Tag: West Bengal Governor

West Bengal Governor

  • C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কোনভাবেই বরদাস্ত নয় দুর্নীতি, এই বার্তা দিতেই এবার রাজভবনে খোলা হল ‘অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি সবটা নিয়েই বারবার মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তিনি যে কোনওভাবেই রাজ্যে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, সেই বার্তা দিতেই রাজভবনের পিস রুমে চালু করলেন হেল্প লাইন নম্বর। ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। 

    রাজ্যপালের অভিমত

    ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ টি ফোন এসেছে বলে রাজভবন সুত্রে জানা গেছে। এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বলেন, ”দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, আমরা তাই করছি। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। আমরাও সেটাই করছি, কেউ দুর্নীতি করলে, অ্যান্টি কোরাপশন সেলে রিপোর্ট করুন। আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। ” বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন ওই সেলে। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুরো সমাজ, বিশেষত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘কোনও প্রকারের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, কেউ টাকা নিচ্ছে দেখা গেলেই, তা ছবি তুলে জানানো যেতে পারে রাজভবনের ওই সেলে।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ

    পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এবার রাজভবনে রাজ্যপালের নেতৃত্বে খোলা হল ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ জমা পড়বে। রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশান চালাতে চাইছেন বলে ইতিমধ্যেই সরব শাসক দল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে নবান্নে এই ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌ নিয়ে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জগদীপ ধনখড়ের আমলের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল নাকি স্পেশাল সেল করেছেন! এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। ধনখড় যখন ছিলেন তখন‌ও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না, কিন্তু তিনি এটা করেননি। ইনি তো দেখছি বিজেপি যা বলে দিচ্ছে তাই করছেন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat vote 2023: আজ ভাঙড়ে রাজ্যপাল! পঞ্চায়েত ভোটপর্বে হিংসা, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস

    Panchayat vote 2023: আজ ভাঙড়ে রাজ্যপাল! পঞ্চায়েত ভোটপর্বে হিংসা, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ভাঙড়ে যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ভাঙড়ের অশান্তি কবলিত এলাকায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যপালের। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat vote 2023) মনোনয়ন পর্বেই যেভাবে রক্ত ঝড়ছে, তা দেখে স্তম্ভিত রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘এবার আর কথা নয়, অ্যাকশন হবে।’ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ভাঙড়ে বোমা-বন্দুকের আস্ফালন চলেছে। রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণে হতাশ রাজ্যপাল।

    রাজভবনের কড়া বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে রাজ্যের সন্ত্রাসের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে। বলা হয়েছে, ‘পঞ্চায়েতে জয় ভোট (Panchayat vote 2023) দিয়ে হোক, লাশের সংখ্যা দিয়ে নয়।’ আরও বলা হয়েছে, ‘পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণের আগেই যেভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তা ভয়াবহ। গুণ্ডা, সমাজবিরোধী, লম্পট, বাহুবলী, অন্ধকার জগতের শয়তান, বদমায়েশদের এই দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না। সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হচ্ছে দুষ্কৃতীদের হাতে। যখন চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত হয়, তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। সংবিধান আক্রান্ত। নতুন প্রজন্ম আক্রান্ত। এই শয়তানের খেলা বন্ধ হওয়া দরকার এবং তা অবশ্যই বন্ধ হবে। এর শেষের শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গে।’ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, কথা নয়, কাজ হবে, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, কোনও কথা নয়, শুধু অ্যাকশন নেওয়ার সময়। একটু ধৈর্য্য ধরুন। দেখুন কী হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির অধিকার রয়েছে। সেই সঙ্গেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে যতই ক্ষমতাশালী বলে নিজেকে মনে করুক না কেন, কোনওভাবেই তাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতে দেওয়া চলবে না।

    রণক্ষেত্র ভাঙড়

    বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat vote 2023) মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় ভাঙড়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যে পরিমাণ অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, অন্য জেলায় তেমন নজির নেই। ভাঙড়ের আকাশে বাতাসে এখনও ঘুরছে বোমা-বারুদের গন্ধ। সূত্রের খবর, এমন অবস্থায় ভাঙড়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে যেতে চান রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুুন: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার (Rajib Sinha) ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ গোপন করলেন না শুভেন্দু। বললেন, ‘যখন সুযোগ ছিল, তখন রাজ্যপাল ওনাকে (রাজীব সিনহাকে) বাদ দিয়ে প্যানেল থেকে অন্যদের নিতে পারতেন। আমার মনে হয় অন্য যাদের নাম পাঠানো হয়েছিল, এম ভি রাও বা অজিত বর্ধন… তাঁরা রাজীব সিনহার মতো এতটা খারাপ হতেন না।’হুগলির বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতে,পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ইউক্রেনের যুদ্ধকেও হার মানাবে। গোটা রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে লকেট বলেন, এখন দেখার নির্বাচন কমিশন বাহিনীকে ব্যবহার করে না বসিয়ে রাখে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশিকা পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবনের ওই নির্দেশিকা নজিরবিহীন, বলে দাবি  শিক্ষা মহলের। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলা। তাই সরাসরি উচ্চশিক্ষায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল। পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনেও কড়া নজর রাখতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল

    রাজ্যপালের (CV Anand Bose) পাঠানো নির্দেশিকায় মূলত তিনটি কথা বলা হয়েছে। এক, বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনও আর্থিক লেনদেন করে তার আগে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। অর্থাৎ আর্থিক লেনদেনের যে কোনও বিষয়ে রাজভবনের আগাম অনুমোদন লাগবে। নইলে তা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেল করে রাজ্যপালকে জানাতে হবে কী কাজ হল গোটা সপ্তাহে। তৃতীয়, উপাচার্যদের ভায়া হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না। সরাসরি তাঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন। একইভাবে রাজ্যপালও (CV Anand Bose) আচার্য হিসাবে উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। এমনকী চাইলে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে টেলিফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারেন উপাচার্যরা। 

    আরও পড়ুন: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    শিক্ষামহলের অভিমত

    এতদিন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট পাঠাতেন। তাঁদের নিয়োগ থেকে বদলি সবটাই রাজ্যের সুপারিশ মেনে সই করতেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। সেখানে এই নয়া নির্দেশিকার অর্থ, উপাচার্যদের কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ রাজভবনের হাতে নিয়ন্ত্রণ হওয়ার সামিল বলে মনে করছেন অনেকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে কিছুদিন আগে, রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির জেরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যে লাটে উঠেছে, তা বুঝেই হয়ত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কড়া হাতে সবকিছু খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাজ্যপাল, অভিমত শিক্ষাবিদদের। রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ার মেনেই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। আমার মনে হয় এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন আরও স্বচ্ছ হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল (DA Protesters)। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। রাজভবনে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, “সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ।”

    রাজ্যপাল কী বললেন?

    শনিবার ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর মত ছিল আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফলে সরকারি কর্মচারীদের (DA Protesters) অনশন তুলে নিতে বলেন এবং এর পাশাপাশি রবিবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের। ডিএ সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন কর্মীরাও। এর পরেই আজ রাজভবনে তাঁরা পৌঁছে যান ও ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তাঁরা বেরিয়ে আসেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি দল জানান যে, রাজ্যপাল তাঁদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের দাবি মেটানোর। এছাড়াও রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

    আরও পড়ুন: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    আবার ডিএ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সেই বৈঠক আয়োজনেরও চেষ্টা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের মধ্যস্থতা চান, তাই আজকে বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা।

    অনশন অব্যাহত

    তবে রাজ্যপালের তরফে আশ্বাস পাওয়া গেলেও এখনই আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে কর্মচারীদের অনুষ্ঠান তুলে নেওয়ার কথা জানানো হলেও এখনই অনশন বন্ধ করা হচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত তাঁদের দুই দফা দাবি অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো এবং স্বচ্ছ নিয়োগ, এই দুটি মেটানো হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও রাজ্যপালের আশ্বাসের পর কী পদক্ষেপ করা হয়, তা আগে দেখবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। সেই অনুযায়ী আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তাঁরা।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhankhar Ananda Meeting: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    Dhankhar Ananda Meeting: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উপ রাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Former West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar) বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor C V Ananda Bose)। ধনখড়ের সঙ্গে এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও আনন্দ বোসের বৈঠক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ধনখড়-আনন্দ সাক্ষাত

    সোমবার হলুদ গোলাপ নিয়ে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ধনখড় নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই সাক্ষাতের একটি ছবি  ট্যুইট করেছেন। যদিও তাঁদের মধ্যে ঠিক কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এটিকে সৌজন্য সাক্ষাত বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। রবিবার গভীর রাতে দিল্লিতে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এরপর বঙ্গভবনে ওঠেন তিনি। এরপরই প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যে তাঁর অতীতের অভিজ্ঞতা কি শেয়ার করলেন ধনখড়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিকি মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যকে ভালভাবে বুঝতেই প্রাক্তনের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছেন আনন্দ বোস।

    সুকান্ত-আনন্দ সাক্ষাতের পর দিল্লি-যাত্রা 

    রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আর্জি নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে হিংসা নিয়েও একাধিক অভিযোগ জানান তিনি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন সুকান্ত। তারপরই রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনে হিংসার কোনও স্থান নেই। কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে এবং তার জন্যে সময়োচিত এবং সদর্থক পদক্ষেপ করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    একই সঙ্গে দুর্নীতির প্রশ্নেও কড়া বার্তা শুনিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সাফ কথা, দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে। রাজ্যপালের বক্তব্য, “আপনি যতই উঁচু পদে থাকুন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।” সম্প্রতি রাজ্যপালের ইচ্ছাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও। এরপরই ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন আনন্দ বোস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও সাক্ষাত হতে পারে নয়া রাজ্যপালের। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে (rajbhawan)। এরপর রাতে দিল্লি যান রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর,পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ীই রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। 

    শুভেন্দুর সমালোচনা

    বৃহস্পতিবার, রাজভবনের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। তাঁর কথায়, “সরকার ভালো করলে রাজ্যপাল অবশ্যই সাথ দেবেন। কিন্তু, রাজ্যের নাটুকে মুখ্যমন্ত্রী (CM) রাজ্যপালকে বিপথে পরিচালিত করছেন। এই জায়গা থেকে রাজ্যপালের সরে আসা উচিত। আমি তাঁকে অনুরোধ করতে পারি। নির্দেশ তো দিতে পারি না। শুনলাম উনি দিল্লি যাচ্ছেন। নিশ্চয় অনেকের সঙ্গে কথা হবে। তাঁরাও হয়তো রাজ্যপালকে বলবেন । শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যপালের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জয়বাংলা স্লোগান লিখে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাঁর সরলতার সুযোগ নিচ্ছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সচিবালয় পরিষ্কার করুন।”

    বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যপাল। সকালে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপরই বিকেলে রাজভবনে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে চা-চক্র থাকে রাজভবনে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এই চা-চক্রকে অন্য মাত্রা দেয় রাজ্যপালের বাংলা ভাষার হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও শাসকদলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিজেপির তথাগত রায়, রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন আর্মির আধিকারিকরা। তিন শিশুর হাত ধরে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে বাংলায় কথাও বলেন রাজ্যপাল বোস।

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    রাজভবনের অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকেও রাজভবনে দেখা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, বালুরঘাটে সরস্বতী পুজোয় মেয়ের হাতেখড়িতে ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই অনুষ্ঠানের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘হাতেখড়ি তো বাচ্চাদের হয়। ঠাকুরের সামনে পুরোহিত হাতেখড়ি দেন। এখন হঠাৎ কার, কেন, কার সামনে হাতেখড়ি হচ্ছে, আমি বলতে পারব না। আর প্রথমেই ভুল মাস্টার ধরলে ভুলই শিখতে থাকবেন!’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত পৌঁছল রাজস্থানে! 

    রাজস্থানে (Rajasthan) একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ বাংলার রাজ্যপাল। সোমবার রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) গিয়ে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) অভিযোগ করেন, বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। 

    রাজ্যপাল (West Bengal Governor) জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‌রাজ্যপাল হিসেবে শোচনীয় পরিস্থিতির সাক্ষী হতে হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় শাসনব্যবস্থা চিন্তার বিষয়। বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। ভোটের পর যে হিংসা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোট দেওয়ার পরিণামে মৃত্যু দেখেছি।’‌ তিনি যোগ করেন, রাজ্যপালের কাজ সংবিধান রক্ষা করা। বাংলায় রাজ্যপালকে কাজ করতে বাঁধা দেওয়া হয়।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    রাজ্যের সঙ্গে বিবাদ প্রথম থেকেই রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সম্প্রতি হলদিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বিচারপতিদের একাংশ তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন। এই ইস্যুতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।

    রবিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে, ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে সরব হন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, ‘‌সংবিধানের মৌলিক পরিকাঠামোর একটি অঙ্গ হল বিচারব্যবস্থা। গণতন্ত্রের জন্য বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা থাকা ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে বিচারপতিদের নিশানা করা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি চিন্তিত। যদি কোনও বিচারপতিকে নিশানা করা হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার উপর আক্রমণের সব থেকে নিকৃষ্ট উদাহরণ। বিচারপতিরা যে মামলাগুলি দেখছেন, তার জন্য যদি তাঁদের নিশানা করা হয়, তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। মানুষের কাছে যেন বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বিচারব্যবস্থার তোয়াক্কা করেন না।’‌

    শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের

    শুধু ধনখড় নন, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় (UP Assembly) বাংলা শাসনব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi) আদিত্যনাথ। তারও কিছুদিন আগে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলার আইন-ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। 

  • Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিচারবিভাগকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যের জের। তৃণমূল (TMC) সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ৬ জুনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

    রাজ্যপাল জানান, ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা ছোট করে দেখার বা এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। রাজ্যপাল এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এব্যাপারে একটি চিঠিও দেন। টুইটে সেই চিঠিও রাজ্যপাল অ্যাটাচ করে দিয়েছেন।

    ট্যুইটে জগদীপ ধনকড় লেখেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এরমধ্যে আছে কুখ্যাত এসএসসি কেলেঙ্কারিও (SSC Recruitment scam), যাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আপনি যেই হোন, আইন সবার থেকে বড়। এই সাংবিধানিক ধারণার সঙ্গে ওঁর মনোভাব খাপ খায় না।’

    গত শনিবার হলদিয়ার একটি জনসভা থেকে বিচারপতিদের একাংশকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থা একজন–দু’‌জন আছেন যাঁরা ষড়যন্ত্র করে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই করে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন।’

    রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‌এসএসসি মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি তাঁকে আক্রমণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করছেন। মুখ্যসচিবকে বলছি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’‌ 

    তার জবাবে অভিষেকও ট্যুইটও করেন। বলেন, তিনি এক শতাংশ বিচারপতির কথা বলেছিলেন। কারা লাল রেখা অতিক্রম করছেন সেটা সবাই দেখছেন। এরপর সোমবার দার্জিলিং থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

     

     

LinkedIn
Share