Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার নজরে বীরভূম (Birbhum)। এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তের মাঝেই এবার কয়লাকাণ্ড (Coal smuggling) ও গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle smuggling) তদন্তেও ময়দানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে একা নয়, একেবারে সিবিআই-কে (CBI) সঙ্গে নিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী ও এক নেতার বাড়িতে সাতসকালে অভিযান চালাল যৌথ দল।

    বুধবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে সকালে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৬টি গাড়ির কনভয়। বেলা এগারোটার কিছু পরে বোলপুর (Bolpur) পৌঁছয় ইডি-সিবিআই নিয়ে গঠিত যৌথ তদন্তকারী দল। বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) রতন কুটির গেস্ট হাউজে ওঠেন আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। গন্তব্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে একটি দল যায় নানুরের বাসাপাড়া ও আরেকটি দল যায় সিউড়ির (Siuri) দিকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    নানুরের (Nanur) বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের (TMC leader Kerim Khan) বাড়িতে যান অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এছাড়া কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল (TMC) নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। 

    অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের (Stone trader Tulu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা।  এরা দু’জনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, টুলু মণ্ডল কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তাই তাঁর বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চলছে।

    ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। ইলামবাজার-সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুলু ও কেরিমের নাম। অভিযোগ, সায়গলের ব্যবসা নাকি টুলু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    অন্যদিকে, এসএসসি কাণ্ডে বীরভূমে পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে এদিন অভিযানে নামে ইডি-র (ED) আরেকটি দল। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ি ‘অপা’-য় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রথমেই ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বাড়ির কেয়ারটেকারের থেকে বাড়ির দলিল পান ইডি আধিকারিকরা। রীতিমতো গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। বাড়িটি শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, “টাকা আমার নয়…।” রবিবার জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালের সামনে এই মন্তব্য করেছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড নেতা। এবার মঙ্গলবার, মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। আর প্রথমেই করে বসলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। 

    আদালতের নির্দেশে এদিন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। এতদিন মুখ না খুললেও, প্রকাশ্যে কাঁদতে ও হাত-পা ছুড়তে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। কিন্তু, এদিন তিনি বললেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    এদিন সাংবাদিকরা অর্পিতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, টাকা কার? জবাবে তিনি বলেন, “এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।” অর্থাৎ তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর অজ্ঞাতসারে সেখানে কেউ বা কারা ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন অর্পিতা।

    এর আগে জেরা চলাকালীনও অর্পিতা একই কথা জানিয়েছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা এবং সোনা পেয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    আগের দিন যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়ে টাকার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার টাকা নয়।’ এবার একই কথা বললেন অর্পিতাও। অর্থাৎ, দু’জনের দু’দিনের বয়ান অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে টাকাটা কার? যদিও, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এদিন দেননি অর্পিতা।

  • Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কোনও ডাকসাইটে অভিনেত্রী বা নামজাদা মডেল নন। বাংলা ও ওড়িয়া ভাষার কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও, তিনি কোনও পরিচিত মুখই নন। এমনও নয়, তিনি পুরুষাণুক্রমে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। তা সত্ত্বেও, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সম্পত্তির পরিমাণ দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় সকলের।

    এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে যেন যকের ধনের সন্ধান পেয়েছেন ইডি (ED) গোয়েন্দারা। প্রথমে টালিগঞ্জের (Tollygunj) হরিদেবপুরে অভিজাত ডায়মন্ড সিটি সাউথের (Diamond City South) ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এই উদ্ধার নিয়ে যখন চারদিক তোলপাড়, তখন এরচেয়েও বড় জ্যাকপট লাগে ইডি-র হাতে। এবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ক্লাব টাউন হাইটস আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২৯ কোটি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সোনা।

    আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    টাকার অঙ্ক মোটামুটি সকলেই জেনে গিয়েছেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার খতিয়ান সম্প্রতি আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে কী কী উদ্ধার হয়েছে, তার পূর্ণ তালিকা পেশ করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, হিসেব বলছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেই ছিল প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষের সোনা। সেই নথি আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। নথিতে বলা হয়েছে উদ্ধার হওয়া এক-একটি কঙ্কনের ওজন ৫০০ গ্রাম। উদ্ধার হয়েছে ১১টি সোনার বালা, ১৮ জোড়া সোনার দুল, ৪টি বড় হার, ৯টি নেকলেস, ৭টি সোনার চেন, ৫টি আংটি। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে ৮টি সোনার বাট ও একটি সোনার কলম।

    উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ থেকে শুরু করে সোনার গয়নার ওজন— সন্দেহ উঠছে সবকিছু নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে কী করে তিনি এই বিপুল সম্পত্তি একত্রিত করলেন? ইডি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে মুখ খোলেননি পার্থ-ঘনিষ্ঠ। তবে অর্পিতা দাবি করেছেন, তাঁর অজান্তে ওই টাকা তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছিল। যে ঘর থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁর ফ্ল্যাটের মধ্যে হলেও, সেখানে প্রবেশাধিকার তাঁর নাকি ছিল না।

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টাকার মতো কি এই বিপুল পরিমাণ সোনাও তাঁর অজান্তে ও অবর্তমানে তাঁর ক্যাবিনেটে রাখা হয়েছিল? কী বলছেন অর্পিতা?

  • Partha Chatterjee: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    Partha Chatterjee: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Aprita Mukherjee)। দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মোট নগদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি। সোনা উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ কোটি মূল্যের। বৈদেশিক মুদ্রা ৫৮ লাখ টাকার। এছাড়াও প্রচুরও নামে-বেনামে জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, কোম্পানিরও হদিশ মিলেছে। সেগুলিও রয়েছে ইডি-র নজরে।

    এখন তদন্তের জালকে এখন আরও গভীরে নিয়ে যেতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন তদন্তের গতিপ্রকৃতি আরও বিস্তৃত করতে চাইছে ইডি (ED)। বিশেষ করে, এই দুর্নীতির সঙ্গে হাওয়ালা-যোগ কতটা জড়িয়ে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। 

    এই মর্মে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩টি অ্যাকাউন্ট সিজ করে ইডি। শনিবার পার্থ-অর্পিতার একাধিক ভুয়ো সংস্থার ৮টি অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতা এবং তাঁদের অত্মীয়দের অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ নিচ্ছে ইডি। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে বিভিন্ন সময়ে বেআইনি টাকা পাঠানো হয়েছে। এমনকী হাওয়ালার মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা যে ভাবে শক্তপোক্ত খামে ভরে ‘স্কচ টেপ’ দিয়ে প্যাক করা ছিল, তা যে সচরাচর হাওয়ালায় পাচারের জন্য করা হয়, সেটাও গোয়েন্দারা বুঝেছেন। 

    আরও পড়ুন: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    এই প্রেক্ষিতে ইডি জানতে পেরেছে, বারাসাতের এক নামী টেক্সটাইল সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বারাসাত ছাড়াও, ওই সংস্থার আরেকটি তিনতলা মল রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র গড়িয়াহাটের (Gariahat) কাছে হিন্দুস্তান পার্কে (Hindustan Park)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ওই সংস্থার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার (Naktala) পুজোতে বিপুল অঙ্কের টাকা দিত বলে জানা গেছে। আবার ওই সংস্থার একাধিক অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। ইডি জানতে পেরেছে, এই সংস্থা থেকে প্যাকেট প্যাকেট দামী শাড়ি কিনে আনতেন পার্থ।

    কিন্তু, কেন ইডি-র নজরে এই সংস্থা?

    এই বিপণি সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বেশ ভালো বলে উঠে এসেছে। প্রতিবেশী দেশেও এই সংস্থার মালিকের প্রায়ই আনাগোনা লেগে থাকার খবর মিলেছে। তার প্রমাণ হল, মুজিবর রহমানের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি চটের ব‍্যাগ উন্মোচন করা হয়েছিল ওই বিপণি সংস্থার তরফে। সংস্থার সেই অনুষ্ঠানেও আবার উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বর্তমানে, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির আবাসনে ইডির তল্লাশির সময় মিলেছিল সেই ব্যাগ। 

    ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একাধিক সময় সংশ্লিষ্ট বিপণি সংস্থায় বিনিয়োগ করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই বিনিয়োগ করার তথ্য সামনে আসার পরেই এই ঘটনায় আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি-র সন্দেহ, ওই বিপণি সংস্থার মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়েছে৷ 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    ইডি-র আরও সন্দেহ, টাকার একাংশ দিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) বেনামে জমি-বাড়ি (Benami properties) কেনা হয়ে থাকতে পারে। ফলে বারাসতের (Barasat) ওই বিপণি সংস্থার সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের কাছে৷ শোনা যাচ্ছে, প্রয়োজনে ওই টেক্সটাইল কোম্পানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    এদিকে, এই ঘটনায় তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও। বিশেষ করে, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahaman) ছবি উঠে এসেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়ার ঘটনায় নড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও (Bnagladesh Intelligennce Agencies)। বস্তুত প্রথম দিন থেকেই পার্থর বাংলাদেশ যোগের তদন্ত শুরু করে দেন সে দেশের গোয়েন্দারা। 

    ইতিমধ্যেই, পার্থ-ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছেন, সন্দেহ যাঁরা পার্থর স্বার্থে কাজ করেছেন। এই তালিকায় যেমন এক জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক জন সদস্য রয়েছেন, রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘কাছের লোক’ বলে পরিচয় দেওয়া প্রাক্তন এক সেনাকর্তাও।

  • Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক ৫০ কোটি নগদ টাকা। এছাড়া, কলকাতা ও শহরতলিতে ছড়িয়ে থাকা নামে-বেনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের একাধিক ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এবার ইডি নজরে বিভিন্ন জায়গায় থাকা পার্থ-অর্পিতার জমি (Partha Arpita Land Assets)।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Arpita) জেরা করে যেমন কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক ফ্ল্যাটের খবর মিলেছে, তেমনই বেশকিছু জমির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমি অর্পিতা ও তাঁর আত্মীয়দের নামে রয়েছে। যেমন, শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ৩টি বাড়ি ও গেস্ট হাউস এখন ইডির নজরে। গোয়ালপাড়, ফুলডাঙা ও উত্তরপল্লিতে এই বাড়ি ও গেস্ট হাউস রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তাঁরা মাঝে মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসতে দেখেছেন। অপা, ইচ্ছে, তিতলি ও লাবণ্য— শান্তিনিকেতনের কাছে এই ৩টি বাড়ি ও গেস্টহাউসের মালিক কে? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিকে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়েল এস্টেট সংস্থার নামেও বেশকিছু জমি কেনা হয়েছিল। অর্পিতার নামে টেক্সটাইল সংস্থার হদিশ মিলেছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া বেশকিছু সোনার বার পাচার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  ইডি সূত্রে দাবি, কালো টাকা সাদা করতেই সোনার বারগুলি নগদে কেনা হয়েছিল। কে বা কারা সেগুলি কিনেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু সোনার বার পাচারও হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস। 

    এরইমধ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনা বাড়াল পিএইচডি বিতর্ক (Partha PhD Controversy)। অনিয়মের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইডি গাইড ও কো-গাইডকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

    আরও পড়ুন: চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

  • Arpita Mukherjee: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

    Arpita Mukherjee: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ দিনের হেফাজত শেষ হচ্ছে। আজ ফের আদালতে পেশ করা হবে এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ইডি-র (ED) হাতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। ইডি সূত্রে খবর, এবার জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। আদালতে পেশ করার আগে, এদিন অবশ্য নিয়মমাফিকভাবে জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় পার্থ-অর্পিতার (Partha Arpita)। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় অর্পিতা জানান, তিনি ইডি-কে যা তথ্য দেওয়ার দিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় অর্পিতা সহযোগিতা করলেও, একেবারেই তা করছেন না পার্থ। ইডি সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলছে না পার্থর বয়ান। জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আদালতে এই বিষয়টি আজও জানানো হবে, দাবি ইডি সূত্রে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল পার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছিল। জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেন পার্থ। জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তো দূরের কথা, তাঁকে ভালোভাবে চেনেন না বলে দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি অর্পিতাকে চেনেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, না, তেমনভাবে নয়, অনেকেই তাঁর কাছে আসতেন। অর্পিতাকেও সেভাবে মাঝেমাঝে দেখেছেন। মুখোমুখি জেরায় পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, অর্পিতা কি আপনার ঘনিষ্ঠ? সরাসরি অস্বীকার করে পার্থ জানান, নাকতলার পুজোয় দেখেছেন। ইডি-র তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা পার্থ জানেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, তিনি শুনেছেন। প্রশ্ন করা হয়, ওই টাকা কি আপনার? জবাবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানান, একদমই না। তাহলে কার টাকা, প্রশ্ন করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। জবাবে পার্থ জানান, কার টাকা, সেটা তাঁর জানা নেই।

    আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার ‘অপা’-য় হানা ইডির, সম্পত্তির খোঁজে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি

  • Partha Chatterjee: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের

    Partha Chatterjee: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall court)। খারিজ করা হল তাঁর জামিনের আবেদন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন জানাননি। তাঁকেও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে (Partha Arpita 14 day judicial custody) পাঠানো হল। 

    আজই ২ দিনের ইডি (ED) হেফাজত  শেষ হয়েছিল। যে কারণে, এসএসসি কাণ্ডে ইডি-র হাতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পেশ করা হয় বিশেষ আদালতে। সেখানে ধৃতদের জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, জেরায় অর্পিতা সহযোগিতা করলেও, একেবারেই তা করছেন না পার্থ। ইডি সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলছে না পার্থর বয়ান। জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আদালতে এই বিষয়টি জানানো হয়, দাবি ইডি সূত্রে।

    আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল পার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছিল। জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেন পার্থ। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তো দূরের কথা, তাঁকে ভালোভাবে চেনেন না বলে দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি অর্পিতাকে চেনেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, না, তেমনভাবে নয়, অনেকেই তাঁর কাছে আসতেন। অর্পিতাকেও সেভাবে মাঝেমাঝে দেখেছেন। মুখোমুখি জেরায় পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, অর্পিতা কি আপনার ঘনিষ্ঠ? সরাসরি অস্বীকার করে পার্থ জানান, নাকতলার পুজোয় দেখেছেন। 

    ইডি-র তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা পার্থ জানেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, তিনি শুনেছেন। প্রশ্ন করা হয়, ওই টাকা কি আপনার? জবাবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানান, একদমই না। তাহলে কার টাকা, প্রশ্ন করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। জবাবে পার্থ জানান, কার টাকা, সেটা তাঁর জানা নেই।

    আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    সব বিচার করে, বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পার্থ থাকবেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। অর্পিতা আলিপুরে। ১৮ তারিখ  দু’জনকে ফের আদালতে তোলা হবে।

  • Partha Chatterjee: সুদীপ্ত সেন থেকে গৌতম কুণ্ডু, আইসিস জঙ্গি মুসা, রইল জেলে পার্থর প্রতিবেশীর তালিকা…

    Partha Chatterjee: সুদীপ্ত সেন থেকে গৌতম কুণ্ডু, আইসিস জঙ্গি মুসা, রইল জেলে পার্থর প্রতিবেশীর তালিকা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) যে ব্লকে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সেখানেই রয়েছেন ‘এক-সে-বড়কর-এক’ বন্দিরা। এক কথায় ওই ব্লকে রয়েছে অপরাধীদের ‘হুজ হু’-রা। জেলের পরিভাষায় ওই সেলকে বলা হয় ‘পয়লা বাইশ’।

    প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেল ব্লকের ২ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। পাশের সেলে রয়েছেন রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু (Rose Valley chairman Goutam Kundu), সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন (Saradha director Sudipta Sen)। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি গৌতম কুণ্ডু। এদিকে, পার্থর উপরেও রয়েছে এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলার অভিযোগ। যা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। অর্থাৎ, এঁদের সকলকেই হাই-প্রোফাইল বন্দি (High profile inmates) বলা হয়ে থাকে। 

    আরও পড়ুন: প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে অর্পিতার! কী বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশীর তালিকায় সেলগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ছত্রধর মাহাতো (Chhatradhar Mahato) সহ একাধিক মাওবাদী নেতা (Maoist leaders)। আরও আছে। পাশের সেলগুলোয় রয়েছে আইএস জঙ্গি মুসা (ISIS terrorist Musa), আফতাব আনসারি (dreaded criminal Aftab Ansari) ও তার ঘনিষ্ঠ জামালউদ্দিন আনসারি! এমনই প্রায় দেড়শোর অধিক দুষ্কৃতী এবং অপরাধীদের সঙ্গেই একই শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। 

    এই প্রেক্ষিতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায় নাকি ধরা পড়েছে আক্ষেপের সুর! সূত্রের খবর, জেলে পৌঁছেই পার্থকে নাকি বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‌কেন যে বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এলাম!‌ হয়ত রাজনীতিতে না এলে এই দিন দেখতে হতো না। রাজনীতিতে না এলে এই দিন দেখতে হত না আমাকে।’‌ তাঁর প্রশ্ন, ‘‌এখানে থাকব কী করে?‌’‌ প্রসঙ্গত, রুটি-ডাল-সবজি খেয়ে মেঝেয় কম্বল বিছিয়ে প্রথম রাত কাটান তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব।

    আরও পড়ুন: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা

    গতকাল এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ–অর্পিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।  ১৮ তারিখ পার্থ-অর্পিতা দু’জনকেই ফের আদালতে তোলা হবে। পার্থকে পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। অন্যদিকে, অর্পিতা থাকছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে।

  • Arpita Mukherjee: প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে অর্পিতার! কী বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    Arpita Mukherjee: প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে অর্পিতার! কী বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশ দিল আদালত। 

    শুক্রবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee) উভয়কেই ইডির বিশেষ আদালেত পেশ করা হয়। আদালত তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে তোলার পর সওয়াল করতে গিয়েই অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী৷ জেল হেফাজতে থাকাকালীন পরীক্ষা করেই যাতে অর্পিতাকে খাবার দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানান তিনি৷ 

    প্রায় একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ইডি-র (ED) তরফেও। ইডি-র আইনজীবীও সওয়াল করতে গিয়ে অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন৷ গোয়েন্দা সূত্রেই তাঁদের কাছে এই তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেন ইডি-র আইনজীবী৷ অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকায় ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে সব খাবারই পরীক্ষা করে দেওয়া হত বলেও দাবি করেন তিনি৷ 

    আরও পড়ুন: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা

    পাশাপাশি, গত ২৪ জুলাই, ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ইডি-র কনভয়। তারপরই পার্থ-অর্পিতার যাত্রাপথে, ইডির কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইডি’র এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ কারণ, আদালতে তোলার আগে ইএসআই জোকা হাসপাতালে অর্পিতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, যা বলার তিনি ইডিকে বলে দিয়েছেন।

    নিরাপত্তার পাশাপাশি, অর্পিতার যেহেতু একটি সামাজিক পরিচয় রয়েছে, তাই প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিয়ে তাঁকে আলাদা সেলে রাখার আর্জিও জানান তাঁর আইনজীবী। যদিও, অর্পিতাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা দেননি বিচারক৷ তবে অর্পিতার জীবন সংশয়ের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে জেলের সুপারকে দু’টি নির্দেশ দেন বিচারক৷ প্রথমত, জেলে থাকাকালীন অর্পিতার নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ পাশাপাশি, অর্পিতার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে, তিনি কী খাচ্ছেন, এই সমস্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে আদালতকে জানানোরও নির্দেশ দেন বিচারক৷ তারপরই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মহিলা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷

    আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

LinkedIn
Share