Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • CV Ananda Bose: ব্রাত্যকে অপসারণের সুপারিশের পর এবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বোসের

    CV Ananda Bose: ব্রাত্যকে অপসারণের সুপারিশের পর এবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে (Nabanna Raj Bhawan Conflict) নতুন মাত্রা। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও হিংসার অভিযোগ তুলে সরাসরি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। গতকাল, বৃহস্পতিবার, ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড’ নামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করা হয়। জবাব হিসেবে রাজ্যের তরফে ৯-পাতার চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের ভূমিকা ও আইনি ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর পরই, শুক্রবার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজভবন। 

    এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    সূত্রের খবর, রাজনৈতিক (CV Ananda Bose) উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। আরও জানানো হয়েছে যে, এই যাবতীয় অভিযোগগুলির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্ট কিংবা কলকাতা হাইকোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপাল! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ বোসের

    কী নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত?

    ঠিক কী কারণে এই পদক্ষেপ? দিন কয়েক আগে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে অপসৃত করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, তাঁকে পুনর্বহাল করে রাজ্য। রাজ্য-রাজ্যপালের সাম্প্রতিকতম সংঘাতের (Nabanna Raj Bhawan Conflict) সূত্রপাত সেখান থেকেই। এর পর  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। ব্রাত্য বসুর সেই পদক্ষেপ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতে, শিক্ষামন্ত্রীকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে, রিপোর্ট কার্ড পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই বলে মনে করিয়ে দেওয়া আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্বহালের ক্ষমতাই নেই রাজ্যের। রাজভবনের বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের আদেশের কথা উল্লেখ করে আচার্যের ক্ষমতা ‘স্মরণ’ করানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: “কেন্দ্র টাকা দিলেও তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য জল পাচ্ছেন না মানুষ”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    Raju Bista: “কেন্দ্র টাকা দিলেও তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য জল পাচ্ছেন না মানুষ”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগণের থেকে ট্যাক্স (Tax) নিয়ে জনগণকে জল না দিলে রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE) দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর আইনের ডান্ডা চলবে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ফাঁসিদেওয়ার (Fasidewa) গ্রামীণ এলাকায় জনসংযোগ যাত্রা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। ভোট প্রচারে এলাকাবাসী মুখে জলের কষ্টের কথা শোনার পর রাজু বিস্তা PHE ইঞ্জিনিয়ারদের এই ভাষায় সতর্ক করেন।

    কেন একথা বললেন রাজু বিস্তা?

    এদিন ভোট প্রচারে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট, লেউসিপাকুরি, জালাসনিজনমতারা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা চষে বেড়ান রাজু বিস্তা। প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই বাসিন্দারা বিদায়ী সংসদের কাছে এলাকার দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যার(Water Scarcity)  কথা তুলে ধরেন। একথা শোনার পর রাজু বিস্তার বলেন, “গ্রামের ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার প্রয়োজনীয় টাকা রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দিয়েছে। কিন্তু সেই টাকায় দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। PHE ইঞ্জিনিয়াররা মানুষের ঘরে জল পৌঁছে দেননি। তাই আমি বলছি  জনগণের টাকায় জনগণকে জল দিতে হবে।  তা নাহলে ওই ইঞ্জিনিয়ারদের উপর আইনের ডান্ডা চলবে। আমি যতটা ভদ্র ভাবে কথা বলি কাজের ক্ষেত্রে তার থেকে আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ করি।”

    আরও পড়ুন: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

     গরু চুরি নিয়েও সরব বিজেপি প্রার্থী

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (Border) লাগোয়া ফাঁসিদেওয়ার গ্রামগুলিতে প্রতিদিনই গরু চুরির (Cattle Smugling) অভিযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই গৃহস্থের গোয়াল থেকে গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে।  এদিন প্রচারে বিদায়ী সাংসদকে  গ্রামবাসীরা তাদের এই সমস্যার কথাও জানান। এ প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা বলেন,  “প্রতিদিনই ফাঁসিদেওয়ার এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু চুরি হয়। পুলিশ এর সঙ্গে যুক্ত না থাকলেই এটা সম্ভব নয়। যেভাবে গরু চুরি সহ অন্যান্য চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে তাতে এই জেলাকে চুরির জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে আমি এ ব্যাপারে সতর্ক করছি, গরু চুরি বন্ধ করার ব্যাপারে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (civic volunteer) গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় (Haldia)।

    কী অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে খবর কারখানায় কাজের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল বাহাদুর চন্দ্র দাসের। সেই মত তিনি দুর্গাচক (Durgachak) থানায় পৌঁছে যান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে জাল সার্টিফিকেট গছিয়ে দেয়। পুলিশের জাল শংসাপত্র (Fake certificate) দেওয়ার পাশাপাশি নকল স্ট্যাম্প ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সার্টিফিকেট জাল বুঝে বাহাদুর চন্দ্র দাস থানার দ্বারস্থ হন। দুই গুণধর সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর ওই দুই গুণধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হলদিয়ায় কোন কারখানায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের জন্যই কুমার চকের বাসিন্দা বাহাদুর বাবু দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন। তার দাবি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় মান্না আধার কার্ডের জেরক্স, দুটি ছবি ও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর তাকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। ওই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। সঞ্জয় তাকে যে সার্টিফিকেট দেয় যাতে দুর্গাচক থানার স্ট্যাম্প ও আধিকারিকের সই ছিল। কিন্তু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তাকে যে সার্টিফিকেট গছিয়ে দিয়েছে থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার তা জাল। তিনি সঞ্জয় মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। অনির্বাণের জড়িত থাকার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া স্টাম্প তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরের দুই অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন (Election Commission)। যাঁদের সরানো হল তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরেই লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তখনই কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এর পাশাপাশি সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও।

    পক্ষপাতের অভিযোগ ছিল ২ অফিসারের বিরুদ্ধে

    কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই আধিকারিকের (Election Commission) বিরুদ্ধে পক্ষপাতের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। দুজনেই ছিলেন ডাব্লুবিসিএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং অবাধ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি ওই দুই অফিসারের পরিবর্তে অন্য নামও কমিশন চেয়েছে রাজ্যের কাছে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়া থেকেই সরকারি অফিসারদের বদলি করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের হাতে। সেই ক্ষমতা বলেই এই দুই আধিকারিককে (Election Commission) সরানো হল।

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    ৪ জেলাশাসককে সরানো হয় আগেই

    এর আগেও নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম-এই চার জেলার জেলাশাসককে। তখন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই চার জেলাশাসক কেউই (Election Commission) আইএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডাব্লুবিসিএস আধিকারিক। প্রসঙ্গত, যে কোনও জেলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দেখভালের সর্বোচ্চ দায়িত্ব থাকে জেলাশাসকের ওপরে। অবাধ-শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে বড় ভূমিকা থাকে জেলাশাসকদের। তাই কোনও রকম যাতে অভিযোগ না ওঠে সেদিকে তাকিয়ে আইএএস ক্যাডারের চার জেলাশাসককে নিয়োগ করে কমিশন (ECI)। প্রসঙ্গত, সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হচ্ছে বাংলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: নয়া ঠিকানা নিজাম প্যালেস! অবশেষে সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান

    Sheikh Shahjahan: নয়া ঠিকানা নিজাম প্যালেস! অবশেষে সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সিবিআই-এর (CBI) হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল সিআইডি (CID)। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নগাদ সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় শাহজাহানকে। এরপর ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে মেডিকেলের জন্য। তারপর সেখান থেকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace, Kolkata) নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। 

    শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছিলেন, আজ বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটের মধ্যে সিবিআই-এর হাতে শাহজাহানকে তুলে দিতে হবে সিআইডি-কে। কিন্তু সিবিআই যেতেই সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে ভবানী ভবন থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে যান রাজ্যের গোয়েন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আগে নিয়ম মেনে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সিআইডি। অন্য দিকে, সিবিআই ভবানী ভবনে অপেক্ষায় করতে থাকে শাহজাহনকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য।

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

    আদালত অবমাননার অভিযোগ

    আদালতের নির্দেশ মেনে সাড়ে ৩টে নাগাদই ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু আদালতের দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায়নি সিবিআইকে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এই আবহে তাঁর এজলাসে থাকা শাহজাহান মামলার শুনানি হয় জাস্টিস হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এই আবহে হরিশ ট্যান্ডন জানান, প্রধান বিচারপতির রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও রাজ্যের যুক্তি ছিল, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে তারা স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন, তাই আজকেই যেন শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া না হয়। তবে রাজ্যের সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

    Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ব্যক্তির আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি সমাধানে সক্রিয় গেরুয়া শিবির। সোমবার, রাজ্য বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে যাদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্যেই পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্র করে ভোটের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, তদন্ত করে তার বের করা প্রয়োজন বলেও মনে করছে বঙ্গ বিজেপি।

    গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষের কাছে আধার-নিষ্ক্রিয় (Aadhaar Card) হওয়ার চিঠি ও বার্তা আসতে শুরু করেছে। এই নিয়ে তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভোটের মুখে। সমস্যা যে গুরুতর হতে চলেছে, তা আগাম আঁচ করে তড়িঘড়ি আসরে নামেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে পেশ করা হয়। এর পরই, কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস পেয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন রাজ্যবাসীকে অভয় দেন। 

    ‘‘২৪-ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হবে কার্ড’’

    এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিয়ে বেশ কিছু জেলায় বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে, ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমি রেলমন্ত্রী, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ও আধারের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আজ রাতের মধ্যে সমস্ত তথাকথিত ডিঅ্যাক্টিভেটেড আধার কার্ড আবার চালু হয়ে যাবে। কোনও আধার কার্ড বাতিল হবে না।’’

    ‘‘অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন নেই’’

    রাজ্যের বাসিন্দাদের কারও আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হলে যাতে তারা অভিযোগ জানাতে পারে, তার জন্য একটি পোর্টাল তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। সেই প্রেক্ষিতে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) জানিয়ে দেন, কোনও প্রয়োজন নেই কোথাও অভিযোগ করার। সোমবার রাতের মধ্যেই সব আধার সক্রিয় হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটা পোর্টাল খুলেছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। কোনও পোর্টালে কোনও অভিযোগ জানানোর দরকার নেই। যদি আজ রাতের পরে কারও আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটেড থাকে, বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি, আমরা দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের আধার কার্ড অ্যাক্টিভেট করে দেব। আমরা আঞ্চলিক আধার অফিসের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ করিয়ে দেব। আজ রাতের মধ্যে সবার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

    কেন্দ্রের অগোচরে এমন কাজ?

    এদিকে, আচমকা রাজ্যবাসীর আধার-কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, সমস্যা তৈরি হয়েছে আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতর থেকে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার কার্ড সক্রিয় হয়ে যাবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে যে এরকমটা করা হয়েছে, তা উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক এবং মন্ত্রকের কেউ জানতেন না।’’

    ভোটের আগে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?

    এই কাণ্ড ঘটিয়ে ভোটের আগে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মতুয়া-সম্প্রদায়ভুক্ত। বিজেপির দাবি, ভোটের আগে সিএএ-এনআরসি জুজু দেখিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে বিজেপি-বিরোধী করার একটা অপচেষ্টা করা হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সত্যটা কী, তা জানতে একটা তদন্ত করা হবে এবং এটাও খতিয়ে দেখা হবে যে ভোটের আগে কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা।’’ এই প্রসঙ্গে শীর্ষস্তরে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শুভেন্দু জাহাজমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: ছেলে সমুদ্রকে সঙ্গে নিয়ে সুজিতের দফতরে হানা ইডির, কী বললেন মন্ত্রী-পুত্র?

    ED Raid: ছেলে সমুদ্রকে সঙ্গে নিয়ে সুজিতের দফতরে হানা ইডির, কী বললেন মন্ত্রী-পুত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে চালাতেই এবার উল্টোদিকে সুজিত বসুর (Sujit Bose) দফতরেও হানা দিল ইডি (ED Raid)। মন্ত্রী-মুত্রকে নিয়ে উল্টোদিকের ফ্ল্যাটে থাকা দফতরে পৌঁছে গেল ইডি। সেখানও চলে তল্লাশি।

    ১১ ঘণ্টা পার, এখনও চলছে তল্লাশি

    ১১ ঘণ্টা পার হতে চলল। এখনও রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়িতে চলছে ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি (ED Raid)। সঙ্গে চলছে জিজ্ঞাসাবাদও। সেই সকাল থেকেই মন্ত্রীমশাইয়ের বাড়ির মধ্যেই রয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে, তার মধ্যেই, একবার দেখা মিলেছিল বিকেলে। এদিন বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্রকে নিয়ে মন্ত্রীর পুরনো বাড়ি থেকে বের হয় ইডির কয়েকজন আধিকারিক। গন্তব্য ২০০ মিটার দূরে শ্রীভূমি ক্লাবের উল্টোদিকে একটি বহুতল। জানা যায়, ওই বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে সুজিত বসুর দফতর রয়েছে। সেখানে তিনি মাঝেমধ্যে বসেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    কী বললেন মন্ত্রী-পুত্র?

    এদিকে, সমুদ্র বাড়ি থেকে বের হতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও, পরে তিনি প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু এখন বলা যাবে না। ওনারা তদন্ত করছেন। তদন্ত চলতে দিন। তারপর যা সামনে আসার আসবে। আমাদের তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।” সমুদ্র বাড়ি থেকে বেরোতেই সুজিতের অনুগামীরাও আশপাশে ভিড় করেন। তাঁদের সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন সুজিত বসুর ছেলে। তার পর ইডি অফিসারদের সঙ্গে বাবার (Sujit Bose) অফিসে ঢুকে যান।

    দিকে দিকে তল্লাশি ইডির

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি তদন্তে এদিন একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raid)। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ, লেকটাউনের শ্রীভূমি ক্লাবের পাশে থাকা সুজিত বসুর (Sujit Bose) জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় দুটি পৃথক দল। সুজিত বসু ছিলেন নতুন বাড়িতে। মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর থেকে সতর্ক বাহিনীও। জটলা দেখলেই সরিয়ে দিচ্ছেন জওয়ানরা। 

    সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ি ছাড়াও আরও ২ জায়াগায় এদিন একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি (ED Raid)। বরানগরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ২ জায়গাতেও তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) রাজারহাটের ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার হানা দিল ইডি। প্রসঙ্গত নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুন্তল ঘোষ বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে এদিন তল্লাশি চালাতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা পৌছান রাজারহাটের ফ্ল্যাটে। জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। গ্রেফতারের পর ফ্ল্যাটের মালিক এখন নিজেই সেখানে থাকেন।

    কুন্তলের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট আসলে বেনামি সম্পত্তি নয় তো?

    ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে বর্তমানে। কুন্তল এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা যায়। বর্তমানে যিনি ফ্ল্যাটে আসেন তিনি কি আসল মালিক? কবে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কার কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কত টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। আসলে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) কোনও বেনামি সম্পত্তি সুকৌশলে বিক্রি করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা এবং সে কারণে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

    জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার হন কুন্তল

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। এর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা কুন্তলের যোগসাজশের কথা জানান ইডি আধিকারিকদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই কুন্তলের (Kuntal Ghosh) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কুন্তল বলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পান ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    Municipality Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’–ঠিক এই কথাটাই যেন প্রযোজ্য রাজ্যের ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির খতিয়ান ও তাতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জড়িত থাকার বিষয়টিতে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গরুপাচার, কয়লা পাচারে একাধিক রাজ্যের শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, অভিযোগ উঠেছে। ব্যতিক্রম নয় পুর-নিয়োগ দুর্নীতিও। বর্তমান শাসকের জমানায় দুর্নীতি যে কীভাবে দল ও প্রশাসনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে, তার আরেকটা উদাহরণ দেখা গেল বৃহস্পতিবার।

    সকাল ৬টায় মন্ত্রীর দুয়ারে ইডি

    এদিন পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে পড়ল। বৃহস্পতিবার সাত সকালে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) তদন্তে কলকাতা সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় এক যোগে ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেই সূত্রেই এদিন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। 

    এদিন, সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রীর মাইকেলনগরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ৫টি গাড়িতে রথীনের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। সকাল থেকেই চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান (Municipality Recruitment Scam)। বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। বাড়িতেই রয়েছেন রথীন ঘোষ। খাদ্যমন্ত্রী সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িই নয়, এদিন কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। পাশাপাশি বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডির একটি দল। টিটাগড়ের প্রাক্তন পুর চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। দক্ষিণ দমদম পুরসভার নিতাই দত্তের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। মোট ১২টি টিমে ভাগ হয়ে ৮০ জন ইডি আধিকারিক নেমেছেন অভিযানে।

    অয়ন শীলের সঙ্গে কী সম্পর্ক রথীনের?

    ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে পুরসভায় নিয়োগ (Municipality Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ইডি। এর মধ্যে অন্যতম হল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। রথীন দীর্ঘদিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে, নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি চেয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সেই নথি ইডি-র দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। সূত্রের খবর, ফাইল ঘেঁটে বেশ কিছু সন্দেহজনক তথ্য উঠে আসে। সেখানে রথীন ঘোষের উল্লেখ মেলে। পাশাপাশি, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম কিংপিন অয়ন শীল তাঁর বয়ানে রথীন ঘোষের নাম উল্লেখ করেছেন। এমনকি, অয়ন শীলের বাড়িতে বাজেয়াপ্ত করা নথিতে উল্লেখ ছিল রথীনের নাম। সেই সূত্রেই এদিন রথীন ও তাঁর অনুগামীদের বাড়িতে একযোগে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি (Enforcement Directorate)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

    Sadhvi Niranjan: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তাঁরা যেমন খুশি তেমন করেন। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা (Ruckus in New Delhi) তৈরি করে তৃণমূল সাংসদরা ভেবেছিলেন, পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু, তাঁরা দিল্লিকে বাংলা ভাবার ভুল করেছিলেন। কিন্তু, দিল্লি যে বাংলা নয়, সেটা বোধহয় হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। 

    ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার রাতে?

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষি ভবনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির (Sadhvi Niranjan) সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। সাক্ষাতের সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টা। কিন্তু, তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার জন্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে আরও আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার পরেও কেউ না আসায় তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এর পর রাত ৯টা নাগাদ সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক পরে সেখানে গিয়ে জমায়েত শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। কৃষি ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা (Ruckus in New Delhi) তৈরির চেষ্টা করেন। দিল্লি হাই-সিকিউরিটি জোন। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সামনে এভাবে আচমকা গিয়ে ধর্না-বিক্ষোভ-প্রদর্শন করা যায় না। কিন্তু, সেটা ভুলে গিয়েছিলেন এরাজ্যে ক্ষমতায় থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করা তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়েছে। বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। রাত ৯টায় অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে আটক (TMC Leaders Detained) করে দিল্লি পুলিশ। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

    রাতে ভিডিও পোস্ট করেন সাধ্বী নিরঞ্জন

    এখানেই থেমে থাকেনি তৃণমূল। আসল ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে উল্টে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ করতে থাকেন অভিষেকরা। বাধ্য হয়ে আসল সত্যটা প্রকাশ করতে আসরে নামতে হয় খোদ মন্ত্রীকে। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan)। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজের দফতরে বসে বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা করছেন সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর সামনে বেশ কয়েকটি ফাঁকা চেয়ার রাখা। পিছনে আরও বেশ কিছু আসন রয়েছে। সবগুলিই ফাঁকা। ইঙ্গিত স্পষ্ট, ওই ফাঁকা আসনগুলি তৃণমূল প্রতিনিধি দলের জন্য রাখা ছিল। সাধ্বী নিরঞ্জনের অভিযোগ, বাংলার দাবি জানানো নয়, বরং রাজনীতি করাই ছিল তৃণমূল নেতাদের আসল উদ্দেশ্য। আর আসল উদ্দেশ্যর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলসা করে তৃণমূলকে (TMC Leaders Detained) কার্যত তুলোধনা করেন সাধ্বী নিরঞ্জন।

    কী বলেছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী?

    ভিডিও পোস্ট করে সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan) লেখেন, “আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হল। তৃণমূল সাংসদদের জন্য অপেক্ষা করে করে আজ আমি সাড়ে আটটায় অফিস থেকে বের হলাম। আমি জানতাম, তৃণমূলের সাংসদ ও বাংলার মন্ত্রীদের প্রতিনিধি দল আমার কার্যালয়ে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য এদিন সন্ধ্যা ৬টায় সময় নিয়েছিল। কিন্তু পরে, তারা তৃণমূল কর্মীদের সামনে আমায় ডেকে দেখা করতে চেয়েছিল। এটা আমার অফিসের ব্যবস্থার বিরোধী। তারা বৈঠকের নির্ধারিত বিষয় থেকে সরে এসেছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য দাবি পূরণ করা ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা। তৃণমূল নেতাদের (TMC Leaders Detained) এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পাঁচ জনকে যেতে বলা হয়েছিল, ৪০ জন যেতে চান। ওটা হাট না ডায়মন্ড হারবার?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share