Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় আজ ইডি দফতরে রুজিরার হাজিরা! যাচ্ছেন কি?

    Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় আজ ইডি দফতরে রুজিরার হাজিরা! যাচ্ছেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee)। কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল ১১টায় হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক-পত্নীর।

    বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার পরই তলবের চিঠি

    সোমবার, বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল রুজিরাকে (Rujira Banerjee)। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই আজ হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক-জায়ার। 

    আগেও ইডি-র প্রশ্নের সামনে পড়েছিলেন রুজিরা

    আজ হাজিরা দিলে এই নিয়ে দু’বার ইডি-র মুখোমুখি হবেন রুজিরা (Rujira Banerjee)। গত বছর ২৩ জুন কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী। সেবারও সিজিও কমপ্লেক্সেই নথিভুক্ত হয়েছিল রুজিরার বয়ান। তার আগে এই একই মামলায় দু’বার সিবিআই জেরার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রথমবার ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ফের ২০২২ সালের ১৪ জুন অভিষেকের বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’-এ গিয়ে রুজিরাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    তলব করা হয়েছিল অভিষেককেও

    শুধু রুজিরা (Rujira Banerjee) নন, কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরকে।  সিজিও কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকেও। গত বছর সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরেই ব্যাংকক যাওয়ার পথে আটকানো হয় মেনকাকে। তার আগে দিল্লিতেও তলব করা হয়েছিল তাঁকে।  

    এমনকি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেককেও। তাঁকেও দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে ইডি-র দফতরে প্রথম বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হন অভিষেক। সেদিন তাঁকে প্রায় ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ৬ মাস পর ২০২২ সালের ২১ মার্চ, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ফের অভিষেককে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যার সঙ্গে দেখা করতে তিহাড়ে পৌঁছে গেল তৃণমূলের ২ সাংসদ। শুক্রবার, তৃণমূলের ২ প্রতিনিধি— দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল জেলবন্দি অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও অনেক আগে থেকে কলকাতায় জেলে বন্দি রয়েছেন দলের একদা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত, তাঁকে দেখতে দলের তরফে কাউকে জেলে পাঠানো হয়নি। অথচ, অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে একেবারে তিহাড়ে পৌঁছে গেল ২ জন সাংসদ! রাজনৈতিক মহলের কাছে এই বিষয়টির অন্য তাৎপর্যপূর্ণ রয়েছে।

    পার্থ বনাম অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের মতে, দুই দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দুই হেভিওয়েট নেতার ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দুরকম আচরণ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর উপর থেকে কার্যত ‘হাত তুলে নেয়’ তৃণমূল। প্রথমে পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর দল থেকেও তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

    উল্টোদিকে, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। এখনও তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদে বহাল। তাঁকে সাংগঠনিক পদ থেকেও সরায়নি তৃণমূল। দল থেকে তো বরখাস্তের প্রশ্নই নেই। এমনকি, একাধিক সমাবেশে ‘কেষ্ট’-র ওপর আস্থা রাখতেই শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর গলায়। দল যে অনুব্রতর পাশে রয়েছে, তা নিজ মুখে ঘোষণা করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কেষ্ট-সাক্ষাতের নেপথ্যে কোন রসায়ণ?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এখন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে গেল তৃণমূল প্রতিনিধিদল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। বীরভূম জেলাকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন কেষ্ট। দলে তো তাঁকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এখন গরু পাচারকাণ্ডে সেই ‘বাঘ’ এখন তিহাড়ের ‘খাঁচায়’ বন্দি। গতকালই, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী একমাস শুনানি হবে কি না, তার নিশ্চিয়তা নেই। ফলত, গোটা জুন মাসটাই হয়ত, জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে। 

    আরও পড়ুন: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    নজের পঞ্চায়েত ভোট? 

    দলে ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, অতীতে একাধিক ভোট বৈতরণী পার করিয়েছেন কেষ্ট। সব ভোটে কেষ্ট-ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মনে কোনও সন্দেহ নেই। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে, কেষ্টর থাকা আর না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিলক্ষণ জানে দল। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা দরকার ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বীরভূম জেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্বের জন্য অনুব্রতর কোনও বার্তা থেকে থাকলে, তা আদান-প্রদান হবে।

    পাশে থাকার বার্তা?

    রাজনৈতিক মহলের আরেকটা অংশ মনে করছে, নিজের থেকেও কেষ্টর বেশি উদ্বেগ তাঁর মেয়েকে নিয়ে। একই মামলায় মেয়ে সুকন্যাও তিহাড়ে বন্দি। ফলে, মেয়ের স্বার্থে যদি কেষ্টর মুখ খুলে যায়, তাহলে তৃণমূলের মাথাদের জন্য আরও বিপদ বাড়বে। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কয়েকজনকে রাজসাক্ষী করা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এবার গরু পাচার মামলায় যদি অনুব্রত (Anubrata Mondal) মুখ খোলেন, তাহলে কী হতে পারে, তা আগাম আঁচ করে হয়ত ভয় পাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে, দল যে তাঁর পাশে আছে, সেই বার্তা অনুব্রতকে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল।

    সব মিলিয়ে কেষ্টকে দেখতে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের তিহাড় যাত্রাকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় দিল্লির আদালতে জোড়া ধাক্কা খেলেন বীরভূমের দাপুটে মণ্ডল-পরিবারের দুই জেলবন্দি সদস্য (Anubrata-Sukanya)। একদিকে, যেমন কেষ্ট মণ্ডলের শুনানি স্থগিত হয়ে গেল, তেমন অন্যদিকে ওই আদালতেই খারিজ হয়েছে মেয়ে সুকন্যার জামিনের আর্জি। ফলে, এখন বাপ-বেটিকে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা গরহাজির থাকায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। ওদিকে সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Anubrata-Sukanya)।

    সুকন্যার শুনানিতে মণীশের বয়ান হাতিয়ার ইডি-র

    শুনানিতে সুকন্যার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সুকন্যার বয়স কম। তিনি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তিনি সব রকম ভাবে ইডিকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। পাল্টা ইডি জানায়, বাবার কারবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সুকন্যা। তিনিই গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এ ব্যাপারে এই মামলায় জেলবন্দি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানকে হাতিয়ার করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসার দেখাশোনা করতেন এবং তাঁকেও নির্দেশ দিতেন। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জামিন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    গোটা জুন মাস তিহাড়েই কাটবে কেষ্ট-সুকন্যার? (Anubrata-Sukanya)?

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাস তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে (Anubrata-Sukanya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। শুনানিতে সুজয়কে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার সময় ইডি আদালতকে জানায়, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর দীর্ঘদিন নজর রাখা হচ্ছিল। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়োগের বিষয়ে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনিই ঠিক করে দিতেন কে চাকরি পাবেন, কে পাবেন না, তাও।

    ইডি-র অভিযোগ, তাপস মণ্ডলের মুখে এই সুজয়ের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল। গোপাল দলপতিও ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) নাম করেছিলেন। নিয়োগকাণ্ডে অপর ধৃত কুন্তল ঘোষ থেকে শুরু করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও কালীঘাটের কাকু-র নাম করেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, এদের দাবি ও পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করা হলে, তিনি যাবতীয় প্রমাণ অস্বীকার করেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতারের পর কোন বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন শুভেন্দু?

    ইডি-র দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে কয়েকজন অবৈধ প্রার্থীর চাকরির জন্য তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও। আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছেন, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় মানিকের কাছে। এখন সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সুজয় ওরফে কাকু (Kalighater Kaku)।

    ইডি-র আরও অভিযোগ, সুজয় একাধিক তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন। সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে এসেছে অন্য তথ্য। মানিকের হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ইডি-র দাবি, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ৭ মাস ধরে সুজয়ের (Kalighater Kaku) ওপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের পাশ করা জাতীয় শিক্ষানীতিকেই (NEP) অবশেষে মান্যতা দিতে হল রাজ্যকে। কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চার বছরের স্নাতক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    মান্যতা না দিলে বিপদে পড়তেন ৭ লক্ষ পড়ুয়া?

    এই মর্মে, বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের স্নাতক (NEP) পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, রাজ্য যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এবছর ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। তাই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা যেভাবে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে থাকে সেই প্রক্রিয়াতেই ভর্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম (NEP) চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতেন না। এক্ষেত্রে তাদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল, তারা বিপদে পড়তেন। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: আরএসএস পরিচালিত স্কুলে পড়ে আজ ইউপিএসসি-তে সফল এক ডজনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ইউজিসি-র

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশিকা আগেই পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম (NEP) কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। এরাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। প্রসঙ্গত, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ৩ বছর থেকে বেড়ে ৪ বছর হওয়ার পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ২ বছর থেকে কমে ১ বছর করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরে পড়াশোনায় ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদিও যুক্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করার পর থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন ট্যুইটে বোমা ফাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তেমনই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?

    বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’-র গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে।’’ সঙ্গে সংযোজন করেন, ‘‘কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’’ বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    ‘‘যারা ধরা পড়ছে তারা হ্যান্ডলার’’!

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না।’’ দিলীপের মতে, এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা সকলে হ্যান্ডলার। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। এখন যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।’’

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

    এখানে বলে দেওয়া প্রয়োজন, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    Suvendu Adhikari: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করে। তার পরই সুজয়কৃষ্ণর ‘সাহেব’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

    ঠিক কি লিখেছেন শুভেন্দু?

    সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হতেই একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আইনের লম্বা হাত অবশেষে মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না। মাথারা ও প্রভাবশালীরাও জেলে যাবে। সময় ঘনিয়ে আসছে।’’ ওই ট্যুইটেই ‘কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের চিনে নিন’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাতে ‘লিপস্ অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’ (LEAPS & BOUNDS PRIVATE LIMITED) নামের একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের তালিকা বলে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    তালিকায় রয়েছে কাদের নাম?

    শুভেন্দুর পেশ করা তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে, তাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র নাম সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, ওই তালিকা অনুযায়ী, সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য নামে আরেকজনের নাম।

    আরও পড়ুন: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

    মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে? নবান্নর কাছে তৃতীয় নাম চাইলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে? নবান্নর কাছে তৃতীয় নাম চাইলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর ৪৮-ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই জায়গায় কে বসবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত মঙ্গলবারেও। রাজ্যের পাঠানো দুটি নামের সুপারিশই খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সূত্রের খবর, তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল

    সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে বসানোর পরিকল্পনা করেছিল নবান্ন। এই মর্মে ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু, রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) প্রশ্ন করেন, কেন একজনের নাম পাঠানো হয়েছে? এর পর তড়িঘড়ি আরও একটি নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই পদের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠান রাজভবনে। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

    তার পরও সম্মতি মেলেনি। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে নারাজ রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তার ওপর দুটি নাম নিয়েই আপত্তি রয়েছে রাজভবনের। ফলে, রাজভবনের তরফে সোমবার, অর্থাৎ গতকাল তৃতীয় বিকল্প নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের এই নির্দেশে মহা ফাঁপড়ে পড়েছে নবান্ন। কারণ, তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে কার নাম পাঠানো হবে, তা বাছতেই হিমশিম অবস্থা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা

    তার ওপর, রাজভবন সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার গোয়া যাওয়ার কথা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)। ২ জুন তাঁর কলকাতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, তার আগে যে কিছু হচ্ছে না, তা এক প্রকার প্রায় নিশ্চিত এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ খালি থাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, এই কমিশন হল এক সদস্যের কমিশন। তাই নির্বাচন কমিশনারের পদটি শূন্য থাকলে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব নয়। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফলে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকে ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০ মাস পর প্রকাশ্যে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Teacher Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা এদিন সশরীরে হাজিরা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ আদালতে। জামিনের আবেদন করেন। আর সেখানেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দাবি করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই (Arpita Accuses Partha)।

    কী দাবি করেছেন অর্পিতা?

    এদিন অর্পিতার জামিনের শুনানি ছিল আদালতে। আদালতে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার, দিল্লি থেকে এসেছেন অর্পিতার হয়ে সওয়াল করতে। আইনজীবী মারফৎ অর্পিতা জানান, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা পুরোটাই পার্থর (Arpita Accuses Partha)। এদিন অর্পিতা (Arpita Mukherjee) দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এও স্বীকার করেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। অর্পিতা বলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে টাকা-গয়না উদ্ধার হয়েছে। আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’’ 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    অর্পিতার আরও দাবি, তিনি নিজে পরিস্থিতির শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন আদালতে অর্পিতা (Arpita Mukherjee) বলেন, “বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস ছিল। আমার সঙ্গে অনন্ত টেক্সফ্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অনন্ত টেক্সফ্যাবের শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে বিদেশে থাকায় এটা করা হয়। ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল। এই সব সংস্থার সব কাজও হত পার্থর বাড়িতে।” অর্পিতার দাবি, তাঁকে দিয়ে জোর করে বিভিন্ন নথিতে সই করিয়ে নিতেন পার্থ (Arpita Accuses Partha)।

    অর্পিতার ‘পরিস্থিতির শিকার’ দাবি মানতে নারাজ ইডি

    যদিও, অর্পিতার নিজেকে ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে দাবি করা মানতে নারাজ ইডি। তাদের পাল্টা দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে অর্পিতারও ভূমিকা রয়েছে। পার্থর ৩১টি এলআইসি পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটিতে তাঁর সই রয়েছে। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি (Arpita Accuses Partha)। 

    এদিন বিচারক দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অর্পিতার জামিনের রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। বুধবার, ৩১ মে এবিষয়ে রায় জানাবেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যবহৃত ও ফাঁকা পড়ে থাকা কর্মতীর্থর (Karma Tirtha) স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে বণ্টন করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। 

    অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলি (Karma Tirtha) নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল আলোচনা হয়েছিল নবান্নর প্রশাসনিক বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি জেলায় বিপুল খরচ করে সরকার কর্মতীর্থ তৈরি করলেও সেগুলির বেশির ভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের কোনও আগ্রহই নেই। কারণ, দোকান-ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত এই পরিকাঠামোগুলি লাভজনক জায়গায় গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। দীর্ঘ কাল ধরে পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলির পরিচালনার ভার সেই জন্যই এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এর পর গত ১০ মে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরের তরফে রাজ্যের প্রধান সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের চারটি দফতর যে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তার বণ্টন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০৩টি কর্মতীর্থে ১৮ হাজার ১৩০টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ হাজার ৩২০টি স্টল বিলি করা হয়েছে। বাকি খালি পড়ে রয়েছে ৮১০টি স্টল।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, নবান্নে হওয়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অব্যবহৃত স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হোক, যাতে সেগুলির ‘সঠিক’ ব্যবহার হয়। এই মর্মে রাজ্যের প্রধান সচিবকে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে দফতরের তরফে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে এখন দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, দোকান-সহ নানান ব্যবসা করার জন্য নির্মিত সেই সব অব্যবহৃত পরিকাঠামো স্থানীয় ক্লাবের হাতে গেলে আখেরে সেগুলো আর কতটা কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) থাকবে? তাঁদের আশঙ্কা, নাম কর্মতীর্থ হলেও, জায়গাগুলো আদতে অকর্মস্থল বা অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share