Tag: West Bengal

West Bengal

  • Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের সর্বত্র পর্যটকের ঢল। তারই মধ্যে পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে শনি এবং রবিবার কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। তার জেরেই দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উঁচু পাহাড়ি এলাকা সান্দাকফু, ফালুটেও তুষারপাতের সম্ভাবনা জোরালো। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ০.৮ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। এর আগে ২০ নভেম্বর বরফে ঢেকেছিল সান্দাকফু। এ বার কি তাহলে দার্জিলিং শহরে স্নো-ফল হবে? তবে, পাহাড়ে শীত ফিরলেও শিলিগুড়ি-সহ সমতলে কিন্তু তেমন শীতই নেই।

    স্নো-ফল দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন?(Weather Update)

    ২০২২ সালে রেকর্ড তুষারপাত হয়েছিল দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন জায়গায়। সে বার দু’দশক পরে ঘুম এবং টাইগার হিল ঢেকেছিল বরফে। সেই ছবি এ বারও দেখা যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকের দল। বিশেষজ্ঞেরা (Weather Update) বলছেন, শনিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, ঘুম, সিকিমের লাচুং, লাচেন, ছাঙ্গু, নাথুলা এবং জুলুকে তুষারপাত শনিবার শুরু হয়ে যেতে পারে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “ইংরেজি নতুন বছরের আগে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হোক, এটাই মনে প্রাণে চাইছি। অনেক পর্যটক ভিড় করেছেন স্নো-ফল দেখার জন্য।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা কী বললেন?

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণে স্নো-ফলের সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছি না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হলে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হতেই পারে। কারণ, এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বেশ শক্তিশালী।”

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আকাশ মোটের ওপর মেঘলা থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা মোটের ওপর শুষ্কই থাকবে। আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বছর শেষে তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) খুন-ধর্ষণের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত ঘিরে নানা অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। এর নেপথ্যে কি শুধুমাত্র প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের প্রভাব খাটানোর ব্যাপার আছে, নাকি রয়েছে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত সেরে ফেলে দেহ সৎকারের চেষ্টা, সে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা অবশ্য বরাবরই সরব যে আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে গুচ্ছ গণ্ডগোল রয়েছে। সেগুলো আরও আগেই খতিয়ে দেখা উচিত ছিল সিবিআইয়ের।

    কী কী অনিয়ম নজরে এসেছে সিবিআইয়ের?(CBI)

    ময়নাতদন্ত ঘিরে বেশ কিছু অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। প্রথমত, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে বাদ দিয়ে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় ওই বিভাগেরই অধ্যাপক, এক সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। অথচ প্রথা অনুযায়ী, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধানকেই করার কথা। আর দ্বিতীয়ত, এই মেডিক্যাল বোর্ডে এনআরএসের ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করার এক্তিয়ারই ছিল না আরজি করের উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠের। অন্য হাসপাতালের কাউকে বোর্ডে রাখতে গেলে আদেশনামা জারি করার কথা স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার। এছাড়া ৯ অগাস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি করের ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার রুম থেকে। আর তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মেডিক্যাল বোর্ড গড়েন আরজি করের তৎকালীন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এই বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা অবাক! কারণ মূলত দু’টি। এবং সেই দু’টি বিষয়কেই নিয়ম বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই সিবিআই-কে চিঠিও দিয়েছে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    ময়না তদন্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    সিবিআইয়ের (CBI) একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণ নিয়মে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত হয় না, যদি না আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে কিংবা মরণোত্তর অঙ্গদানের ব্যাপার থাকে। বিশেষ করে যদি খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটনার সন্দেহ থাকে, তা হলেও আরও তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করার কথা নয়। অথচ সেই নিয়ম মানা হয়নি। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ২০২১-এর ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রের ইস্যু করা সেই নির্দেশিকার (ফাইল নং এইচ-১১০২১/০৭/২০২১-এইচ-১) বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও একটি আদেশনামা (মেমো নং এম/ ২৪৮৫-৪) জারি করেছিল ওই বছর ২৩ ডিসেম্বরে। সেখানে উল্লেখিত শর্ত পুরোপুরি মানা হয়নি বলেই মনে করছে সিবিআই। চারটের পরে ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অর্ডার চেয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের আর এক সদস্য, আরজি করেরই ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রিনা দাস। তখন টালা থানার সাব-ইনস্পেক্টর লিখিত ভাবে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, “এমন ক্ষেত্রে একজন সাব-ইনস্পেক্টর কখনই ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না। ন্যূনতম একজন আইপিএস অফিসারের নির্দেশ জরুরি। কিন্তু সে নিয়মও মানা হয়নি।” ফলে বারবার ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন – কেন এত তাড়াহুড়ো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পথে মাঠে ঘাটে সামান্য মন কষাকষি বা বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ দেখা দিলেই, যুযুধান দুই পক্ষের ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে একটি বাক্য, “তুমি কোন হরিদাস পাল?” গত পাঁচ ছয় দশক ধরে কোনও মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অযোগ্য ও তুচ্ছ বোঝাতে, দ্বিধাহীনভাবে বাঙালি ব্যবহার করেছে ‘হরিদাস পাল’ নামটিকে। কাউকে ‘হরিদাস পাল’ (Haridas Pal) বললেই বক্তব্যটির সত্যতা বোঝা যাবে। মূলত, উপোহাস হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু, প্রশ্ন হল হরিদাস পাল আদৌ কেউ ছিলেন, না এটা জনশ্রুতি।

    কে সেই হরিদাস পাল? (Haridas Pal)

    কেউ বলেন এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) একটি কাল্পনিক চরিত্র। কারণ বাঙালির ইতিহাসে এই মানুষটির জীবন কাহিনির খোঁজ মিলবে না। অপরপক্ষের মতবাদ হল, গত পাঁচ- ছয় দশক ধরে বাঙালির বুলিতে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়া মানুষটি ছিলেন রক্ত মাংসেই গড়া। কারণ, এরকম অনেক মানুষের নামই বাঙালি চলতি কথায় ব্যবহার করে, যাঁরা ছিলেন বাস্তব জগতের মানুষ। দু’জন হরিদাস পালই, কিংবদন্তির হরিদাস পাল হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। ফলে তাঁদের মধ্যে কে কিংবদন্তির ‘হরিদাস পাল’ তা নিয়ে আজ অবধি কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তবুও আসুন, চিনে নিই দুই পালকেই।

    রিষড়ার হরিদাস পাল

    জানা গিয়েছে, রিষড়ার হরিদাস পাল (Haridas Pal) হুগলির রিষড়া এলাকার এক গন্ধবণিক পরিবারের ১৮৭৬ সালে জন্মেছিলেন। নিতাইচরণ পালের পরিবারে জন্ম নেওয়া হরিদাস পালের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল দারিদ্র। তাই ষোল বছর বয়সে কাজ নিয়েছিলেন কলকাতার শোভাবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে। মাইনে ছিল অতি সামান্য। তাতে সংসার চলত না। একসময় ঋণের ফাঁদে পড়ে শেষ হতে বসেছিলেন। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে একদিন ঘুরে গিয়েছিল ভাগ্যের মোড়। হরিদাস পালকে তাঁর সুবিশাল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী করে, প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর নিঃসন্তান মামা। রাতারাতি ধনকুবের হয়ে গিয়েছিলেন, ঝাঁপ তুলে সোনার দোকানে ঝাঁট দেওয়ার কর্মী হরিদাস পাল। পেল্লায় দোকানঘর কিনে ফেলেছিলেন বড়বাজারে। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কিনে ফেলেছিলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। শুরু করেছিলেন বিদেশি কাচ ও লণ্ঠনের ব্যবসা। সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন ব্যবসাতেও। ব্যবসা প্রসারিত হয়েছিল গুয়াহাটি সহ ভারতের অন্যান্য শহরে। বিপুল বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও এই হরিদাস পাল ছিলেন সৎ ও দয়ালু। আমরা দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন ও দানবীর আলামোহন দাসের নাম জানি। কিন্তু দানের দিক থেকে এই হরিদাস পাল সেই উচ্চতায় পৌঁছতে না পারলেও, সমাজের স্বার্থে একসময় প্রচুর অর্থব্যয় করেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্র।

    হরিদাস পাল লেন

    জনশ্রুতি আছে, তাঁর কিছু বাড়িও দুঃস্থদের দান করে গিয়েছিলেন এই হরিদাস পাল। রিষড়া (Haridas Pal) থেকে কলকাতায় আসা এই হরিদাস পাল, প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৩৩ সালে। কিডনির অসুখে ভুগে মাত্র সাতান্ন বছর বয়সে বিদায় নিয়েছিলেন প্রভাবশালী মানুষটি। ১৯৬৫ সালে, এই হরিদাস পালের সম্মানার্থে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোডকে সংযুক্ত করা কলেজ লেনের নাম দিয়েছিল হরিদাস পাল লেন।

    হরিপুরের হরিদাস পাল

    ঊনবিংশ শতকের এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) ছিলেন বাংলাদেশের হরিপুরের বাসিন্দা। হরিপুরের হরিদাস পাল কিন্তু রিষড়ার হরিদাস পালের মতো প্রথম জীবনে দারিদ্রের সম্মুখীন হননি। কারণ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম হয়েছিল তাঁর। হরিপুরের হরিদাস পালের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজদের মোসাহেবি করে প্রভুত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। স্ফূর্তি করতে নিয়মিত কলকাতায় আসতেন তাঁরা। বিভিন্নভাবে টাকা উড়িয়ে ফিরে যেতেন হরিপুরে। হরিপুরের হরিদাস পালের ওপরেও তাঁর পূর্বপুরুষের এই বদগুণগুলির প্রভাব ফেলেছিল। প্রচুর অর্থ নিয়ে হরিদাস পাল, হরিপুর থেকে পাকাপাকিভাবে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কিনেছিলেন প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি। শুরু করেছিলেন নানান ব্যবসা। দু’হাতে অর্থ বিলিয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু ভোগবিলাস ও দান খয়রাতে ব্যস্ত থাকায়, ব্যবসাগুলির গণেশ উল্টে গিয়েছিল। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন হরিপুরের হরিদাস পাল। নিঃস্ব হরিদাস পালকে কেউ আগের মতো মান্য করত না। সমস্ত সুনাম ও সম্মান হারিয়ে ফেলেছিলেন প্রভাবশালী এই মানুষটি। নানান অসুখে হারিয়ে ফেলেছিলেন শরীর ও স্বাস্থ্য। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাঁর কাছে ছিল না শেষজীবনে।

    হরিদাস পালকে নিয়ে কাহিনী

    ডক্টর মোহাম্মদ আমীন, ‘হরিদাস পাল (Haridas Pal) কে ছিলেন: কেন প্রবাদে হরিদাস এলেন’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন হরিপুরের হরিদাস পালের একটি কাহিনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে হরিপুরের হরিদাস পাল একদিন গিয়েছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে। সাহায্য পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্য তখন এতটাই ভেঙে গিয়েছিল, সেই কর্মচারী হরিদাস পালকে প্রথমে চিনতে পারেননি। তখন হরিদাস পাল তাঁর পরিচয় দিয়ে, প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সুনাম হারানো ও নিঃস্ব প্রাক্তন মালিকের কথা পাত্তাই দেননি সেই কর্মচারী। বিস্মিত হরিদাস পাল বলেছিলেন, “এক সময় তুমি আমার কথা শুনতে।” তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বিরক্ত কর্মচারীটি বলেছিলেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল, যে তোমার কথা এখনও শুনতে হবে?” কর্মচারীটি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তুমি আর আগের মতো প্রভাবশালী হরিদাস পাল নেই, তাই তোমার কথা শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। মাথা নিচু করে সেদিন ফিরে এসেছিলেন অপমানিত হরিদাস পাল। এই ঘটনাটির পর থেকেই নাকি প্রথমে কলকাতা ও পরে সারা বাংলায় “তুমি কোন হরিদাস পাল” বাগধারাটি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল।

    দুই হরিদাস পালের (Haridas Pal) জীবন কাহিনি থেকে এটা স্পষ্ট, তাঁরা দু’জনেই ধনী, দাতা ও প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে অসফল ছিলেন, একথা বলা যাবে না। বরং গড়পড়তা বাঙালির থেকে অনেক ওপরেই ছিল তাঁদের অবস্থান। তবুও রঙ্গপ্রিয় বাঙালির নিদারুণ পরিহাসে, ‘হরিদাস পাল’ নামটি তার সাবেক গরিমা হারিয়ে, আজ হয়ে উঠেছে উপহাসের বস্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি লিখে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনকে “বেআইনি” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, যে যেহেতু নিয়মিত ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তাই সমাবর্তনটি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?(CV Ananda Bose)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে এই দিন ধার্য করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর বা নির্ধারিত যে কোনও তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি উল্লেখ্য যে ১৭ ডিসেম্বর একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা তাড়াহুড়ো করে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।” রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং এই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য রাজভবনে তলব করেন। চিঠিতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, “এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে বাইপাস করেছে। সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে। পর্যাপ্ত নোটিশ দিয়ে আদালতকে ডাকতে হবে। একইসঙ্গে এই ত্রুটি সমাবর্তনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। আপনার ১৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে, আপনি স্বীকার করেছেন যে বিশাল আর্থিক জড়িত থাকার সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। যা আইনত প্রদত্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মতো বেআইনি।”

    ভাইস চ্যান্সেলর জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”

    চিঠিতে গভর্নর (CV Ananda Bose) আরও বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”। কারণ ভাইস চ্যান্সেলর আইন এবং বিধিতে বর্ণিত আইনি বিধানগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথাযথ অধ্যাবসায় প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নেতা জামিন পেয়েছেন। তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু-কুন্তল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন খোলা আকাশের নীচে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানেরও জামিন হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক চেষ্টা করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উলটে শনিবার ছিল জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি। সেখানে আদালতে ইডি (ED) অফিসাররা জামিনের বিরোধিতা করে জ্যোতিপ্রিয়কে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলে উল্লেখ করলেন।

    ইডির আইনজীবী কী বললেন?(ED)

    এদিন ইডির (ED) আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriyo Mallick) হলেন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। এই দুর্নীতিকে যদি পাখির মতো ওপর থেকে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, গঙ্গাসাগরে যেমন নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এসে মেশে, তেমনই দুর্নীতির একাধিক শাখা গিয়ে মিশেছে মন্ত্রীর কাছে। তদন্ত করতে গিয়ে এই সব দেখা গিয়েছে। এই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিনএই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” এখানেই শেষ নয়, আদালতে ইডির আইনজীবী এও বলেছেন, “বালুই এই রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার। রেশন দুর্নীতি পরিচালনা করছেন তিনি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে সব কিছু গিয়েই সেই জ্যোতিপ্রিয়র দিকে ইঙ্গিত করছে। আদালতে বালুকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ইডির দাবি, সামনে না এসে পিছন থেকে দুর্নীতির সব টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন জ্যোতিপ্রিয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    উল্লেখ্য, আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে একাধিকবার রেশন দুর্নীতির জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারই বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। এর আগে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ সময় এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সেই অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে এদিন ফের বালুর জামিন মামলা আদালতে উঠতেই ফের বিরোধিতা করলেন ইডি আধিকারিকরা। এতে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন পাওয়া আরও চাপ হয়ে গেল? তা বলবে সময়ই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্ট (Passport) নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। সীমান্ত এলাকায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সমরেশ বিশ্বাস সহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই আবহে এবার টিটাগড় পোস্ট অফিসের বাক্সে মিলল খাম খোলা অবস্থায় ৫৫টি পাসপোর্ট। পোস্ট অফিসের কর্মীদের নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Passport)

    জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagar) পোস্ট অফিসের বাইরে থাকা বাক্সে কে বা কারা ওই পাসপোর্টগুলি (Passport) একটি খামের মধ্যে রেখে চলে গিয়েছে। পোস্ট অফিসের কর্মীরা সেই খাম নিয়ে এসে দেখেন খামের মুখটি ঠিক মতো করে সিল করা নেই। এরপর সিল করতে গিয়ে একটি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খাম খুলতেই বাকি ৫৪টি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাসপোর্টগুলি জাল না আসল তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, সব পাসপোর্ট প্রাপকের ঠিকানা নদিয়ার তেহট্ট এলাকা। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পাসপোর্টগুলি সবই পুরানো। ফলে, একসঙ্গে এত পাসপোর্ট কেন পাঠানো হচ্ছিল, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে তেহট্ট এলাকায় যাদের নামে পাসপোর্টগুলি রয়েছে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ, যেভাবে জাল পাসপোর্ট চক্র রাজ্যজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সেই চক্রের সঙ্গে টিটাগড়ের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। তবে, এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কর্মীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, সমস্ত কিছু পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অশান্তির আবহেই বাংলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে গ্রেফতার করা হয় মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গিকে। এই দুজনকে ঘিরেই এখন বাড়ছে সন্দেহ। তাদের চালচলন, কারবার খুব একটা সুবিধের ছিল না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে তাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আর এবার একে একে সামনে আসছে তাদের কার্যকলাপের কথা।

    পেঁয়াজের বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ! (Murshidabad)

    তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা (Murshidabad) জানতে পেরেছেন, ধৃত মণিরুল প্রায়ই অসম যেত। সে অসম থেকে পেঁয়াজের বীজ নিয়ে আসত। সেগুলো এলাকার কৃষকদের দিত। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালেই যে কী চলত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অনুমান করা হচ্ছে, সামনে পেঁয়াজের কারবার বলে মনে হলেও আদতে তার পিছনে ছিল অন্য গল্প। অসম থেকে প্রায়ই লোক আসত মণিরুলের বাড়িতে। অসম থেকে ধৃত নূর ইসলাম ও মুজিবুর রহমানের আনাগোনা ছিল মুর্শিদাবাদে। আব্বাসের সহযোগী মণিরুল এলাকায় পাম্প সারাইয়ের কাজের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজের ব্যবসা করত। আরও জানা গিয়েছে, মণিরুল ও আব্বাসের মধ্যে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানে তাদের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হত। মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সুতির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিল তারা। তাদের কাছে বৈধ কোনও নথি ছিল না। সুতি এলাকায় তাদের বৈঠক হয়েছে। তিন দিন ছিল বাংলাদেশের ওই স্লিপার সেল।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি

    মাদ্রাসায় ভাষণ-বই বিলি করত আব্বাস

    মণিরুলের (Militant) পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া আব্বাসের (Murshidabad) কার্যকলাপও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সামাজিক মাধ্যম বা মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাষণ দিত। বই বিলি করত। প্রশ্ন উঠছে, আব্বাস কি তবে সাধারণ মানুষকে এই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করত? এই জেলাতেই কি মডিউল বানানোর ছক কষছিল আব্বাস? ধৃত মণিরুলের সঙ্গে আব্বাসের যোগাযোগ হয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার মধ্যে দিয়ে। মণিরুল তার ছেলেকে আব্বাসের মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিল। আব্বাস হরিহরপাড়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় তার নিজস্ব লিঙ্ক তৈরি করেছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। লিঙ্কম্যান হিসেবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আব্বাসের কার্যকলাপ ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। যে বইগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি জঙ্গির কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ফলে মাদ্রাসায় কী শিক্ষা দেওয়া হত? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এই আব্বাস আলি এর আগে নারী পাচার চক্রেও জড়িত ছিল। এই এলাকাতেই জাল সিমের একটি চক্র চলছিল বলেও অভিযোগ। এখানকার সিম পাকিস্তানে ব্যবহৃত হত, এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    Bangladesh: ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) জেল থেকে পলাতক জঙ্গিরা কি ভারতে? বাংলাদেশে অস্থিরতার মধ্যেই ভারতে ধরা পড়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র ৮ জঙ্গি। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের ‘আনসারুল্লা বাংলা’। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা চিকেন্স নেক নাম পরিচিত, সেটাই ছিল আল কায়দার শাখা সংগঠনের টার্গেট! বাংলা, অসম, কেরল থেকে ৮ জঙ্গি গ্রেফতারে এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, অগাস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার শুরু। নভেম্বরে ভারতে মহম্মদ শাদ রদির অনুপ্রবেশ। কেরল থেকে গ্রেফতার মহম্মদ শাদ রদি, বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। আনসারুল্লা বাংলার প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ ইসরাতের নির্দেশেই অনুপ্রবেশ। এছাড়া মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গি।

    বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণ! (Bangladesh)

    শিলিগুড়ির এই করিডর অর্থাৎ যাকে ‘চিকেন্স নেক’ বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে পূর্ব তথা দেশের বাকি অংশের যোগসূত্র স্থাপন করে। সেই করিডর ব্যবহার করেই ওপার বাংলার (Bangladesh) জঙ্গিরা (Militant) এপার বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ করতে চাইছে। এমনটাই জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গোপনে অস্ত্র সংগ্রহ এবং স্লিপার সেলের মাধ্যমে ভারত-বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে উঠতেই ওই অংশটি ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রতীম জানিয়েছেন, অসম পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ মিলে এই তদন্ত করছে। ধৃতদের জেরা করে এবং যে জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে আপাতত এইটুকু বলা যায় যে, ওপার বাংলা থেকেই এপার বাংলায় স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সঙ্গে, জামাত এবং এবিটি’র মতো জঙ্গি সংগঠন ফের একবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাও জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি

    জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক

    সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে যাদের পাকড়াও করা হয়েছে তারা হল আব্বাস আলি ও মণিরুল শেখ। ধৃতদের কাছ ছেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, নথিপত্র। সেগুলি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণের পরে পুলিশের স্পষ্ট ধারনা দুজনেই এই রাজ্যে জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক কষেছিল। অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক কষছিল ধৃত জঙ্গিরা। বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহম্মদ শাদ রদির। বাজেয়াপ্ত ৪টি পেনড্রাইভ, বাংলাদেশি সার্টিফিকেট-সহ একাধিক ভারত-বিরোধী নথি। আরএসএস-এর কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল, দাবি অসম পুলিশ সূত্রের। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী- কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে! পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হুমকি, হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বই দিতে চাইছে না ভারত। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল)-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নেপাল এবং ভুটান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারত যে একেবারেই চিন্তিত নয়, তাও জানালেন তিনি। তবে সেটাও সম্ভব হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জন্য। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। মাওবাদী কার্যকলাপ প্রতিহত করা থেকে মানব পাচারকারীদের পাকড়াও, এসএসবি বা সশস্ত্র সীমা বলের জন্যই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং হচ্ছে। শাহের কথায়, “শুধু ২০২৪ সালেই চার হাজার পাচারকারীকে পাকড়াও করেছে এসএসবি। উদ্ধার হয়েছে ১৬ হাজার কেজি মাদক।”

    কী বললেন শাহ?(Amit Shah)

    সশস্ত্র সীমা বলের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার এসএসবি-র শিলিগুড়ি (Siliguri) হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন শাহ। মাওবাদী মোকাবিলায় সশস্ত্র সীমা বলের প্রশংসা করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “বন্ধ সীমান্তে কাজ করা অনেকটা সুবিধার। সেই সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করতে পারে না। কিন্তু, যেখানে মুক্ত সীমান্ত রয়েছে, সেখানে জওয়ানদের কাজ অনেকটা কঠিন এবং জটিলও। সে দিক থেকে এসএসবি যে ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই অনস্বীকার্য। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নই।”বস্তুত, নেপাল এবং ভুটানের প্রায় ২,৪৫০ কিলোমিটার সীমান্তে ‘নো ম্যান্ডস ল্যান্ডে’ জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে এসএসবি। শাহ জানান, গত তিন বছরে ১১০০ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সশস্ত্র সীমা বল। ১০০০ একরের বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করেছে তারা। চার হাজারের বেশি পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮১ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন জওয়ানেরা। অভিযানে ৮০১ জনকে পাচারের আগেই উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ২৩১ জন নাবালক-নাবালিকা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ

    শিলিগুড়ি করিডর এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়িতে এসএসবির হেডকোয়ার্টার থাকায় তা আমাদের অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা নিয়েছে এসএসবি।” শাহ জানান, ৬০০-র বেশি মাওবাদীকে গ্রেফতার করা, ১৫ জন মাওবাদী নেতাকে ‘এনকাউন্টার’ করতে সমর্থ হয়েছেন সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানেরা। একই ভাবে ১৯ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের হাতে। এছাড়া বিহারকে মাওবাদী মুক্ত করার ক্ষেত্রেও এসএসবি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন শাহ।

    পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরি ভবনের উদ্বোধন

    শিলিগুড়ি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের জন্য একটি আধুনিক ভবনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন একর জমির ওপরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট চারটি ভবন তৈরি হয়েছে। ওই ভবন উদ্বোধনের সময়ে পেট্রাপোল সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, বনগাঁর কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share