Tag: West Bengal SIR

  • West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরেই বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (West Bengal SIR) শুরু হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এর মধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে নিয়োগ করা হল দুই আইএএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার অরুণ প্রসাদকে। আর যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার হরিশঙ্কর পানিকরকে। অরুণ নদিয়ার জেলাশাসক পদে ছিলেন। আর হরিশঙ্কর ছিলেন রাজ্য অর্থ দফতরের বিশেষ সচিব পদে।

    ছাব্বিশের আগে কোমর বাঁধছে কমিশন

    আগামী বছরে বাংলায় বিধানসভা ভোট। তা নজরে রেখেই কোমর বাঁধছে কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, খুব বেশি হলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসআইআর–এর (West Bengal SIR) প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হবে এসআইআর। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ইতিমধ্যেই তিন জন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রয়েছেন। তার সঙ্গে আরও এক জনকে নিযুক্ত করা হল ওই পদে। আর যুগ্ম অফিসার পদে রয়েছেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের কয়েক দিনের মধ্যে বদলি হওয়ার কথা। সেই কারণেই নতুন এক জনকে ওই পদে আনা হল। এ ছাড়াও উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বাছাইয়ের জন্য নতুন প্যানেল চেয়েছে কমিশন (West Bengal SIR)।

    বিহারে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    এদিকে, মঙ্গলবারই বিহারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Bihar SIR) প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে রয়েছেন ৭.৪ কোটি ভোটার। বাদ পড়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ভোটারের নাম। জুন মাসে বিহারের ভোটার তালিকায় মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের নাম ছিল। সমীক্ষার প্রথম ধাপে যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে অন্তত ৬৫ লাখ নাম বাদ পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রিভিশনের পর খসড়া তালিকায় না থাকা আরও ২১ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষের নাম ভোটার তালিকায় সংযোজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় রিভিশনের সময় বাদ গিয়েছেন আরও ৩ লক্ষ ৬৬ ভোটার। সব মিলিয়ে গোটা এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম বাদ গেল ৪৭ লক্ষ ভোটারের। কমিশনের (Election Commission of India) দাবি এরা সকলেই হয় মৃত নয় অবৈধ ভোটার।

  • SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এর পরে রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশ জুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর (SIR) শুরু করতে পারে তারা। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হয়ে যেতে পারে। বুধবার, কনফারেন্স কাম ওয়ার্কশপে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসআইআর নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কতটা। তাতে অধিকাংশ আধিকারিকই জানান যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ডওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরেই এসআইআর শুরু হতে পারে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনে বৈঠক

    বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে এসআইআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন যা এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ে গণ্য করা হবে। যেমন উত্তর-পূর্বের রাজ্য বা উপকূল অঞ্চলে যেখানে আদিবাসী জনসংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাসস্থানের সার্টিফিকেট বা জনজাতি পরিচয়ের সার্টিফিকেট গণ্য করা হবে।

    বাংলায় দু-দশক পরে এসআইআর

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল। ২০০২ সালের এসআইআর অনুসারে ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক সেই তালিকা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে উদ্যোগী কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া। এছাড়া যারা ঠিকানা বদল করেছেন বা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কিংবা ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ নেই, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    কীভাবে হবে এসআইআর

    বিহারের পর এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। তবে দেশজুড়ে একযোগে এই প্রক্রিয়া চালু হবে নাকি যেসব রাজ্যে আগামিবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে আগে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ

    পাঁচ রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল ও পন্ডিচেরি—আগামী বছরে ভোট, ফলে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর আগে চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও কর্মীবাহিনীও প্রস্তুত রেখেছে তারা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০০২ সালে বাংলায় ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আরও বেশি স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।”

    অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা

    এই ভোটার তালিকার নিবিড় ও বিশেষ সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানো। বাংলাদেশ ও মায়ানমার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই পদক্ষেপটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অবশেষে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে দেশজুড়ে এসআইআর চালু করতে চলেছে। সারা দেশে এসআইআর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন, বলে জানিয়েছেন। কোনও সঠিক ভোটদাতার নাম বাদ পড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছে কমিশন।

  • Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে পরপর দুটি বৈঠক করতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (SIR)। রবিবার ও সোমবার বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সোমবার রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। ওই দিন অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (Election Commission)। তার আগে, শনিবার অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির লক্ষ্যে দফতরের আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন।

    ১০ তারিখ বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজিত হয়েছে জোড়া বৈঠক। এই বৈঠকগুলোর পর, ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠকে রাজ্যের তরফে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করবেন সিইও — এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। অর্থাৎ একপ্রকার ধরে নেওয়া যাচ্ছে, রাজ্যে এসআইআর হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

    বাংলায় শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এসআইআর!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত সিইও দফতরে নিয়োগের জন্য চারজন আধিকারিকের নামের প্যানেল পাঠানো হয়নি। চিঠিতে দ্রুত ওই চার আধিকারিকের নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেলের নাম পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিহারে শুরু হয়েছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা (Election Commission)। সেই রাজ্যে বাদ পড়েছে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপাতত খসড়া তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ার পরেই কি এবার বাংলায় এসআইআর শুরু হতে চলেছে? সে পথেই কমিশন এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে, বাংলায় এসআইআর (SIR) চালুর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান— এই বিষয়ে তাঁরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন। আর এখন সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

LinkedIn
Share