবাগুলি ফের চালু করবে। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি অর্থায়ন ব্যবস্থা এবং তার পরে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীও (Netanyahu)।” তিনি এও বলেন, “আমি যা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হামাসকে সরতেই হবে (PM Modi)।”

    নেতানিয়াহুর বক্তব্য

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি চলতি মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং দাবি করেন যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায় ঘনিয়ে এসেছে। পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ নিয়েও আলোচনা চলছে।চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েল এবং হামাস গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে রাজি হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি, ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং প্যালেস্তাইনি বন্দিদের মুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোমবার ইজরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু দেশের ব্যাপারে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ইহুদি-বিরোধী মনোভাব সত্ত্বেও বহু দেশ এবং নেতার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, নজিরবিহীন সমর্থন ইজরায়েল পেয়ে  যাচ্ছে (PM Modi)।

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ নামে পরিচিত (Netanyahu) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতানিয়াহু তাঁর সরকারের নীতির কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ইজরায়েলের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দিক থেকে তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার কথা। উল্লেখ্য যে, ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ এমন একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে মাসে একবার কনেসেটের (ইজরায়েলের পার্লামেন্ট) সামনে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে। তিনি বলেন, “আরও কিছু বিশ্বশক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি প্রায়ই আমার বহুদিনের বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলি। আমাদের শীঘ্রই সাক্ষাৎ করার কথা হয়েছে, এবং আমি আপনাদের বলতে চাই, ভারত, দেড়শো কোটি মানুষের বিশাল দেশ। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।”

    ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক বহু পুরানো। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। বিদেশনীতি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশ একে অন্যকে সমর্থন ও সাহায্য করেছে। ২০১৭ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন নেতানিয়াহু। সেই সময় (Netanyahu) দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ আরও একবার প্রমাণ করল যে ভারত ও ইজরায়েলের সম্পর্ক শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া (West Asia Crisis)। গাজায় ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে সংঘাতের জেরে গত এক বছর ধরে অশান্ত এই অঞ্চল। ইজরায়েল-লেবানন সংঘাত তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার ওপর, ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার আকাশে। এর প্রভাব পড়ছে ওই অঞ্চলের বাণিজ্যের ওপর। মূলত ভারতে তেল আমদানি-রফতানির উপর। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বৈঠকে থাকছেন কারা

    পশ্চিম এশিয়ার চলতি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে যুযুধান সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির সদস্যদের। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    কেন চিন্তা

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় (West Asia Crisis) ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তার সঙ্কট নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের অনুরোধ করছি। এই সংঘাত যেন বৃহত্তর এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা দেখতে হবে। আমাদের অনুরোধ, সমস্ত সমস্যা আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা হোক।’’ দিল্লির মতে, একটি সংঘাত শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে প্রভাবিত করে না, এটি পুরো অঞ্চল, এমনকী বিশ্বের ওপরও প্রভাব ফেলে।

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে লোহিত সাগর এবং এডেন প্রণালী (গালফ অব এডেন) রুটে বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়া এই অঞ্চলে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত করতে শুরু করে। শুধু ভারতেই এর ফলে পেট্রোলিয়াম রফতানি ৩৭.৫৬ শতাংশ কমে গেছে, যা গত বছর একই মাসে ৯.৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে এ বছরের আগস্টে ৫.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এখন আবার, ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের জেরে দেশের জ্বালানি সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে। দাম বাড়তে পারে তেলের। সমুদ্র পথে বাণিজ্য সুনিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্কের নতুন নাম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাসঘটিত (West Nile virus) জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সের মানুষ। আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বর এখন কেরলে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার শুধু কেরলে নয়। এই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এর আগেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    কীভাবে আটকানো‌ যাবে এই রোগ? (West Nile virus)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি‌। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে‌। আর সেখান থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়ায়। তাই ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো সরাসরি ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরীরে আসে না। বরং মাধ্যম হিসাবে মশা মানুষের শরীরে এই রোগ আনে। কিউলেক্স মশা এনসেফেলাইটিসর মতো একাধিক রোগের জীবাণু বহন করে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস রুখতেও তাই জরুরি মশার দমন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ (West Nile virus) রুখতে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সম্ভব।

    কখন বিপদ বাড়ায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? (West Nile virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রকোপ ছড়ালে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের আলাদা বিশেষ কোনও উপসর্গ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। তবে গোটা শরীরে র‍্যাশ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে‌। এর জেরে মেরুদণ্ডের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়‌। স্নায়ুতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ এবং টিকা নেই। তাই এই রোগ (West Nile virus) মোকাবিলা কঠিন‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রোগ আটকানোর জন্য যেমন মশার বংশবিস্তার রুখতে হবে, তেমনি জ্বর হলে বা দেহে কোনও লাল রঙের দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে দেহের তাপমাত্রা না বাড়ে।

    কাদের জন্য এই রোগ বাড়তি বিপজ্জনক? (West Nile virus)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়। কারণ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়েস্ট নাইল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাসও স্নায়ুর কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই এই রোগ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম, তাদের জন্য এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরও বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (West Nile virus)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লিতে সম্পন্ন হল ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক (US 2+2 Ministerial Dialogue) বৈঠক। এখানে হাজির ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সূত্রের খবর বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে তেমনই উঠে এসেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশ যৌথভাবে ‘কমব্যাট ভেহিকেল’ বা সাঁজোয়া গাড়ি তৈরি করবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের মধ্যে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর ট্যুইট

    বৈঠকের (US 2+2 Ministerial Dialogue) পরেই ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি লেখেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা সদর্থক হয়েছে।’’ 

    ট্যুইট এসেছে বিদেশমন্ত্রী এর জয়শঙ্করের তরফ থেকেও। তিনি জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি, মহাকাশ অভিযান, প্রযুক্তি এ সমস্ত বিষয়ে।

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে এককাট্টা ভারত-আমেরিকা

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশই চীনের আগ্রাসন এবং দাদাগিরি রুখতে প্রয়াস চালাচ্ছে। অন্যদিকে, পশ্চিম এশিয়ার যা কিনা মধ্যপ্রাচ্য নামে পরিচিত, সেখানে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল আকার ধারণ করেছে। সে নিয়েও দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ তো চলছেই। এর পাশাপাশি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান এবং লেবাননও। দুদিন আগেই সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। অভিযোগ, এই অস্ত্র হামাসের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর। আবার লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লাও ইজরায়েলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি ক্রমসই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share