Tag: West Bengal BJP

West Bengal BJP

  • Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাতেই (Schools Dropouts)। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশের স্কুল-ছুটদের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পশ্চিমবঙ্গে গত শিক্ষাবর্ষে তিন হাজারেরও বেশি স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। সম্পূর্ণ ছাত্রশূন্য। রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলির এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ভাতা বা বই খাতা ট্যাব পাইয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায় না। তার জন্য দরকার বুনিয়াদি কাঠামোর উন্নয়ন, এমনই দাবি শিক্ষামহলের।

    কেন্দ্রের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলিতে (Schools Dropouts) পড়ুয়া ভর্তির হার কেমন, তা নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হিসেবে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বাংলায় স্কুলছুটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা ৩২৫৪। অথচ কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। কেন্দ্রের রিপোর্টে গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এক জন শিক্ষক থাকা স্কুল রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি।

    অন্য রাজ্যের অবস্থান

    কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ২০০ পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা দেশের নিরিখে প্রায় ১৩ হাজার (১২৯৫৪টি) স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি গত শিক্ষাবর্ষে। সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছিলেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন। আবার প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি হলেও সেখানে মাত্র এক জন করে শিক্ষক নিযুক্ত থেকেছেন। কোনও পড়ুয়া ভর্তি না হওয়া স্কুলের সংখ্যার নিরিখে বাংলার পরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ২১৬৭টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। তালিকায় তৃতীয় তেলঙ্গানা। দক্ষিণের এই রাজ্যে ২০৯৭টি স্কুলে গত শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি।

    রাজ্যের দেওয়া তথ্য থেকেই রিপোর্ট

    কোন রাজ্যে কেমন পরিস্থিতি সে বিষয়ে প্রতি বছরই একটি রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ করে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস’ থেকে এই রিপোর্টটি দেওয়া হয়। বস্তুত, রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রক। রাজ্যের কোন স্কুলে কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই একটি অনলাইন ব্যবস্থায় তথ্য আপলোড করা হয়। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই তা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। 

    বিরোধীদের নিশানায় রাজ্য সরকার

    কেন্দ্রের এই রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দেশের সবচেয়ে বেশি স্কুল ড্রপআউট রয়েছে, যা লজ্জার। তিনি বলেন, “বীরভূমে স্কুল ড্রপআউটের হার ১৭.২ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ১৬.৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬.১ শতাংশ। তাঁর মতে, রাজ্যের সকল জেলা গুলিতেই স্কুল ড্রপআউটের হার ১২ শতাংশের বেশি। কেউ জানে না স্কুল ড্রপআউটদের কী হচ্ছে। আমাদের রাজ্য থেকে ৭০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। সারা রাজ্যে বেকারত্ব চরমে। এমন পরিস্থিতি, কেউ জানে না এই স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে।” শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীও বলেন, “রিপোর্ট অনুসারে সারা দেশের নিরিখে এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুল। বহু স্কুলে এক জন করে শিক্ষক। এটি আমাদের লজ্জা। গত ১৩ বছর ধরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    তৃণমূল সরকারের অবহেলা

    রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, মুখে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা শুধু ভোটের রাজনীতি, বাস্তব ছবিটা অন্য। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Schools Dropouts) উন্নতির জন্য কোনও কাজ হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে বড় একটি সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে, প্রায় ১৭ শতাংশ। সেখানে স্কুলছুটের সংখ্যা বেশি। এরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তা জানতে আগ্রহী নয় সরকার।  রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রাইভেট এবং সেগুলিতে সিট খালি রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরের ড্রপআউটের হার ১৮.৭৫ শতাংশ। রাজ্য প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়টি নজর দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সদস্যতা অভিযানে ব্যাপক সাড়া পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও যেভাবে সাফল্য মিলছে সদস্যতা অভিযানে, তাতে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্যতা প্রায় ৫০ লাখ ছুঁই ছুঁই। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর সদস্যতা অভিযানের আবহে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। এনিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, সারাদেশের নিরিখে কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তারপরেও এই ব্যাপক সাফল্য বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থনেরই প্রতিফলন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ১৮২ বিধানসভায় ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য (BJP)

    দেরিতে সদস্যতা অভিযান শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা জানাচ্ছেন, আরজি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো। এই কারণেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচি। তাই সদস্যতা অভিযান শেষ করার দিন ১০ জানুয়ারি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে (West Bengal) বিজেপির লোকসভাভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি জেলাতেই পার করে গিয়েছে ১ লাখ সদস্যতা। অন্যদিকে ১৮২টি বিধানসভাতে ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য করাতে পেরেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    সম্প্রতি সদস্যতা অভিযানের পর্যালোচনা বৈঠক হয় সেক্টর ফাইভে 

    তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও যেভাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা সদস্যতা অভিযানকে সফল করেছেন তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সম্প্রতি, সেক্টর ফাইভে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই সদস্যতা অভিযানের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপিকে ধর্নায় বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির ধর্না। আগামী ৭ দিন ধরে চলবে এই ধর্না কার্যক্রম। বুধবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। 

    ধর্নার অনুমতি আদালতের

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এদিন শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না (BJP Dharna) অবস্থান করতে পারবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই মঞ্চে এক হাজার জনের বেশি থাকা যাবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ৭ দিনের এই ধর্না কর্মসূচি পালনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বিজেপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে আইনের শাসন নেই, সংবিধান নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। প্রতিবাদ করতে হলেই হাইকোর্টে যেতে হয়। পাশাপাশি সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি চালানো বন্ধ করতে পারে না অথচ বিজেপির মিছিল বন্ধ করতে যায়। বিজেপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে কিন্তু অপরাধীকে নয়।’’ 

    রাজ্যপালকে চিঠি

    নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও চিঠি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর আবেদন দ্রুত ছাত্রদের মুক্ত করা হোক। রাজ্যপাল এ বিষয়ে যেন রাজ্য সরকারের সঙ্গ কথা বলে আর্জি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG kar Issue) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই আন্দোলনে রয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিক্ষোভ-ধর্নার পাশাপাশি গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা বিধাননগর। শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্না তো চলছেই। সেখান থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না চলবে।’’

    মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে 

    রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেন, ২৮ অগাস্ট মহিলা কমিশনের অফিসে দুপুর ২টো নাগাদ তালা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মহিলারাই নেতৃত্বে থাকবেন তাতে। সুকান্ত মজুমদার এবিষয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।’’ এর পাশাপাশি, ২৯ অগাস্ট সব জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ব্লকে ব্লকে অবস্থান, পথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা

    এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বিজেপির (Bengal BJP) কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি মণ্ডলে (বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয়, একটি জেলাপরিষদের আসন অনুযায়ী মণ্ডল গঠিত হয়) এক ঘণ্টা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে আরজি কর ইস্যুতে। জানা যাচ্ছে, এই এক ঘণ্টা একটি গাড়িও বিজেপি চলতে দেবে না। একইসঙ্গে, আজ সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অভয়ার বিচার (RG kar Issue) প্রার্থনায় প্রত্যেক বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে, রাস্তার সামনে সাধারণ মানুষকে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ananta Rai BJP: শাহের পরে মোদির সঙ্গেও বৈঠক অনন্তর, তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনাতে ঢাললেন জল

    Ananta Rai BJP: শাহের পরে মোদির সঙ্গেও বৈঠক অনন্তর, তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনাতে ঢাললেন জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ (Ananta Rai BJP)। এনিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপর বুধবারই দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখা যায় বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদকে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন অনন্ত মহারাজ। তবে বৈঠকের বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তিনি। সাংবাদিকদের অনন্ত বলেন, ‘‘দু’জনের সঙ্গেই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে। আর যে বিষয়েই আলোচনা হয়ে থাকুক সেটা সফল হয়েছে।’’

    আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কোচবিহার যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী চলে যান অনন্তের বাড়ি। মমতাকে স্বাগতও জানান অনন্ত। রাজবংশী উত্তরীয় আর ঐতিহ্যবাহী গুয়াপান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। এর পরেই শুরু হয় জল্পনা। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে এ দিন সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অনন্ত বলেন, ‘‘এ সব জল্পনার কোনও উত্তর হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমি স্বাগত জানিয়েছি। এর বেশি তো কিছু নয়।’’ একই সঙ্গে শাহ ও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। এক জন বিজেপি কর্মী এবং সাংসদ হিসাবে এতে নতুন কী রয়েছে? এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আমার (Ananta Rai BJP) বাড়িতে যাওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই।’’ একই সঙ্গে তিনি প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘‘একুশে জুলাই তৃণমূলের কর্মসূচিতে আমি যেতে যাব কেন?’’

    জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন অনন্ত নিজেই

    প্রসঙ্গত, কোচবিহার লোকসভায় এ বার পরাস্ত হয়েছে বিজেপি (West Bengal BJP)। নিশীথ প্রামাণিক হেরেছেন ৩৯ হাজারের ব্যবধানে। ভোটের প্রচারে অনন্তকে সেভাবে দেখাও যায়নি। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই মমতার সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে সাক্ষাতের মাত্র ৯ দিনের মাথায় যাবতীয় জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন অনন্ত নিজেই। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানকার রাজবংশী ভোটে একচেটিয়া বিজেপি পেয়ে থাকে। রাজবংশীদের মধ্যে অনন্তর (Ananta Rai BJP) যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে এরাজ্যে বিজেপির আশানুরূপ ফল হয়নি। বিজেপির ফলাফল পর্যালোচনার (BJP Core Committee Meeting) জন্য শনিবারই কলকাতায় দলের কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সূত্রের খবর, শনিবারের সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে সাংগঠনিকভাবে সমীক্ষা চালিয়ে ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। প্রসঙ্গত এ রাজ্যের সাংগঠনিক কাজ করার জন্য বিজেপির পাঁচটি জোন রয়েছে, সেগুলি হল- উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি জোনেই আলাদা আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে দল। এর পাশাপাশি কেন বিজেপির ফল এমন হল? তা খোঁজা হবে। এই সমস্ত বৈঠকগুলিতে হাজির থাকবেন লোকসভার প্রার্থীরা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিরা।

    কারা হাজির ছিলেন বৈঠকে?

    শনিবারের ওই বৈঠকে (BJP Core Committee Meeting) আরও স্থির হয়েছে সাংগঠনিকভাবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। শনিবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদক- জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং দীপক বর্মনও ছিলেন এই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও হাজির ছিলেন। উত্তরবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী হাজির ছিলেন না এই বৈঠকে।

    ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ও উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা

    বিজেপি সূত্রে (BJP Core Committee Meeting) জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পরে কর্মীদের ওপর আক্রমণের খবর ঘন ঘন আসছে এবং বৈঠকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সংগঠন এবং প্রার্থীদের। আগামী ১০ জুলাই রয়েছে রাজ্যের চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে। শনিবারের বৈঠকে সে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তিনজন প্রার্থীর নাম বাছা হয়েছে। অর্থাৎ চার কেন্দ্রে মোট ১২ জনের নাম আজই তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। সেখান থেকে প্রার্থী বাছবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    শনিবার বঙ্গ বিজেপির বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এবারও অন্তত তিনটি আসন (বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ) দখলে রাখব। চারটি আসনেও জিততে পারি। মানিকতলাতে আমরা মাত্র তিন হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছি। সেটাও শুধুমাত্র হয়েছে শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর বদমায়েশি ও গুন্ডামির জন্য। শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু টাইট হলে পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে কুণ্ডুবাবুরও জেনে রাখা উচিত, একদিন না একদিন ওঁরও সময় আসবে।’’

    কেন ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন

    প্রসঙ্গত, রানাঘাট দক্ষিণে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ও রানাঘাট আসন থেকে প্রার্থী হয়ে পরাস্ত হন। অন্যদিকে রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে দল বদলান। তিনিও এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কিন্তু পরাস্ত হন। বাগদা বিধানসভার আসনটি খালি হয়েছে সেখানকার বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত বাগদা বিধানসভাও ২০২১ সালে বিজেপি নিজেদের দলে রেখেছিল। পরে দলবদল করেন বিশ্বজিৎ। অন্যদিকে সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরে খালি হয় মানিকতলা আসন। দু’বছর ধরে কোর্টে মামলা চলার পরে অবশেষে সেখানে উপনির্বাচন হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ছিল বিজেপির কাছে এক বড় টার্নিং পয়েন্ট। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চমকপ্রদ ফল করে। ১৮ আসনে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির পক্ষে আরও ভালো রেজাল্ট হবে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন একদা তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোরের অনুমান বাংলাতে এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি।

    সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রশান্ত কিশোর 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর এবং সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি আগের থেকে অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলাতে (Lok Sabha Election 2024)। তিনি আরও জানিয়েছেন বাংলায় এক নম্বর দল হতে পারে বিজেপি। এর পাশাপাশি পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের চমকপ্রদ ফল হতে পারে বিজেপির। শুধুমাত্র আসন সংখ্যা নয়, বাংলাতে বিজেপির ভোট শতাংশও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পিকে। এর পাশাপাশি বিজেপির চমকপ্রদ ফল করবে কর্নাটক, তেলঙ্গনার মতো রাজ্যেও। তামিলনাড়ুতেও বিজেপির জন্য অসাধারণ ফলাফল অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন পিকে।

    ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী

    প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024) এমনিতে কোণঠাসা। সাম্প্রতিক সন্দেশখালির মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা না ঘটলেও বাংলাতে বিজেপিকে রোখা মুশকিল। এর পাশাপাশি পিকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যত আসনে জিতেছিল এবারে  তার থেকে আসন সংখ্যা তো কমবেই না, উপরন্তু বাড়বে।

    প্রশান্ত কিশোরের বিশ্লেষণ

    প্রশান্ত কিশোরের মতে, ‘‘৫৪৩- লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ২০৪টি আসন রয়েছে তেলঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার এবং কেরালা রাজ্যে। তবে ২০১৪ বা ২০১৯ সালে বিজেপি এই সব রাজ্যে সব মিলিয়ে ৫০টি আসনের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যগুলি থেকে সর্বোমোট ২৯টি ও ২০১৯ সালে ৪৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি।’’ তবে এবারের সেই ছবি বদলে যাবে বলে দাবি পিকের। গত দুই লোকসভা ভোটের তুলনায় এইসব রাজ্যগুলিতে বিজেপির ফল ভালো হবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন পিকে। অন্যদিকে, কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল না করতে পারলে রাহুল গান্ধীর সরে দাঁড়ানো উচিত বলেও জানিয়েছেন পিকে।

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bashirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির

    Bashirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বড় চমক বিজেপির। বসিরহাটে কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির প্রার্থী করল সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে। বসিরহাট কেন্দ্র (Bashirhat) নিয়ে সকলের আগ্রহ তুঙ্গে ছিল। কারণ এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলন বেশ কয়েকমাস ধরে সারা দেশে খবরের শিরোনামে রয়েছে। বিজেপি কাকে প্রার্থী করে! সেদিকেই ছিল সকলের নজর। অবশেষে সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিবাদী মুখকেই বিজেপি বেছে নিল প্রার্থী হিসাবে। রাতারাতি প্রত্যন্ত গ্রামের রেখা পাত্র সারাদেশের খবরে শিরোনামে উঠে এলেন। রেখা পাত্রের নামে সিলমোহর দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই দাবি বিজেপির।

    কে এই রেখা পাত্র? সন্দেশখালির কোথায় বাড়ি তাঁর? 

    রেখা পাত্রের বাড়ি সন্দেশখালির (Bashirhat) পাত্র পাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা যখন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন তখন একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন রেখা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন তিনি। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে নেমেছিলেন রাস্তায়। সামনের সারিতে থেকে দিতেন স্লোগানও। প্রার্থী হয়ে রেখা বলেন, ”নরেন্দ্র মোদিজীকে ধন্যবাদ আমার মতো গ্রাম্য মহিলাকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য।”

    রেখা পাত্রের নামে সিলমোহর দেন প্রধানমন্ত্রী?

    সূত্রের খবর, সন্দেশখালি থেকেই নাম খুঁজছিল বিজেপি। তখনই উঠে আসে রেখা পাত্রের নাম। সেটা রাজ্য বিজেপির নেতারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। এরপর সেই মতো দলের রাজ্যস্তরে এনিয়ে আলোচনাও হয়। এরপর সেই নাম পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে। সূত্রের খবর, রেখা দেবীর নামে সিলমোহর দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই বারাসতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সভার পর সন্দেশখালির ৫ মহিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই মহিলাদের মধ্যেই নাকি ছিলেন রেখা পাত্রও। সূত্রের খবর, সেই সময়ই বসিরহাটের প্রার্থী হিসেবে রেখাদেবীকে (Bashirhat) ভাবতে শুরু করে বিজেপি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি’’, দিল্লি থেকে ফিরে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি’’, দিল্লি থেকে ফিরে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘চোর মমতাকে টাইট দিতে গিয়েছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি।’’ তবে এখানেই থামেননি বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর বাতিল প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘‘উনি কোথায় যাবেন, না যাবেন সেটা আমি বলব কেন। ওনাকে নিয়ে আমরা অত চিন্তিত নই।’’

    পিসি-ভাইপোর কোম্পানি 

    বছর ২ আগেই নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরেছেন বারাকপুরের বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ অর্জুন সিং। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত কোণঠাসা অর্জুন। বারাকপুরে এখন চর্চার বিষয়, অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এর উত্তর অর্জুন সিং দিতে পারবেন। অর্জুন সিং জেনেশুনে ওদের সঙ্গে গেছে। বারাকপুর আসন ভারতীয় জনতা পার্টির, নরেন্দ্র মোদির। বারাকপুর আসন থেকে যিনি পদ্মফুলে দাঁড়াবেন, তিনি জিতবেন। ব্যক্তি ফ্যাক্টর নয়।’’ অর্জুন সিং এর দলবদল জল্পনা নিয়ে বলেন, ‘‘এরকম কোনও প্রস্তাব আমাদের কাছে নেই, তাছাড়া আমরা কোন ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নই।’’ তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘ওটা কোন দলই নয় কোম্পানি। দুইজন মিলে চালায় পিসি ও ভাইপো।’’

    দিল্লিতে শাহি সাক্ষাতে শুভেন্দু

    সোমবার সকালেই শুভেন্দু পৌঁছে যান সংসদে। সেখানে প্রথমে তিনি বৈঠক করেন অমিত শাহের সঙ্গে। শাহি বৈঠক শেষে তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে। সেখানে একপ্রস্ত বৈঠক হয় দুজনের। সোম-দুপুরের জোড়া বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কেবল বলেন, “যে আলোচনা হয়েছে, তাতে যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলব না। শুধু আপনাদের অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” শাহের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও, অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

    BJP: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের জনসভাকে সফল করাই এখন পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির (BJP)। ২৯ তারিখের সমাবেশকে সফল করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে কর্মী সমর্থকদের। দিকে দিকে চলছে দেওয়াল লিখন, পথসভা, মিছিল-মিটিং করে তাঁরা জনসংযোগ সারছেন। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফ থেকে লঞ্চ করা হয়েছে অফিসিয়াল থিম সং-ও। শাহি সভাকে কেন্দ্র করে বানানো থিম সং বিজেপির (BJP) ছোট বড় সব সভাগুলিতেই বাজছে।

    সমাবেশকে সফল করতে রাজ্যে আজ একাধিক জায়গায় সভা শুভেন্দুর

    আজ সোমবার বীরভূম জেলার রামপুরহাটে জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুরহাটে তাঁকে পদযাত্রা করতেও দেখা যাবে। এর পাশাপাশি হুগলির সিঙ্গুরেও সভা করতে দেখা যাবে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সন্ধ্যার মধ্যে বীরভূম এবং সিঙ্গুরের কর্মসূচির সেরে শুভেন্দু ফিরবেন কলকাতায়। এরপরে শ্যামবাজারে রয়েছে তাঁর জনসভা। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়া হাজরাতে সভা করতে দেখা যাবে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

    জোর কদমে প্রচার সোশ্যাল মিডিয়াতে

    এর পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ২৯ নভেম্বর সমাবেশকে সফল করতে। রাজ্য জুড়ে অভিনব ভাবনায় প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়াকে ভরপুর ব্যবহার করছেন। মহা সমাবেশের প্রচারের জন্য শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার প্রত্যেকেই বদলে ফেলেছেন নিজেদের প্রোফাইল পিকচার। সেখানে সমাবেশকে সফল করতে ‘কলকাতা চলো’-এর ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ছোট ছোট ছড়ার মাধ্যমে দুর্নীতিকে তুলে ধরে তা পোস্টও করছেন বিজেপি কর্মীরা।

    রবিবারই সম্পন্ন হয়েছে খুঁটিপুজো

    রবিবার সভাস্থানে সম্পন্ন হয়েছে খুঁটিপুজো। তার আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সেই স্থানে বসেই প্রধানমন্ত্রীর ১০৭ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন। খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। বুধবার বিজেপির সভা সংখ্যার বিচারে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক আসবে বিজেপির (BJP) ভাড়া করা ন’টি ট্রেনে। একই সঙ্গে বুধবার হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দুটি বড় মিছিল এসে মিশবে ধর্মতলায়। ধর্মতলার বিভিন্ন চত্বরে দশটি বড় মাপের বাক্স রাখা হবে। সেখানে বিজেপির সভায় যোগদান করা মানুষরা লিখিতভাবে জানাবেন যে কোন কোন প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share