Tag: West Bengal

West Bengal

  • Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট মিটলেও কিছুতেই কমছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান ও উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খানাকুলের পোল-১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে। খবর পেয়ে জমায়েত হন তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল (Arambagh) থানার পুলিশ বাহিনীও। পুলিশের সামনেও চলে বচসা। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর খানাকুলের পোল ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন বনাম উপপ্রধান সেখ সাবির আলির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বুধবার সেই দ্বন্দ্বের রেষ গিয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। প্রধানের অভিযোগ, উপপ্রধান সেখ সাবির আলি তার কাছের কয়েকজনকে বেআইনিভাবে পঞ্চায়েতের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তা হতে না দেওয়ায়, উপপ্রধান ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর রুমে ঢুকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে, তাঁকে চেয়ার থেকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা উপপ্রধানের অভিযোগ, প্রধান সাবিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী দুজনে মিলে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করছে। এমনকী পঞ্চায়েতে টেন্ডারের শেষ দিন হলেও প্রধান নিজের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অন্যদের টেন্ডার কপি জমা নেয়নি। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আর কিছু ঘটেনি।

    আরও পড়ুন: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন প্রধান অনুগামী তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। উপপ্রধানকে তাঁর অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিশ বাহিনী । তারাই গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীদের। তবে, তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের প্রকাশ্যে এহেন দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসক দল। খানাকুল ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। যদি কেউ কোনও দোষ করে তা খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম গৌরহরি মাইতি। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর অঞ্চলের ১৯৮ নম্বর বুথ ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামের। তাঁর ছেলে শশাঙ্ক মাইতি স্থানীয় বিজেপি নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বিজেপি কর্মী শশাঙ্কের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) করে তৃণমূল। ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল বোমা, বন্দুক নিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু, বাড়িতে শশাঙ্ককে না-পেয়ে তাঁর বাবা-মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বেরিয়ে আসায় দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, গুরতর আহত অবস্থায় বিজেপি নেতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগবেড়িয়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শশাঙ্কের স্ত্রী খুকুমণি মাইতি অভিযোগ করেন, ” আমাদের বাড়িতে তৃণমূলের বিরাট দলবল হামলা চালায়। আমরা বিজেপি করি বলে টার্গেট করেছিল। আগেও বেশ কয়েকবার ওরা হামলা চালিয়েছে। প্রায়ই শাসানি দিত ওরা। রাতে হামলাকারীরা বোমা ও বন্দুক নিয়ে এসেছিল। আমাদের মারধর করছিল দেখে শ্বশুর ছুটে এসেছিলেন। তিনিও হামলার শিকার হলেন।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “এ বারের নির্বাচনে কাঁথি লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই রাগেই ওরা দল বেঁধে এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” যদিও গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উত্তমকুমার মাইতি। তিনি বলেন, “গতকাল এমন কোনও হামলার খবর জানা ছিল না। বিজেপি নেতার বাবা রাতে খাওয়া-দাওয়া করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Last Metro: আর ছাড়বে না রাত ১১টায় মেট্রো, কী এমন হল?

    Last Metro: আর ছাড়বে না রাত ১১টায় মেট্রো, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকদিন ধরে রাত ১১:০০ টা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আগামী সোমবার থেকে আর রাত এগারোটা পর্যন্ত (Last Metro) মেট্রো পাওয়া যাবে না। ২৪ শে জুন থেকে রাত ১১:০০ টার বদলে (Metro Time Change) ১০:৪০-এ ছাড়বে শেষ মেট্রো। ফলে রাতের দিকে যাতায়াতে মেট্রোর সুবিধা থেকে বঞ্চির হতে পারেন বেশ যাত্রীরা।  

    যাত্রী কম, খরচ প্রচুর 

    সূত্রের খবর দমদম এবং কবি সুভাষ এর মধ্যে রাত ১১:০০ টার (Last Metro) ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩০০র কাছাকাছি ছিল। এদিকে ট্রেন চালানোর খরচ হিসেবে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খরচ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। আবার অনেক স্টেশনের কাউন্টার খোলা রেখে হাতেগোনা কয়টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। রাতে যারা যাতায়াত করছেন তাঁরা বেশিরভাগ মেট্রো কার্ড ব্যবহার করছেন। টোকেন বিক্রির হার যথেষ্ট কম। ফলে কাউন্টারে খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাতেরপরিষেবায় কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। যাত্রীরা ইউপিআই পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো মেশিন থেকে টোকেন নিতে পারবেন। আর যাদের কাছে মেট্রোর কার্ড আছে তাঁরাও ব্যবহার করতে পারবেন।

    ১১:০০টার বদল ১০:৪০ এ শেষ মেট্রো (Last Metro)

    মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মতে রাত ১১:০০টা পর্যন্ত মেট্রো চালিয়ে যত যাত্রী আশা করা হচ্ছিল, আসলে তত যাত্রীর মেট্রোতে উঠছেন না। ফাঁকা মেট্রো চালাতে হচ্ছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “রাতে মেট্রো চললে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন এবং তাঁদের চাহিদা পূরণ করা হবে এটা ভাবা হয়েছিল। এই কারণেই রাতের পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। তবে দেখা যাচ্ছে রাতের এই পরীক্ষামূলক (Last Metro) পরিষেবায় মেট্রোয় বেশি যাত্রী হচ্ছে না। অন্যদিকে এই পরিষেবা চালু রাখার জন্য মেট্রোর প্রচুর খরচ হচ্ছে। তাই সোমবার থেকে রাতের মেট্রোর সময় কমিয়ে আনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ূন: জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত ২৪ জুন থেকে মেট্রো পরীক্ষামূলক এই পরিষেবা কবি সুভাষ থেকে এবং দমদম স্টেশন থেকে ১০:৪০ শেষ (Last Metro) মেট্রো ছাড়বে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং সমস্ত স্টেশনে মেট্রো ট্রেন থামবে। শহর কলকাতায় যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীরা মেট্রো খুবই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিষেবা মেলে খুব অল্প দামে। অবশ্য করোনা অতিমারির আগে শেষ মেট্রো ছাড়ত রাত ০৯:৫৫ মিনিটে।

     

     

     

  • Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। ঠিক এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইতিমধ্যেই থানা ও জেলের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়েছেন বিচারপতি। বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের ভরসা নেই। সিবিআই তদন্তে করলে ন্যায় বিচার পাবে পরিবার।

    কী বললেন বিচারপতি? (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় নির্দেশে বলেছেন, “মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করতে হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দিতে হবে পরিবারের হাতে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court)

    গত ৪ জুন মেদিনীপুরের ডেবরার ভরতপুর অঞ্চলে পুরুষোত্তম নগরে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৪২ বছরের বিজেপি কর্মী সঞ্জয়। কিন্তু জেলে মাথা ফেটে যায় তাঁর। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু জেলে কীভাবে মাথা ফাটল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের তরফে মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা (Calcutta High Court) করলে বিচারপতি এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপির দলবিরোধী কাজের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হল অভিজিৎ দাস ববিকে

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মী সঞ্জয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয়ের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে সামজিক মাধ্যমে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতার পুলিশের বর্বরতায় হেফাজতে থাকাকালীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় (Calcutta High Court) তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Suspends Abhijit Das: দলবিরোধী কাজের জন্য অভিজিৎ দাস ববিকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিজেপি

    BJP Suspends Abhijit Das: দলবিরোধী কাজের জন্য অভিজিৎ দাস ববিকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কাজের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হল অভিজিৎ দাস ববিকে (Abhijit Das Suspend)। এই বারের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল তাঁকে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ভূমিপুত্রকে দাঁড় করিয়ে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাঁকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও ববির বক্তব্য, তিনি কোনও চিঠি পাননি।

    কেন বরখাস্ত (Abhijit Das Suspend)?

    মঙ্গলবার বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করতে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই এই কেন্দ্রের একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারধরের একাধিক অভিযোগের ঘটনা সমানে উঠে এসেছে। এমনকী, বেশ কিছু গ্রামের মানুষ বিজেপি করায় আক্রমণ করে বহু পরিবারের মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তৃণমূলের অত্যাচারে গ্রামগুলি জনশূন্য হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই এলাকা পরিদর্শন করতে আসা কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের গাড়ি আটকে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপিরই একাংশ। এই বিশৃঙ্খলার সময় ববি (Abhijit Das Suspend) উপস্থিত থাকলেও কার্যত নিস্ক্রিয় ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যেখানে ভোট-পরবর্তী হিংসার তথ্য সংগ্রহ করতে এসেছেন, তাঁদের সমানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল? এটাই দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন। তাই আগামী সাত দিনের জন্য তাঁকে দলের তরফ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ছিল

    আমতলার পার্টি অফিসে গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠক ছিল। তবে এই বৈঠকে ববি (Abhijit Das Suspend) এবং তাঁর অনুগামীরা অনুপস্থিত ছিলেন। এখানে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবার কথা ছিল বিজেপির তথ্যানুসন্ধানকারী দলের। তবে এই বৈঠকে হিংসায় আক্রান্ত কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সবটাই ববি পরিকল্পনা করে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে হবে ববিকে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

    আরও পড়ুনঃ জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন ববি?

    তবে ববির (Abhijit Das Suspend) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি এখনও কোনও এমন নির্দেশ পাইনি। ইমেইল বা ফোনে কোনও বার্তা পাইনি। পার্টির গোপনীয় চিঠি সংবাদ মাধ্যমের হাতে দিয়ে দলকে বদনাম করছে কিছু মানুষ। দলে থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের হাত শক্ত করছেন অনেকে। আমি এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rituparna Sengupta: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির ঋতুপর্ণা! সঙ্গে অভিনেত্রীর হিসাবরক্ষক

    Rituparna Sengupta: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির ঋতুপর্ণা! সঙ্গে অভিনেত্রীর হিসাবরক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। বুধবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছন অভিনেত্রী। যদিও ঋতুপর্ণা সিজিওতে (CGO Complex) পৌঁছনোর আগেই সেখানে পৌঁছন তাঁর হিসাবরক্ষক। ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু হিসাব সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে দফতরে পৌঁছছেন তিনি। এদিকে, এদিন অভিনেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবীরাও। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ যেখানে করা হবে সেখানে আপাতত আইনজীবীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই ইডি সূত্রে খবর।  

    কী কারণে তলব অভিনেত্রীকে? (Rituparna Sengupta)

    রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি।

    এ প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণার (Rituparna Sengupta) হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। অভিনেত্রীও পরে সিজিওতে (CGO Complex) আসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক। সেই মতো কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিনেত্রী এসে পৌঁছন সিজিওতে।

    আরও পড়ুন: ১,৭৪৯ কোটি টাকায় নির্মিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    ২০১৯ সালে রোজভ্যালি মামলাতেও তলব করেছিল ইডি

    গত ৫ জুন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, অভিনেত্রী (Rituparna Sengupta) সেই সময়ে বিদেশে ছিলেন। তাই মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে এখন সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) যাওয়া সম্ভব নয়। দেশে ফিরে এলে যোগাযোগ করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো এবার হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী। তবে উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির আগে ২০১৯ সালে রোজভ্যালি মামলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সময়ও ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalki 2898 AD: কল্কি কে? ট্রেলারের ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানতে হলে যেতে হবে হলে

    Kalki 2898 AD: কল্কি কে? ট্রেলারের ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানতে হলে যেতে হবে হলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিলিজের আগেই অস্ট্রেলিয়ায় ‘কল্কি’র (Kalki 2898 AD) ধামাকা। প্রথম দিনেই পাঁচ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হল। এই সিনেমায় প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন এবং দীপিকা পাড়ুকোন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায়। ভারতেও রিলিজের অপেক্ষায় এই সিনেমা। কিছুদিন আগেই সিনেমার ট্রেলার রিলিজ হয়েছিল। ট্রেলারের ইউটিউবে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভিউ হয়েছে মাত্র আট দিনে।

    কল্কি কে? সাসপেন্স অব্যাহত (Kalki 2898 AD)

    প্রভাস এবং দীপিকা ছাড়াও কামাল হাসন, দিশা পাটানি এই সিনেমায় অভিনয় করছেন। মাল্টিস্টারার এই সিনেমা ২৭ জুন দেশব্যাপী রিলিজ হবে। তার আগে অস্ট্রেলিয়ায় দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই সিনেমা নিয়ে। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া হিন্দি ও তেলুগু ছাড়া চারটি ভাষায় রিলিজ হবে (Kalki 2898 AD) এই সিনেমা। ইতিমধ্যেই সিনেমার ভৈরব এনথম গান রিলিজ হয়েছে। সিনেমার ট্রেলার দেখে অবশ্য কনফিউজ হয়েছেন দর্শকরা। অনেকেই সিনেমার গল্প ডিকোড করতে চাইছেন। এমতাবস্থায় প্রভাস, বিজয় দেবেকোন্ডা এবং নানির ক্যারেক্টার নিয়ে সাসপেন্স এখনও বজায় রয়েছে। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন প্রভাস কাল্কির চরিত্রে অভিনয় করবেন কিন্তু ট্রেলার দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে দীপিকা পাড়ুকোনের গর্ভে যে সন্তান রয়েছে সেই হবে ভবিষ্যতের ‘কল্কি’। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পুরাণ এবং ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী ‘কল্কি’ অবতার বিষ্ণুর শেষ অবতার এবং তিনিই কলিযুগের শেষ করবেন। যেহেতু সিনেমার চরিত্রগুলি মহাভারতের অনুসারে বেশ কয়েকটি চরিত্রের সঙ্গে মহাভারতের মিল থাকার কথা। কিছুদিন আগে আবার গুজব রটেছিল কামাল হাসান কংসের চরিত্র অভিনয় করছেন।

    সিনেমা তৈরিতে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে

    এই সিনেমা বৈজয়ন্তী মুভিস প্রযোজনা করেছে। (Kalki 2898 AD) সিনেমা তৈরিতে কমপক্ষে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দর্শকদের এই সিনেমা থেকে অনেক আশা রয়েছে। বিশেষ করে প্রভাসের শেষ কয়েকটি হিন্দি সিনেমা থেকে দর্শকদের যতটা অপেক্ষা ছিল ততটা আশাপ্রদ হয়নি। এই সিনেমায় প্রভাস, দীপিকা, কামাল হাসান, দিশা পাটানি, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ম্রুণাল ঠাকুর, রাজেন্দ্র প্রসাদ, পশুপতি ও শোভনা অভিনয় করছেন। এ সিনেমা ২ডি, ২ডি এক্স এবং আইম্যাক্সে রিলিজ করবে ২৭ জুন।

  • Calcutta High Court: জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস, ২০ দিনে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ের জোরে ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। এবার ২০ দিনের মধ্যে ভাঙতে হবে সেই অফিস। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একই ভাবে ঠিক কোন নেতার নির্দেশে এই জমি দখল করা হয়েছিল, তাঁর নামও জানাতে বলেছেন তৃণমূলের আইনজীবীকে। এই নির্দেশ ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    অভিযোগকারিণীর বক্তব্য (Calcutta High Court)

    নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার বাসিন্দা অনুশ্রী ঘোষ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “দোকান করার জন্য পলাশিপাড়া বাজারে জমিটি কিনেছিলাম আমি। সেই জমি দখল করে কার্যত পাকা পোক্ত করে একটি তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই কাজ করেছে। জমি ফেরত চেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে গেলে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি আমি। কিন্তু পুলিশ জমি উদ্ধার করা বিষয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ করেনি। অবশেষে বেগতিক বুঝে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই।”

    হিলি-তুরা করিডোরে কি মিলবে সবুজ সংকেত? সুকান্ত মন্ত্রী হতেই আশাবাদী জেলাবাসী

    আইনজীবীর বক্তব্য

    আদলাতে অনুশ্রীদেবীর আইনজীবী বলেন, “ক্ষমতায় থাকার সুবিধার অপব্যবহার করে কার্যত নিজেদের গায়ের জোরে জমি দখল করেছে তৃণমূলের নেতারা। জমির কোনও বৈধ কাগজ নেই এই তৃণমূলের নেতাদের কাছে।” আদলাতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, কার নির্দেশে এই জমি দখল করা হয়েছে। উত্তরে তৃণমূলের আইনজীবী বলেন, “জমি ফাঁকা ছিল তাই, পার্টি অফিস বানানো হয়েছে।” এরপর ব্লক ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে ওই জমির মালিককে জমি বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে পরবর্তী শুনানিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম কোর্টে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ঘটনায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তৃণমূল ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: হিলি-তুরা করিডরে কি মিলবে সবুজ সংকেত? সুকান্ত মন্ত্রী হতেই আশাবাদী জেলাবাসী

    Sukanta Majumdar: হিলি-তুরা করিডরে কি মিলবে সবুজ সংকেত? সুকান্ত মন্ত্রী হতেই আশাবাদী জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের ছেলে মন্ত্রী হতেই আশায় বুকবাঁধছেন জেলাবাসী। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কেন্দ্রের জোড়া মন্ত্রক পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বিজেপির এই রাজ্য সভাপতিকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা একটি প্রান্তিক জেলা। এই জেলাতে তেমন নেই কোনও শিক্ষা ব্যবস্থা, তেমন নেই কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই জেলার মানুষ সবদিক থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করে থাকেন। জেলাতে থমকে রয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজ। জেলাতে নেই কোনও স্থায়ী বিশ্ববিদ্যালয়। জেলার সদর শহর বালুরঘাটে তৈরী হয়েছে বিমান বন্দর কিন্তু সেখানে চলাচল করেনা বিমান। জেলাবাসী আশা করছেন, সুকান্ত সমস্ত থমকে যাওয়া কাজগুলি চালু করবেন। এই আশাতে বুক বাঁধছেন বালুরঘাট সহ জেলাবাসী।

    জেলায় শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়ন করবেন (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবারে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ হলেন। প্রথমবার সাংসদ হয়ে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন আর এবারে সাংসদ হয়ে তিনি জেলাবাসীকে চমক দিয়ে দিলেন। ঘরের ছেলে হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ঘরেই উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো নেই। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয় পেলেও তার হাল বেহাল। স্থায়ী ভবন নেই। নেই স্থায়ী পরিকাঠামো, অধ্যাপক সহ অনেক কিছুই। এমন পরিকাঠামোহীন শিক্ষা ব্যবস্থার জেলা থেকে তিনি এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ফলে আশায় বুক বাঁধছেন জেলাবাসী। সুকান্তের হাত ধরে কি জেলার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হবে? এমন চর্চা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে।

    হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডোর

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর ২০২১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও, এখনও তৈরি হয়নি স্থায়ী ভবন। বালুরঘাট তথা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা করা হোক। আবার হিলি থেকে মেঘালয় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মাত্র একশো কিলোমিটার একটা করিডর হলে একেবারে আমুল বদলে দিতে পারে পূর্ব ভারতের সাথে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। সেই কারণেই জেলাবাসী হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডোরের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। নানা আন্দোলন করেও এতদিনে এই করিডোর বাস্তবায়নের পথ মিলছিল না। তবে এবারে ঘরের ছেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হতেই জেলাবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানান জেলার মানুষ। এই বিষয়ে বালুরঘাটবাসী তুহিনশুভ্র মন্ডল বলেছেন, “আমাদের ঘরের ছেলে সুকান্ত বাবু (Sukanta Majumdar) মন্ত্রী হয়েছেন। তাও আবার দুটি মন্ত্রকের। আমরা তাঁর কাছে আশা রাখছি আমাদের জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং কর্মসংস্থানের প্রগতি হোক। হিলি-তুরা করিডর দ্রুত এইবার বাস্তবায়ন হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “হিলি-তুরা করিডোর নিয়ে আগেই নানা চিঠি মন্ত্রকে দিয়েছিলাম। করিডরটি চালু হলে শুধু জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গে নয় সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উন্নতি ঘটবে। তাই এই করিডোর বাস্তবায়ন করতে যা যা পদক্ষেপ করতে হবে, করব। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেন্দ্র সরকার কী কী করতে পারে, এ বিষয়ে আমি আশ্বস্ত করতে চাই। রাজ্য সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ অর্থ সহায়তা দিতে কোনও অসুবিধা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UEFA Euro 2024: সহজ সুযোগ নষ্ট করে কোনও রকমে জিতল পর্তুগাল

    UEFA Euro 2024: সহজ সুযোগ নষ্ট করে কোনও রকমে জিতল পর্তুগাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও রকমে জিতল পর্তুগাল (Portugal)। একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন রোনাল্ডো (CR7)। ইউরোয় (UEFA Euro 2024) চেকিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে জিতল পর্তুগাল। পর্তুগালের পারফরম্যান্স ভাল ছিল না শেষ বিশ্বকাপে। পর্তুগালের জার্সিতে ইউরোতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ভেলকি দেখাতে পারলেন কই। প্রথমার্ধেই নিশ্চিত দুটি সুযোগ মিস করেন রোনাল্ডো। একবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন পর্তুগালের এই তারকা। পর্তুগালের বহু নিশ্চিত গোল বাঁচালেন চেকিয়া গোলরক্ষক স্টানেক। দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় চেকিয়া। পরে তাঁদের আত্মঘাতী গোলের সমতা ফিরে পায় পর্তুগাল। একেবারে শেষ বেলায় কনসেসার গোলে কোনমতে মানরক্ষা করে পর্তুগাল।

    প্রথমার্ধে গোলশূন্য দুইপক্ষ (UEFA Euro 2024)

    ৮ মিনিটের মাথায় (UEFA Euro 2024) প্রথম গোল করার সুযোগ পান রোনাল্ডো। বক্সে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান তিনি। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো। খুবই ছটফট করে ওঠেন ৩৯ বছরের এই ফুটবলার। বোঝা যাচ্ছিল দেশের জার্সিতে গোল করতে কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যে দূর থেকেও শট নেওয়ার চেষ্টা করেন পর্তুগালের এই স্ট্রাইকার। ২৫ মিনিটে ফের্নান্দেস শর্ট একটুর জন্য বারপোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ফের ৩২ মিনিটে সহজতম সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো। বক্সের মধ্যেই রোনাল্ডোকে বল এগিয়ে দেন ফের্নান্দেস। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার বাঁ পায়ের শট বাঁচিয়ে দেন স্টানেক। বিরতির ঠিক আগেই একবার গোল লক্ষ্য করে ফের শট মারেন তিনি। এবারও দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন চেকিয়ার গোলরক্ষক। বিরতিতে গোলশূন্য অবস্থাতেই ফিরে যায় দুই দল।

    পর্তুগালকে আটকাতে ব্যর্থ চকিয়া

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পর্তুগিজ আক্রমণের সেই একই ছবি দেখা যায়। চেকিয়ার ডিফেন্স ভেঙে (UEFA Euro 2024)  গোলের দিকে এগিয়ে যায় একের পর এক পর্তুগিজ আক্রমণ। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিল না পর্তুগাল। এর জন্য লিয়াওকে অনেকে দায়ী করেন। বেশিক্ষণ পায়ে বল রাখার খেসারত দিতে হয় পর্তুগালকে। একা খেলার চেষ্টায় সমস্যায় পড়ে যায় পর্তুগাল। ঠিক সময়ে রোনাল্ডোকে বল দিলে হয়ত ফলাফলটা অন্য হতে পারত। ৬২ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে এগিয়ে যায় চেক রিপাবলিক বক্সের বাইরে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানোর সঠিক দিয়েগো কোস্টাকেকে পরাস্ত করে গোল করেন লুকাস। গ্যালারিতে বসে থাকা পর্তুগিজ সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন। হতাশ দেখায় রোনাল্ডোকেও (CR7)। বাধ্য হয়ে লাওকে তুলে মেন্ডেসকে নামান পর্তুগালের কোচ। ফল মেলে হাতেনাতে। ৬৯ মিনিটের মাথায় বক্সে ভেসে আসা বলে হেড করেন মেন্ডেস। কিন্তু গোল কোনরকম ঠেকিয়ে দেব চেকিয়া গোলকিপার। কিন্তু ফিরতি বলে ডিফেন্ডার রানাচের পায়ের লেগে গোল পোস্টে ঢুকে যায় বল। আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় পর্তুগাল।

    আরও পড়ুন: অভাবনীয় অঘটন! স্লোভাকিয়ার কাছে ০-১ ব্যবধানে হার বেলজিয়ামের

    এরপরই আগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় পর্তুগাল। ৭১ মিনিটে বক্সে ঢুকে বা পায়ে জোরালো শর্ট মারেন সিলভা। কিন্তু বাঁচিয়ে দেন স্টানেক। কিন্তু ক্রস আটকাতে ভুল করেন ডিফেন্ডার। সেই বল ধরে গোল করেন পরিবর্তন হিসেবে নামা ফ্রান্সিসকো কনসেসা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেকিয়া। হেরে (UEFA Euro 2024) মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share