Tag: West Bengal

West Bengal

  • Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া এবার দুর্গাপুরে (Durgapur)। স্বামীর কাজ ফিরে পেতে হলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাত্রিবাস করতে দিতে হবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লি এলাকায়। তৃণমূল নেতাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ।

    তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বধূকে রাত কাটানোর প্রস্তাব (Durgapur)

    তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ভোটের পরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের কাজে ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। ভয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নবীন পল্লি এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তারপরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে রাত্রিবাসের প্রস্তাব দেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। হুমকির ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি

    স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি বলেন,”গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে। বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ওই বধূ। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করে ওরা। ওই গৃহবধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বধূ।  দ্রুত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন,”একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra) পড়ল ৬২৮ বছরে। বাংলার পুরাতন রথযাত্রা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই রথযাত্রা। আজ জগন্নাথের স্নানযাত্রায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। মূলত প্রতিবছরই জগন্নাথদেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে প্রভুকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম এবং পুজাচারের মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়। জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) দিন তাঁকে আবার রাজপথে দেখতে পাওয়া যায়। আবার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথদেবের অভিষেক ঘটানো হয়।

    দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নানযাত্রা জগন্নাথের (Mahesh Snan Yatra)

    আষাঢ় মাস মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গ্রীষ্মের প্রবল গরমের পর প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে স্নান (Snan Yatra 2024) করানো হয়। হুগলির মাহেশে ২২ ঘড়া জল এবং দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হয়েছে প্রভু জগন্নাথকে। এই মাহেশের স্নানযাত্রা ছয়শ বছরের বেশি প্রাচীন, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসেন প্রচুর ভক্ত। সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে। এরপর করানো হয় স্নান। তবে পুরীতে জগন্নাথের কলেবর পরিবর্তিত হলেও মাহেশে একই বিগ্রহে পুজো করে আসা হচ্ছে। স্নানের পর ঠাকুরের খুব জ্বর আসে, প্রভু জগন্নাথ লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেবন। এরপর রথযাত্রার ঠিক ২দিন আগে মন্দির আবার খোলা হয়। জ্বর সারলে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। মাহেশের রথের স্নানযাত্রায় ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়।

    ইসকন জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য (Snan Yatra 2024)

    মাহেশের স্নানযাত্রার (Mahesh Snan Yatra) পাশাপাশি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, “ভগবান জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে স্নান (Snan Yatra 2024) করিয়ে অভিষেক করানো হয়। সকল ভক্তরাই এদিন সুযোগ পান জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর। শুধুমাত্র দেশের ভক্তরাই নয় বিদেশেরও হাজার হাজার ভক্তরা এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজাপুরে এসে উপস্থিত হন। ভোর বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে জগন্নাথদেবের স্নান করানোর পর তিনি জগদেশ রূপে আবার সকলের অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার দিন (Rath Yatra 2024) তাঁকে আবার রাজপথে দেখা মেলে। সেদিন তিনি রাজাপুর থেকে তাঁর মামার বাড়ি ইসকন মন্দিরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসেন। আজকের এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে হাজার হাজার ভক্তদের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থা।”

    আরও পড়ুনঃ আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    নবদ্বীপে পোড়ামাতলায় স্নানযাত্রা

    তীর্থ নগরী নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় অবস্থিত মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এবং নবদ্বীপ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের আনাগোনা চলে। জানা যায়, প্রায় পাঁচশো বছরের পুরানো এই মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর জগন্নাথের স্নানযাত্রার (Snan Yatra 2024) দিনে পরম্পরা মেনে মা পোড়ামার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভোরবেলায় নবদ্বীপের সুরধনীগঙ্গা থেকে ১০৮ ঘড়া গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয় এবং মাকে স্নান করিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মায়ের ভোগারতির পর বিকেলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে দেখা গেল পোড়ামা মন্দির প্রাঙ্গনে অসংক্ষ্য ভক্তদের ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। উত্তরবঙ্গে বর্ষা (Monsoon Update) প্রবেশ করেছিল গত ৩১ মে৷ কিন্তু এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো চেয়ে ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। ২১ জুন দক্ষিণবঙ্গেও (West Bengal Weather Update) প্রবেশ করল বর্ষা। সম্প্রতি এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দুই বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের এই ফারাক গত পাঁচ বছরে দেখা যায়নি ৷

    দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ বর্ষার (Monsoon Update) 

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশিরভাগ অংশে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশেরও দখল নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। তবে বর্ষা এলেও ভারী বৃষ্টি এখনই হবে না সেখানে। বরং রবিবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে ৷ 

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস 

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের আরও কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে। আবহবিদদের মতে, খুব বেশি বৃষ্টি (Monsoon Update) না হলেও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘাছন্ন থাকবে। রাতের তাপমাত্রাও যে খুব বাড়বে তা না। পাশাপাশি, আর্দ্রতা ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather Update) 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিরঝিরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) চললেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশ কমে যাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী সপ্তাহের বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের বৃষ্টি বাড়বে। 

    আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল এমবাপে-হীন ফ্রান্স

    কলকাতার আবহাওয়া 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা শহরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) হতে পারে। বৃষ্টির হাত ধরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে এরপর আগামী দিন চারেক শহর কলকাতার আবহাওয়ায় বিশেষ বদল নেই। 

    ফের বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে 

    অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের যে অংশে বর্ষার (Monsoon Update) প্রবেশের বাকি ছিল, সেই অংশেও ছড়িয়েছে মৌসুমী বায়ু। ফলে উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টি চলবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, রণক্ষেত্র সামশেরগঞ্জ

    Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, রণক্ষেত্র সামশেরগঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার মহব্বতপুর গ্রামে। ব্যাপকভাবে গুলি আর বোমাবাজিতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নূর ইসলাম নামে এক তৃণমূল কর্মী। পাশাপাশি জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের পিছনেও তৃণমূলের একাংশের মদত রয়েছে। ফলে, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার মহব্বতপুর গ্রামে একটি কারখানা থেকে লাগাতার বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর জন্য রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। বারবার জানানো সত্ত্বেও সমস্যার কোনও সমাধান না মেলায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুক্রবার তাঁরা কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বিষয়টি আগাম জানতে পেরে কারখানায় মজুদ রাখা হয়েছিল বেশকিছু বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর সংখ্যক বোমা। এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নূর ইসলামের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা কারখানার সামনে হাজির হলে তাঁদের লক্ষ্য করে চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলি ও বোমা। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন নূর ইসলাম নামে ওই এলাকার একজন তৃণমূল কর্মীসহ আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি একাধিক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রবিবার ফের পরীক্ষা ১,৫৬৩ জন নিট প্রার্থীর

    কারখানা কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই কারখানা চলছে। গায়ের জোরে ওই কারখানা বন্ধ করে দিতে চাইছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও হামলার বিষয়ে তারা মুখ খুলতে চায়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রয়েছে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। সব মিলিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী এই হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) । অবিলম্বে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল।

    চিঠিতে কী রয়েছে? (CV Ananda Bose)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) লিখেছেন, ‘পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলুন। ভোট মিটলেও জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে।’  পাশাপাশি চিঠিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী হিংসার যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সে বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া ইস্যুতে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আপাতত আরও পাঁচদিন রাজ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভোটের ফল ঘোষাণার পর রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠির প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু!

    ভোট পরবর্তী হিংসা আক্রান্তদের নিয়ে কয়েকদিন আগে রাজভবন অভিযান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি বাধায় তিনি যেতে পারেননি। পরে, আদালতের অনুমতি নিয়ে ফের আক্রান্তদের সঙ্গে করে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, মোট ১,০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এই হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন। জানা গিয়েছে, রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান শুভেন্দু। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কারণ, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এরপর ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন শুভেন্দু। আদালত যদিও এ ক্ষেত্রে শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গার নাম জানাতে বলেছিল। শুক্রবার রাজভবনের বিকল্প হিসাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান বলে আদালতে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে এ ব্যাপারে রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে বাংলার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কথায়, “বাংলায় সরকার বদল না হলে এই ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ কখনও বন্ধ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির গুডবুকে থাকার জন্য রাজ্যপাল এগুলো করছেন। আসলে কুৎসা করেও ভোটে জিততে না পেরে বিরোধীরা সন্ত্রাসের মিথ্যে কান্না কাঁদছে। আর তাতে পূর্ণ মদত জোগাচ্ছেন রাজ্যপাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কয়লা কান্ডে এবার ইসিএল কর্তার জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। পরে, ওই ইসিএল কর্তা ও একজন সিভিল কনট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     ইসিএল কর্তাকে কেন গ্রেফতার? (CBI)

    কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠন হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহা। আর সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদব। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম রয়েছে, তার বাইরে এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ইসিএল কর্তার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সিভিল কনট্রাক্টর অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটে সাপ্লাই দিত বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    লালার থেকে টাকা নিতেন ইসিএল কর্তা!

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহাকে। ডাক পড়েছিল পেশায় সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এরপর শুক্রবার ভোরে সিবিআই এসপি উমেশ কুমার ধৃতদের নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে যোগ থাকার কারণেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা-কাণ্ডের  (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত ইসিএল অফিসারের বিরুদ্ধে। তার তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট ২০২৪-এর কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে যে অভিযোগ (NEET Row) সংক্রান্ত যত নতুন আবেদন জমা পড়ছে সব কটি আবেদনের সংযুক্ত করে একজায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

    কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (NEET Row)

    নতুন আবেদনগুলির নিরিখে এনটিএর প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারীর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল কাউন্সিলিং যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ নিট ২০২৪ এর কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার কথা ৬ জুলাই। আর  (NEET Row) মামলার শুনানি রয়েছে ৮ জুলাই। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন কাউন্সিলিং একটি প্রক্রিয়া। সেটি ৬ তারিখ শুরু হবে। বেশ কয়েকদিন চলবে। আমরা চাই কারো সময় যেন নষ্ট না হয়।। এর আগেও কাউন্সিলিং-এর ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যে আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ওপরেই শেষমেষ ভর্তির প্রক্রিয়া নির্ভর করবে।”

    ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্রশ্নপত্র

    প্রসঙ্গত তিনটি রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের (NEET Row) অভিযোগের তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনে জানানো হয়েছে গুজরাট পুলিশ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। যেখানে নিটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেওয়ার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বিহারের পাটনায়। যেখানে ছাত্রপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে ১৫৬৩ জন প্রার্থীকে ফের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ূন: মুক্তি মিলল না, আপাতত আরও ২-৩ দিন তিহাড়ই ঠিকানা কেজরিওয়ালের

    প্রসঙ্গত নিট দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এসেছে এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনন্দের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পরীক্ষার্থী পিছু নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দার যাদবকে ও গ্রেফতার করা হয়েছে। অমিত আনন্দের ফ্ল্যাট থেকে নিটের প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমিতের স্বীকারোক্তি মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল একদিন আগেই। আরও জানা গেছে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। গড়ে প্রত্যেকদিন ১০টি করে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। খোদ রাজ্যের দেওয়া হিসেব দেখে এবার কড়া মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অশান্তি নিয়ে অনেক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে, আমরা বাস্তাব চিত্র জানতে চাই।” অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। কেউ ঘরছাড়া তো আবার বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছেন।

    বিচারপতিদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) সময়ে হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রান্তদের আইনজীবীরা জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জেলায় জেলায় অনেকেই ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এরপর বিচারপতিরা বলেন, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক। যে সমস্ত এলাকায় হিংসার খবর আরও বেশি করে আসছে, সেখানে পুলিশের সক্রিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।” যদিও ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট, মেয়াদ ২১ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এখনই বাহিনী ফিরবে না, ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

    আইনজীবীদের বক্তব্য

    রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন থাকবে কিনা, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। এই বেঞ্চে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের দেওয়া হিসেবেই বলছে জেলা থেকে রোজ ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের ডিজির কাছে মেইলে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ এসেছে। এরপর ১৮জুন পর্যন্ত অভিযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫৯টি। এর মধ্যে ২০৪টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১৭০টির অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    রাজ্যপালের চিঠি

    ঘরাছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভাবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদলাত অনুমতি না দিয়ে বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি রাজ্য ডিজির দফতরের সমানে বসার জন্য আবেদন জানান কোর্টে। অপর দিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ আড়াআড়িভাবে দুভাগ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।

    চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বয়কট (TMC Conflict)

    এবার লোকসভা ভোটে দাঁইহাট শহরে আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে তৃণমূল পিছিয়ে। ১৩ জুন চেয়ারম্যান পুরসভায় বোর্ড বৈঠক ডাকেন। বিওসির আমন্ত্রণপত্রে সই করলেও মিটিংয়ে না যাওয়ায় কোরাম হয়নি। ২০ জুন ফের বিওসি-র সভা ডেকে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু, কেউ তাতে সই করেননি। চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ে সভায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমর সাহা ও ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর অমরেন্দ্রনাথ দাস। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দুই কাউন্সিলর ও পুরসভার এক আধিকারিককে নিয়ে বোর্ড অব কাউন্সিলরের সভা শুরু হয়। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ১১ জন কাউন্সিলর এই সভা বয়কট করেন। ফের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    পুরমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে?

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের অপসারণের দাবিতে রাজ্যের ফিরহাদ হাকিমকে কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের কাছে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যানের ‘অপদার্থতার’ জন্য শহরের নাগরিক পরিষেবা লাটে উঠেছে। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “চেয়ারম্যানের অযোগ্যতার জন্য শহরে উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। ভোটে পিছিয়ে গিয়েছি। সেই কারণে তাঁর অপসারনের দাবিতে চিঠি দিয়েছি।” ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ বলেন, “আমরা ১১ জন কাউন্সিলর ( Trinamool Congress) বিওসি-র মিটিং বয়কট করে আগেই দলকে বার্তা দিয়েছি। এ দিন কোরাম না করে অবৈধভাবে বৈঠক করা হয়েছে।”

    দল পদে বসিয়েছে, বললে সরে যাব

    অপসারণের চিঠি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, “দল আমাকে পদে বসিয়েছে। সরে যেতে বললে সরে যাব। কিন্তু তার আগে ওঁদের নানা কথাও বলে যাব।” আর বোর্ড মিটিং বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিঠি পাঠানোর পরেও বোর্ড মিটিংয়ে না এলে আমার কিছু করার নেই। পুর আইন মেনেই বৈঠক সম্পন্ন করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর পর এবার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তবে কাকুর ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। সিবিআই কিছু না জানালেও তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী আজ এই কথা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাঁর কথাবার্তার চাঞ্চল্যকর রেকর্ড এবং তথ্য, তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আইনজীবীর বক্তব্য (CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিষয়ে তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহাকে আগেও ডাকা হয়েছিল। এদিন শুক্রবার তিনি সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দেন। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমায় আবার ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতা করব।” তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য তলব করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে বেলা ১টা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন।” তবে বের হওয়ার সময় তাপস বাবু কেবল মাত্র মাথা নেড়ে নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    সিবিআই সূত্রে খবর

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস ঘনিষ্ঠ প্রবীর কয়ালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর এই বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। গত এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টে কণ্ঠস্বরের নমুনা সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। তবে তদন্তকারী সংস্থা যা সন্দেহ করেছিল, তা মিলে গিয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share