Tag: west bengal panchayat election 2023

west bengal panchayat election 2023

  • Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তখন থেকেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা। একদিকে যেমন ঝরছে রক্ত, তেমন অন্যদিকে, শাসকদলের বেলাগাম ভোট-সন্ত্রাস ও লুটের ছবি উঠে আসছে। যেমনটা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে। 

    অভিষেকের কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ

    রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারাবারে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই ছবি সামনে আসায় ফের বিরোধীদের দাবি জোরালো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) শাসক দলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটকর্মীদের আটকে রেখে ও ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুড়ল ব্যালট, লুট উত্তর দিনাজপুরে! শাসক-সন্ত্রাস নিয়ে সরব সুকান্ত

    ঠিক কী বলছেন স্থানীয়রা?

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তাঁরা দেখেন, তাদের ভোট পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও ইতি উতি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বেলাগাম ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালট বাক্স খুলে সব ব্যালট ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও 

    এই মর্মে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের ছেলেরা রাতেই ছাপ্পা মেরেছে। সরকারি কর্মী, অফিসার ও পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকালে এসে সেই ব্যালট বক্স (Panchayat Election 2023) বাইরে ফেলে দিয়েছি।’’ এক পুলিশকর্মীকে কাতরভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাতে এখানে অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছিল। বোমা-বন্দুক দেখিয়ে আমাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের মারধর করা হয়। আমরা কোনও প্রতিরোধ করতেই পারিনি। প্রাণের ভয় রয়েছে।’’

    ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাউদাউ করে করে জ্বলছে ব্যালট পেপার। রাতে ছাপ্পা মারার অভিযোগে সেই ব্যালট পেপারগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেখানে অনেকগুলির ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকের উপর ভোটের ছাপ দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর বুথ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে ভোট বয়কট করেছিলেন ভোটাররা! অথচ সেই বুথে ভোটের হার ৯৫ শতাংশ। ভোটারদের একাংশের বয়কটের পরেও ভোটের হার এত বেশি কী করে? মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজারহাটের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আদালতের নির্দেশ

    রাজারহাটের হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আব্দুল কালাম কলেজে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, বাসিন্দাদের ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি। ভোট দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরই স্থানীয়রা ভোট বয়কট করেন। ১ জুলাই ভোটের ফলপ্রকাশের দিন দেখা গেল, ওই বুথেই ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। যে বুথে ভোটাররা ভোটই দেননি, সেই বুথে এত ভোট পড়ল কীভাবে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, এক জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করে ঘটনার অনুসন্ধান করবেন ডিজি এবং আইজি। আগামী ৩ অগাস্ট রাজ্যের ডিজি এবং আইজিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’

    দুটি বুথে ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’করা হল। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২ বুথের ২ ব্যালট পেপার বদলে যায়। আরামবাগ মলয়পুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপার নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক আসনের ব্যালট অন্য আসনে দিয়ে ভোট হয়। অন্য প্রার্থীর নামের ব্যালটে ভোটে জয়ী হন আর একজন  প্রার্থী। এই কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আরামবাগ বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। ২৫ জুলাই মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) ভোট পর্বে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার (Violence on Women) হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ পাঠাতে চলেছে বিজেপি। পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুধু মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলবেন। পঞ্চায়েত পর্বে হওয়া নানারকম হিংসার ঘটনা এবং তার জেরে হওয়া সমস্যার কথা জানতে চাইবেন তাঁরা। তার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। 

    হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ

    বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই পাঁচ মহিলা সাংসদকে বাংলায় মহিলাদের (Violence on Women) উপর হওয়া হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যে আসছেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে, রমা দেবী, ওড়িশার সাংসদ অপরাজিতা সারঙি, কবিতা পাতিদার, সাংসদ সন্ধ্যারাজ।এর আগে দিল্লিতে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই খবর। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    কী করবে ওই দল

    রাজ্যে যে মহিলা দল আসছে, তার মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  হিংসার ঘটনায় বাদ যায়নি মহিলারাও বলে দাবি বিজেপির। অনেক জায়গায় মহিলা প্রার্থীদের অশান্তির ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকায় অনেক জায়গাতেই মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতেই মহিলা সাংসদদের রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দলটির আসার দিন ক্ষণ না জানালেও মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার না হলে বুধবার ওই দল রাজ্যে আসবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে ওই দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জয়ী কোনও প্রার্থীকে এখনই জয়ী বলা যাবে না। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সমস্ত জেলাশাসকদের (DM) চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ‘সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে দ্রুত কমিশনের নোটিস সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে জেলাশাসকদের।’

    কী বলল কমিশন 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে, একটি মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগেই মন্তব্য করেছিল, জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট মামলার উপর নির্ভর করছে। সেই সূত্রেই আরও বলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয়  নথি, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ঘটনা হল, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের নানা পর্বে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগই হাইকোর্টে বিচারাধীন। এবার সেই মামলার রায়ে কী বেরোয়, তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টিই একেবারে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলাশাসকদের জানিয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রত্যেক জয়ী প্রার্থীকে যেন কমিশনের নোটিস সম্পর্কে অবিলম্বে জানানো হয়। 

    রাজ্যে নানা প্রান্তে হিংসা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। এই আবহেই ভোট সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা হয়। ফল প্রকাশিত হয়। প্রতিদিনই রক্ত ঝড়েছে গ্রাম বাংলায়। এই প্রসঙ্গে একটি মামলায়,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের জয় নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপরেই। ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য যদি নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে, তা হলে সেটি খুবই গুরুতর বিষয়।’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    আদালতের অভিমত

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও যে সব ঘটনা ঘটছে আদালত তা দেখে বিস্মিত। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যে সন্ত্রাস, হিংসা চলছে রাজ্য তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের জীবনধারণের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পুলিশ নিরীহ মানুষকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের শান্তি যাতে ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। যদি এটি তারা না করতে পারে তা খুবই উদ্বেগের।”  ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের জয়ের বিষয়টি ফয়সালা হবে না। তাঁদের মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলাশাসকদেরও সতর্ক করে দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪-ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও চলছে পঞ্চায়েত ভোটগণনার (Panchayat Elections 2023) কাজ। ফলে, চূড়ান্ত ফল আসতে এখনও কিছুটা দেরি। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। শাসক শিবির যে জিতছে, তা ধরে নিয়েই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কটাক্ষ, এটা যে জনমত নয়, তা সকলেই জানেন।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওযার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হতো। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে। বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাড়ি ফিরতে পারছেন না ভয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন।’’

    গণনা নিয়ে কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার?

    ভোট গণনা (Panchayat Elections 2023) নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যালট পেপার গোনা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট পেপারগুলি গৃহিত হয়েছে। আর তেমনই ব্যালটে যদি বিরোধীদের পক্ষে ভোট গিয়ে থাকে, তাহলে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    এদিকে, তৃণমূলের জয় নিয়ে শাসকদলের নেতা হয়েও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। তিনি বলেন “এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুট, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: চলছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, গ্রাম বাংলা থাকবে কার দখলে?

    Panchayat Elections 2023: চলছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, গ্রাম বাংলা থাকবে কার দখলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পঞ্চায়েত ভোটগণনা (Panchayat Elections 2023)। নির্ধারিত সময় মেনেই সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে গণনার প্রক্রিয়া। রাজ্যের ২২টি জেলায় ৩৩৯টি কেন্দ্রের ৩,৫৯৪ কক্ষে একযোগে চলছে গণনার কাজ। গণনার জন্য কেন্দ্রগুলিতে মোট ৭৬৭টি স্ট্রংরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ৩,৫৯৪টি ঘরের ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল (Bengal Panchayat Polls)। 

    ব্যালটে ভোট, গণনায় লাগবে সময়

    প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা হবে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল প্রকাশ করার কথা সংশ্লিষ্ট ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রকাশ করবেন কাউন্টিং আধিকারিকই। প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে অর্থাৎ মোট ৬ রাউন্ড গণনা হবে। এদিকে যেহেতু পঞ্চায়েতে (Panchayat Elections 2023) ব্যালটে ভোট হয়, তাই গণনায় অনেকটাই সময় লাগে। কোথও যদিও আজ ভোট গণনা শেষ না হয়, তাহলেও আগামিকালও ভোট গণনা চলবে। 

    সব আসনে গণনা হচ্ছে না

    রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (Panchayat Elections 2023) ব্যবস্থায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের সংখ্যা ৬৩,২২৯। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯,৭৩০। আর জেলা পরিষদ আসন সংখ্যা ৯২৮। তবে সব আসনের গণনা হচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৩ হাজার ২২৯ আসনের মধ্যে আট হাজার দু’টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭,৯৪৪টি আসনে। দু’টি আসনে জয়ী বিজেপি। তিনটি আসনে জয়ী সিপিএম। অন্য প্রার্থীরা জয়ী ৫৩টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯,৭৩০ আসনের মধ্যে ৯৯১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৯৮১টি আসনে। অন্যরা জিতেছে ১০টি আসনে। আবার জেলা পরিষদে ৯১২টি আসনে গণনা হবে। কারণ ১৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। 

    একাধিক নির্দেশ কমিশনের

    নির্বাচন কমিশন (Panchayat Elections 2023) সূত্রে জানা গেছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের গননার সময় থাকবেন একজন করে কাউন্টিং অফিসার এবং একজন কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। সঙ্গে থাকবেন প্রতি প্রার্থীর একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট। প্রতি গণনা কেন্দ্রে ব্লক পিছু একজন করে অবজারভার ও জেলা পিছু একজন করে স্পেশাল অবজার্ভার থাকবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্ট থাকতে পারলেও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রার্থী থাকতে পারবেন কোনও এজেন্ট থাকতে পারবেন না।

    কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    গণনাকেন্দ্রগুলিকে (Bengal Panchayat Polls) নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এর দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবে প্রয়োজন মতো রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: হানাহানির ভোটে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় কোচবিহার! ভোটের দিন খুন ১৫

    Panchayat Elections 2023: হানাহানির ভোটে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় কোচবিহার! ভোটের দিন খুন ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) নির্ঘণ্ট হওয়া থেকে শুরু করে শুক্রবার অর্থাৎ, ভোটের আগের সন্ধে পর্যন্ত গত ৩০ দিনে রাজ্যে ভোট–পূর্ববর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন ১৮ জন। ফলে, শনিবার অর্থাৎ আজ ভোটগ্রহণের দিন কী হতে চলেছে তার একটা পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই আশঙ্কা সত্যিও হলো। 

    এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট হিংসার (Bengal Poll Violence) খবর আসতে শুরু করে। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— রাজ্যের সর্বত্র রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। শাসক হোক বা বিরোধী— সব দল, সব রঙের কর্মী-সমর্থকরা এই হিংসার শিকার হয়েছেন। কোচবিহার থেকে বর্ধমান, উত্তর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ— বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। আগের দিন যে সংখ্যা ১৮ ছিল, শনিবার সন্ধে পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩। অর্থাৎ, শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৫ জন। গুলিবিদ্ধি হয়ে চিকিৎসাধীন অনেক। এছাড়া, বোমার ঘায়ে বা মারধরে জখমের সংখ্যা বহু। 

    ভোট হানাহানিতে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সমস্যা শুরু হয়েছিল মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই। তবে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগের রাত থেকে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত সেই জেলায় পাঁচ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র শাসকদলেরই তিন জন কর্মী খুন হয়েছেন। এক কংগ্রেস কর্মী এবং এক জন সিপিএম সমর্থককেও খুনের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় দু’নম্বরে কোচবিহার। একই সময়ে এই জেলায় তিনজন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন বিজেপির এবং একজন তৃণমূলের। 

    আরও পড়ুন: নদিয়ার বুথে বোমাবাজি তৃণমূলের, জবাবে শূন্যে গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    একবার দেখে নেওয়া যাক এই ১৫ জনের মধ্যে কে কোথায় মারা গিয়েছেন (Bengal Poll Violence)—

    কোচবিহার

    কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তারপরে উত্তেজনা ছড়ালে তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মায়া ভৌমিক সরকারও। 

    তুফানগঞ্জে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যানকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। গণেশ কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুরের ৯/৬৪ নম্বর বুথের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় টোটো ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

    দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল দিনহাটা হাসপাতালে। মৃতের নাম চিরঞ্জিত কার্জি। শনিবার সকালে দিনহাটার কালীরপাট গ্রামে ভোট ঘিরে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাধা দেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। বুথের মধ্যেই গুলি চলে। মারা যান চিরঞ্জিত। গুলিবিদ্ধ রাধিকা বর্মন নামে আরেক বিজেপি কর্মী।

    দক্ষিণ দিনাজপুর

    ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। পরে, হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

    মুর্শিদাবাদ

    বেলডাঙায় ভোট (Panchayat Elections 2023) হিংসার বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায়।  শুক্রবার সন্ধেয় বেলডাঙা কাপাসডাঙ্গা এলাকায় বাড়ির সামনে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাবর আলি। অভিযোগ, আচমকাই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শফিকুল শেখ ও মুরসালিম শেখের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী বাবরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবরকে উদ্ধার করে বেলডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ। শনিবার সকালে রেজিনগর থানার নাজিরপুরে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিন শেখ নামে এক শাসকদলের কর্মীর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী কবিতা বিবির আত্মীয়। অভিযোগ, গভীর রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমা ফেটেই নিহত হন ইয়াসিন শেখ। 

    খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মী সাত্তারউদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। খড়গ্রামের রতনপুরেই মনোনয়নের প্রথম দিন খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত্তারউদ্দিনই সেই খুনের মূল অভিযুক্ত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, সেই খুনের বদলা নেওয়ার জন্যই শনিবার ভোট শুরুর ঠিক আগে তৃণমূল কর্মী সাত্তারুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে।

    বহরমপুরের নওদাতে কংগ্রেস কর্মীকে মারধর বুথের সামনে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

    লালগোলায় বুথে সংঘর্ষ হয় বাম-তৃণমূলের। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাম সমর্থকের। একটি বুথে শাসকদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সিপিএমের। ভোট দিতে এসে সেই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান রওশন আলি নামে ওই সিপিএম সমর্থক। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    মালদা

    মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দাবি, কংগ্রেসের হামলায় নিহত হয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নাসিরের কাকা শেখ মালেক। পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন নাসিরও।

    নদিয়া

    চাপড়ার কল্যাণদহে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দাবি, দলবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আমজাদ হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    উত্তর ২৪ পরগনা

    বারাসত-১ ব্লকের কদম্বগাছিতে এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আবদুল্লা আলি নামে এক নির্দল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বয়স ৪১ বছর৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটের আগের দিন রাতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গভীর রাতে তাঁকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা

    ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আচমকা ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। নিহতের নাম আনিসুল ওস্তাগর। তিনি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নির্দল প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    পূর্ব বর্ধমান

    কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গৌতম রায়। অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার নেপথ্যে। অভিযোগ, কাটোয়ার সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বুথের (Panchayat Elections 2023) বাইরে বার করে এনে পিটিয়ে খুন করা হয় গৌতমকে। 

    আউশগ্রামে তৃণমূল ও সিপিএম সংঘর্ষে এক সিপিএম কর্মী নিহত হন (Bengal Poll Violence)৷ মৃতের নাম রাজিবুল হক৷ গতকাল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুর পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুরে ভোটকর্মীদের সামনেই দুই গোষ্ঠীর বচসা শুরু হয়৷ এরপর তা মারামারিতে পৌঁছয়৷ এই ঘটনায় দু’পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটের সকালে খুন ৫, আগের রাতে আরও ৩, রাজ্যে ভোট-হিংসার বলি ২৬

    Panchayat Elections 2023: ভোটের সকালে খুন ৫, আগের রাতে আরও ৩, রাজ্যে ভোট-হিংসার বলি ২৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেটাই সত্যি হল। ভোটের (Panchayat Elections 2023) সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার (Bengal Poll Violence) খবর আসতে শুরু করেছে। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— রাজ্যের সর্বত্র রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। শাসক হোক বা বিরোধী— সব দল, সব রঙের কর্মী-সমর্থকরা এই হিংসার শিকার হয়েছেন। কোচবিহার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ— বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। শুক্রবার রাত থেকে মুর্শিদাবাদে তিন জন খুন হয়েছেন। কোচবিহারে মারা গিয়েছেন ২ জন। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যে ভোট-পূর্ববর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন ১৮ জন। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। সেটাও খাতায়-কলমে। 

    কোচবিহার:

    কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তারপরে উত্তেজনা ছড়ালে তাঁকে গুলি (Bengal Poll Violence) করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মায়া ভৌমিক সরকারও। আরও পড়ুন: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    তুফানগঞ্জে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যানকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। গণেশ কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুরের ৯/৬৪ নম্বর বুথের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় টোটো ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

    মুর্শিদাবাদ:

    বেলডাঙায় ভোট হিংসার (Panchayat Elections 2023) বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায়।  শুক্রবার সন্ধেয় বেলডাঙা কাপাসডাঙ্গা এলাকায় বাড়ির সামনে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাবর আলি। অভিযোগ, আচমকাই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শফিকুল শেখ ও মুরসালিম শেখের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী বাবরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবরকে উদ্ধার করে বেলডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ। শনিবার সকালে রেজিনগর থানার নাজিরপুরে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিন শেখ নামে এক শাসকদলের কর্মীর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে (Bengal Poll Violence) মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী কবিতা বিবির আত্মীয়। অভিযোগ, গভীর রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমা ফেটেই নিহত হন ইয়াসিন শেখ। 

    খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মী সাত্তারউদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। খড়গ্রামের রতনপুরেই মনোনয়নের প্রথম দিন খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত্তারউদ্দিনই সেই খুনের মূল অভিযুক্ত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, সেই খুনের বদলা নেওয়ার জন্যই শনিবার ভোট শুরুর ঠিক আগে তৃণমূল কর্মী সাত্তারুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে।

    মালদা:

    মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Elections 2023) এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দাবি, কংগ্রেসের হামলায় নিহত হয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নাসিরের কাকা শেখ মালেক। পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন নাসিরও।

    নদিয়া:

    চাপড়ার কল্যাণদহে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দাবি, দলবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো (Bengal Poll Violence) হয় বলে অভিযোগ। আমজাদ হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    উত্তর ২৪ পরগনা:

    বারাসত-১ ব্লকের কদম্বগাছিতে এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আবদুল্লা আলি নামে এক নির্দল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বয়স ৪১ বছর৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগের দিন রাতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গভীর রাতে তাঁকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় ৩০ দিনে রাজ্যে মৃত্যু ১৮ জনের! শনিবার কী হবে?

    Panchayat Election 2023: ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় ৩০ দিনে রাজ্যে মৃত্যু ১৮ জনের! শনিবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-পর্ব। এবার শনিবার ভোটগ্রহণ। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়া ইস্তক রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক হিংসার পালা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা, হানাহানি, রক্তপাতের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩০ দিনে রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ১৮ জনের।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আবহে ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় কত প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে—

    ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় মৃত্যুর খতিয়ান

    ৯ জুন: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।

    ১৫ জুন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন হন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা ও ২ তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখকে পিটিয়ে ও গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

    ১৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীর দেওর শম্ভু দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ওইদিনই মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে মারা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে।
     
    ২১ জুন: ১৫ জুন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন ২১ বছরের সিপিএম কর্মী মনসুর আলম। ২১ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়।

    ২২ জুন: পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রায় পয়েন্ট ব্ল্যঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।

    ২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী আলিম বিশ্বাসের।

    ২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।

    ১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামে গুলি করে খুন করা হয় যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লাকে। পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কোন্দলে খুন বলে অভিযোগ ওঠে।

    ৩ জুলাই: ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের।

    ৪ জুলাই: উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের তৃণমূল সমর্থক ইমরান হোসেনের। আইএসএফ ও সিপিএম সমর্থিত নির্দলদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    ৫ জুলাই: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী কামাল শেখের। ওই দিনই বীরভূমের মহম্মদবাজারে দিলীপ মাহারা নামে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

    ৬ জুলাই: ৩ জুলাই কুলপির দক্ষিণ গাজিপুরে আলফাজ হালদার নামে এক কংগ্রেস নেতা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রচারের সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ৬ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়।

    ৭ জুলাই: মুর্শিদাবাদের রানিনগরের রায়পুর গ্রামে অরবিন্দ মণ্ডল নামে কংগ্রেস কর্মী খুন। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কংগ্রেসের ওপরেই হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    ভোটের দিন হিংসা বন্ধ হবে কি?

    পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে রাজ্যে লাগামছাড়া হিংসা ও সন্ত্রাসের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। আদালতও, ভোট-হিংসা রুখতে রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ। অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, এত কিছুর পরও কি হিংসা বন্ধ হবে? কেউ কি নিশ্চিত করে বলতে পারে যে শনিবার রক্ত ঝরবে না এ বাংলার বুকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে ‘হাফ সেকশন’! বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনকে প্রস্তাব বিএসএফ আইজি-র

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে ‘হাফ সেকশন’! বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনকে প্রস্তাব বিএসএফ আইজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্ল্যান করে দিল বিএসএফ। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে, সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। মূলত স্পর্শকাতর বুথ গুলিতেই রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নতুন প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ)। তাঁর প্রস্তাব, কোনও বুথে হাফ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী (অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান। যার মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন), তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে বাহিনী

    বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার রাজীব সিংহের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বেশি বৈঠক করার পর আইজি (বিএসএফ) জানিয়েছেন, সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বুথগুলিতে মোতায়েন করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরই এই প্রস্তাব রাখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আইজি (বিএসএফ)-র তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘স্ট্রংরুম’ (যেখানে ব্যালটবাক্স এবং ইভিএম রাখা হয়)-এ ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যার মধ্যে ৮০ জন জওয়ান সক্রিয় ভাবে মোতায়েন থাকবেন। 

    আরও পড়ুন: ৪ ডিগ্রি কমল কলকাতার তাপমাত্রা, ভোটের দিন গ্রাম বাংলার আবহাওয়া কেমন?

    জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  বুথে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) সমান অনুপাতে দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। অর্থাৎ একটি বুথে এক জন রাজ্য পুলিশ থাকলে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও রাখতে হবে। পুরো বিষয়টি কীভাবে করা হবে হাইকোর্ট তা দেখার দায়িত্ব দিয়েছে বিএসএফ আইজি-কে। সেই নির্দেশ মেনে কাজ করা হলেও, সমস্যা থেকে যাচ্ছে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা রাজ্যের কোনও বুথে একক ভাবে কাজ করতে চাইছেন না। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। শুধুমাত্র ভোটের ক্ষেত্রে কোনও বুথে হাফ সেকশন বাহিনী থাকতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share