Tag: West Bengal Medical Council

West Bengal Medical Council

  • Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) আর্থিক দুর্নীতি এবং চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি জেলে বন্দি। এবার তাঁর নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। রোগী দেখার প্রেসক্রিপশনেও তিনি লিখতে পারবেন না ‘ডাক্তার’ শব্দ। বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিল করেছে। যদিও অনেক দিন ধরেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশের মধ্যে এই দাবি উঠেছিল। এই পদক্ষেপে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ (Sandip Ghosh)

    গত ৯ অগাস্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর কথা বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ। এই জন্য নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম বাতিল করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের হাউজস্টাফ, নথি নিয়ে সিজিওতে সল্টলেকের হোটেল কর্মী

    আর কি রোগী দেখতে পারবেন?

    চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এই কাউন্সিলের সভাপতি হলেন তৃণমূল সমর্থক চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে স্পষ্ট করে আবেদন করা হয়, ব্যক্তিগত পরিচয়কে ঊর্ধে রেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন যেন অবিলম্বে বাতিল করা হয়। একই ভাবে চিঠিতে সই রয়েছে আরেক তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের। আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকেই শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, সন্দীপ (Sandip Ghosh), হত্যাকাণ্ডের পর নিজেই অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, “আমি অর্থোপেডিক সার্জেন। আমার দু’টো হাত রয়েছে। আমি কিছু করে খেতে পারব।” কিন্তু এখন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর ডাক্তারদের একাংশ বলছে, “আর কি রোগী দেখতে পারবেন? খাবেন কী”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সাসপেন্ড অভীক ও বিরূপাক্ষ, সন্দীপ ঘোষকে শো-কজ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের

    RG Kar Incident: সাসপেন্ড অভীক ও বিরূপাক্ষ, সন্দীপ ঘোষকে শো-কজ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council)। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতি, খুন-ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিল ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব করেছে। এক্ষেত্রে সময়ের মধ্যে উত্তর না দিলে বা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে সন্দীপ ঘোষের। সেই সঙ্গে, স্বাস্থ্য ভবনের পর এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    কাউন্সিলের ঘোষণা (West Bengal Medical Council)

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে খবর, শনিবার তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভীক, বিরূপাক্ষের পাশাপাশি সাসপেন্ড হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকও। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের  পিনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই কমিটির সদস্য ছিলেন মুস্তাফিজুরও। আপাতত কাউন্সিলের (West Bengal Medical Council) কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগে এর আগে গত ৫ তারিখ  স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের দিন আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে হাজির ছিলেন বিরূপাক্ষ ও অভীক।  বিরূপাক্ষ ও অভীকের বিরুদ্ধে শাসানি, ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের আরও এক জোড়া ফ্ল্যাটের হদিশ, ইডি হাজির শ্যালিকার বাড়িতেও

    সন্দীপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (RG Kar Incident)

    সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কাউন্সিলের (West Bengal Medical Council) চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন অন্যান্য চিকিৎসকেরা। এক প্রকার বাধ্য হয়েই কাউন্সিলের কোড অফ কন্ডাক্টের ২৫(২) এবং ৩৭(৩) ধারা অনুযায়ী সন্দীপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল। শুক্রবার শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে। আরজি করে (RG Kar Incident) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ। কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে সন্দীপকে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশনও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক দূরত্ব তৈরির ‘নাটকে’ আপাতত ইতি। ‘পুরস্কার’ পেয়ে গেলেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। নির্মল মাজিকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত সদস্য করার সিদ্ধান্তকে এমনি ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠনে (WB Medical Council) বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। কাউন্সিলের নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট, ব্যালট চুরি, এমনকি বিরোধী প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের নাম ব্যালট থেকে কারচুপি করে বাদ দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ উঠে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভোট গণনার দিন, একটানা গণনা না করে, সাত ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিতর্ক আরও দানা বাঁধে। 

    রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, নতুন কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও সরকার মনোনীত প্রতিনিধি থাকছেন। আর সেই মনোনীত প্রতিনিধি তালিকায় রয়েছেন নির্মল মাজি।তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছিল কয়েক মাস আগে। তারপরেই নির্মল বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা সারদা-র সঙ্গে তুলনা করেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের এক সভায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক অন্য মাত্রা নেয়। সাময়িকভাবে নির্মল বাবুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করে তৃণমূল। তাকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রার্থী হতেও নিষেধ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: নিপীড়িতদের স্বাগত জানায় ভারত, ধর্মীয় সম্মেলনে বললেন আরএসএস নেতা

    যদিও এই সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কালীপুজোর রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নির্মল মাজি উপস্থিত ছিলেন। আর তারপরেই রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে জায়গা করে নেন নির্মল মাজি। অস্বচ্ছ নির্বাচনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের বিরোধী শিবির জয়েন্ট ডক্টর্স প্ল্যাটফর্ম। রাজ্যের শাসক দলের মদতে পেশি শক্তির জোরে মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে ব্যালট পৌঁছায়নি। চিকিৎসকেরা নিজেদের ভোট, নিজেরা দিতে পারেননি। এমনকি জাল ব্যালটের অভিযোগ করেছেন বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা। 

    ভোট গণনার দিন জাল ব্যালটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারকে নিয়ে শাসক দলের প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে মিটিং করেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও একটানা গণনা প্রক্রিয়া চলে না। গণনায় বিরোধী শিবির এগিয়ে যেতেই সাত ঘণ্টা গণনায় বিরতি নেওয়া হয়। শাসক দলের প্রতিনিধিদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সব অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই অভিযোগগুলো যথাযথ ভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর বিষয়টির ফের শুনানি হবে। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা নজরদারির দায়িত্ব মেডিক্যাল কাউন্সিলের। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক মজবুত করতেও কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রোগীর চিকিৎসা ও চিকিৎসক সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে, সে কাউন্সিলের দ্বারস্থ হবেন। কিন্তু কাউন্সিল যদি অস্বচ্ছ ভাবে তৈরি হয়, তাহলে সেই কাজ কি কাউন্সিল ঠিকমতো করতে পারবে? আর দায়িত্ব পালন না হলে তার প্রভাব রোগী পরিষেবাতেও পরবে।

  • West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দফায় দফায় ‘উচ্চস্তরের কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। তাই সমস্যার রফা সূত্র বেরোলো না। তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল কার দখলে সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকলো।

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই বারবার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পরিচ্ছন্ন নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি ভোট গণনার দিনও অব্যহত রয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী শিবির গণনায় এগিয়ে যেতেই রিটার্নিং অফিসার গণনা বন্ধ করে দেন। ‘চোখে-মুখে জল দেওয়ার’ কথা বলে প্রায় চল্লিশ মিনিট তিনি উধাও হয়ে যান। বিরোধীরা কারচুপির একাধিক অভিযোগ করলেও তিনি সে নিয়ে স্পষ্ট মতামত জানাননি।

    গত এক মাস ধরে পোস্টাল ব্যালটে চিকিৎসক ও চিকিৎসক-শিক্ষকেরা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ভোট গণনার সময় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    বিরোধীদের অভিযোগ, অশিক্ষক চিকিৎসকদের ভোট দেওয়ার জন্য যে গোলাপি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অধিকাংশ জাল। ব্যালটের রং আলাদা। তেমনি বিরোধী প্রার্থীদের নাম নেই। বরং শাসক দলের একই প্রার্থীর নাম একাধিক বার রয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, একাধিক ব্যালটে তার নাম নেই। অভিযোগ শুনে প্রাথমিকভাবে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছুই করেননি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশে অবিচ্ছেদ্য ভাবে গণনা হওয়ার কথা থাকলেও, অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের ভোট বাড়তে থাকলেই গণনা বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। কতক্ষণ পরে ফের গণনা চালু হবে, সে বিষয়েও কিছু জানান না।

    এরপরেই বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের সামনেই শুরু হয় প্রতিবাদ।

    যদিও শাসক দল পাল্টা জানান, যে চিকিৎসক ব্যালটে নিজের নাম না থাকার অভিযোগ এনেছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যালটের ছবি আপলোড করেছেন। তাই তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাকে প্রার্থী হিসেবে যেন আর গণ্য করা না হয়।

    বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ছাপ্পা আর ভয় দেখানোকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন লড়ে তৃণমূল। সেটা পঞ্চায়েত হোক কিংবা চিকিৎসক নির্বাচন তৃণমূলের একটাই স্ট্র্যাটেজি। সেটা হল গণতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে ছাপ্পা দেওয়া।

LinkedIn
Share