Tag: West Bengal Govt

West Bengal Govt

  • Calcutta High Court: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    Calcutta High Court: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৮৫ হাজার টাকায় কী হয়? রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন (West Bengal Govt)।” সোমবার এমনই তীর্যক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এদিন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি বিভাস পট্টানায়কের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

    টাকা দেওয়ার ‘সংস্কৃতি’ (Calcutta High Court)

    রাজ্যের পুজো বিভিন্ন পুজো কমিটিকে অনুদান বাবদ কয়েক হাজার করে টাকা দেওয়ার ‘সংস্কৃতি’ চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের সময় এরই প্রতিদান দেয় ক্লাবের ছেলেরা। তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি তারাও ‘ঋণ’ শোধ করতে ‘ভোট করাতে’ আসরে নেমে পড়ে। যে টাকায় উন্নয়নমূলক নানা কাজ সরকার করতে পারত, সেই টাকা কেন খয়রাতিতে ব্যয় হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা সময়। গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার দিয়েছিল ৭০ হাজার করে টাকা। এবার সেটাই বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা।

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    অনুদানের এই টাকার উৎস কী, তা জানতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই টাকার উৎস কী? ক্লাবগুলি এই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করছে কিনা। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “গত দুবছর ধরে আমি পুজো প্যান্ডেলে গিয়েছি। যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায় কিছু হয় না। ওই টাকা সম্ভবত ক্লাবের সদস্যদের জন্য কাজে লাগতে পারে।” তিনি বলেন, “অনুদানের টাকা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়ানো হলে সেটা পুজোর কাজে লাগতে পারে।”

    আরও পড়ুন: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “দুর্গাপুজো রাজ্যের ঐতিহ্য। সেই কারণে পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য হয়তো এই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়।” অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, “দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য সরকার এক হাজার টাকা দেয়। তাদের আরও বেশি প্রয়োজন। সেটা সরকার বিবেচনা করে (West Bengal Govt) দেখলে ভালো হয় (Calcutta High Court)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি করে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার মৃতদেহ ‘লুট’ করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছিল, তাই এত দ্রুত দেহ সৎকার করা হয়। এবার সেই নিয়ে একই প্রশ্ন তুললেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, পানিহাটি শ্মশানে যখন মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময় সেখানে আরও তিনটি মৃতদেহ ছিল। কিন্তু সবকিছু থামিয়ে রেখে আগে নির্যাতিতার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কেন এত তাড়াহুড়ো? কী লুকোত চেয়েছিল পুলিশ? ভয় ছিল দেহ থাকলে ফের ময়নাতদন্ত বা ফরেন্সিক হতে পারে, যাতে বিপদে পড়তে পারেন কেউ কেউ?

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার পরে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে তাড়াহুড়ো করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মর্গে পৌঁছে দেহ আটকে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, দেহ সৎকারে তাদের কোনও হাত ছিল না, যা করার করেছে মেয়েটির পরিবারই। যদিও সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা জানান, গত ৯ অগাস্ট রাতে শ্মশানে তাঁর মেয়ের দেহ দাহ করতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর কথায়, ‘‘শ্মশানে পৌঁছে গিয়ে আমরা দেখি, আমাদের আগে তিনটে বডি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগে সৎকার করে দেয়। তখন আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। মাথা কাজ করছিল না। ফলে সৎকারে বাধা দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি।’’

    দেহ সৎকারে পারদর্শী পুলিশ

    শুধু মৃতার বাবা নন, ওইদিন দেহ সৎকারে পুলিশের তৎপরতার কথা জানিয়েছে পানিহাটি এলাকায় শ্মশানের কর্মীরাও। যে শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়, সেখানকার এক কর্মী ভোলানাথ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার একটি মেয়ের মৃত্যুর খবর সকাল থেকেই চলছিল। রাত ১২টার পর লাশ শ্মশানে আনা হয়। পুলিশ আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে একটি মেয়ের লাশ আসছে এবং তার সঙ্গে বিশাল জনসমাগমও আসবে। এলাকাটি খুব জনাকীর্ণ ছিল, ১০টিরও বেশি পুলিশের গাড়ি ছিল। লোকজনের আসা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এবং যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশ দ্রুত শেষকৃত্য করার নির্দেশ দেয়। বিপুল জনসমাগম এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।’’ ভোলানাথ জানান, ওই সময় শ্মশানে থাকা আরও ৩ মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশই সব ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিক, সদ্য কন্যাহারা তা-ও অকস্মাৎ, মর্মান্তিক, বাবা-মার পক্ষে বাধা দেওয়ার মতো মানসিক জোরই ছিল না। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দেহ দখল করার অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ দখল করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) আগেই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে ফের প্রশ্ন উঠছে, কেন দেহ দাহ করতে এত তৎপর ছিল পুলিশ? কিছু কি লুকানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের? এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতেও ‘সন্তুষ্ট নন’ মৃত চিকিৎসকের বাবা, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যে সব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি করছেন, তাঁদের তিনি জেলে ভরার চেষ্টা করছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নই। ওঁর দেওয়া কোনও ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই রাজ্যে বাড়তে চলেছে মদের দাম। ১৪ অগাস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গে এক ধাক্কায় প্রায় কয়েক শতাংশ দাম বাড়তে পারে মদের। ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকার এবং বিদেশে তৈরি মদের দাম গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে।  দেশি মদের দাম বোতল পিছু বাড়তে পারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু হঠাতই কেন মদের দাম বাড়ছে রাজ্যে? সরকার কি তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পের জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছে? বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সরকার তাঁর নানা প্রকল্পের খরচ তুলতেই এইদাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

    কেন দাম বাড়ছে

    মূলত আবগারি শুল্কবৃদ্ধির কারণেই এই মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শেষবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে মদের দাম বেড়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে রাজ্যে দাম কমেছিল বিয়ারের। এবার ফের এক দফায় বাড়তে চলেছে মদের দাম। তথ্য অনুযায়ী, ৬০০ মিলিলিটারের দেশি মদের বোতলের দাম বর্তমানে ১৫৫ টাকা, তা বেড়ে ১৬০ টাকা হতে পারে। ৩০০ ও ৩৫০ মিলিলিটারের ছোট বোতলের দাম ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ এবং ৯৫ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হতে পারে। যে সব বিয়ারের বোতলের দাম বর্তমানে ১৩৫ টাকা করে, তা একলাফে ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকারের বোতলের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    সরকারের আয়

    গত অর্থবর্ষে মদ বেচে রেকর্ড আয় করেছিল রাজ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। কর আদায় হয়েছিল ১১ হাজার কোটির মত। ২০২২ সালে তা বেড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার। তার থেকে কর আদায় হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে আয় বেড়ে হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা। কর আদায় হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প, জয় বাংলা পেনশন স্কিম বা ক্লাবে ক্লাবে পুজো অনুদান। এসবের খচর মেটাতে গিয়েই রাজ্যের কোষাগার প্রায় শূন্য। তাই কোষাগার ভরাতে এখন ভরসা আবগারি শুল্ক। অন্তত তেমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীকে নিচু জাতের বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, রাজ্যকে নোটিশ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের

    PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীকে নিচু জাতের বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, রাজ্যকে নোটিশ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন শনিবারই একটি নোটিশ পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি জেলার সভাপতি পীযূষ পাণ্ডা প্রশ্ন তোলেন, কেন নিচু জাতের মানুষ হয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News) রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন? রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন? সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তা পোস্টও করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে দাবি করা ওই তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘‘আমাদের পৈতে তা হলে উচিত প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া!’’ – এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। রাজ্যস্তরে বিজেপি এর প্রতিবাদে সরব হয়।

    পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি

    ঠিক এই আবহে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন নোটিশ পাঠায় (PM Modi News) রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় সেখানে। কিন্তু পুলিশ কোনওরকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। এরপরে ফের জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন নোটিশ পাঠাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা পীযূষ পাণ্ডা মন্তব্য করেন, ‘‘তেলি সমাজের প্রতিনিধি হয়েও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News) কেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবে অংশগ্রহণ করলেন?’’ পীযুষ পাণ্ডার আরও দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী যে কাজ করেছেন তা একমাত্র ব্রাহ্মণদেরই করা উচিত। এর পাশাপাশি তিনি আরও আপত্তিকর মন্তব্য করেন যে প্রধানমন্ত্রী যে জাতি থেকে উঠে এসেছেন তাদের কাজ হল জুতো পালিশ করা।

    কী বলছেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    এ বিষয়ে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির জানিয়েছেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সাংসদ এবং বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন এ বিষয়ে। কমিশনের চেয়ারম্যানের আরও দাবি, এটা সমগ্র ওবিসি সমাজকে অপমান করা। ওবিসি সমাজের অন্তর্ভুক্ত সকলেই এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর আঘাত পেয়েছেন। যদি রাজ্য সরকার কোনও রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী (PM Modi News) পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন এনসিবিসির চেয়ারম্যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    সোমেশ্বর

    বিশ্বভারতীর অন্যতম প্রধান সমস্যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাম্পাস’ সীমায়িত বা ‘ডিমারকেটেড’ নয়। একটি ধর্মীয় আশ্রম হিসাবে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা এবং একটি স্কুল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল, সেখানে স্বাভাবিক কারণেই সীমাবদ্ধ ‘ক্যাম্পাস’ আরম্ভ থেকে ছিল না। কিন্তু ক্রমে ক্রমে এই না থাকার অসুবিধা অনুভূত থাকে। দেখা যায়, গুরুদেবের আশ্রমের বহু জমি তার ভক্তরা নিজের মনে করে দখল করে নিয়েছেন। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী অ্যাক্ট পাশ হওয়ার সময় বিশ্বভারতীর এলাকা হিসাবে ৩০০০ হেক্টরের একটি বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হলেও বাস্তবে সেই জমির সবটার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অধিকার ছিলো না। বিশ্বভারতী সম্ভবত এদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার এলাকায় আস্ত একটা গ্রাম আছে। এরপর ১৯৮৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ’ গঠন করে বিশ্বভারতী এলাকাকেও তাদের ‘উন্নয়ন – এলাকার’ মধ্যে ধরে নিলো। বাইরে থেকে যে ভূমিখণ্ড বিশ্বভারতীর ‘ক্যাম্পাস’ বলে মনে হয় তার ভিতরের চরিত্র বিচিত্র। এই বিচিত্র ‘ক্যাম্পাসে’ তিন ধরণের জমি বা ঘরবাড়ি আছে – বিশ্বভারতীর মালিকানার এবং দখলে আছে, বিশ্বভারতীর মালিকানার কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী লিজে দেওয়া জমি বা তার ওপর বাড়ি এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা বা বাড়ি। জমির এই জটিল চরিত্রের জন্যই সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সমস্যা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া এবং ‘ক্যাম্পাসে’র ভিতর দিয়েই ব্যক্তিগত জমি বা বাড়িতে যাতায়াতের আব্দার সহ্য করা।

    রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথের সময়েই জমি দীর্ঘ মেয়াদী লিজ দেওয়া শুরু হয়। মূলত তৎকালীন বিশ্বভারতীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত মানুষ জনকেই এই লীজ দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বভারতীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত ছিলেন না এমন মানুষদেরও সেসময় জমি লীজ দেওয়া হয়। মুলতঃ এই উদ্দেশেই ‘ফ্রেন্ডস অফ বিশ্বভারতী’ বা বিশ্বভারতী সুহৃদ সমিতি গঠন করা হয়েছিলো। অমর্ত্য সেন এর দাদু ক্ষিতিমোহন সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক হিসাবে; অমর্ত্য সেন এর বাবা আশুতোষ সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর ‘সুহৃদ’ হিসাবে। আলাদা আলাদা সময়ে দুটি লিজ দেওয়া হয়েছিলো। ক্ষিতিমোহন সেনকে দেওয়া জমিতে নির্মিত বাড়ি এখনও ভোগ করছেন অমর্ত্য সেন এর মামাতো ভাই ও তাদের পরিবার। রথীন্দ্রনাথের সময়ে দেওয়া ৯৯ বছরের লীজ যাদের নামে দেওয়া হয়েছিলো তারা সবাই প্রয়াত হয়েছেন। লীজের শর্ত হিসাবে সেসব জমিতে বা বাড়িতে তাদের বংশধররা বসবাস করছেন। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা লীজের সময়সীমা শেষ না হলেও সেইসব জমি বা বাড়ি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার খুব কৌশলে কিছু জমি যে হাতবদল হয়নি – তাও নয়। বেশিরভাগ দীর্ঘমেয়াদী লীজ ২০৪১ / ৪২ সালে শেষ হয়ে যাবে। যদি বিশ্বভারতীর আগামীদের প্রশাসন লীজ না নবীকরণ করেন, তাহলে এই সমস্ত জমি বা বাড়িই বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। এরপরেও ব্যক্তি মালিকানার যেসব বাড়ি থেকে যাবে সেগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ বজায় রাখার পথে বাধা হতে পারে। একটা উদাহরণ দিই – ধরুন আপনি বাইরে থেকে বেড়াতে এসেছেন , সঙ্গীত ভবন সংলগ্ন মাঠে ঘুরছেন, হটাত আপনার চোখে পড়ছে মাঠের সীমানায় একটা আস্ত রেস্টুরেন্ট। আপনি বিস্মিত হবেন – ক্যাম্পাসের ভিতরে এটা কি করে হলো। আসলে ওটি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা একটি প্রাইভেট বাড়িতে। যেহেতু ‘প্রাইভেট’ অতএব যা খুশী করা যায়। বিশ্বভারতীর মধ্যে দিয়ে যে দীর্ঘ রাস্তা – শ্রীনিকেতন থেকে ভূবন ডাঙ্গা অব্দি (অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিয়ে) তা এক সময়ে রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীকে হস্তান্তরিত করে। বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল ও মানুষ চলাচলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইন – শৃঙ্খলা – পরিবেশ বজায় রাখা সুবিধা হয়। কিন্তু অসুবিধা বোধ করেন ক্যাম্পাসের কিছু বাসিন্দা। মুলতঃ তাদের দাবীতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই রাস্তার অধিকার আবার ফিরিয়ে নেন। অর্থাৎ যে খানিকটা ক্যাম্পাসের ‘সীমাবদ্ধতা’ ছিলো তাও নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্বভারতীর জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশসহ অন্ততঃ তিনটে দফতর অবস্থিত। বিশ্বভারতীর জমির ওপর দিয়েই ওইসব জমিতে যাতায়াতের রাস্তা।

    একটি প্রতিষ্ঠান তার দখল হয়ে যাওয়া জমি দখলমুক্ত করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার বেআইনিভাবে দখল না হয় তার জন্য প্রাচীর দিয়ে ঘিরবে – এর মধ্যে অন্যায় কোথায়? কিন্তু বিশ্বভারতীতে কর্তৃপক্ষের এই স্বাভাবিক উদ্যোগকেই অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তথাকথিত আশ্রমিক, বুদ্ধিজীবী ও গুরুদেবের কিছু ভক্ত। মেলার মাঠে সীমানা নির্মাণের সময় যা যা ঘটেছে তা এযাবৎ দেশের অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে বলে জানা নেই; সম্ভবত কাশ্মীরেও ‘বুলডোজার’ দিয়ে একটি প্রাচীন তোরণ ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি! বেআইনি পারকিং করে তোলা আদায় সহ নানা বেআইনি কাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিলো মেলার মাঠ, ধীরে ধীরে বেআইনি দখলদাররা মাঠ গ্রাস করতে শুরু করে। কারণ এরা সবাই মনে করে – ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ – অতএব যা খুশী করা যাবে। বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ বা সীমানা প্রাচীর যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রথম শুরু করলেন তা নয়। ২০০৪ সাল থেকেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমনটা নয় যে – তৎকালীন উপাচার্যরা নিজেদের উদ্যোগে এবং ইচ্ছায় এই কাজ শুরু করেছিলেন। ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে জমি পুনুরুদ্ধারে উদ্যোগী হতে বলা হয় । ২০০৬ এ গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত ‘হাই লেভেল কমিটি’ তাদের সুপারিশে পরিস্কার ইংরাজিতে লিখেছিলো – ‘The campus boundary will be demarcated and boundary walls and fencing will be constructed to improve and protect the property from encroachment.’ যে দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ হওয়া উচিত ছিল তা হচ্ছে না – এখনো দখলে থাকা বিশ্বভারতীর সিংহভাগ জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সীমানা প্রাচীর বা বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটা করা সম্ভব হলেও রাজ্য সরকার পি ডবলু ডি র রাস্তা ফেরত নিয়ে নেওয়ায় ক্যাম্পাস ঘেরার এই উদ্যোগ অনেকাংশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে ।

    অমর্ত্য সেনের জমি সম্পর্কে সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে একটি প্রশ্ন অনেকের মধ্যে এসেছে – ‘আচ্ছা ওনার মতো একজন বিশ্বখ্যাত মানুষ, ভারতরত্ন কে ওই জমিটা উপহার হিসাবে দিয়ে দেওয়া যেত না?’ অধ্যাপক সেন অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সুইডেনের পুরষ্কারটি পাওয়ার পর ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ গঠন করেন। শোনা যায়, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ এর অফিস করার জন্য একটি জায়গা চাওয়া হয়েছিলো। অধ্যাপক সেন নিজে চেয়েছিলেন নাকি তার হয়ে কোনো ব্যক্তি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য বা কর্মসমিতি এই প্রস্তাবে রাজী হয়নি, অর্থাৎ তাঁকে ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই উপাচার্য প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু সেসময়ের দু একজন আধিকারিক এখনো আছেন। তারা হয়তো বলতে পারবেন কেন তাঁকে ক্যাম্পাসে জমি দেওয়া হয়নি। একই ভাবে তার পৈত্রিক বাড়ির জমি নিয়ে এই যে বিতর্ক তা যে শুধুমাত্র বর্তমান উপাচার্যের মস্তিস্কপ্রসুত, তাও নয়। এই জমি নিয়ে মাঝে মাঝেই কথা উঠেছে। শোনা যায়, একজন প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি এখনো জীবিত – এই জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান করার জন্য ওনার কাছে, ওনার বাড়িতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেভাবে সাড়া পাননি। অনেকেই বলবেন এসব ‘শোনা যায়’, ‘জানা যায়’ – কথার প্রমাণ নেই। সত্যিই নেই, কারণ এসবের কোনো লিখিত প্রমাণ থাকে না। যদি এই তথ্যগুলো ঠিক না হয়, তাহলে অধ্যাপক সেনের পরিচিত জন অবশ্যই প্রতিবাদ করতে পারেন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে অমর্ত্য সেনের মতো এত উচ্চাসনে থাকা ব্যক্তি যেভাবে অপ্রীতিকর একটি বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন তার নিরসন হওয়া উচিত। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা ভারত সরকার কি চাইলেই ওই জমি উপহার হিসাবে তাঁকে দিতে পারেন? খানিকটা নিয়ম কানুন বদলে হয়তো সেটা পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আরও নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম হবে, বিশ্বভারতীর জমি সমস্যা জটিলতর হবে। নোবেল প্রাইজ প্রাপক বা ভারতরত্ন না পেলেও সেসময় জমির লীজ প্রাপকরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনেকেই বিখ্যাত। এখন তাদের স্বল্পখ্যাত বংশধররা সবাই যদি উপহার পাবার দাবী তোলেন তখন কি হবে? বামফ্রন্ট সরকার লবনহ্রদে যে জমি দিয়েছিলো সেখানেই এখন ‘প্রতীচী-ট্রাস্টের’ একটি অফিস; শান্তিনিকেতনে ক্যাম্পাসের বাইরে তারা নিজেদের উদ্যোগে একটি অফিস করেছেন। বর্তমান সরকার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বাইরে আর একটি জমি দিয়ে, ‘প্রতীচী’ বাড়ির আদলে আর একটি বাড়ি তৈরী করে ওনাকে উপহার দিলে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।

    চাহিদার তুলনায় বিশ্বভারতীর জমির পরিমাণ কম। বিশ্বভারতীকে একটি সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে আরও হোস্টেল ভবন নির্মাণ করতে হবে। এই মুহূর্তে সেখানে হস্টেল সংখ্যা অত্যন্ত কম। ভবিষ্যতে আরও শ্রেণীকক্ষ, খেলার মাঠ, গবেষণাগার ইত্যাদি নির্মাণের জন্য আরও জমির প্রয়োজন হবে। এজন্য একদিকে বেআইনিভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে হবে অন্যদিকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য। সিবিআই-এর এই অভিযোগের পর রাজ্যকে মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু এদিনও তা জানাতে পারল না রাজ্য সরকার। 

    কী বলল রাজ্য

    রাজ্য সরকার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখে আদতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। তাই সোমবার এ বিষয়ে  বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার রাজ্যের কৌঁসুলি এজলাসে এসে জানান, জানুয়ারি মাসে মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই তাঁকে নথিপত্র দেখে বক্তব্য পেশের সময় দেওয়া হোক। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা আসার ফলে মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাচ্ছেন না।

    ক্ষুব্ধ আদালত

    রাজ্যের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বসাক  জানতে চান, আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। এখনও আপনার মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাননি? দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিচারপতি বসাক মন্তব্য করেন, ‘‘আপনারাই আমাদের পদক্ষেপ করতে বাধ্য করছেন। কবে জানাতে পারবেন তাও বলতে পারছেন না। তা হলে ওঁকে কোর্টে ডেকে পাঠাই?’’ এদিন রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, ‘‘অজুহাত দেবেন না। আপনারা ফাইল চেপে বসে থাকবেন এবং আমরা তা বসে বসে দেখব? এত দিন ধরে কী করেছেন?’’ কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আজ, বুধবার কোর্টকে জানাতে হবে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    সিবিআই-এর অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন সচিব সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু নিম্ন আদালতের (Calcutta High Court) বিচারক জানিয়েছেন, চারটি মামলায় একাধিক সরকারি কর্মী ও কর্তার নাম অভিযুক্তের তালিকায় থাকলেও তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য যা জরুরি। তাই ওই চার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠছে, বিচার শুরুতে বিলম্ব করাতেই রাজ্যের এই গড়িমসি। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে গত এক বছরে তারা বেশ কয়েক বার ই-মেল ও চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমতি চাইলেও, তা পাওয়া যায়নি। তা থেকেই এই আইনি জটিলতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)। তার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সোমবার তাতে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিষয়টিতে আইনজীবী কপিল সিব্বাল দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের। একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তার পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে হামলা হয় বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটিকে চিঠি দেন সুকান্ত। চিঠি দেন লোকসভার স্পিকারকেও। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছে পুলিশ।  

    স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তলব 

    তার পরেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্য সচিব ছাড়াও তলব করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়। তার আগেই সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব।

    রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাই এখনই তাঁদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিন পিছনোর আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। এর পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির নোটিশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জও করে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে মিটিংয়ের নামে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ। প্রথমে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও, পরে বাছাই করা কয়েকজন মহিলাকে পার্টি অফিসে কিংবা এলাকার একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। এই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। সেই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তায় ফাঁক রাখছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    তাঁর নিজের নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার অভিযোগে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সেই মামলা ওঠে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শুভেন্দু অধিকারীরর আইনজীবীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর আইনজীবীদের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতার পাইলট কার পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নানাভাবে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকী বিরোধী দলনেতার কনভয়ে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও কোনওরকম সহযোগিতা করা হয় না বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    কী বলল আদালত

    আদালত (Calcutta High Court) বিষয়টি শুনে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আাগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কী কী নিরাপত্তা পাওয়ার কথা এবং বর্তমানে তাঁকে কী কী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করল  কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    মঙ্গলবার হইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপাচার্যদের পুনর্নিয়োগের কোনও অধিকার নেই রাজ্যের। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নেই, পুনর্নিয়োগের তো ক্ষমতা নেই-ই। এর ফলে রাজ্যপালের নিয়োগ করা অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়ল।

    উপাচার্যদের অপসারণের নির্দেশ

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের সেক্রেটারির চিঠিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। যাদের কর্মকাল শেষ হওয়ার পর রাজ্য ফের নিয়োগ করেছিল, তাঁদেরও নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। তবে যাদের সময়কাল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ (Vice Chancellor recruitment) নিয়ে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টই প্রথম প্রশ্ন তুলেছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ। এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের ২৯ জন উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, আচার্যের অনুমতি ছাড়া উপাচার্যদের পুনরায় নিয়োগ করা যায় না। ফলে যাঁদের মেয়াদ ফুরনোর পর সরকার নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়েছিল, তা বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। অতীতে রাজভবনে জগদীপ ধনখড়ের মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সচিবালয় ও রাজ্যপালের সংঘাত বেঁধেছিল। রাজভবনকে এড়িয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ে সরকার। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share