Tag: West Bengal

West Bengal

  • Tamralipti: মহাভারতেও মেলে উল্লেখ, প্রাচীন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর তাম্রলিপ্ত, জানুন ইতিহাস

    Tamralipti: মহাভারতেও মেলে উল্লেখ, প্রাচীন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর তাম্রলিপ্ত, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু সভ্যতার বন্দর হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিল লোথাল, সোপারা প্রভৃতি। সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে এই বন্দরগুলির মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের বাণিজ্য চলত পশ্চিমের বিভিন্ন দেশগুলির সঙ্গে। একইভাবে প্রাচীন ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল তাম্রলিপ্ত। তাম্রলিপ্ত (Tamralipti) বর্তমানে পরিচিত তমলুক শহর হিসেবে যা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে অবস্থিত। গবেষকদের মতে, তাম্রলিপ্ত নামটি এসেছে তামা থেকে। অনেকের ধারণা সে সময় বিহারের সিংভূম জেলার ঘাটশিলা থেকে তামা খনন করা হত এবং তাম্রলিপ্ত বন্দরের মাধ্যমেই তা রফতানি করা হত। মহাভারতেও তাম্রলিপ্তের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাম্রলিপ্ত ছিল রাজা তাম্রধ্বজ্যের রাজধানী। অশ্বমেধযজ্ঞের সময় পাণ্ডবদের অশ্ব এই তাম্রধ্বজ ধারণ করেন এবং অর্জুনের সঙ্গে তাঁর ভয়ানক যুদ্ধ হয়। রাজার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে কৃষ্ণ ও অর্জুন তাঁর সঙ্গে সখ্যসূত্রে আবদ্ধ হন বলে জানা যায়। 

    কোন কোন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চলত?

    তাম্রলিপ্ত বন্দর (Tamralipti) থেকে জাহাজগুলি পশ্চিমবঙ্গ, বর্তমান বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল ধরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে বাণিজ্যে যেত। পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরের মাধ্যমে বিদেশের ব্যবসায়ী, নাবিক এবং ধর্মপ্রচারকরাও আসতেন বলে জানা যায়। এই বন্দর থেকেই নীল, সিল্ক এবং তামা বোঝাই জাহাজগুলি শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার উপকূল, আরব সাগরের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে যেত।

    খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে অষ্টম খ্রিষ্টাব্দ শতাব্দী পর্যন্ত বিকাশ লাভ করেছিল

    ঐতিহাসিকদের মতে তাম্রলিপ্ত (Tamralipti) বন্দরটি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে অষ্টম খ্রিষ্টাব্দ শতাব্দী পর্যন্ত বিকাশ লাভ করেছিল। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল কলিঙ্গ যুদ্ধ। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, তাম্রলিপ্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের দখল নেওয়ার জন্যই অশোক কলিঙ্গ আক্রমণ করেছিলেন। সে সময়ে মৌর্য রাজাদের রাজধানী বিহারের পাটলিপুত্রের সঙ্গে তাম্রলিপ্ত সড়কপথে যুক্ত হয়ে উঠেছিল।

    দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারেও তাম্রলিপ্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল

    দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারেও তাম্রলিপ্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা। বৌদ্ধ সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল জাতকের কাহিনী। এখানে তাম্রলিপ্তের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই বন্দরের মাধ্যমে তৎকালীন সুবর্ণভূমি অর্থাৎ বর্তমান দিনের মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে ঘনঘন সমুদ্রযাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অশোক তাঁর ছেলে মহেন্দ্রকে তাম্রলিপ্ত বন্দরের (Tamralipti) মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করতে পাঠিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস নিয়ে রচিত গ্রন্থ মহাবংশ দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা হয়েছিল, এখানে উল্লেখ মেলে তাম্রলিপ্ত বন্দরের।

    অনেক নামেই পরিচিত ছিল তাম্রলিপ্ত

    পশ্চিমী দুনিয়ার বিভিন্ন দার্শনিকের গ্রন্থেও উল্লেখ রয়েছে তাম্রলিপ্ত বন্দরের উল্লেখ মেলে। যেমন রোমান দার্শনিক ও পরিব্রাজক প্লিনি দ্বিতীয় শতাব্দীতে তাঁর লেখা বই ‘ন্যাচারাল হিস্টরি’তে তাম্রলিপ্তকে একটি সমৃদ্ধ বন্দর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং প্রভৃতি বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজকরা তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিদর্শন করেছিলেন বলে জানা যায়। পরিব্রাজকদের বিবরণ থেকে তাম্রলিপ্তের অনেক নাম মেলে। যেমন, তাম্রলিপ্ত, তাম্রলিপ্তি, তালুক্তি, তমালিকা, তমালিশি, দামলিপ্ত, তমলিটিস, তমোলিত্তি ইত্যাদি।

    পতনের কারণ

    সপ্তম শতাব্দী থেকে তাম্রলিপ্ত বন্দরের পতন শুরু হয়। তবে এর কারণ কী তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানা যায় না। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, তাম্রলিপ্ত বন্দরের পতনের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কারণ রয়েছে। অনেকে মনে করেন নদী বন্দরের পলি ও নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণেই এই বন্দরের পতনের হয়। আধুনিক যুগে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত এই বন্দরের অস্তিত্বের ব্যাপারে সেভাবে কিছু জানা যায়নি। সে সময়ে বাঙালি লেখক এবং গবেষক গৌর দাস কিছু খনন কার্য চালিয়েছিলেন এবং ১৮৮৯ সালে ‘প্রসিডিংস অফ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল’-এ তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। তারপর থেকেই সারা দেশে প্রাচীন ভারতের অন্যতম বন্দর হিসেবে তাম্রলিপ্তের (Tamralipti) নামও উঠে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: উত্তর সিকিমে বন্যা পরিস্থিতি, ধসে মৃত তিন, হড়পা বানে ভাসল ৫

    Flood Situation: উত্তর সিকিমে বন্যা পরিস্থিতি, ধসে মৃত তিন, হড়পা বানে ভাসল ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) উত্তর সিকিমে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলের তোড়ে কোথাও ভেসে গিয়েছে রাস্তা, আবার কোথাও রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়ির ওপর দিয়ে বইছে জল। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    অবিরাম বর্ষণ উত্তর সিকিমে (Flood Situation)

    গত কয়েকদিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর সিকিমে। আজ, বৃহস্পতিবারও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শুরু হয়েছে আকাশভাঙা বৃষ্টি। বৃষ্টির জলে ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গন, লাচুং, লাচেন, চুংখাং-সহ উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিম্ভিকখোলার কাছেও একই পরিস্থিতি। বিপন্নদের উদ্ধার করতে পথে নেমেছেন সেনা জওয়ান ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজন। বিলি করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। সব (Flood Situation) চেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন মঙ্গন জেলার বাসিন্দারা। 

    হড়পা বানে ভাসলেন পাঁচ

    মঙ্গনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা সীমানার কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার এলাকাও। তিস্তার উৎপত্তিস্থল সিকিম। তবে তিস্তা বাজার এলাকা দিয়েই নদীটি প্রবেশ করেছে বাংলায়। তাই সিকিমে তিস্তায় জল বাড়লে ভয়ে বুক কাঁপে তিস্তা বাজার এলাকার বাসিন্দাদের। গত অক্টবরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল তিস্তায় হড়পা বানের জেরে। এবারও তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে ভেবে ভয়ে কাঁটা উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, এদিন মঙ্গন এলাকায় হড়পা বানে ভেসে গিয়েছেন পাঁচজন।

    আর পড়ুন: জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে গাধা, পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে হাসির রোল

    সিকিমের বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে মঙ্গনের। সোমবার প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমে মারা গিয়েছিলেন দক্ষিণ সিকিমের ইয়ানগাংয়ের মাজুয়া বস্তির তিন বাসিন্দা। বিপন্নদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে সিকিমে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের নিরাপদে সমতলে ফেরাতে প্রাণপাত করছে সিকিম সরকার। প্রবল বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার ধস নামে লাচুং এলাকায়ও। পার্কসাঙ্গ এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনজনের দেহ। ধসের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। এদিকে, তিস্তার জলের তোড়ে মাল্লিতে ধসে গিয়েছে জাতীয় সড়কের একাংশ। তবে এখনও বন্ধ হয়নি যান চলাচল। অন্যদিকে, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ (Flood Situation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: নিটে খারাপ ফল হতেই বেপাত্তা সৌদীপ, দুর্নীতির অভিযোগে সরব পরিবারের লোকজন

    Hooghly: নিটে খারাপ ফল হতেই বেপাত্তা সৌদীপ, দুর্নীতির অভিযোগে সরব পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো রেজাল্ট করেছিলেন হুগলির (Hooghly) পোলবার উচাই গ্রামের সৌদীপ বাগ। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। আর সেই স্বপ্নপূরণের জন্য গত ২ বছর ধরে টানা পরিশ্রমও করেছিলেন। নিট পরীক্ষা আশানুরূপ হয়েছিল তাঁর। আশা ছিল, রেজাল্টও ভালো হবে। ফল, বের হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর তিনি কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। এরপরই বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান সৌদীপ।

    নিটে খারাপ ফল হতেই বেপাত্তা সৌদীপ! (Hooghly)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিটের রেজাল্টে দেখা যায়, ৭২০ নম্বরের মধ্যে ১০৩ পেয়েছেন সৌদীপ। আর ফল বের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা সৌদীপ। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামের লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দেখা পাননি। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে। পুলিশও খোঁজ শুরু করে। বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে হাসপাতাল, সব জায়গাতেই চলছে খোঁজ। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত হদিশ মেলেনি সৌদীপের। এদিকে ছেলের চিন্তায় ঘুম নেই মা দীপালি বাগের চোখে। চোখের কোণে জল বাবা সুজয় বাগেরও।

    আরও পড়ুন: কুয়েতে মৃত ভারতীয়দের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

    ছেলের খারাপ ফল নিয়ে সরব বাবা

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি (Hooghly) কলিজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন সৌদীপ। তাঁর আগে পাউনান হাইস্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। ছোট থেকেই স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। বাবা সুজয় বাগ বলেন, চুঁচুড়ায় গৃহ শিক্ষকদের কাছে অঙ্ক, রসায়ন,পদার্থবিদ্যার পাঠ নেওয়ার পাশাপাশি কলকাতার একাধিক ইন্সস্টিটিউটেও অনলাইন কোচিং নিত সৌদীপ। মক টেস্টেও পায় ভাল নম্বর। শেষ মক টেস্টে ৭২০ এর মধ্যে ও ৬৭০ পেয়েছিল। সেই ছেলে কীভাবে মূল পরীক্ষায় (NEET Exam 2024) এত কম পায় তা ভেবে উঠতে পারছি না।

    দুর্নীতির অভিযোগে সরব পরিবারের লোকজন

    সৌদীপের পিসতুতো দাদা ইন্দ্রজিৎ ধাড়া বলেন, “ও তো ছোটো থেকেই খুব মেধাবী। ওর যা প্রস্তুতি ছিল তাতে কোনওভাবে এত খারাপ ফল হতে পারে না। এবার তো শুনছি নিটের (NEET Exam 2024) ফলে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। জানি না ঠিক কী থেকে কী হয়েছে। তবে, সৌদীপের অত খারাপ ফল আমরা মেনে নিতে পারছি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চিঠিতে হাতের লেখা কার? রহস্য উন্মোচনে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা চায় ইডি

    Ration Scam: চিঠিতে হাতের লেখা কার? রহস্য উন্মোচনে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা চায় ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পর এবার রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (যিনি রাজনৈতিক মহলে বালু নামে সমধিক পরিচিত) হাতে লেখা চিঠির ফরেন্সিক তদন্ত করাতে চলেছে ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। 

    কী জানিয়েছে ইডি? 

    রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারির পর পরই অসুস্থতার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। হাসপাতালে যখন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সময়েই একটি চিঠিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই চিঠিতে হাতের লেখা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই (Jyotipriya Mallick) কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতেই তাঁর হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কী ছিল সেই চিঠিতে? (Ration Scam)  

    এ প্রসঙ্গে ইডি অভিযোগ করেছিল, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শাহজাহান, শঙ্কর আঢ্যের নাম লেখা একটি চিঠি তাঁর মেয়েকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বালু (Jyotipriya Mallick)। তবে সেই চিঠি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কর্মীর হাতে চলে যায়। ওই চিঠিটি খুলতেই বেশকিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তাতে টাকা দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ ছিল বলে ‘খবর’। সেই চিঠির ভিত্তিতেই শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। চিঠির সূত্র ধরেই শঙ্করের বাড়িতে ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। গ্রেপ্তার করা হয় শঙ্করকে। প্রশ্ন ওঠে, হেফাজতে থাকাকালীন কী করে লেখার জন্য পেন, কাগজ পেলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী।  

    আরও পড়ুন: আরও একটা হামলা! জঙ্গি সংঘর্ষে ডোডা জেলায় আহত এক জওয়ান

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে চিঠি উদ্ধারের পরে বালুর (Jyotipriya Mallick) বয়ান নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর মেয়েকে চিঠি লেখার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তবে পরে তিনি তা অস্বীকার করেন। ফলে চিঠি বালুরই লেখা কি না তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এইপরেই বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে লেখা সেই চিঠির ফরেন্সিক পরীক্ষা (Ration Scam) করাতে ইডির তদন্তকারীরা বালুর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “ইভিএম বদল হয়েছে, যতদূর যেতে হয় যাব”, বিস্ফোরক নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “ইভিএম বদল হয়েছে, যতদূর যেতে হয় যাব”, বিস্ফোরক নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে পরাজিত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার কাছে প্রায় ৩৯ হাজার ২৫০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ভোটে হেরে যাওয়ার পর এবার মুখ খুললেন বিজেপি প্রার্থী। হারের জন্য ইভিএম বদলের কথাও বললেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? (Nisith Pramanik)

    ভোটের ফল বের হওয়ার পর নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “ভোট হয়ে যাওয়ার পর ইভিএম মেশিন সিল করা হয়েছিল। গালা সিল করে লক করা হয়। পরবর্তী সময় সেই ইভিএমের নম্বর কীভাবে বদলে যায়? এটা আমার অভিযোগ নয়, গণনা কেন্দ্রে আমাদের দলের যে সব কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন, তাঁরা এই অভিযোগ করেছেন। ফলে, বিষয়টিকে আমরা একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। এজেন্টদের কথার আমরা গুরুত্ব দেব। ইভিএম বদল হয়েছে, এটা পরিষ্কার। আর সেই মতো আমরা পদক্ষেপ নেব। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় একই ব্যক্তি বার বার বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। ছাপ্পা ভোট হয়েছে। সেই অভিযোগও আমার কাছে এসেছে। ফলে, এরজন্য যতদূর যেতে হয় যাব। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

    আরও পড়ুন: কুয়েতে মৃত ভারতীয়দের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

    তথ্য জোগাড় করে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সব আসনে বিজেপি ভাল ফল করলেও কোচবিহারে নিশীথ (Nisith Pramanik) হেরেছেন। জানা গিয়েছে, গণনা কেন্দ্রে এজেন্টরা যে ধরনের অভিযোগ নিশীথকে করেছেন, সেই মতো তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত বিযয়টি জানিয়েছেন। নিশীথ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কোচবিহারের ব্যাপারে খোঁজখবর করছি। কোচবিহারের ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করার পরে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতীম রায় বলেন, ফল বের হওয়ার আগে বিজেপি প্রার্থীর এসব মনে হয়নি। আসলে হারের বিষয়টা তিনি মানতে পারছেন না। তাছাড়া, উত্তরবঙ্গে বিজেপির অন্যরা জয়ী হয়েছেন, তিনি হেরে গিয়েছেন, সেটার জন্যই এখন নানা অজুহাত খাড়া করছেন। এসব করে কোনও লাভ নেই। মানুষই বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বুথে হেরেছে তৃণমূল, বিজেপি কর্মীকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর

    North 24 Parganas: বুথে হেরেছে তৃণমূল, বিজেপি কর্মীকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তারপরও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা অব্যাহত। অপরাধ, বুথে লিড পেয়েছে বিজেপি। আর তার জেরেই এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    বারাসতের (North 24 Parganas) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন পল্লি এলাকাতে বুধবার রাতে  বিজেপি কর্মীকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এছাড়াও একাধিক জায়গায় বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারও কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, বারাসতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনে ২০১ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা লোকসভাতে জয়লাভ করলেও, এই এলাকাতে হেরে যাওয়ার কারণেই বিজেপি কর্মীদের ওপর এই তাণ্ডব চালাচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকের নেতৃত্বে মদ্যপ যুবকরা এসব করছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    আরও পড়ুন: কুয়েতে মৃত ভারতীয়দের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যদিও বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাশগুপ্ত বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল। সেটা তৃণমূল কংগ্রেসের ওপরে চাপিয়ে খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টা করছে বিজেপি।

    অশোকনগরে বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরে বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ না করার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু, বিজেপি কর্মী তা না শুনেই দলের হয়ে কাজ করেছিলেন। বুধবার রাতে বিজেপি কর্মীর দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: ডায়ালিসিস করাতে এসে কল্যাণী হাসপাতালে রোগী মৃত্যু! আন্দোলনে বিজেপি

    Kalyani: ডায়ালিসিস করাতে এসে কল্যাণী হাসপাতালে রোগী মৃত্যু! আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়ালিসিস করাতে এসে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহুল সূত্রধর (২১)। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই বিক্ষোভ-আন্দোলনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    পরিবার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাহুল সূত্রধর গত তিন দিন আগে হাসপাতালে (Kalyani) ভর্তি হন। পরপর তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। মঙ্গলবারও তাঁর ঠিকঠাক ডায়ালিসিস হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর ডায়ালিসিস হওয়ার কথা। সেই মতো রোগীকে ডায়ালিসিস ওয়ার্ডে রেখে পরিবারের লোকজন নীচে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে ওয়ার্ড থেকে রোগীকে ছাড়ার কথা। কিন্তু, সেটা না করেই ডায়ালিসিস হওয়ার পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই ওই রোগী হাসপাতালের তিনতলা বিল্ডিং থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে নীচে পড়ে যান। হাসপাতালের গেটের বাইরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাননি। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, এদিন সাড়ে তিনটে নাগাদ ওয়ার্ডে গিয়ে জানতে পারি, রোগী নেই। এরপরই আমরা রোগীকে খোঁজা শুরু করি। হাসপাতলের একপাশে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে আমরা উদ্ধার করি। এরপর জরুরি বিভাগে তাঁকে ভর্তি করি। কিছুক্ষণ পরই রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের গাফিলতির জন্য একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেল। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির

    রোগী মৃত্যুর পরই পরিবারের লোকজন ও বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে সামিল হন। কল্যাণীর (Kalyani) বিজেপির বিধায় অম্বিকা রায় বলেন, এই হাসপাতালের দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার গাফিলতি  অভিযোগ রয়েছে। ডায়ালিসিস রুমে এসি নেই। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেল দেহ পড়ে রয়েছে, কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা নেই। আমাদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডায়ালিসিস ইউনিটে বিকল এসি মেশিন ঠিক করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi: নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ৬০ উর্ধ্ব জামাইকে ষষ্ঠীর বরণ করলেন ১০০ ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা

    Jamai Sasthi: নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ৬০ উর্ধ্ব জামাইকে ষষ্ঠীর বরণ করলেন ১০০ ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা ফুলিতা দাঁ। বয়স প্রায় ১০০ কাছাকাছি হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই জামাই এর বয়সও ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে, বয়স বেড়ে গেলেও নদিয়ার মাজদিয়ার দাঁ পরিবারে বাঙালি রীতিনীতিতে ভাটা পড়েনি এতটুকুও। প্রতিবছর জামাইষষ্ঠীর দিনে রীতি রেওয়াজ মেনে ফুলিতা দেবী জামাইকে বরণ করেন। এবারও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ৬০ উর্ধ্ব জামাইয়ের ষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) বরণ করলেন তিনি।

    নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ৬০ উর্ধ্ব জামাইয়ের ষষ্ঠীর বরণ করেন বৃদ্ধা! (Jamai Sasthi)

    সম্পূর্ণ বাঙালি প্রথায় ফুলিতা দেবী বরণ করেন তাঁর জামাইকে। আসনে বসে থাকেন জামাই এবং তাঁর পাশে মেয়ে- নাতি। এরপর জামাইয়ের সামনে দেওয়া হয় ফলাহার। যার মধ্যে থাকে দই, চিড়ে,আম, কাঁঠাল, কলা। প্রথমে গঙ্গাজল সহযোগে পান পাতা দিয়ে শাশুড়ি মা তাঁর জামাই ও মেয়েকে বরণ করেন। এরপর ধান দুব্য দিয়ে জামাই- মেয়ে এবং তাঁর সঙ্গে নাতিকেও করেন আশীর্বাদ। এরপর পাঁচ রকমের গোটা ফল কাঁসার থালায় জামাইয়ের হাতে তুলে দেন শাশুড়ি। তারপর তালপাতার পাখা দিয়ে জামাইকে হাওয়া করা হয়, যেটি অন্যতম রীতি জামাই ষষ্ঠীর (Jamai Sasthi)। এরপর নিজের হাতে খাইয়ে দেন জামাইকে দই এবং মিষ্টি। ৬০ ঊর্ধ জামাইও ফি বছর শাশুড়ি মায়ের থেকে আশীর্বাদ নিতে অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    আমার পরম সৌভাগ্য, বললেন জামাই

    বৃদ্ধা ফুলিতা দেবী বলেন, “আমি  যতদিন জীবিত থাকব এবং আমার সামর্থ্য থাকবে ততদিন এই রীতিনীতি পালন করে যাব।” শাশুড়ি মায়ের স্নেহ ও শ্রদ্ধা দেখে অসম্ভব খুশি ৬০ ঊর্ধ্ব জামাই স্বয়ং বিনয় কুমার পোদ্দার। তিনি বলেন, “ভীষণই ভালো লাগছে আমার। এটি আমার পরম সৌভাগ্য যে এই বয়সেও আমার শাশুড়ি মা জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) রীতিনীতি পালন করে যাচ্ছেন। তারজন্য আমি কৃতার্থ।” স্বাভাবিকভাবেই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ছাপিয়ে এই বাঙালি অনুষ্ঠানের যে রীতিনীতি আজও বজায় রেখেছেন ফুলিতা দেবী তা সমাজের চোখে স্থাপন করেছে দৃষ্টান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের। বুধবার ইডির ওপর হামলা সংক্রান্ত চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। আর সেখানেই উল্লেখ করা হয়, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে বিপুল বেআইনি অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল। ইডির হাত থেকে তা বাঁচাতেই তদন্তকারীদের উপর হামলা করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছে সিবিআই। 

    সিবিআই-এর দাবি (CBI) 

    সম্প্রতি সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাট মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গত জানুয়ারি মাসে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির উপর যে হামলা হয়, সেই সময় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে লুকানো ছিল বিপুল অস্ত্রভান্ডার। বিপুল পরিমান অস্ত্র লুকোতেই ইডির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ শাহাজাহান। আর এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন তাঁর দুই ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে ইডির অভিযানের কথা আগাম জানতে পেরে যান সন্দেশখালির বাদশা শেখ শাহাজাহান। তখনই দেরি না করে তিনি ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসুদ্দিন মোল্লাকে নির্দেশ দেন বাড়িতে মজুত করে রাখা অস্ত্র যেন সরিয়ে ফেলা হয়। বেশিরভাগই অস্ত্রই ছিল লাইসেন্স ছাড়া। সেই নির্দেশ মতোই তাঁদের সহযোগী আবু তালেবের বাড়িতে অস্ত্র রেখে আসে অভিযুক্ত শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন। তারপর ইডি আধিকারীকেরা সন্দেশখালিতে পা রাখলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
    সিবিআই-এর (CBI) ওই চার্জশিটে শেখ শাহজাহানকেই (Sheikh Shahjahan) মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অস্ত্র যে সন্দেশখালিতেই ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেছে গত এপ্রিল মাসেই। ২৬ এপ্রিল প্রচুর বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ওই এলাকায়। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খা-এর আত্মীয় আবুতালেব মোল্লার তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। সে দিন এলাকায় পৌঁছেছিল এনএসজি। পরে ওই সন্দেশখালিতেই গোলাম শেখ নামে আর এক ব্যক্তির কাছ থেকেও উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।  

    আরও পড়ুন: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ 

    অন্যদিকে, সন্দেশখালি (Sandeskhali) কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলে সিবিআই। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি যখন ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শেখ শাহজাহান মার্কেটের বাইরেই তিনি কর্মরত ছিলেন। সেই ভলান্টিয়ারের বয়ান নিয়েছে সিবিআই। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন শাহজাহান মার্কেটের পিছনে যে সকাল থেকে অচেনা মানুষদের ভিড় জমতে শুরু করে তা তিনি সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ থানায় জানিয়েছিলেন। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই জমায়েতে জিয়াউদ্দিন সহ আর কারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের শনাক্তও করেছেন তিনি। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে আগে থেকে খবর থাকা সত্ত্বেও কেন প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে পুলিশ সেখানে পৌঁছল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সোহম বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে

    Nadia: সোহম বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে তৃণমূল বিধায়ক সোহমের দাদাগিরি নিয়ে রাজ্যজুড়ে  তোলপাড় চলছে। এই বিতর্কের মাঝে এবার পুরসভা পরিচালিত ক্যাফেতে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শহরে। এমনকী ক্যাফের পাশের পার্কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটের পাশের পার্ক ও ক্যাফেটি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় তৈরি করেছিল। প্রশ্ন উঠছে, একজন কাউন্সিলর কী ভাবে পুরসভার কোনও প্রকল্প বন্ধ করে দিতে পারেন!

    তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি, বন্ধ করে দেওয়া হল পুরসভার ক্যাফে (Nadia)

    বেশ কিছুদিন আগে কৃষ্ণনগর (Nadia) পুরসভার উদ্যোগে কদমতলা ঘাটের পাশে পার্ক ও ক্যাফে গড়ে ওঠে। ক্যাফে পরিচালনার জন্য প্রলয় ভট্টাচার্য নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর পলাশ দাসের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গিয়ে দাদাগিরি দেখান বলে অভিযোগ। ক্যাফের মালিক প্রলয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমি ক্যাফেতে বসেছিলাম। কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে এসে জোর করে ক্যাফে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গালিগালাজ করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয়। পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছি।” এ নিয়ে পুরসভার ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন ক্যাফের মালিক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলর (Nadia) পলাশ দাস বলেন, “এই অভিযোগ মিথ্যা। ওই ক্যাফে এবং পার্কের কিছু অংশ আমার ভাইয়ের ওয়ার্ডেও পড়ে। কবে ওই পার্কের কাজ ও ক্যাফের টেন্ডার ডাকা হয়েছে তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, পুরসভা আমাদের কিছুই জানায়নি। আমরা গিয়েছিলাম, এটা সত্যি। কিন্তু, ক্যাফেতে উপস্থিত কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অনুরোধ করেছিলাম ক্যাফে বন্ধ রাখার জন্য।” প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরেরা বর্তমানে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশির কর্মকারের গোষ্ঠীর সঙ্গে চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে। যার ফলশ্রুতি হিসাবে চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ দাস এবং পলাশ দাস রীতার সঙ্গে একাধিক বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান। তারই সর্বশেষ সংযোজন এই ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা।

    দাদাগিরি সহ্য করব না!

    চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মহকুমাশাসক-সহ শীর্ষ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজের জন্য পার্ক ও ক্যাফে পুরসভার পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল। আগামীদিনে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে, কোনও ব্যক্তির দাদাগিরি মেনে নেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share