Tag: West Bengal

West Bengal

  • Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরের (Post Poll Violence) ঘটনায় ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। হামলার সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাবে বাড়ি ভাঙচুর। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের উপর করা হয় অত্যাচার। ঘটনা ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরে।

    বিজেপির বক্তব্য (Post Poll Violence)

    স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)। বীরভূম বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা এবং ভাইকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট আটজন তৃণমূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক। এই হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদাইপুর পুলিশের কাছে।

    আরও পড়ুনঃভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু সন্ত্রাস

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র লুটপাট করেছে। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের সন্ত্রাস আটকানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজন হলে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এমন মন্তব্যও করেছে কোর্ট। কিন্তু তাতেও মমতার হেলদোল নেই।

    উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণে অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট হয়েছিল ব্যাপক। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জয়ী হওয়ার পরও হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের কোন্দল থামছে না। আর আক্রমণের তির এবারও সেই সদ্য জয়ী তৃণমূল সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। ভোট মিটতেই এবার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তেওয়ারির রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের ঘরোয়া দ্বন্দ্ব একাবারে সামনে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন মনোজ তেওয়ারি? (Howrah)

    লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দলীয় বিধায়কের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তেওয়ারি বলেন, ভোটের সময় আমরা প্রসূনকে জেতাতে যথেষ্ট সহায়তা করেছিলাম। কিন্তু, নির্বাচন মিটতেই আর নাকি যোগাযোগ রাখেননি হবু সাংসদ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন মনোজ। তাতে তিনি বলেন, “প্রসূনদা আপনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। ৮ তারিখ হয়ে গেল একটা ফোন এল না। এটা ঠিক করলেন না। যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না। আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, এই নিয়ে চতুর্থবার হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, এলাকায় দেখা যায় না প্রসূনকে। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। প্রার্থীকে নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও ছিল। মনোজ তিওয়ারি আরও বলেন, এই সব কিছু উপেক্ষা করেই আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা প্রসূনদাকে জেতাতে দিনরাত এক করে প্রচার করেছিলাম। ২০১৯ এর তুলনায় অনেক বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তিনি। এমনকী, শিবপুর কেন্দ্র থেকেও এবারে ভোটের মার্জিন অনেকটাই বেশি রয়েছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভাবী সাংসদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি আমার সঙ্গে। পরিবর্তে তৃণমূল সাংসদ তাঁদের বেশি সময় দিচ্ছেন যাঁরা নির্বাচনের আগে তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা (Howrah) তৃণমূলের এক নেতা বলেন, বিষয়টি কী হয়েছে তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে, দলীয় বিধায়কের এই ভিডিও বার্তা শাসক দল বেশ কিছুটা চাপে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার এই লোকসভা নির্বাচনে পারাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে। বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভার নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু জেতার পরও গলায় কাঁটা তৃণমূলের। এই লোকসভার শহর অঞ্চলের পুর এলাকাগুলিতে একদম দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। বাজিমাত করেছে বিজপি। কিন্তু কেন এমন হাল হল তৃণমূলের? এই নিয়ে অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

    ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, পুরসভার ২৪টি ওয়র্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার বাঁকুড়া বিধানসভার সাপেক্ষে তৃণমূলের থেকে বিজেপি মোট ১৬৩১২ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে এই কেন্দ্রে কীভাবে এই পুর ও শহর এলাকায় তৃণমূল ধারশায়ী হয়েছে, তা নিয়ে দলের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহর অঞ্চলে আমাদের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা হল। গত আড়াই বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, ড্রেন সহ নানা পরিষেবায় আমরা অনেক কাজ করেছি। হয়তো দলের কোনও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত দেখা দিলে আমরা দলের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

    আরও পড়ুনঃ নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    বিজপির বক্তব্য

    বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “মোদি সরকারের আমলে দেশের বিদেশনীতি, সুরক্ষানীতি, অর্থনীতি মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের মানুষ এই বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষকে বিপক্ষে ভোট দান করতে প্রভাব ফেলেছে। তবে সামগ্রীক ভাবে কীভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    Bardhaman: নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকল মোটর ভেহিক্যাল ইন্সপেক্টর (এমভিআই) অফিসার সেজে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলছিল তোলাবাজি। এই অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) কটোয়াতে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কাজ হারানো সিভিক ভলেণ্টিয়ারও। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bardhaman)?

    বৃহস্পতিবার রাত্রি দেড়টা নাগাদ কাটোয়া (Bardhaman) থানার পুলিশের কাছে খবর আসে যে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের কাছে কয়েকজন যুবক মিলে পাথরবোঝাই গাড়িকে আটক করেছে। ওই যুবকদের সঙ্গে গাড়ি চালকের অনেকক্ষুণ বাগবিতণ্ডা চলে। এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ যুবকদের কাগজপত্র দেখতে চান। জানা যায়, যুবকেরা ভুয়ো এমভিআই আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করেছে। এরপর অভিযুক্ত যুবকরা সঠিক তথ্য না দিতে পারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে আরও জানা যায়, অজয় নদের বালিঘাটে গিয়েও প্রথমে টাকা তোলার চেষ্টা করে যুবকরা। কিন্তু সুবিধা না মেলায় রাজ্যসড়কে তোলাবাজি শুরু করে।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    অভিযুক্তদের পরিচয়

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান (Bardhaman)-কাটোয়া রাজ্য সড়কে তোলাবাজির অভিযোগে চার যুবকে পাকড়াও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আটক করা হয়ে হয়েছে একটি চার চাকার গাড়ি। একই ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০টি মোবাইল ফোন এবং ১৯ হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শুভঙ্কর মণ্ডল, কৃপাময় ঘোষ ওরফে রিণ্টু, বিপ্লব সরকার, সুব্রত মণ্ডল। শুভঙ্করের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা থানার নিত্যনন্দপুর গ্রামে। কৃপাময় কেতুগ্রামের রসুইগ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজনের বাড়ি নাদনঘাট থানার মধ্যে শ্রীরামপুর এলাকায়। কৃপাময় আগে কেতুগ্রাম থানায় সিভিক ভলেণ্টিয়ারের কাজ করতেন কিন্তু একাধিকবার মারামারির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকায় কাজ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। এই ঘটনায় গাড়ি চালকদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Train Service: শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    Sealdah Train Service: শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা (Sealdah Train Service) স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজের জন্য বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যার জেরে দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, রবিবার এই কাজ শেষ হলে, শিয়ালদা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলি দমদমের দিকের অংশ ৬০ মিটার করে বাড়ানো হবে। তারজন্য চলতি মাসেই ফের ২-৩দিনের ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তি। কোথাও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে রুট। সেইসঙ্গে দেরিতে চলাচল করছে ট্রেন। এই দুর্ভোগ চলবে রবিবার পর্যন্ত। কারণ, ১২ কামরার ট্রেনের উপযোগী প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা স্টেশনে ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। স্টেশনের বাকি ১৬টি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল চালু থাকলেও, অনেক ট্রেন দেরিতে ঢুকছে। সমস্যা মেটাতে বাস চালানোর আবেদন করেছিল রেল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশেষ বাস চালানো শুরু করল রাজ্য সরকার।

    বিশেষ সরকারি বাসের ব্যবস্থা, কোন কোন রুটে চলবে জেনে নিন (Sealdah Train Service)

    ডিআরএম শিয়ালদা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে বারাকপুর থেকে ডানলপ এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন লাগোয়া দমদম জেল থেকে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত দু’টি রুটে সরকারি বাসের শাটল পরিষেবা মিলবে। বারাকপুর থেকে টিটাগড়, খড়দা, পানিহাটি, রথতলা হয়ে ডানলপ পর্যন্ত বাস চলবে। অন্যদিকে, দমদম জেল থেকে নাগেরবাজার, লেক টাউন, পাতিপুকুর হয়ে বেলগাছিয়া মেট্রো পর্যন্ত সরকারি বাস করে। যাত্রীদের অধিকাংশেরই বক্তব্য, ‘বারবার শিয়ালদা শাখায় (Sealdah Train Service) পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে যাত্রী ভোগান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।’ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও এতকিছুর পরও যাত্রী দুর্ভোগের অভিযোগ ওড়াচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    প্রায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল!

    শিয়ালদা এই কাজের জন্য প্রায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল। শিয়ালদা সেকশনে (Sealdah Train Service) প্রতিদিন ৮৯৪টি ট্রেন যাতায়াত করে। তার মধ্যে বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেইমতো সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০৬। সেই ৮০৬টা ট্রেনের মধ্যে ১৪৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং বারাসাত পর্যন্ত যাতায়াত করছে সেগুলি। এছাড়া শিয়ালদা থেকে বারাকপুর, ডানকুনি এবং নৈহাটিগামী ট্রেনের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এ ছাড়া, রানাঘাট, মধ্যমগ্রাম, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা থেকে চলে- এমন বেশ কিছু লোকাল বাতিল করা হচ্ছে। বাতিল থাকছে শিয়ালদা থেকে সিউড়ি এবং জঙ্গিপুর রুটের দু’টি মেমু এক্সপ্রেসও। এরই সঙ্গে শিয়ালদা থেকে চলা অজমের এক্সপ্রেস, হাটে-বাজারে এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এবং আসানসোল এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে চালানো হবে। 

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “শিয়ালদার ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালাতে শুরু করব খুব তাড়াতাড়ি। ৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে ৯ তারিখ দুপুর ২টো পর্যন্ত অফিস টাইম বাদ বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করেছি। কিছু ট্রেনকে শিয়ালদায় নিতে পারছি না। এই সময়ে কিছু ট্রেন বারাসাত, দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হবে। জুন বা জুলাই মাসে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারি সেই আশা রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করল আদালত। আজ নেজাট থানার ওসি শুভাশিষ প্রামাণিক এবং তদন্তকারী অফিসারকে তীব্র তুলোধনা করেছেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসবাদ করার জন্য তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর।

    ঘটনার দিন পুলিশ কাকে গ্রেফতার করেছিল (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জিপাড়ায় চলতি বছরে পাঁচই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। শেখ শাহাজানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় একদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। আবার অন্যদিকে ইডি আধিকারিকেরা পাল্টা মামলা করেন। সেইদিন বিকেল বেলায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিকের নেতৃত্বে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাঁদের নাম-সুকোমল সর্দার, মেহেবুব মোল্লা, আলী হোসেন ঘরামী, এনামুল শেখ, হাজিমুল শেখ, সঞ্জয় মন্ডল এবং আইজুল শেখ।

    আরও পড়ুনঃ রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    কোর্টের বক্তব্য

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক, আজ এই সাতজনের নাম সিবিআই চার্জশিটে নেই বলে মন্তব্য করেন। কোন গ্রাউন্ডে এই সাতজনকে নেজাট (Sandeshkhali) থানার পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার করেছিলেন? সেই বিষয়ে জানতে চান। এই প্রেক্ষিতে আদালতে নেজাট থানার ২৬১ নম্বর কেসে মামলার শুনানি করে। আদালতের বিচারক তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিক ও তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গ্রেফতারের কারণ জানাতে বলেছেন। অপর দিকে যাঁদের নাম সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে তাঁরা হলেন, শাহজাহান শেখ, শেখ আলমগীর, জিয়া উদ্দিন মোল্লা, মাহফুজার মোল্লা, সিরাজুল মোল্লা, দিদাস বক্স মোল্লা, ফারুক আকঞ্জি। এই এই ছয়জনের নামে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর ফের লোকসভায় ভোটে নিজের হারের পিছনে এবার অন্তর্ঘাত দেখছেন বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর অভিযোগের তির মূলত দলের অন্য গোষ্ঠীর দিকে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে (Balurghat)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে লড়াই বলে বালুরঘাট আসনে নজর ছিল রাজ্যবাসীর। সেই যুদ্ধে গণনা শুরুর প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। প্রথম রাউন্ড থেকে শুরু করে ৭ম রাউন্ড পর্যন্ত লিড ধরে রাখেন। তখন থেকেই জয়ের আশা জাগতে শুরু করে তৃণমূল শিবিরে। ৮ম রাউন্ডে এগিয়ে যান সুকান্ত। ১৩ রাউন্ডে গিয়ে ফের সুকান্তকে টক্কর দিয়ে এগিয়ে যান বিপ্লব। ১৪ রাউন্ডের পর পিছিয়ে যেতে থাকে রাজ্যের শাসকদল। বালুরঘাট (Balurghat), গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভায় লিড বাড়ে সুকান্তর। বিপ্লবের গড় বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে শাসকদল দাঁত ফোটাতে পারেনি। হারের পর বিপ্লব মিত্র বলেন, বিজেপি এমন কোনও কাজ করেনি যে তারা জিতবে। আমরা জেতার মতো জায়গায় ছিলাম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি। জেলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সব রাজ্য সরকার করেছে। দলে নিশ্চয়ই অন্তর্ঘাত হয়েছে। রয়েছে। এনিয়ে আর বিতর্কের জায়গা নেই। আমরা পর্যালোচনা করব। বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। রাজ্য থেকে আমার কাছে হারের কারণ জানতে চাওয়া হলে অন্তর্ঘাতের বিষয়টি তখন ব্যাখ্যা করব।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন

    দলীয় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে আনলেও ঠিক কোনদিকে ইঙ্গিত করছেন জেলার বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র , সেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জেলার প্রাক্তন দুই সভাপতি রয়েছেন তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকায়। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে থেকেই অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। নির্বাচনে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পৌঁছেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে, বালুরঘাটে (Balurghat) সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরও সবকিছু যে ঠিক হয়নি, বিপ্লবের দাবিতে সেকথা স্পষ্ট।

    দলীয় প্রার্থীর হার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতারা?

    এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমি তো দলের একজন সামান্য কর্মী। দল মনে করেছে বড় জায়গায় কাজ করতে পারব না, সেজন্য ছোট জায়গায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সেই মতো  দলের কাজ করেছি। কে কী মন্তব্য করেছেন, আমার জানা নেই। প্রার্থীর হার নিয়ে নিশ্চয় পর্যালোচনা হবে। আবার জেলা তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী যেমন কাজ করতে বলেছেন, সেভাবেই চলেছি। কে অন্তর্ঘাত  করেছেন, দলীয়স্তরে তার পর্যালোচনা  করা হোক। গঙ্গারামপুর শহরে দলের বিপর্যয় কেন হল, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে (Hooghly) জয়ের পরও চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় লাভ করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই পদত্যাগের ঘটনায় দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র কি আরও একবার স্পষ্ট হল?

    তিনটি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি (Hooghly)

    হুগলিতে (Hooghly) সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। রচনা জয়যুক্ত হয়েছেন ৭৬৮৫৩ ভোটে। কিন্তু ওই তিনটি বিধানসভার মধ্যে লকেট ৮২২৮৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও চুঁচুড়াতে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। হারের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে বিশ্লেষণে বসে জেলা নেতৃত্ব। ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে প্রধান, উপপ্রধান এবং জন প্রতিনিধিদের চরম অপমান করেন এই বিধায়ক। এরপর পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং উপপ্রধানেরা মগরা বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য

    তৃণমূলের (Hooghly) বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, “রচনা তিনটি বিধানসভায় কম ভোট পেয়েছেন বলে গরু-ছাগলের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের অপমান করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুচেতা মান্না পাল বলেন, “আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। তবে দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করলাম।“ আবার চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে, দলের কর্মী এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এই পরাজয়।

    আরও পড়ুনঃ তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    অসিত মজুমদারের বক্তব্য

    বিধায়ক (Hooghly) অসিত মজুমদার বলেন, “ওঁদের বিবেক আছে। ওঁরা থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তবে কেন দিয়েছেন, তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব আমরা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: শান্তিপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি! রক্ত ঝরল অধ্যাপকের

    Santipur: শান্তিপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি! রক্ত ঝরল অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি। কাজের বরাত না পাওয়ায় শুক্রবার রক্ত ঝরল অধ্যাপকের! শিক্ষাঙ্গনে চরম নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) কলেজ। আক্রান্ত অধ্যাপকের নাম রামকৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কলেজের স্টাফরুমে আক্রান্ত অধ্যাপক বসেছিলেন। এরপর কয়েকজন ছাত্র এবং সঙ্গে বহিরাগতরা এসে অধ্যাপককে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলেন। অধ্যাপক বাইরে বের হতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের কারণে তাঁর মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। অন্যদিকে, হামলাকারীদের বক্তব্য, “অধ্যাপক লাইব্রেরির মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীর হাত ধরে টানেন। তাকে কুপ্রস্তাব দেন।” অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে হামলাকারীরা বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রীও ছিলেন। তিনি বলেন, আমাকে অধ্যাপক হাত ধরে টেনেছেন। কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর আমি শাস্তি চাই। কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    আক্রান্ত অধ্যাপক কী বললেন?

    আক্রান্ত অধ্যাপক বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। আসলে, সম্প্রতি কলেজের পাঁচিল তৈরির জন্য কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা শান্তিপুরের (Santipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর নির্দেশে আমি ওই কাজ দেখাশোনা করতাম। এরজন্য প্রায়ই আমার কাছে ছাত্রদের কয়েকজন এবং বহিরাগত কয়েকজন দুষ্কৃতী তোলা চাইত। তোলা না দিলে হুমকি দিত। একইসঙ্গে আমাকে কলেজে  কাজ চাইত। ই টেন্ডারের মাধ্যমে কলেজে সব কাজ হচ্ছে। ওরা কাজ পায়নি। তাই, আমার ওপর রাগ। এমনকী বাড়িতে গিয়েও পর্যন্ত হুমকি দিয়ে আসে। এদিনও একই দাবিতে তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে কলেজের মধ্যেই। এমনকী কলেজ কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতে গেলেও তাদের মধ্য থেকেও একজনকে মারধর করা হয়। আমাকেও ওরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

    কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    শান্তিপুর (Santipur) কলেজের অধ্যক্ষ শুচিস্মিতা সান্যাল বলেন, একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমি বিশ্বাস করি না। আর এদিন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই অধ্যাপক লাইব্রেরিতে যাননি। তিনি স্টাফ রুমে বসেছিলেন। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে এবং থানায় জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এক্ষেত্রে শান্তিপুর কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের কী নিয়ে সমস্যা তা জানি না। তবে,তোলাবাজির কোনও বিষয় নয়, কারণ টেন্ডার দেখাশোনা করে অন্য একটি কমিটি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। যদি অধ্যাপক দোষী হয়ে থাকে, তাহলে তিনি শাস্তি পাবেন। আর যদি ছাত্ররা অপরাধ করে থাকে তারা শাস্তি পাবে। এক্ষেত্রে আমার আলাদাভাবে কিছু বলার নেই।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনার নিন্দা জানান শান্তিপুর (Santipur) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত বৈরাগী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র শান্তিপুর কলেজ নয় রাজ্যের প্রতিটি কলেজে তৃণমূল এই নোংরা রাজনীতি করছে। এরা অধ্যাপক, শিক্ষক কাউকে মানে না। নিজেদের স্বার্থে আঘাত পড়লে হিংস্র পশুর মত আচরণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share