Tag: West Bengal Panchayat Elections 2023

West Bengal Panchayat Elections 2023

  • Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক প্রার্থীর নথি বিকৃত করার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল সিঙ্গল বেঞ্চেই। সিঙ্গল বেঞ্চকে বিস্তারিতভাবে এসডিও-র বক্তব্য শোনার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের।

    ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। নথি বিকৃত মামলায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নিযুক্ত তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চেয়েছিলেন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন বিডিও। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “মনোনয়নপত্রে তথ্য বিকৃতি মামলায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে কমিটি তাতে অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চ সাসপেন্ড সম্পর্কিত যে কথা বলছে তা প্রাক্তন বিচারপতি পরিচালিত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। তিন আধিকারিকের সাসপেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের শীর্ষ কর্তাদের বিবেচনা করতে বলেছে সিঙ্গল বেঞ্চ। নতুন করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার আগে সিঙ্গল বেঞ্চ এসডিও-র বক্তব্য শুনবে।” ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওযা হয়। এই কমিটির রিপোর্ট কোথাও চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ এই কমিটির রিপোর্ট দেখে পদক্ষেপ করেছে। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তি শুভেন্দুর! এফআইআর দায়ের নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের সময় উলুবেড়িয়ার বাহিরা ১ নং গ্রাম পঞ্চেয়াতের বাম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগমের মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এই আসনটি ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষিত ছিল। অভিযোগ ওঠে কাশ্মীরার জাতিগত শংসাপত্র বিকৃত করার বিষয়ে অভিযোগ পাওযার পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেননি স্থানীয় বিডিও। এই প্রসঙ্গেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বাম নেত্রী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

    Panchayat Election 2023: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্র সমর্থিত প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে গণতন্ত্রের হত্যা করা হল। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) হিংসা সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অধীনে বাংলায় উত্তরোত্তর হিংসা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ‘নির্মম বন্দ্যোপাধ্যায়’ বলে কটাক্ষ করেছেন। 

    বিরোধী দলগুলিকে প্রশ্ন

    পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে বেলাগাম হিংসা নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। সেখানেই বাংলার হিংসার বিষয়ে নীরব থাকার জন্য দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও একহাত নিয়েছেন সম্বিত পাত্র। তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, “রাহুল গান্ধীর ‘মহব্বত কা দুকান’ কোথায় গেল? বাংলার নির্বাচনে হিংসা নিয়ে রাহুল গান্ধী নিশ্চুপ কেন?” সম্বিত পাত্র দাবি করেন, আসলে রাহুল গান্ধী যে কোনও উপায়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চান। তাই কংগ্রেস কর্মীদের হত্যার পরও, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলাতে দ্বিধা করবেন না। তাই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের এই হিংসা দেখেও না দেখার ভান করছেন, চুপ করে আছেন। সম্বিত বলেন, “বাংলার গণতন্ত্র রক্তস্নাত। এখানে ভোট হলে মানুষের প্রাণ চলে যায়। এখানে নিয়ম কানুনের কোনও বালাই নেই।”

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    গণতন্ত্র রক্তস্নাত

    এদিন সম্বিত পাত্র বলেন, ‘ভোটকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে মানুষের মৃত্যুমিছিলের তালিকা দেখলে বোঝা যায় বাংলায় গণতন্ত্র কী ভাাবে দিনে দিনে রসাতলে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। লোকের মুখে মুখে ফিরছে বোমা, গুলি, রিগিং ও ছাপ্পা শব্দগুলি। বিরোধী দলের একের পর এক সমর্থকের মৃত্যু হচ্ছে। এমনকী যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন এমন মানুষেরও প্রাণ গিয়েছে। আর নির্মম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব চোখ বুজে দেখছেন। এই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা – মাটি – মানুষ’? শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে এমনটা নয়। নিহতদের মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেসের কর্মীরাও আছেন। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। যারা শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যে এসেছিলেন। শুধুমাত্র তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় কারণে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলার হিংসা নিয়ে তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রিপোট তৈরি করবে বিজেপি। এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের বিষয়েও বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রায় আড়াই দশক পর দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট পাহাড়ে

    Panchayat Election 2023: প্রায় আড়াই দশক পর দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট পাহাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ২৩ বছর পর ফের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হচ্ছে পাহাড়ে।  ২০০০ সালে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় দার্জিলিঙে। তখন দার্জিংলিঙের (Darjeeling) অধীনে ছিল কালিম্পং। এবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। পুলিশ সূত্রের খবর, দার্জিলিঙে ২৭টি ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা রয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রত্যেক থানা এলাকায় ‘ক্লোজড-সার্কিট ক্যামেরা’র নজরদারির বন্দোবস্ত রয়েছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম এবং জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলি মেনেই সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    শান্তিপূর্ণ ভোটের আর্জি

    ২০১১ সালের পরে রাজ্যে পালাবদল হলেও পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বাজেনি পাহাড়ে। তবে আঞ্চলিক স্তরে বর্তমানে পাহাড়ে একাধিপত্য রয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএমের। বহুদিন থেকেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে। পাহাড়ের ২টি বিধানসভা কেন্দ্রও রয়েছে পদ্ম শিবিরের দখলে। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে ঠেকাতে অন্যান্য ছোটখাটো আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে জোট করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। পাহাড়ে চলছে ভোট উৎসব।  রাজু বিস্তা থেকে বিমল গুরুং, মন ঘিসিংয়েরা দলীয় দফতর, বাড়ি থেকে ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    শান্তির পরিবেশ বজায় রেখে ভোটে (Panchayat Election 2023) নামার জন্য দলীয় নেতা-কর্মী এবং বিরোধীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর প্রধান অনীত থাপা। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। পাহাড়ের গ্রামের উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েতি রাজ চালু হওয়ার মুখে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। উৎসবের মেজাজে সব এলাকায় ভোট হবে।’’ বাবার চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে থাকলেও, শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন করেছেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডও।  বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার দাবি, ‘‘শাসকের দুর্নীতি, প্রলোভন এড়িয়েই নতুন আলোর জন্য ভোট দেবেন মানুষ। যৌথ গোর্খা মঞ্চের প্রার্থীরা জিততে চলেছেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় থেকেছে ভাঙর। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় ওই এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। গুলি-বোমাবাজি এমনকী মনোনয়ন জমা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলাতেই ভাঙড়ের বিডিও অফিস, ভাঙড় ও কাশীপুর থানার ভিতর ও বাইরের সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মামলাকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নির্বাচনের পর ফের শুনানি

    বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়েছিল। বুধবার সেই হলফনামা আদালতে জমা দেয় রাজ্য।অন্যদিকে, ক্যানিংয়ের এক বিরোধী দলের সমর্থক নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ২৬ জুন আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এখনও কেন তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না, তা রিপোর্ট দিয়ে পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আগামী ১৮ জুলাই সব মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ক্যানিংয়ে ঘটনায় এফআইআর-এর নির্দেশ খারিজ

    অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনায় এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ এদিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে হাটুপুখুরিয়া এলাকায় হিংসার অভিযোগ ওঠে। তাতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি মান্থা হিংসার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা বজায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে মামলাকারির আর্জি মেনে তাঁর বাড়ির সামনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ পিকেট, ২ জন কনস্টেবল মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘোষণার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর কথায়, “হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে।”

    রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ মালব্য বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে যে কোনও গন্ডগোলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হবে। আমরা সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করছি।’রাজ্যে নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক কর্মীর। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    ডিজিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মনোজ মালব্যের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তম কুমার বলেন। একজন ডিজির কোনও ভূমিকা আমরা ওনার মধ্যে দেখতে পাই না। উনি এক ধরনের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। তার মুখ থেকে এর থেকে ভালো কথা বেরোতে পারে না।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বিধিভঙ্গ করছেন রাজ্যপাল! একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

    Panchayat Elections 2023: বিধিভঙ্গ করছেন রাজ্যপাল! একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বিধি (Panchayat Elections 2023) মানছেন না, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, এমনই সব অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সাধারণ মানুষের রক্ত দিয়ে ‘রাজনৈতিক হোলি’ খেলা বন্ধ করার বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে গিয়ে হিংসা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি দিলেন সুব্রত বক্সি। 

    সম্মুখ সমরে নামল তৃণমূল ভবন ও রাজভবন

    নিজেকে ‘গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর’ বলে মন্তব্য করে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) এখন বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। কে হিংসার শিকার, কারা ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস? তা জানতে ময়দানে নেমেছেন তিনি নিজেই। এই আবহে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচনে কমিশনে গেল তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোট ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বোস।

    তৃণমূলের অভিযোগ

    প্রথম অভিযোগই হল, সরকারি ভবনে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল, যা আদর্শ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছে বলেই দাবি তৃণমূলের। সার্কিট হাউস বা গেস্ট হাউসে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও প্রত্যাশিত নয় বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। ম্প্রতি রাজ ভবনে খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই কন্ট্রোল রুম নিয়েও চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। যেভাবে বিডিওদের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করছেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছেন, তা ঠিক নয় বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    রাজ্যপালের যুক্তি, হিংসা বন্ধের আর্জি

    পঞ্চায়েত ভোটের বাকি মাত্র আর চার দিন। এরই মধ্যে রাজ্যে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ক্যানিং, ভাঙড়, বাসন্তী, কোচবিহার, দিনহাটা, সিতাই, শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ করতে হবে। আমি হিংসাদীর্ণ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। আমি দোষ খুঁজতে নয়, প্রকৃত তথ্য জানতে ওই সব এলাকা ঘুরেছি।’’

    আরও পড়ুন: কোর্টের গুঁতো! স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৮৯ থেকে দাঁড়াল কয়েক হাজারে

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখে তিনি বলেন, “আমার সহকর্মী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আমায় জানিয়েছেন রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় এই অশান্তি হচ্ছে। আমিও সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকগুলিতে যাচ্ছি। কেন এই অশান্তি হচ্ছে তা বোঝার জন্য। রাজনৈতিক অশান্তি কেন হচ্ছে, কারা আছে এই অশান্তির পিছনে, সেগুলি খুঁজে বার করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। ভোটের জন্য আর এক বিন্দু রক্ত যাতে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share