Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের মধ্যে ঘুণ ধরেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। প্রার্থীর সঙ্গে থেকেও কাজ করছে না।” দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন ভরতপুরের (Bharatpur) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি দলীয় সভায় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan) সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, “কে কী লিখবে, কে কী বলবে জানি না। রাজ্য নেতৃত্বকে বলেছি, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ জেলা। আগামী দিনে ডিলিমেটশন হলে আরও গুরুত্ব বাড়বে। এক সময় এই জায়গা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে নেতৃত্ব দিত। কেউ দলের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করবেন না। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। অনেকের অনেক অহংকার।” দলের সভায় সোজাসাপটা ভাবে দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীকোন্দলের কথা জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের এই তৃণমূল বিধায়ক।

    ভোটের আগে থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোট ঘোষণার আগে থেকে দলের বিতর্কিত মুখ ছিলেন হুমায়ুন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন বহিরাগত প্রার্থী মানব না। প্রকাশ্যে বলেছেন, অন্য রাজ্য থেকে খেলোয়াড় কিংবা কলকাতা থেকে গায়ক এনে অধীর চৌধুরীকে হারানো যাবে না, এটা আগেও প্রমাণ হয়েছে। এমনকী দলের সিদ্ধান্তকে অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছিলেন মাস খানেক আগেও। এখন প্রার্থীর সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু কতটা আছেন তা নিয়ে দলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর জন্য বহরমপুরে কেউ কেউ আলাদা মিটিং-মিছিল শুরু করেছেন। এর বিরুদ্ধেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন হুমায়ুন।

    নেতা কর্মীদের অহংকার

    দলীয় সভায় যা বলেছেন তার বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বলেন, “জেলায় (Murshidabad) দলের কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে অহংকার রয়েছে। ভাবছে এমনি এমনি হয়ে যাবে। ভোট অত সহজ জিনিস না। দলের কর্মীদের সতর্ক করছি। প্রার্থীর সঙ্গে হুড়োহুড়ি করছে কিন্তু মাঠে ময়দানের খাটবে না, এটা হবে না। দলের মধ্যে যদি কিছু খামতি থাকে সেটাকে সংশোধন করতে হবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    বহরমপুরে (Murshidabad) একদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মল সাহা। দুজনেই স্থানীয়। আর কথায় কথায় বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না বলা তৃণমূল কংগ্রেস সুদুর গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে দলের মধ্যেই কানাঘুষো আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এবিষয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “হুমায়ুন করবীরের বক্তব্য এখন ফাঁকা ঢোলের আওয়াজ। কখন কী বলে নিজের দল আর বাড়ির লোকেরাই জানে না। হুমায়ুন কবীর কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিরোধিতা করেছিল। বলেছিল বহিরাগত প্রার্থী মানছি না। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই ডেকে পাঠানোয় সোজা হয়ে গিয়েছেন। ইউসুফ পাঠান তিন হবে না চার সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

    আরও পড়ুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    হুমায়ুনের বক্তব্যে যে ফের জলঘোলা হচ্ছে তা টের পেয়েছে তৃণমূল। মান বাঁচাতে হুমায়ুনের সমর্থনে নামেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপুর্ব সরকার। তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিনের রাজনীতি করা মানুষ। আমার দাদা। ওঁর হয়ত কিছু মনে হয়েছে, সেটা বলেছেন। দলের ভালোর জন্যই বলেছে। আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও এনিয়ে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা খারাপ, নেই জল! সাঁইথিয়ায় (saithiya) প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (satabdi ray)। যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, “কোথাও ক্ষোভ নেই। বীরভূমের (Birbhum) গ্রামবাসীরা শুধুমাত্র তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।” ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী (Birbhum) 

    বীরভূমে (Birbhum) ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কয়েকদিন যাবৎ যেখানেই যাচ্ছেন, গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে শতাব্দী রায়কে। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই যাচ্ছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগকে মোটেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হিসেবে দেখছেন না শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, “প্রার্থীকে সামনে পেয়ে আবদার করেছেন মাত্র।” এমনকী যাঁরা সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁদেরকে ধমক দিয়ে বসেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।

    গানে প্রচার শতাব্দীর

    বীরভূমে এখন চাঁদিফাটা রোদুর। দাবদাহ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার। প্রচার জোরালো করতে “জিতব আমি, জিতব আমরা” গানটি লিখেছেন নিজেই। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে গানের শুটিং সেরে ফেলেছেন তিনবারের সাংসদ শতাব্দী। হুডখোলা জিপে চলছে সেই গানে তালে তালে প্রচার। তবে গানের একটি পংক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গানের মধ্যে রয়েছে, “এই বাংলার মা বোনেরা মমতাকেই চায়। কেন না তারা সুখে আছে মমতার ভরসায়।”

    আরও পড়ুন: ‘রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল’, তোপ মোদির

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের দয়ায় রাজনীতিবিদরা জয়ী হন। নিজের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান। রাজনীতিবিদের ভরসায় মানুষের দিন চলে এটা ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। মনোবল তলানিতে নাকি ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ! বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধরের জবাব, “গান গেয়ে ভিডিও শুট করে মানুষের কাছে প্রচারে যেতে হচ্ছে এখন। কাজকর্ম ভালোভাবে করলে ভিডিও শুটিংয়ের দরকার পড়ত না। অহংকার বেড়ে গেলে মানুষ জবাব ভোট বাক্সে দিয়ে দেবে। বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, “যে কোনও সরকার মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করে। তাঁর একটা অংশ জনগণের মধ্যে প্রকল্প রূপে ফিরিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেছেন সেটাও জনগণের ট্যাক্সের টাকা। কোনও নেতা নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দিচ্ছে না। শতাব্দী হয়তো মনে করছেন তিনি বা তাঁর দলনেত্রী জনগণকে দয়া করেন।” উল্লেখ্য প্রচারের জন্য ভিডিও আগে কখনও করতে হয়নি শতাব্দীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু  

    Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের শেষ বেলার প্রচারে সোমবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সকাল থেকেই ৮ থেকে ৮০ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নিয়ে আলিপুরদুয়ারের রাজপথে ভিড় জমিয়েছিলেন। ডিআরএম চৌপথী থেকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের চৌপথী পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে বিএফ রোডের দু ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। বিজেপির মেগা প্রচারে মহাগুরুর যোগদান এক অভূতপূর্ব মাত্রা যোগ করেছিল।

    কড়া গরমেও রোড-শো

    প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাজার হাজার মানুষ একবার তাঁদের প্রিয় নায়ককে দেখার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কড়া গরমেও রোড-শো দেখলেন মানুষ। তবে মাধবমোড় এলাকায় এসে মিঠুন চক্রবর্তী প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত বোধ করায় হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে যান। এরপর তাঁর কনভয় আলিপুরদুয়ার চৌপথীর দিকে রওনা হয়।

    জনসংযোগে মিঠুন

    এদিন মিঠুনের রোড শো দেখতে বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধারে ভক্তরা হাত নেড়েছেন। পাল্টা মিঠুন নমস্কার করেছেন সকলকে। তাঁর সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন বিজেপির (BJP)  প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মহাগুরু গাড়ি থেকে নেমে যেতেই বাকি পথ হেঁটেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজও (Manoj Tigga)। তবে মিঠুন গরমে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাস্তার পাশে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে হাওয়া করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর স্থিতিশীল হন মিঠুন।

    লোকসভা ভোটের আগে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট আসানসোলে! তীব্র উত্তেজনা

    রাজনীতির উর্ধ্বে অন্য ছবি

    অন্যদিকে শহরের কালীবাড়ি এলাকায় জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামল রায় মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন, তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে আসায় মিঠুন চক্রবর্তীও পাল্টা হাত এগিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির উর্ধ্বে এ যেন অন্য ছবি ধরা পড়ল আজ। মিঠুনের আলিপুরদুয়ার শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রচার বেশ জমজমাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: ‘হাজিরা দিতে এসেছি’! ইডি দফতরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, কোন মামলায়?

    Enforcement Directorate: ‘হাজিরা দিতে এসেছি’! ইডি দফতরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়াকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার, সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থামে তাঁর গাড়ি। নেমেই ইডি দফতরে প্রবেশ করেন হর্ষ (Harsh Neotia)। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তার আগেই তিনি পৌঁছে যান ইডির দফতরে। ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলে, তিনি জানান, তাঁকে ডাকা হয়েছে, তাই তিনি হাজিরা দিতে এসেছেন। যদিও, কোন মামলা বা ঠিক কী কারণে তলব, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি শিল্পপতি। শুধু জানান, বেরিয়ে সব বলবেন। 

     

    আরও পড়ুন: ভোটে ব্যবহৃত গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং, আরও চার আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    আর্থিক লেনদেনে তলব শিল্পপতিকে?

    একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হল, ইডি (Enforcement Directorate) ডেকেছে যখন, তখন কোনও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের প্রক্ষিতে তলব করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দেওয়া চার্জশিটে একাধিক নির্মাণকারী সংস্থার নাম উঠে এসেছে। নিয়োগের কালো টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সাদা করা হত বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রেই হর্ষ নেওটিয়াকে (Harsh Neotia) তলব করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

    ২০১৫ সালেও তলব করেছিল ইডি

    এই প্রথম নয়। এর আগেও একবার হর্ষবর্ধন নেওটিয়াকে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেটা ছিল ২০১৫ সালে। সেবার সারদা মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন হর্ষ (Harsh Neotia)। তবে, এবার তাঁর হাজিরা বাংলার শিল্পমহলে আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। কারণ, কলকাতা তথা বাংলার শিল্পমহলে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের কর্ণধার হর্ষ মূলত নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন আরেকটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali)! এবার বীরভূমে (Birbhum) বউ সুন্দরী না হলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প (Govt Schemes) থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। তাই নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শতাব্দী রায় (Satabdi Ray)। তিনবারের এই তৃণমূল সাংসদের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় জনতা। কোথাও পানীয় জল নেই, কোথাও রাস্তা খারাপ, আবার কোথাও তৃণমূল না করায় মেলেনি বাড়িও। ভোটের আগে ফের আরেকবার তোপের মুখে শতাব্দী।

    বীরভূমের কোথায় তোপের মুখে শতাব্দী (Birbhum)?

    কেন বিক্ষোভ করছেন? জিজ্ঞেস করায় গ্রামবাসীদের যা অভিযোগ, তা শুনলে যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্ত মাথায় উঠে যাবে। “বউ সুন্দরী হলে তবেই মিলবে সরকারি প্রকল্পের টাকা।” শতাব্দীকে সামনে পেয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মোহাম্মদ বাজার (Birbhum) ব্লকের লাউজোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, এদিন এই এলাকায় প্রচারে এসেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদকে হাতের নাগালে পেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে এলাকার এক মহিলা বলেন, “যাঁদের বউ দেখতে ভালো তাঁরা সরকারি টাকা পাচ্ছে। আর যাঁদের বউ দেখতে ভালো নয়, তাঁদের সরকারি টাকা দেওয়া হচ্ছে না।” গ্রামবাসীদের এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুনে শতাব্দী রায়ের মুখের চিত্রটা বদলে যায়। এমনকী স্থানীয় অপর আরেক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “সাংসদকে ভোটের পর আর দেখা যায় না। তাই আগে প্রকল্পের সুবিধা, তারপর ভোট।”

    কী বললেন শতাব্দী?

    বীরভূমে (Birbhum) নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী রায় বলেন, “যদি কেউ বলে ভোট দেব টাকা নেব, তাহলে এই মন্তব্যের আমি কী আর বলব? কয়েকজন গ্রামবাসী কোনও প্রকল্প পায়নি শুনেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সেগুলো যাতে তাঁরা পান তার ব্যবস্থা করব।” অভিযোগ আরও উঠেছে যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তারাই টাকা পাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ যারা কোনও দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় তারা সুবিধা পাচ্ছে না। অনেকে আবার তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরবাড়ি ও পায়নি বলে অভিযোগও উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

     

    বিজেপি প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে সারা দেশে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছিল। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল প্রচুর। এছাড়াও রাত্রিবেলা পিঠে বানানোর নামে মহিলাদের তুলে নিয়ে রাতভর চলত তৃণমূল পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন। শাহজাহানেরা চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি বানিয়ে করত জমি দখল। সেই পথেই কি তাহলে বীরভূম পা বাড়িয়েছে? শাসক দলের তৃণমূল নেতাদের আচরণ ঘিরে মানুষের যা অভিযোগ, তাতে এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। তৃণমূল সন্দেশখালি ইস্যুতে আগে থেকেই কোণঠাসা। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দলের নেতার চোখে চোখ রেখে অভিযোগ তুলে ধরার ঘটনা খুবই বিরল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা এই মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে এরকম সন্দেশখালি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে বীরভূম (Birbhum) জেলাও রয়েছে। মানুষের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই এখন তাঁরা আর ভয় পাচ্ছেন না। নির্বাচনে তৃণমূলকে মানুষ বয়কট করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bhupatinagar Blast) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস-এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।

    ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল? (Bhupatinagar Blast)

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল, এমন একাধিক প্রমাণ (Bhupatinagar Blast) এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেই কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল, সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

    পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল (Bhupatinagar Blast) 

    প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এ-র উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (Bhupatinagar Blast)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএ-র (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর, পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপাল সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।

    সেদিন কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।

    ৩ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি।

    মানহানির মামলার হুমকি জিতেন্দ্রর

    এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন, “হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা-পলা পড়ে বসে থাকবে?” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন, ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিং-এর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বামেদের পক্ষে। তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাল পতাকাধারীদের। একদিকে জোট নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে কর্মীরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এবার এসএফআইয়ের (SFI) প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সিপিআইএমের (CPIM) জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ সরকার দলবল সহ যোগ দিলেন বিজেপিতে। বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব আয়োজিত হয়।

    সুকান্তের উন্নয়নেই আকৃষ্ট হয়ে দলত্যাগ (Balurghat)

    দল ছাড়ার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, সুরজিৎ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের রেওয়াজ রয়েছে সিপিএমে। দলের তরফে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। প্রসঙ্গত এই লোকসভা আসনে বালুরঘাট থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিই এলাকার বর্তমান সাংসদ। যোগদানকারীদের দাবি, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে বালুরঘাট জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই আকৃষ্ট হয়েছেন সুরজিৎ সরকার।

    বিজেপির সংগঠন মজবুত হল (Balurghat)

    সুরজিৎ যোগদানপর্ব শেষে বলেন, “সুকান্তবাবু বিরোধী দলে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখেননি। রাজ্যের শাসকের শত বাধা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত এদিনের যোগদানের ফলে এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হল। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূল ও সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খেল। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে এই জেলার চিত্রটা যে অনেকটাই বিজেপির অনুকূলে চলে এল, তা বলাই যায়। যদিও বামেদের দাবি, এতে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে (Dhupguri) সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। উনিশে এপ্রিল লোকসভার (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও কোচবিহারে (Coochbehar) ভোটে রয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিনি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সভা করে নতুন করে ঝড় তুলে দিয়ে যাবেন।

    প্রচার কর্মসূচি তৈরি (Modi Shah in Bengal)

    বিজেপি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও ঝড় তোলার জন্য প্রচার কর্মসূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী এলেও দ্বিতীয় দফায় তাঁর দোসর হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল উত্তরবঙ্গের অপর তিনটি আসন দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ(Rayganj) ও বালুরঘাটে (Balurghat) ভোট রয়েছে। যার জন্য দুটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একটি সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল দিনাজপুরে (South Dinajpur) দুটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একটি সভা হবে রায়গঞ্জে ও অন্যটি বালুরঘাটে। শাহের সভা হবে বুনিয়াদপুরে। ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটের রেল স্টেশন মাঠে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সভা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে রায়গঞ্জের সভা কখন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই বিজেপির সূত্রের দাবি।

    শাহের সভা কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    শাহের সভা বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মাঠে দুপুর বারোটা নাগাদ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুধু অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়, এই সভাগুলিতে রাজ্য বিজেপির তারকা প্রচারকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তব্য রাখার জন্য। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার ভোটে বেশ কিছু মেগা র‍্যালির কথাও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। উত্তরবঙ্গ থেকেই সব থেকে বেশি সাংসদ, বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি। সে কারণেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফলাফল হবে, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের গড় যাতে বেদখল না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ শক্তিতে ময়দানে নামছে বিজেপি।

    তৃণমূলে তারকা প্রচারক কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    একদিকে উত্তরবঙ্গে যেখানে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ প্রচারে নামছেন, তখন তৃণমূলের প্রচার অনেকটাই ফিকে মনে হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া অন্য কোনও নেতার সেই প্রভাব নেই। তৃণমূলের নম্বর দুই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উত্তরবঙ্গে ময়দানে নামালেও তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাকে প্রচারে নামালে অনেকটাই ব্যাকফুটে যাওয়া্র সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেক্ষত্রে  দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে বিজেপি। এমনিতেও মমতা ও অভিষেক ছাড়া তৃণমূলের তারকা প্রচারক বলতে আর কাউকেই উত্তরবঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির হাতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো তারকা প্রচারক রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার নিজে বালুরঘাট আসন থেকে লড়লেও তিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আসনে প্রচারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: পার্থ, বালুর পর এবার শাহজাহান, শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Sheikh Shahjahan: পার্থ, বালুর পর এবার শাহজাহান, শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর এবার শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। শাহাজাহানকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিল রোগীর পরিজনেরা। সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানকে যখন মেডিক্যাল চেক আপ করে বের করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত রোগীর পরিজনেরা চোর স্লোগান তোলেন। শাহজাহানকে দেখে স্লোগানের সঙ্গে চলে লাগাতার বিক্ষোভ।

    ‘চোর চোর’ স্লোগান 

    উল্লেখ্য, শুক্রবার শাহাজাহানকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল (joka ESI Hospital) থেকে বার করার সময় ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েজন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, যারা ভোট লুঠ করে তাদের তিহাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তাদের যারা নিরাপত্তা দিচ্ছে সেই বাহিনীকে সন্দেশখালির স্পর্শকাতর বুথে মোতায়েন করা হোক। ভিড়ের মাঝেই একজন তো চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, “এদের গুলি করে মেরে ফেলা হোক। এনকাউন্টার করা হোক। এরা সন্দেশখালির (sandeshkhali) ত্রাস। অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘যারা মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করে, ভোটের সময় বুথ দখল করে তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কেন? এদের তিহাড়ে পাঠিয়ে সেই নিরাপত্তা বুথগুলিতে দেওয়া উচিত।’’

    ইডির নজরে ডায়েরি

    অন্যদিকে ইডির নজরে এসেছে সন্দেশখালির এই নেতার হিসাবের খাতা। ঠিক যেন সারদার লাল ডায়েরি কিংবা খাদ্য কেলেঙ্কারির মেরুন ডায়েরি সেই ধাঁচেই একটি সাদা রঙের খাতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে খোদ শাহজাহান এবং তাঁর কর্মচারী, ঘনিষ্ঠদের জেরা করে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ব্যাঙ্কের নথিতে (bank details) তার হিসাব নেই। তবে কি শাহজাহানের সেই সাদা খাতাতেই মিলবে কালো টাকার হিসাব? এই ডায়েরি (accounts copy) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শাহজাহানের লেনদেন সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি, ওই খাতার পাতা থেকে মিলতে পারে সব উত্তর,এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

    ইডি হেফাজতে শাহজাহান

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতে আছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের জমি-ভেড়ি জবর দখলেরও অভিযোগ রয়েছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। ইডির দাবি, চিংড়ি রফতানির নামে অন্তত ১৩৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে শেখ শাহজাহান। যদিও রেশন দুর্নীতি ও টাকা পাচারের অভিযোগে আগেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে শেখ শাহজাহান। তিনি দাবি করে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share