Tag: West Bengal

West Bengal

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় বোলপুরে এবার লোকসভা ভোটে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি। জেলার দুটি কেন্দ্রে বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। কিন্তু, বোলপুর শহরে শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্কে কেন এরকম ভরাডুবি হল তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর শহরে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়েছিল। সেবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ওয়ার্ডেও বিজেপি পিছনে ফেলে দেয় শাসকদলকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর আসন থেকে জয় এলেও শহরের ১৪টি ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়েছিল। সেই নির্বাচনেও অনুব্রতের ওয়ার্ড থেকে জয় মেলেনি তৃণমূলের। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় দলীয় নেতৃত্বের কাছে। তবে, ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে বোলপুরে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। ১০টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। এমনকী, ২০২২ সালের পুর-নির্বাচনে বোলপুরে বিরাট জয় পেয়েছিল তৃণমূল। আর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ওয়ার্ডও এ বার হাতছাড়া হয়েছে। দু’বছরের ব্যবধানে কেন শহরের ভোটারদের একাংশ মুখ ফেরালেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। শুধু চর্চাই নয় শহরের একাধিক ওয়ার্ডে কেন তারা পিছিয়ে, তার কারণ অনুসন্ধানে নামতে চলেছে তৃণমূল। আগামী ১৩ জুন ও ২২ জুন বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে সব ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি, শহর সভাপতি ও শহর কমিটির দায়িত্বে থাকা সকলকে ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে কোথায় খামতি রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “কেন এই খারাপ ফল হল শহরে, তা আমরা দেখব। একই সঙ্গে শহরের ভোটারেরা কেন মুখ ফেরালেন, তা-ও সকলের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হবে। কারণ, শহরের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রচুর কাজ করেছি। তারপরও এই ধরনের ফল আশা করিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বুথে হেরেছেন পার্থ ভৌমিক। আর তার জেরেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সাধন ঘোষ নামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    বুথে হেরেছে পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Naihati)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদারপুর মণ্ডলপাড়া বুথে এবার লিড পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এই বুথে ধরাশায়ী হতেই শাসক দলের নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া চলছিল। এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সাধন ঘোষ নামে ওই বিজেপি কর্মী টোটো চালিয়ে সংসার চালান। মঙ্গলবার টোটো নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাসের স্বামীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। পরে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপির (Naihati) জগদ্দল মণ্ডলের সম্পাদক দশরথ সরকার বলেন, এবার বুথের ক্যাম্প অফিস দলীয় কর্মী সাধন ঘোষের বাড়ির সামনে করেছিলাম। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ওই বুথে পার্থ ভৌমিক ৬৫ ভোটে হেরে গিয়েছে। আর তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী সাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। উলটোদিক থেকে সাধন ঘোষ টোটো এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। টোটো সরাতে বললে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারতে থাকে। বাড়়ির কাছে ওই ঘটনা দেখে আমিও ছুটে যাই। আমাকেও মারধর করে। আমার স্বামী নৈহাটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দুপক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভায় ফের জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে কেশপুর বিধানসভায় বিপুল পরিমাণে লিড পেয়েছে শাসক দল। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ দেবের (Dev) আদি বাড়ি কেশপুরের মহিষদায় ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। নিজের গ্রামের বুথে বিজেপি এগিয়ে থাকায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর (Dev)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯, এই দু’বারই কেশপুরে ভোটের প্রচার শুরুর আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন দেব (Dev)। এ বারে অবশ্য তিনি এখানে এসেছিলেন, তবে প্রচারের শেষ পর্বে। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। মহিষদার মানুষ হিরণের ওপর আস্থা রেখেছেন। জানা গিয়েছে, কেশপুর বিধানসভায় ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে তো বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য! অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। আর সেখানেই সাংসদের নিজের গ্রাম মহিষদায় অন্য ছবি ধরা পড়েছে। মহিষদার ১৮৩ নম্বর বুথটি দেবের গ্রামের বুথ। সেখানে ভোট পড়েছে ৬০৮টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৩৯টি (৫৫.৭৫ শতাংশ), তৃণমূল ২০৮টি (৩৪.২১ শতাংশ)। বামে গিয়েছে ৩৬টি ভোট, নোটায় ন’টি। এই বিষয়ে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, “ঘরের ছেলেকেও মান্যতা দেয়নি ওরা। উন্নয়ন কিছু কম হয়নি ওখানে। যে সরকার মানুষের কাজ করবে, মানুষেরও উচিত সেই সরকারের পাশে থাকা। আসলে দেবের গ্রাম মহিষদায় বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    বিজেপি নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। ঠিকমতো ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত। মহিষদাতে ভোট লুট করতে পারেনি বলেই সেখানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    Balurghat: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের লোকসভা নির্বাচনে সুকান্তর গড় বালুরঘাটে (Balurghat) গ্রামীণ ভোটে থাবা বসালো বিজেপি। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ও হিলির অধিকাংশ পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছে বিজেপি। ফলে, বালুরঘাটে শুধু পুরসভা এলাকা নয়, পঞ্চায়েত এলাকাতেও বিজেপি আস্থা ফিরে পেল।

    ১৩টি পঞ্চায়েতে বিজেপির লিড (Balurghat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দখলে ছিল বালুরঘাট (Balurghat), হিলি ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দুটি পঞ্চায়েত সমিতি। তার মধ্যে ১৩ টিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। খোদ বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতির অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এমন ফলাফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করার জন্যই এমন ফল হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালুরঘাট মহকুমায় বিশেষ করে বালুরঘাট ও হিলি ব্লকে ভোটের দায়িত্বভার যায় প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের কাঁধে। তখন অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের পরিবর্তন করা হয়। নিজের অনুগামীদের পদে বসান অর্পিতা। প্রত্যেক অঞ্চলে নিজের মতো সংগঠন সাজিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পার করেছিলেন অর্পিতা। সেবার দুই ব্লক মিলিয়ে শুধুমাত্র চিঙ্গিসপুর ও ভাটপাড়া হাতছাড়া হয়। লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লব মিত্র প্রার্থী হতেই পুরানো সংগঠনে বদল না করা হলেও যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হয়, সেজন্য অঞ্চল সভাপতিদের পাশাপাশি বিপ্লব অনুগামীদের কনভেনর করে জুড়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিপ্লব অনুগামী কনভেনররা বার বার করে অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানরা কোনও কাজ করছেন না। অভিযোগ ওঠে বিপ্লব বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা দলের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন। সেসব কারণেই দুই ব্লকের পাঞ্জুল বাদ দিয়ে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছে দলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: লোকসভার ভোটও দিয়েছে! জাল নথি সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কোথায় লুকিয়ে ছিল?

    দলের গদ্দারদের জন্য এই ফল!

    এই বিষয়ে বিপ্লবমিত্র বলেন, বালুরঘাট ও হিলিতে ফল খারাপ হবে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু, এত খারাপ ফল হতে পারে ভাবতে পারিনি। রিপোর্ট তৈরি করছি। দ্রুত রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হবে। দুই ব্লক মিলিয়ে শুধু পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা লিড পেয়েছি। দলের কিছু গদ্দার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। দলে গদ্দারদের জন্য এই ফল। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলার (Balurghat) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, পঞ্চায়েতগুলো তৃণমূল চুরি করে দখল করে নিয়েছিল। সেই চুরি করার জবাব মানুষ এই লোকসভা ভোটে দিয়ে দিয়েছে। ১৪টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে একটা পঞ্চায়েত বাদে বাকি সব গুলো পঞ্চায়েতে আমরা লিড পেয়েছি। আর ওদের তো কাজ করার মতো লোক নেই, সব চুরি করার জন্য লোক আছে। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করার লোক আছে। মানুষ এবার সঠিক জবাব দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: নিজেদেরই প্রধান, দলের যুব সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC Clash: নিজেদেরই প্রধান, দলের যুব সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতি রাজা সরকার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়া থানার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের যুব সভাপতির বাড়িতেও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Clash) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর, যুব নেতার বাড়িতে হামলা (TMC Clash)

    সোমবার রাতে পাণ্ডুয়া থানার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েত প্রধান করুণ ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের (TMC Clash) অভিযোগ উঠেছে রাজা সরকার ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি প্রধানকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান করুনা ক্ষেত্রপাল। অন্যদিকে, হরাল দাসপুর অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ মল্লিকের বাড়িতেও হামলা চালায় স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি রাজা সরকার সহ তাঁর অনুগামীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁকে  মারধর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাঁরাও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আসিফ মল্লিকের বাবা আব্দুল আজিম মল্লিক ও এক প্রতিবেশী। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দলের একাধিক কর্মীর নামে পাণ্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ মল্লিক। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজা সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    হামলা নিয়ে কী বললেন প্রধান?

    হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC Clash) প্রধান করুণা ক্ষেত্রপাল বলেন, আমি তৃণমূলের প্রধান। আমি ভাবিনি যে এই দল করলে আমার এই পরিণতি হবে। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি দলের লোকেরাই এসে মারার হুমকি দেবে! হরাল দাসপুর অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আশিফ মল্লিক বলেন, সোমবার  রাতে বাড়িতে বসেছিলাম। হঠাৎ করে বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়িতে ভাঙচুর করে। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। কারণ, আমরা পঞ্চায়েতটা স্বচ্ছভাবে চালাচ্ছি। এখন কাজের ওপেন টেন্ডার হয়। কোন দুর্নীতি হয় না। তাই এই হামলা হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, এটা এলাকা দখলের লড়াই। ভোটে জিতে কে কোন এলাকা দখল করবে, কী ভাবে তোলাবাজি করবে তার লড়াই চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিদের অধিকাংশই অযোগ্য, ধান্দাবাজ”, ফের স্বমহিমায় মনোরঞ্জন

    Hooghly: “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিদের অধিকাংশই অযোগ্য, ধান্দাবাজ”, ফের স্বমহিমায় মনোরঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পর ফের স্বমহিমায় বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে বলাগড় বিধানসভায় তিনি এবার দায়িত্বে ছিলেন না। হুগলি (Hooghly) লোকসভা কেন্দ্রের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, এই বিধানসভায় ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। লিড পেয়েছে বিজেপি। এবার দলের ভরাডুবির জন্য দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিধায়ক।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Hooghly)

    গত ৮ মে বলাগড়ে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি মনোরঞ্জনকে বলেন, তিনি যেন ভোটের প্রচারে না আসেন। তৃণমূলের তিন নেতা নবীন গঙ্গোপাধ্যায়, অসীম মাঝি এবং শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়দের ওপরেই ভরসার কথা জানান দলনেত্রী। এবার ভোটে মনোরঞ্জন আর প্রচারে আসেননি। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, হুগলি (Hooghly) লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও বলাগড়ে বিজেপির থেকে হাজার পাঁচেক ভোটে পিছিয়ে। এর পরেই মনোরঞ্জন নাম না করে খারাপ ফলের জন্য দলের চার নেতানেত্রীকে দুষেছেন ফেসবুক-পোস্টে। মনোরঞ্জন সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আমার মনে হয় রাজনীতিতে আসা ভুল হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে দলের নেতারাই আমার নামে মমতাকে নালিশ করেন। মমতা ‘অত্যন্ত কঠোর ভাষায়’ আমাকে প্রচার করতে নিষেধ করেন। আমি প্রচার করিনি। আমি চেয়েছিলাম, দলের বলাগড় ব্লক সভাপতি হতে। সে ক্ষেত্রে ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতেই সভাপতি পদে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের বসাতে পারতাম। দল আমাকে সেই সুযোগ দেয়নি। বর্তমান অঞ্চল সভাপতিদের অধিকাংশই ‘অযোগ্য, ধান্দাবাজ’।” মনোরঞ্জন বলেন, “দিদির নির্দেশেই প্রচার থেকে সরেছিলাম। এখন দিদি যা বলবেন, তাই করব। যদি বলেন আগের মতো কাজ করতে, করব। যদি বলেন রাজনীতি ছেড়ে দিতে, দেব।” এরপর তিনি আরও বলেন, “এখনও সময় আছে সংগঠনের খোলনলচে বদলে পুরানো নেতাদের সরিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দিতে হবে। পুরানোদের ওপরে মানুষ ভরসা করলে দিদির ৬৩টা প্রকল্প সত্ত্বেও তৃণমূল হেরে যায়!”

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

    ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়কের ভাবনার সঙ্গে আমরা একমত নই। আমরা ওঁকে (বিধায়ককে) চুপ থাকতে বলিনি। দলের সুপ্রিমো বলেছেন। তিনিই  সিদ্ধান্ত নেবেন। অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে কী বলেছেন, ওঁর ব্যাপার। এ নিয়ে মন্তব্য করব না। দল যদি মনে করে নতুনদের নিয়ে আসবে, স্বাগত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Garulia: গারুলিয়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Garulia: গারুলিয়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গারুলিয়া (Garulia) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগরে। আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম ধনঞ্জয় মালো। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Garulia)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় মালো বিজেপির নোয়াপাড়া (Garulia) মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আমার ছেলে অসুস্থ। ফলে, সোমবার সকাল সকাল শুয়ে পড়়েছিলাম। রাতে আচমকা তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির মেন গেট ভাঙচুর করতে থাকে। আওয়াজ শুনে আমি বা়ড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি। সেই সময় বাইরের আলো জ্বালতেই দেখি, তৃণমূলের লোকজন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ঘর থেকে বের হতেই, ওরা চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে দেখি, আমার বাড়ির গেট ভাঙচুর করে একটি গেট নিয়ে চলে গিয়েছে। এদিন সকালে দলের এক কর্মী আমাদের বাড়িতে আসেন। এরপরই ওই কর্মীর দোকানে এদিন সকালে ভাঙচুর করা হয়। ফলে, তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। পুলিশে অভিযোগ জানালে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন সকালে কয়েকজন ফের আমার কাছে এসে থানা থেকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য বলে। নাহলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।”

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা তৃণমূলের কালচার। দলীয় নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি খুনের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। আমরা আক্রান্ত নেতার পরিবারের পাশে রয়েছি। গারুলিয়া (Garulia) পুরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে দল তাদের পাশে থাকবে না। দল এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। তবে, যতদূর জানি, এটা একটা পারিবারিক ঘটনা। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সালারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই, মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি, শোরগোল

    Murshidabad: সালারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই, মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার উজুনিয়া গ্রাম। গ্রামের মধ্যে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আর সেই বোমার আঘাতে এক সাধারণ মহিলা জখম হন। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা  তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আজহারউদ্দিন সিজার এবং বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মোস্তফিজুর রহমানের গোষ্ঠীর অশান্তি লেগেই রয়েছে। কিছুদিন আগেও দুই গাষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়ছিল। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বাড়িতেও বোমাবাজি ও ভাঙচুর করা হয়েছিল। এদিনের বোমাবাজির সঙ্গে ওই ঘটনার যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় সালার (Murshidabad) থানার উজুনিয়া গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকায় বোমাবাজি করতে থাকে দুই গোষ্ঠী। সেই সময়ে একটি বোমা এসে পড়ে এক গ্রামবাসীর বাড়ির উঠানে। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন মহিমা বিবি নামে এক মহিলা এবং ১২ বছরের এক কিশোর। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, আক্রান্ত মহিলার পরিবার কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তার জন্যই এই বোমাবাজি। কয়েকদিন আগেও এই ঘটনা ঘটেছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম এলাকা শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু, ফের সেই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আমরা এলাকায় চরম আতঙ্কে রয়েছি। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Post Poll Violence: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক হিংসার (Post Poll Violence) ছবি উঠে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবারই জেলায় এসে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে যান। তারপরই ফের আরও এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের  মধুসূদনপুর গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে বিজেপি কর্মী রাজারাম প্রধানের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মী রাজারাম প্রধান বলেন, “আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের মিছিল আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল থেকে কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে যাই। আমি ছুটে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিই। এরপরই বাঁশ, লাঠি দিয়ে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। এমনকী বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ওরা ভেঙে দিয়েছে। আমরা খুবই আতঙ্কিত। মূলত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরমা মিদ্দা পন্ডিত ও তাঁর স্বামী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।” তবে, বিজেপি কর্মীর বাড়ির আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেছে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ওই বিজেপি কর্মী পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন। এই বিষয়ে ওই বিজেপি কর্মী স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরমা মিদ্দা পন্ডিত। তিনি বলেন, “এটা ওদের পারিবারিক বিষয়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নই। দুই ভাইয়ের গন্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িতে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। তৃণমূল এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share